ছাদেকুল ইসলাম রুবেল. গাইবান্ধা ঃ পরিবেশগত ভারসাম্যের শিকার অনেক বন্যপ্রাণী ও পাখি আমাদের অজ্ঞাতেই ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক হারিয়েও গেছে। আবার অনেক প্রাণী আর পাখি রয়েছে যাদের সংখ্যাা উলে খযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। আমাদের দেশীয় বিলুপ্ত প্রায় এক সুন্দর পাখি ‘নীলকন্ঠ’ এদের কন্ঠ নীল না হলেও উজ্জ্বল বর্ণালী পালকের এই গায়ক পাখি তার বণির্ল সৌন্দর্যে অতি সহজেই সবার নজর কাড়ে। আমাদের গাইবান্ধার গ্রাম-গঞ্জে ইতোপূর্বে সর্বত্র নীলকন্ঠের দেখা মিললেও এখন দেখা মেলে কদাচিৎ। এরা আকারে অনেকটা বড়, প্রায়পাতি কাকের সমান। এদের লেজ প্রায় ৩০সেন্টিমিটার। পীত রঙের লম্বা ধারাল ঠোঁট। এছাড়া ঠোঁটের অগ্রভাগের পালক হালকা হলুদ এবং মাথায় পাখার উপরভাগে ও লেজ থেকে শরীরের পা পর্যন্ত নিচের অংশের পালকের রং উজ্জ্বল নীল। এছাড়া বুক ও পিঠের পালকে রয়েছে উজ্জ্বল লাল ও ধুসর বাদামি রঙের মিশেল। লম্বা লেজের উপরিভাগের পালক দুটো বাদামি ও খয়েরি রং এর মিশেল। নীলকন্ঠ বিচিত্র বর্ণের এক বাহারি রং এর পাখি। এদের ইংরেজি নাম Indian Roller Blue Jay এবং বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Coracias Benghalensis এরা কৃষি-বান্ধব পাখি। কৃষির জন্য ক্ষতিকারক সব রকম পোকামাকড় এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে।গাছের কোটারে, নারকেল গাছ ও তাল গাছের মগডালে এরা খড়কুটো দিয়ে কাকের মতো আগোছালো বাসা বানায়। বস্তন্তকালে স্ত্রী পাখি বাসায় তিন থেকে চারটে সাদা ডিম পাড়ে। স্ত্রী ও পুরুষ দু’জনে মিলে তা দিয়ে পনেরো থেকে সতেরো দিনে বাচ্চা ফুটায়।
0 Comments
|
বিভাগীয় সম্পাদকপ্রিয় পাঠক আপনাদের জন্যই আমাদের বিশেষ এ আয়োজন. তাই এ সম্পর্কে মতামত জানিয়ে আমাদের চলার পথকে আরো প্রসারিত করুন. নিউজ সার্চ
All
নিউজ আর্কাইভ
August 2017
|