খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতীর পূণ্যভূমি আজমীর শরীফে বাঙলা ভাষা-ভাষি মানুষের জন্য নিস্বার্থভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ফুরফুরা দরবার শরীফের খাদেম হাজী শেখ আনসার আলী তিনি খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.) এর মাজার জিয়ারতে আগত বাঙলা ভাষাভাষি ও বাংলাদেশী মেহমানদের যে কোন সহযোগিতায় প্রাণ খুলে এগিয়ে যান। তিনি এই সব অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য পূণ্যভূমি আজমীরে হোটেল ফুরফুরা দরবার ও হোটেল জমজম নামে দুইটি আবাসিক হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশী বা বাঙলা ভাষাভাষি যে কোন মানুষ এই সব প্রতিষ্ঠান থেকে নিস্বার্থভাবে খেদমত পেয়ে থাকেন।
সততা সাহস পরিশ্রম ও ঈমানকে সঙ্গী করে যে মানুষটি আজ অনেক স্মৃতির সাথে সিড়ি বেয়ে বহুদূর এগিয়ে এসেছেন তিনিই হলেন, হাজী শেখ মোঃ আনসার আলী। মানবতার প্রতীক হাজী শেখ মোঃ আনসার আলী ভারতের পশ্চিম বঙ্গের হুগলী জেলার নবাবপুর গ্রামের এক সাধারণ পরিবারে ১৯৭২ সালের ২ জানুয়ারী জন্ম গ্রহন করে। নবাবপুর গ্রামটি ঐতিহাসিক ফুরফুরা দরবার শরীফের অতি নিকট বিধায় শেখ আনসার আলী ছোট বেলা থেকেই ফুরফুরা দরবার শরীফের আদর্শ অন্তরে গভীরভাবে লালন করে বেড়ে উঠেছেন।
হাজী শেখ আনসার আলী শৈশব থেকেই সততা পরিশ্রম ও ঈমানকে সাথে নিয়ে একজন আদর্শ মানুষের স্বপ্ন লালন করে আসছিলেন। বাবা শেখ ইজ্জত আলীর আর্থিক অনটনের সংসার হওয়ায় তিনি শিক্ষা জীবন শেষ করেন পৈত্রিক ভিটি থেকেই। শেখ আনসার আলীর পিতার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকায় শিক্ষা জীবন শেষ করতে না করতেই স্বর্ণ শিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। হাজী শেখ আনসার আলী কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের উদ্যেশ্যে খাজা মাঈন উদ্দীন চিশতী (রহ.) এর পূর্ণভূমি আজমীর শরীফ চলে আসেন এবং সততা, নিষ্ঠা পরিশ্রম ও ঈমানকে সাথে নিয়ে কর্মজীবনকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যান। শেখ আনসার আলী বর্তমানে আজ হযরত খাজা মাঈন উদ্দীন চিশতী (রহ.) এর পূর্ণভূমিতে প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী এবং সমাজ সেবক হিসেবে অধিক পরিচিত। তিনি আজ গুরুত্বপূর্ণ আজমীর শরীফে হোটেল ফুরফুরা দরবার হোটেল জমজম ও জুয়েলারী ব্যবসাসহ বেশ ক’টি সুনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি কখনো কোন মানুষকে যে পেশায় থাকুন না কেন ছোট করে দেখেন না। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় শতাধিক কর্মজীবি মানুষের সবাইকে মালিকের মত আচরণ না করে একজন ক্ষুদ্র কর্মজীবি থেকে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে ভাই হিসেবে সম্বোধন করে থাকেন। হাজী শেখ আনসার আলী আপন ভাইবোনদের সবসময় সততা, নিষ্ঠা ও ঈমানের সাথে দিনযাপনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং ভাইদের নিয়ে খুবই আন্তরিকতার সাথে ব্যবসা পরিচালনাসহ দিনযাপন করে আসছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি বর্তমানে চার ছেলের জনক। হাজী শেখ আনসার আলী ইতিপূর্বে হজব্রত পালন করেছেন।
হাজী শেখ আনসার আলী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার পরিশ্রম, সততা ও ঈমান আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি আল্লাহ আমার মাধ্যমে এই পূর্ণভূমিতে যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধম্যে মানুষের জন্য কিছু করে যেতে পারলেই আমি আল্লাহর কাছে পরকালের জন্য কিছু করেছি বলে মনে করব। হাজী শেখ আনসার আলী বলেন, বাংলাদেশের এবং বাঙলা ভাষাভাষি আজমীর শরীফে জিয়ারতে আসা বন্ধুরা প্রায়ই সময়েই ভাষার অজ্ঞতা ও বিভিন্ন কারনে খুবই কষ্ট পেয়ে থাকেন এবং আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকেন। আমি ফুরফুরা দরবার শরীফের একজন খাদেম হিসেবে হযরত খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতি (রহ) এর মাজার জিয়ারতে আসা বাংলাদেশের এবং বাঙলা ভাষাভাষি ভাইদের খেদমতে আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগন নিস্বার্থভাবে খেদমত করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
হাজী শেখ আনসার আলী আলাপকালে বলেন, আমি ফুরফুরা দরবার শরীফের একজন সামান্য খাদেম হিসেবে হযরত খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতি (রহ) এর মাজার জিয়ারতে আসা বাংলাদেশী এবং বাঙলা ভাষাভেষি ভাই বন্ধুদেরকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি এবং অনুরোধ করছি আপনারা আমার প্রতিষ্ঠানগুলোর খেদমত গ্রহণ করুন। আপনার যে কোন সহযোগিতায় (০১৪৩)২৬২৯৫৪৩, ৯৪১৪০০২৫৪৩ অথবা E-mail: [email protected] যোগাযোগ করুন। আমি আশা করি আপনারা আজমীর শরীফে সব্বোর্চ সুযোগ এবং সহযোগিতা পাবেন।