বিসিসিআইহর ওয়ার্কিং কমিটির সভায় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে আইপিএল এর দলগুলো আইসিসি সহযোগী দেশে অথবা টেস্ট খেলুড়ে দেশের বাইরে গিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি ম্যাচ খেলতে পারবে। তবে বিসিসিআই সভাপতি জানিয়েছেন দলগুলো একে অপরের সাথে দেশের বাইরে গিয়ে কোনো ম্যাচে অংশ নিতে পারবে না।
এদিকে বিসিসিআইহর অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইপিএলকে আঞ্চলিক আবহ দেবার নিমিত্তেই বোর্ড এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তার মতে, বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশই আইপিএল দলগুলোর বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজন করতে আগ্রহী। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের কারণে আইপিএল বিশ্বব্যপী আরো সমাদৃত হবে। তাছাড়া দলগুলোও এর ফলে বাড়তি কিছু উদ্দীপনা নিতে পারবে, যেহেতু তারা একে অপরের সাথে নয় বরং ভিন্ন কোনো দলের মুখোমুখি হবে।
আসন্ন শ্রীলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এসএলপিএল) এ ভারতীয় খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণেরর ব্যাপারে বোর্ড কিছুটা নমনীয় হয়েছে।
এ সম্পর্কে শ্রীনিভাসন জানিয়েছেন, গত বছর আমরা কোনো ভারতীয় খেলোয়াড়কে শ্রীলংকায় খেলার অনুমতি দেইনি। কারণ আমরা জানতে পেরেছিলাম এই টুর্নামেন্টের পিছনে কিছু ব্যক্তিগত এজেন্সি কাজ করছে। এ বছর ভারতীয় খেলোয়াড়দের ছাড়ার ব্যাপারে আমরা আরেকবার লংকান বোর্ডের দেয়া প্রস্তাব খতিয়ে দেখব।
আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের সাথে মিল রেখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও এ ধরনের একটি ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এর নেতৃত্বে থাকবেন রবি সাওয়ানি, যিনি ২০১১ সালের জুন মাস পর্যন্ত আইসিসি ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন। ভারতে অনুষ্ঠিত সব ম্যাচের জন্য শক্তিশালী একটি এন্টিকরাপশন কোড থাকবে বলে শ্রীনিভাস জানিয়েছেন।
বোর্ডে আরো সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০০৩ এবং ২০০৪ সালের আগে যে সমস্ত ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার অবসর গ্রহণ করেছেন তাদেরকে বিসিসিআইর বেনেফিট স্কিমের আওতায় আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হবে। এই তালিকায় সর্বোচ্চ ১৬০ জনের নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে। এখানে প্রদত্ত অর্থের সর্বমোট পরিমাণ প্রায় ৭০ কোটি রুপি। যারা ১০০রও বেশি টেস্ট খেলেছেন তাদের দেড় কোটি রুপি এবং ৭৫-৯৯টি টেস্ট খেলা খেলোয়াড়কে দেয়া হবে ১ কোটি রুপি। এছাড়া ৫০-৭৪ টেস্ট খেলা খেলোয়াড়রা প্রত্যেকে পাবেন ৭৫ লাখ টাকা।