এতেই স্পষ্ট, বিশ্বকাপের উত্তাপ পেয়ে বসেছে কিউইদের। যথা স্থানে বিশ্বকাপের মহড়া দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে টেস্ট সিরিজ ছেটে ফেলার প্রস্তাবও তাদের। এরপর বোঝার বাকি থাকে না ভেট্টরিদের মনে কি আছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে যত প্রশংসাই করেন কিউই অধিনায়ক। সিরিজে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখানোর সুপ্ত বাসনা নিয়েই সফরে এসেছে ড্যানিয়েল ভেট্টরিরা। “বাংলাদেশ উন্নতি করছে। বিশেষ করে দেশের মাঠে দারুণ লড়াকু তারা। অবশ্য এখানে আমরা জয়ের জন্য এসেছি। অতএব কঠিন একটা সিরিজ খেলতে হবে।”
তরুণ এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নিয়ে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে নিউজিল্যান্ড দল। বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপ ভেন্যুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিউই অধিনায়কের মতে,“সত্যিই আমরা ভাগ্যবান। শ্রীলঙ্কাতে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখান থেকে সিরিজ শেষে ভারতেও খেলা আছে। বিশ্বকাপের আগে সবগুলো ভেন্যু সম্পর্কেই ধারণা পাচ্ছি আমরা।”
পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের ফলাফল কি হবে এখনই বলা মুশকিল। অধিনায়ক ভেট্টরিও মন্তব্য করেননি। বরং সাফল্যের সোপান বেয়ে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে নিউজিল্যান্ডের।
চোট সমস্যায় তামিম ইকবাল খেলছেন না। অফ ফর্মে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুল স্কোয়াডের বাইরে। এতে অবশ্য আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না ভেট্টরি। বরং স্বাগতিক দলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। “তামিমের না খেলা বাংলাদেশের জন্য বড় ক্ষতি। টপ-অর্ডারে অনেক রান করে সে।”
বিশ্ব ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান আর ভেট্টরির মধ্যে অনেক মিল আছে। দুইজনই বাঁহাতি অল-রাউন্ডার। মাঝে মাঝেই বিশ্বর্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা বদল করেন। একে অন্যের প্রতি সম্মানও যথেষ্ট। ভেট্টরির দৃষ্টিতে বাংলাদেশ দল মানেই সাকিব। বাংলাদেশকে হারাতে চাইলে সাকিবের জন্যই পরিকল্পনা আটতে হবে।
অবশ্য সাকিব একটুও সেভাবে ভাবছেন না। তার দৃষ্টিতে ক্রিকেট দলীয় খেলা। ১১ জনের পারফরমেন্সের ওপরই সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করে। বলেন,“আমরা একে অন্যের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ক্রিকেট দলীয় খেলা। আমি একা দলকে জেতাতে পারবো না। সে জন্য সবাইকেই খেলতে হবে।”