সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন ওয়ালার ও ফরস্টার মুতিজওয়া। পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রান যোগ করে দলকে খেলায় ফেরান তারা। এ সময় জয়ের সম্ভাবনা ফিরিয়ে আনেন তারা। কিন্তু রিয়াদ আক্রমণে আসার পরই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। তার প্রথম ওভারে সাকিবের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুতিজওয়া (২৭)। দলের রান তখন ১৪০। এর আর বেশি দূর যেতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। মুতিজওয়ার বিদায়ের পর আর ২০ রান যোগ করতে শেষ ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এর মধ্যে ১৬০ রানেই বিদায় নেন শেষ তিন ব্যাটসম্যান।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে শেষ ব্যাটসম্যান কেগান মিথ ব্যাট করতে নামেননি। বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ বলে আহত হন তিনি। নাসিরের একটি শট সরাসরি তার মুখে এসে লাগলে আহত হন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে রিয়াদ ৩ উইকেট নেন ১৩ রানে। সাকিব ২৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। শুরুেে কই নড়বড়ে ইমরুল কায়েস (৯) দলীয় ৩০ মাথায় সাজঘরে ফিরে গেলেও দলকে ভালো ভিত গড়ে দিচ্ছিলেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ আশরাফুল। টানা দুই ম্যাচ খারাপ খেলে জুনায়েদ সিদ্দিক বাদ পড়লে দলে ফিরেন আশরাফুল। কিন্তু এ ম্যাচে র্ব্য তিনিও। দলীয় ৭০ রানের মাথায় এল্টন চিগুম্বুরাকে নিজের উইকেট উপহার দেয়ার আগে করেন ১৫ রান। ৯ রান পরেই তাকে অনুসরণ করেন তামিম (৪৫)। তিনি তার ৬৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৫টি চার দিয়ে।
৭৯ রানের মধ্যে প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে মুশফিকুর রহীম ও সাকিব প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে আবারো লড়াইয়ে ফেরান। চতুর্থ উইকেটে তারা যোগ করে ঠিক ৫০ রান। শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ইনিংস খেলা মুশফিক (২০) ফিরে গেলে আবার ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ৮ রান পরে শুভাগত হোম চৌধুরী (৩) তাকে অনুসরণ করলে ম্যাচে ফিরে আসে জিম্বাবুয়ে। শুভাগত পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেয়ার সময় দলের রান ১২৭। সেখানেে ক দলকে টেনে তুলেন সাকিব ও রিয়াদ। ষষ্ঠ উইকেটে ১০৭ রান যোগ করেন তারা। দলীয় ২৩৪ রানের মাথায় সাজঘরের প ধরেন সাকিব (৭৯)। তার ৭১ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছয় রয়েছে। এটি তার ২০তম অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত রিয়াদ ৬০ ও নাসির হোসেন ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এটি রিয়াদের ষষ্ঠ অর্ধধতক। তার ৬৭ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছয় রয়েছে।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে রে প্রাইস ৩ উইকেট নেন ৫১ রানে।