এপিপি রিপোর্ট : ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জন্য পুলের তালিকায় আনা হয়েছে ২২ ক্রিকেটারকে। এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত যে কয়জন ক্রিকেটার জাতীয় দলে খেলেছেন তাদের সবাইকেই এই বিশেষ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে এবারের পেস বোলারের সংখ্যা কমে এসেছে। গত মাসে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ছয়জন পেস বোলার। তারা হলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, নাজমুল হোসেন, সৈয়দ রাসেল ও রবিউল ইসলাম। ২০১০-১১ মৌসুমে দল পেতে তাদের খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পুল ব্যবস্থা আগের মতোই আছে। প্রতি দল তিনজন করে পুলের ক্রিকেটার নিতে পারবে। গড়ে দুজন করেও পাচ্ছে না একটি দল। তবে দুজন করে বিদেশি নেওয়ার সুযোগ থাকায় দলগুলো অল-রাউন্ডারের দিকেই বেশি ঝুঁকবে। সে ক্ষেত্রে পেসারদের কিছুটা সমস্যা হলেও হতে পারে। পুলের ক্রিকেটাররা হলেন: মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, আব্দুর রাজ্জাক, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ, রুবেল হোসেন, ইমরুল কায়েস, শফিউল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, জুনায়েদ সিদ্দিক, নাজমুল হোসেন, সৈয়দ রাসেল, ফয়সাল হোসেন, মোহাম্মদ আশরাফুল, নাঈম ইসলাম, রবিউল ইসলাম, রকিবুল হোসেন, মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী শুভ, শাহরিয়ার নাফিস, আফতাব আহমেদ ও সাহাদাত হোসেন।
0 Comments
এপিপি, মুন্সীগঞ্জ : তৎকালীন ঢাকা ডিভিশন লীগের দিলকুশা কাবের সাবেক ফুটবলার, শহরের প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগের মাঠপাড়া সমাবেশ কাবের সাবেক অধিনায়ক ও মুন্সীগঞ্জের ক্রীড়ামোদীদের সেই সদা হাস্যজ্জল আশরাফ ভাই আর নেই। শনিবার দিবাগত রাতে শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমী সংলগ্ন খালইষ্টের বাসভবনে ক্রীড়াঙ্গনের প্রিয় মুখ সাবেক ক্রিকেট ও ফুটবলার এ এন এম আশরাফুজ্জামান (৫৮) ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে.... রাজেউন)। তিনি দীর্ঘ দিন দূরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। বিবাহিত জীবনে তিনি ২ পুত্র সন্তানের জনক। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ভাই-বোনসহ বহু আতœীয় স্জন রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা, মুন্সীগঞ্জ ফুটবল একাডেমী, মাঠপাড়া সমাবেশ কাব, কোর্টগাঁও বয়েজ কাব, জমিদার পাড়া নব-কলিকা গোষ্ঠী, জগদ্ধাত্রীপাড়া অগ্রগামী কাব, কোর্টগাঁও তরুন সংঘের সকল কর্মকর্তা ও খেলোয়াড় গভীর শোক প্রকাশ ও মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি ১৯৮৭ সালে অলিম্পিক ফেডারেশনের জাতীয় পর্যায়ে লন-টেনিস খেলায় রানার্স-আপ হন। গতকাল রোববার বিকেলে শহর জামে মসজিদে জানাযা শেষে কাটাখালী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এপিপি ডেস্ক : ত্রি-দেশীয় সিরিজে জয়ের জন্য ২৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ৫০। হাতে আছে ৬ উইকেট। ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪৮.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান তোলে কিউইরা। জবাবে ব্যাট করছে ভারত। ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন যুবরাজ সিং। অপর ব্যাটসম্যান অধিানয়ক ধোনি অপরাজিত আছেন শূন্য রানে।
এপিপি ডেস্ক : জাতীয় ফুটবল দলের কোচের পদে এখনো ম্যারাডোনার উত্তরসুরি পায়নি আর্জেন্টিনা। এমনকি সম্ভাব্য কোনো কোচের সঙ্গে এখনো কথা বলেননি দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)’র প্রধান হুলিও গ্রন্দোনা। রোববার এ তথ্য জানান ম্যারাডোনার সাবেক গুরু ও আর্জেন্টিনা দলের জেনারেল ম্যানেজার কার্লোস বিলার্দো। বলেন,“জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য গ্রন্দোনা কারো সঙ্গে কথা বলেননি। এ বিষয়ে আমাকেও কিছুই জানাননি। তবে আমরা অপেক্ষা করছি। অনেক কিছুই হতে পারে।” গ্রন্দোনা আর বিলার্দোকে অভিযুক্ত করে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ১৯৮৬’র বিশ্বকাপ জয়ী নেতা ম্যারাডোনা। পরে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে তার বিদায়ের জন্য দায়ী করেন এই দুজনকেই। বলেন,“গ্রন্দোনা আমার কাছে মিথ্যা বলেছে। আর বিলার্দো করেছে বেইমানি।” কারণ ম্যারাডোনা এএফএকে সভাপতিকে শর্ত দিয়েছিলেন তার সাতজন কোটিং স্টাফকে রাখলে তিনি দায়িত্বে থাকবেন। কিন্ত শর্ত না মানায় তিনি পদত্যাগ করেন। যদিও পরে তারা ম্যারাডোনার অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু বিলার্দো ঘোষণা দিয়েছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ম্যারাডোনার এ ধরনের অভিযোগের প্রতিবাদ করবেন। বলেন,“আমি প্রতিবাদ করব। যত দিন বেঁচে থাকব।” এপিপি ডেস্ক : ক্রিকেটে প্রতিনিয়ত-ই রেকর্ডের জন্ম দিয়ে চলেছেন ভারতের ব্যাটিং আইকন শচীন টেন্ডুলকার। মঙ্গলবার মুকুটে আরো একটি পালক যোগ করার অপেক্ষায় এ মাস্টার ব্যাটসম্যান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে গড়তে যাচ্ছেন সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার রেকর্ড। কলম্বোর পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু স্টেডিয়ামে (পি সারা ওভালে) শচীন খেলতে যাচ্ছেন তাঁর ১৬৯তম টেস্ট ম্যাচ। আর ভাঙতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়ার রেকর্ড। এই বিশ্ব সেরা ব্যাটসম্যান একদিনের খেলায়ও শ্রীলঙ্কান সনাৎ জয়সুরিয়ার সর্বোচ্চ ৪৪৪ ম্যাচের থেকে মাত্র দুই ম্যাচ দূরে আছেন। ১৯৮৯ সালে মাত্র ষোল বছর বয়সে করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে লিটল মাস্টারের। ধীরে ধীরে তিনিই হয়ে উঠেন ভারতের রানের ভান্ডার। একদিনের আর টেস্ট ক্রিকেটে হয়েছেন সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক।১৬৮টি টেস্টে ৫৬.০৮ গড়ে রান করেছেন ১৩ হাজার ৭৪২। আছে ৪৮টি শতক আর ৫৫ টি অর্ধ-শতক।একদিনের ক্রিকেটে ৪৪২ খেলায় এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ ১৭ হাজার ৫৯৮ রান। শতক করেছেন ৪৬টি। এ বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সীমিত ওভার ম্যাচে দ্বি-শতকের একমাত্র রেকর্ডও করেন শচীন।
এপিপি বাংলা ডেস্ক : পেশাদার গলফে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন বাংলাদেশি গলফার সিদ্দিকুর রহমান। এশিয়ান অভিযানে প্রথমবারের মতো ব্রুনাই ওপেন ট্রফি জিতে দেশের জন্য বয়ে আনলেন বিরল সম্মান। ব্রুনাই এম্পায়ার হোটেল এন্ড কান্ট্রি কাব মাঠে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার জোবে ক্রুগারকে প্লে-অফ ম্যাচে হারিয়ে এই সাফল্য তুলে নেন সিদ্দিক। তিন লাখ ডলারের এই টুর্নামেন্টে সিদ্দিক পাবেন ৪৮ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত উপার্জন। সঙ্গে পেশাদার গলফে প্রথম কোন সাফল্য। চার রাউন্ডের খেলায় অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ। মোট ২৮৪ স্ট্রোকের মধ্যে ১৬টি শট কম নিয়ে ক্রুগারের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে পৌঁছান সিদ্দিক। নাটকের শেষদৃশ্য তখনো অজানা। স্নায়ু চাপ হুহু করে বেড়ে যাওয়ার কথা। অভিজ্ঞ এক গলফারের বিপরীতে সাহসের পরীক্ষা দিতে হবে পেশাদার অঙ্গনের নবীন গলফারকে। সিদ্দিক স্নায়ু ঠিক রাখলেন। প্লে-অফে এক হোলের খেলায় চার স্ট্রোকে বল পাঠিয়ে দেন অভিষ্ঠ লক্ষ্যে। অর্থাৎ চারটি শট নিয়ে বল গর্তে পাঠান সিদ্দিক। প্রতিপক্ষ ক্রুগার একশট বেশি নেওয়ায় চ্যাম্পিয়ন হন বাংলাদেশি গলফার। ব্রুনাইয়ের মাঠে সর্বোচ্চ ৭১ স্ট্রোকে ১৮ হোল পূর্ণ করতে হয়। প্রথম রাউন্ডে ৬৪ স্ট্রোকে সবগুলো হোলে বল পাঠান সিদ্দিক। দ্বিতীয় রাউন্ডে সমান সংখ্যক হোলে ৬৭ স্ট্রোকে বল পাঠন। তৃতীয় রাউন্ডে ৭০ স্ট্রোক নিয়ে চক্র পূরণ করেন। রোববার শেষ রাউন্ডে ১৮ হোলে বল পাঠাতে স্ট্রোক খেলেন ৬৭ বার। ২৬৯ স্ট্রোক নিয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সেরা হয়েছেন ফিলিপাইনের জুভিক পাগুনসান। তবে গতবারের রানারআপ ভারতের গগনজিত ভ্লুার এবার ২৭০ স্ট্রোক নিয়ে চার রাউন্ড শেষ করায় চতুর্থ স্থান পেয়েছেন। সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় সিদ্দিক বলেন,“প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এশিয়ান টুরে শিরোপা জিতেছি। এর আনন্দ বলে বোঝানোর নয়। আমার কাছে এখনো অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।” তার মতে,“আমি আশা করি এই বিজয় বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে গলফের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে। এটা আমার এবং দেশের জন্য অনেক বড় সাফল্য।” বলবয় থেকে গলফের সুপার হিরো হয়ে উঠেছেন সিদ্দিক। পেছনের গল্পটা অনেক সংগ্রামের। স্কুলের বেতনের টাকা যোগাতে সেই বাল্য বয়সে কুর্মিটোলা গলফ কাবে বলবয়ের কাজ নেন। সাহেবদের বল কুড়ানি সিদ্দিক একসময় কেডি হিসেবে দায়িত্ব পান। গলফ কাব বয়ে নেওয়াই ছিলো তার কাজ। সেই থেকে বিশ্বের অন্যতম অভিজাত খেলাটি শেখার সুযোগ আসে। কিশোর সিদ্দিকের খেলা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারেননি কুর্মিটোলা গলফ কাবের সাহেবরা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। মেধা খাটিয়ে হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যান। কুর্মিটোলা কাবের হয়ে ২০০৪ সালে প্রথম জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর অপেশাদার জগতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ৩০টি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে সাফল্য তুলে নেন ১৭ বার। তিনিই প্রথম গলফার অপেশাদার টুর্নামেন্টে দক্ষিণ এশিয়ার সবগুলো দেশে শিরোপা জেতেন। সাফল্যের ধারায় থেকে পেশাদার জগতের দিকে দৃষ্টি দেন। পেশাদার গলফে নাম লেখানোর আগে অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রশিক্ষণ নেন। স্কলারশিপ পেয়েও ভিসা জটিলতায় অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার সুযোগ হারাতে বসেছিলেন। শেষে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ভিসাও পেয়ে যান। অবারিত সম্ভাবনার দ্বার খুলে যায় সিদ্দিকের সামনে। ২০০৭ সালে পেশাদার গলফ জগতে ঢোকার যোগ্যতা অর্জন করেন। ২০০৮ সালে পেশাদার অঙ্গনে বিচরণ শুরু। ভারতীয় সার্কিটে চারটি মেজর টুর্নামেন্ট জেতেন গত দুই বছরে। এশিয়ান পেশাদার সার্কিটে খেলার সুযোগ হয় ২০০৯ সালে। এবার তো সাফল্যের মঞ্চে। ২০ নভেম্বর ১৯৮৪ সালে সিদ্দিকের জন্ম। চার ভায়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বাবা-মায়ের অভাবের সংসারে অনেক কষ্টে বেড়ে উঠেন ২৬ বছর বয়সী এই তরুণ।
|
নিউজ সার্চ
All
নিউজ আর্কাইভ
May 2018
|