এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় এ সম্মেলনকে ঘিরে হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন গ্রুপ শহরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদসভা করে। প্রতিবাদ সমাবেশ হতে উপজেলা যুবলীগের নামে আহ্বানকৃত ওই সম্মেলনকে বিতর্কিত সম্মেলন আখ্যায়িত করে তা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। সম্মেলন বন্ধ করা না হলে তা প্রতিহত করতে বাস স্ট্যান্ডে পাল্টা সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ঈশার সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যুবলীগের লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক হাসেম রেজা ও নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৯৩ সালে এখানে যুবলীগের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এ কমিটি দীর্ঘ ১৬ বছর বলবৎ থাকলেও নানা কারণে তারা যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে হাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে যুবলীগের অপর একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটি দীর্ঘ ৬ বছর কার্যক্রম পরিচালনা করলেও পূর্ণাঙ্গ কোন কমিটি গঠন করতে পারেনি। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আব্দুস সালাম ঈশাকে আহ্বায়ক করে যুবলীগের আবারও একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ আহ্বায়ক কমিটি ৩ বছর পর সম্মেলনের আয়োজন করে।