এপিপি রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রত্যেকে দেশের একেকজন দূত। তাই আপনাদের প্রবাসে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এবং দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এখানকার হোটেল কনরাডে বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক সভায় বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশ এখন বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে গড়ে ওঠা নেতিবাচক ভাবমূর্তি থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্ব দরবারে স্থান করে নিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের ল্য হলো জনগণের জন্য কাজ করার মাধ্যমে তাদের স্বার্থ রা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা।
তার সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে দেয়া প্রতিশ্র“তি যে কোন মূল্যে পূরণ করা হবে এবং এ ল্েয একের পর এক নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ সালে তাঁর বিগত সরকারের আমলে দেশ সোনালী যুগ পার করেছে উল্লেখ করে বলেন, এর পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তার সরকারের যাবতীয় সাফল্য নস্যাত করতে চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার মতা দখল করার পর দেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, উচ্ছেদ, নির্যাতন ও সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি সরকার বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ এবং নিপীড়ন শুরু করে দেশে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম করে।
বিএনপি সরকারের বিপুল অর্থ পাচার ও দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ল্য ছিল জনগণের অধিকার পদদলিত করে অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, আর এ দল যখনই মতায় আসে তখন জনগণের কল্যাণে কাজ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু কিছু লোক কখনোই আওয়ামী লীগের সদিচ্ছা ও কল্যাণমুখী কার্যক্রমকে ভালোভাবে গ্রহণ করে না। কারণ তারা সব সময় নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সহজ ব্যাংকিং পদ্ধতি ও বিনিয়োগের সুযোগসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা দিচ্ছে, যাতে তারা দেশে তাদের অর্থ কাজে লাগাতে পারে।
তিনি আইসিটি টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকিং এবং আইন-শৃংখলা প্রতিষ্ঠাসহ বেশ কিছু প্রধান খাতে দেশের অর্জিত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব দানের েেত্র বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সময়োচিত ১৩৪-দফা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও এ ল্েয প্রাথমিকভাবে সাতশ’ কোটি টাকা বরাদ্দসহ তাঁর সরকারের কৌশলসমূহ সম্পর্কে সংেেপ আলোকপাত করেন। জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক েেত্র বিদেশী সাহায্যকে স্বাগত জানানো হলেও তার অর্থ এ নয় যে, সরকার অলসভাবে বসে আছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার ল্েয তাঁর সরকারের অব্যাহত প্রয়াসের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ েেত্র তিনি স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তরের মতো ডিজিটালাইজেশনের চলমান অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে ও দুর্নীতি হ্রাস পেয়েছে।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী জেলা পর্যায়ে ‘ওয়েব পোর্টাল’-এর পাশাপাশি স্থানীয় সরকারকে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে তাঁর সরকারের উদ্যোগেরও উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ই-গভর্নেন্স ব্যবস্থা চালুর কাজ চলছে। এটি চালু হলে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে ও জনগণকে সেবা প্রদানের কাজ সহজ ও স্বচ্ছ হবে।
কৃষকের কল্যাণে ও তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল করতে সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
কৃষকরা এখন ১০ টাকা জমা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন এবং তারা এর মাধ্যমে সরাসরি সরকারী ভর্তুকিও পাচ্ছেন। জনগণের জন্য তাঁর সরকারের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা নিশ্চিত করা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ল্েয দেশে ৩ হাজার চিকিৎসক ও ১৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা আন্তর্জাতিক মানবিক উন্নয়নে তাঁর অনন্য অবদানের জন্য সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জনের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
প্রবাসীরা তাদের অবস্থা ও প্রয়োজনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি তাদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সব সময় প্রবাসীদের স্বার্থের ব্যাপারে মনোযোগী ও ইতিমধ্যে তাদের জন্য ভোটাধিকার, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা গড়ে তোলাসহ বেশ কিছু পদপে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশ এখন বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে গড়ে ওঠা নেতিবাচক ভাবমূর্তি থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্ব দরবারে স্থান করে নিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের ল্য হলো জনগণের জন্য কাজ করার মাধ্যমে তাদের স্বার্থ রা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা।
তার সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে দেয়া প্রতিশ্র“তি যে কোন মূল্যে পূরণ করা হবে এবং এ ল্েয একের পর এক নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ সালে তাঁর বিগত সরকারের আমলে দেশ সোনালী যুগ পার করেছে উল্লেখ করে বলেন, এর পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তার সরকারের যাবতীয় সাফল্য নস্যাত করতে চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার মতা দখল করার পর দেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, উচ্ছেদ, নির্যাতন ও সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি সরকার বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ এবং নিপীড়ন শুরু করে দেশে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম করে।
বিএনপি সরকারের বিপুল অর্থ পাচার ও দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ল্য ছিল জনগণের অধিকার পদদলিত করে অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, আর এ দল যখনই মতায় আসে তখন জনগণের কল্যাণে কাজ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু কিছু লোক কখনোই আওয়ামী লীগের সদিচ্ছা ও কল্যাণমুখী কার্যক্রমকে ভালোভাবে গ্রহণ করে না। কারণ তারা সব সময় নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সহজ ব্যাংকিং পদ্ধতি ও বিনিয়োগের সুযোগসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা দিচ্ছে, যাতে তারা দেশে তাদের অর্থ কাজে লাগাতে পারে।
তিনি আইসিটি টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকিং এবং আইন-শৃংখলা প্রতিষ্ঠাসহ বেশ কিছু প্রধান খাতে দেশের অর্জিত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব দানের েেত্র বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সময়োচিত ১৩৪-দফা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও এ ল্েয প্রাথমিকভাবে সাতশ’ কোটি টাকা বরাদ্দসহ তাঁর সরকারের কৌশলসমূহ সম্পর্কে সংেেপ আলোকপাত করেন। জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক েেত্র বিদেশী সাহায্যকে স্বাগত জানানো হলেও তার অর্থ এ নয় যে, সরকার অলসভাবে বসে আছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার ল্েয তাঁর সরকারের অব্যাহত প্রয়াসের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ েেত্র তিনি স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তরের মতো ডিজিটালাইজেশনের চলমান অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে ও দুর্নীতি হ্রাস পেয়েছে।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী জেলা পর্যায়ে ‘ওয়েব পোর্টাল’-এর পাশাপাশি স্থানীয় সরকারকে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে তাঁর সরকারের উদ্যোগেরও উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ই-গভর্নেন্স ব্যবস্থা চালুর কাজ চলছে। এটি চালু হলে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে ও জনগণকে সেবা প্রদানের কাজ সহজ ও স্বচ্ছ হবে।
কৃষকের কল্যাণে ও তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল করতে সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
কৃষকরা এখন ১০ টাকা জমা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন এবং তারা এর মাধ্যমে সরাসরি সরকারী ভর্তুকিও পাচ্ছেন। জনগণের জন্য তাঁর সরকারের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা নিশ্চিত করা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ল্েয দেশে ৩ হাজার চিকিৎসক ও ১৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা আন্তর্জাতিক মানবিক উন্নয়নে তাঁর অনন্য অবদানের জন্য সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জনের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
প্রবাসীরা তাদের অবস্থা ও প্রয়োজনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি তাদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সব সময় প্রবাসীদের স্বার্থের ব্যাপারে মনোযোগী ও ইতিমধ্যে তাদের জন্য ভোটাধিকার, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা গড়ে তোলাসহ বেশ কিছু পদপে নেয়া হয়েছে।