সৈয়দ তারেক হাসান
এই লেখাটি মূলত আমার স্ব-পরিবারে ইউরোপ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। আমি, আমার স্ত্রী জেনিফার, মেয়ে এলমা ও ছেলে ফারদিন খান আনুমানিক ৩টায় পৌঁছে গেলাম জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট এয়ারপোর্টে তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৪ইং। আগস্ট মাস বাংলাদেশের প্রচণ্ড গরম থেকে জার্মানিতে নেমেই শীতের কাপড় পরতে হল। তারপর লম্বা রাস্তা বিশাল এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন পর্যন্ত হাঁটতে হাঁটতে অনেক সময় চলে যায়। এবার ইমিগ্রেশেনের লাইনে এসে দাঁড়ালাম।
এখানে এসে একটু অস্বস্তিকর অবস্থা দেখলাম। লাইনের সামনে বেশ কিছু মানুষকে ইমিগ্রেশন অফিসার পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছেন। দেখে মনে হলো অবৈধ প্রবেশ না হয় একটা কিছু হবে। আমার স্ত্রী জেনিফার এ পরিস্থিতি দেখে একটু নার্ভাসই হয়ে যায়। আমি তাকে আশ্বস্ত করে হাসলাম। এবার আমাদের পালা । মহিলা ইমিগ্রেশন অফিসার প্রথমেই আমাদের স্বাগতম জানালেন। চমৎকার ব্যবহার হাসি মুখে কিছু প্রশ্ন করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে বিদায় দিলেন। আবার আমার বাচ্চাদেরও হাই হ্যালো করলেন। যাই হোক ইমিগ্রেশন অফিসারকে ধন্যবাদ দিয়ে বেল্ট এর দিকে রওনা দিলাম। বেল্ট থেকে মালামাল নিয়ে সোজা বাইরে যাবার গেটে দিকে যাত্রা করি।
এই লেখাটি মূলত আমার স্ব-পরিবারে ইউরোপ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। আমি, আমার স্ত্রী জেনিফার, মেয়ে এলমা ও ছেলে ফারদিন খান আনুমানিক ৩টায় পৌঁছে গেলাম জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট এয়ারপোর্টে তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৪ইং। আগস্ট মাস বাংলাদেশের প্রচণ্ড গরম থেকে জার্মানিতে নেমেই শীতের কাপড় পরতে হল। তারপর লম্বা রাস্তা বিশাল এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন পর্যন্ত হাঁটতে হাঁটতে অনেক সময় চলে যায়। এবার ইমিগ্রেশেনের লাইনে এসে দাঁড়ালাম।
এখানে এসে একটু অস্বস্তিকর অবস্থা দেখলাম। লাইনের সামনে বেশ কিছু মানুষকে ইমিগ্রেশন অফিসার পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছেন। দেখে মনে হলো অবৈধ প্রবেশ না হয় একটা কিছু হবে। আমার স্ত্রী জেনিফার এ পরিস্থিতি দেখে একটু নার্ভাসই হয়ে যায়। আমি তাকে আশ্বস্ত করে হাসলাম। এবার আমাদের পালা । মহিলা ইমিগ্রেশন অফিসার প্রথমেই আমাদের স্বাগতম জানালেন। চমৎকার ব্যবহার হাসি মুখে কিছু প্রশ্ন করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে বিদায় দিলেন। আবার আমার বাচ্চাদেরও হাই হ্যালো করলেন। যাই হোক ইমিগ্রেশন অফিসারকে ধন্যবাদ দিয়ে বেল্ট এর দিকে রওনা দিলাম। বেল্ট থেকে মালামাল নিয়ে সোজা বাইরে যাবার গেটে দিকে যাত্রা করি।
১নং গেটের সামনে এসেই দেখা মিলে গেল মামার সঙ্গে, নাম মোহাম্মদ আমান। তিনি আমার স্ত্রীর আপন ছোট মামা। অনেক বছর ধরে জার্মানির এই ফ্যাঙ্কফুর্ট শহরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। মামা আমাদেরকে ওয়েলকাম জানালেন জার্মানিতে। এয়ারপোর্ট থেকে দুইটি গাড়িতে করে মামার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
ভালবাসার ইউরোপ কাহিনীমামা থাকেন ফ্রাঙ্কফুর্টের উইজবার্ডেনে। বাসায় পৌঁছে দেখি লিনা মামি ও তাদের ২ সন্তান রিমু ও দিশা, আমাদের জন্য অপেক্ষায় ছিল। জার্মানি পৌঁছার আগে মামার সঙ্গে কথা হয়েছিল যে, উনার কর্মস্থল থেকে আমাদের সময় দেয়ার জন্য ১০ দিনের ছুটি নেবেন। তিনি তাই করেছেন। আমরা সবাই ক্লান্ত। লম্বা জার্নি করে এসেছি। চোখে ঘুম। আজ কোথাও বের হব না। বাসায় মামা মামিদের সঙ্গে গল্প করে সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ি।
পরদিন সকালে মামা অন্য একটি বিশেষ কাজে বাইরে চলে যায়। মামি আমাদের নিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিশেষ বিশেষ জায়গায় দেখাতে নিয়ে যায়। মামির সঙ্গে ঘুরে অনেক মজা করি। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি মার্কেটে সামনে মামা এসে হাজির। এবার মামা মামি এবং চারজন মিলে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকি। ম্যাগডোনাল্স এ খেয়ে বাসায় ফিরি।
মামার সঙ্গে আমাদের প্রোগাম ঠিক করা আছে। মামার বাসায় ২ দিন থেকে পরদিন প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। পরের দিন মামা আমাদেরকে জার্মানির বিখ্যাত স্থানের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য একটি বিল্ডিং দেখাতে নিয়ে যায়। যে বিল্ডিং থেকে হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তার শেষ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমি আমার পরিবারের সবাই অনেক এনজয় করি। বিল্ডিং এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলি।
ভালবাসার ইউরোপ কাহিনীমামা থাকেন ফ্রাঙ্কফুর্টের উইজবার্ডেনে। বাসায় পৌঁছে দেখি লিনা মামি ও তাদের ২ সন্তান রিমু ও দিশা, আমাদের জন্য অপেক্ষায় ছিল। জার্মানি পৌঁছার আগে মামার সঙ্গে কথা হয়েছিল যে, উনার কর্মস্থল থেকে আমাদের সময় দেয়ার জন্য ১০ দিনের ছুটি নেবেন। তিনি তাই করেছেন। আমরা সবাই ক্লান্ত। লম্বা জার্নি করে এসেছি। চোখে ঘুম। আজ কোথাও বের হব না। বাসায় মামা মামিদের সঙ্গে গল্প করে সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ি।
পরদিন সকালে মামা অন্য একটি বিশেষ কাজে বাইরে চলে যায়। মামি আমাদের নিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিশেষ বিশেষ জায়গায় দেখাতে নিয়ে যায়। মামির সঙ্গে ঘুরে অনেক মজা করি। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি মার্কেটে সামনে মামা এসে হাজির। এবার মামা মামি এবং চারজন মিলে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকি। ম্যাগডোনাল্স এ খেয়ে বাসায় ফিরি।
মামার সঙ্গে আমাদের প্রোগাম ঠিক করা আছে। মামার বাসায় ২ দিন থেকে পরদিন প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। পরের দিন মামা আমাদেরকে জার্মানির বিখ্যাত স্থানের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য একটি বিল্ডিং দেখাতে নিয়ে যায়। যে বিল্ডিং থেকে হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তার শেষ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমি আমার পরিবারের সবাই অনেক এনজয় করি। বিল্ডিং এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলি।
পরের দিন সকালে মামা আমাদেরকে নিয়ে যায় ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে একটু উত্তরে একটি পার্কে। পার্কটি সমতল থেকে অনেক উচুতে । অবাকই হলাম সৌন্দর্য্য দেখে, ফুলের বাগান আর সেই সময়কার ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের মূর্তি দেখে। এবং মজার ব্যাপার হলো এই পার্কে প্রায় সময়ই নাকি হিন্দি ছবির শুটিং হয়। উপরে উঠে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভব করি। যাক এখান থেকে সোজা বাসায় যাই।
পরের দিন মামা তার বিএমডব্লিউ গাড়িতে করে আমাদের নিয়ে প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। গাড়িতে আমারা চার জন ও মামা। আমি সামনের সিটে মামার পাশে বসি। মামা হিন্দি গান চালিয়ে দিলেন গাড়িতে। অনেক আনন্দ করতে করতে প্যারিসের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। প্যারিস পর্যন্ত ৪ জায়গায় মামা বিরতি দেয়। বিরতির সময় ম্যাগডোনাল্সে আমরা খেয়ে নিই। মামা কিছুক্ষণ পরপরই জিজ্ঞেস করতে থাকেন কোন অসুবিধা নেই তো? আমরা মামার কথায় হাসি। মামা আবারও গাড়ি চলাতে শুরু করেন। হাইওয়েতে যেদিকে তাকাই মন জুড়িয়ে যায়। সুন্দর আর সুন্দর। সুন্দরের লিলাভূমি। অবিশ্বাস্য সব দৃশ্য। দেখতে দেখতে এক সময় প্যারিসে পৌঁছে যাই।
ঢাকা থেকে আমাদের হোটেল বুকিং ছিল। হোটেলের নাম হাইপো হোটেল। এটি প্যারিসের জনভেলি এলাকায় অবস্থিত। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে হোটেলে পৌঁছালাম। হোটেল ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলাম এখান থেকে আইফেল টাওয়ার কত দূর। প্রত্যুত্তরে হোটেল ম্যানেজার জানালেন ২০ কিলোমিটার। শুনে তো মাথায় হাত। ভাবতেও পারি নাই এত দূরে হোটেল হবে। ম্যানেজার আমাদেরকে উপদেশ দিলেন যে, এখান থেকে ট্রেনে করে আমাদের জন্য নাকি সবচেয়ে সুবিধা হবে আইফেল টাওয়ারে যেতে।
ঢাকা থেকে আমাদের হোটেল বুকিং ছিল। হোটেলের নাম হাইপো হোটেল। এটি প্যারিসের জনভেলি এলাকায় অবস্থিত। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে হোটেলে পৌঁছালাম। হোটেল ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলাম এখান থেকে আইফেল টাওয়ার কত দূর। প্রত্যুত্তরে হোটেল ম্যানেজার জানালেন ২০ কিলোমিটার। শুনে তো মাথায় হাত। ভাবতেও পারি নাই এত দূরে হোটেল হবে। ম্যানেজার আমাদেরকে উপদেশ দিলেন যে, এখান থেকে ট্রেনে করে আমাদের জন্য নাকি সবচেয়ে সুবিধা হবে আইফেল টাওয়ারে যেতে।
হোটেলে ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে কিছু মুখে দিয়ে রওনা দিই আইফেল টাওয়ারের উদ্দেশ্যে। আসলে আমাদের ইউরোপ সফরের অন্যতম আকর্ষণ ছিল আইফেল টাওয়ার দেখা। কারণ আমার স্ত্রী জেনিফারের কাছে শুনতে পারি তার প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা আইফেল টাওয়ারের নিচে বসে সময় কাটানোর। ওকে ভিষণভাবে আকৃষ্ট করে আছে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম এই আইফেল টাওয়ার। জেনিফার প্রচণ্ড ভালবাসে আইফেল টাওয়ারকে।
যাক ট্রেনে উঠে বসি। আইফেল টাওয়ার পৌছা পর্যন্ত ২ বার ট্রেন চেঞ্জ করি। এবার আইফেল টাওয়ার রেল স্টেশনে নেমে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে উপরে উঠতে উঠতে সবার মধ্যে অস্থিরতা অনুভব হচ্ছিল। আর যখনই উপরে উঠে একটু সামনে যেয়ে উপরের দিকে তাকাতেই দেখি স্বপ্নের আইফেল টাওয়ার আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় সবাই। চিৎকার করে ওঠে। আমাদের এই চিৎকার ও চেচামেচি দেখে আশ-পাশের মানুষ রীতিমত অস্বস্থিবোধ করতে থাকে। কে কার দিকে তাকায়।
যাক ট্রেনে উঠে বসি। আইফেল টাওয়ার পৌছা পর্যন্ত ২ বার ট্রেন চেঞ্জ করি। এবার আইফেল টাওয়ার রেল স্টেশনে নেমে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে উপরে উঠতে উঠতে সবার মধ্যে অস্থিরতা অনুভব হচ্ছিল। আর যখনই উপরে উঠে একটু সামনে যেয়ে উপরের দিকে তাকাতেই দেখি স্বপ্নের আইফেল টাওয়ার আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় সবাই। চিৎকার করে ওঠে। আমাদের এই চিৎকার ও চেচামেচি দেখে আশ-পাশের মানুষ রীতিমত অস্বস্থিবোধ করতে থাকে। কে কার দিকে তাকায়।
আমি, আমার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও মামা সবাই মিলে নাচতে শুরু করি। জেনিফার চিৎকার করে বলে ওঠে আমার স্বপ্নের আইফেল টাওয়ার আই লাভ ইউ আইফেল টাওয়ার। হাঁটতে হাঁটতে টাওয়ারের নিচে চলে যাই। তখনও দিনের আলো অস্ত যায় নি। চলে আসি সেখান থেকে আবার ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে। ততক্ষণ আমরা ট্যুরিস্ট বাসে করে প্যারিস শহর ঘুরি। যতক্ষণ না সন্ধ্যা নেমে আসে। কারণ সন্ধ্যার পর আইফেল টাওয়ারের বাতি জ্বলে ওঠে। তখন আরও অসাধারণ লাগে দেখতে।
ভালবাসার ইউরোপ কাহিনীট্যুরিস্ট বাসে করে আমরা প্যারিসের অসাধারণ সব বিশেষ বিশেষ জায়গাগুলো দেখি। এর মধ্যে সমস্ত শহরে প্রাচীনতম মূর্তি এবং ফোয়ারা ও দর্শনীয় সব স্থান দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই সবাই। বাসের মধ্যে ভিডিও করি, ছবি তুলি। বাসে মাইক্রোফোন নিয়ে বসে আছে এক ভদ্রলোক। তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন কোথায় এলাম, কি দেখছি, কোথায় কি। ট্যুরিস্ট বাস সন্ধ্যা হতেই আমাদেরকে আইফেল টাওয়ারের সামনে নামিয়ে দেয়।
বাস থেকে নেমে তাকাতে দেখি দিনের আলোতে যেরকম দেখেছিলাম আইফেলকে রাতের অন্ধকারে এক অসাধারণ আলোকিত টাওয়ার। ঝলমল ঝলমল করছে সমস্ত টাওয়ারটি আইফেল টাওয়ারের বাতি জ্বলার ঠিক পূর্ব মূহুর্তে আমরা আইফেল টাওয়ারের সামনে ছিলাম। যখনই বাতি জ্বলে উঠলো তখনই সমস্ত আইফেল টাওয়ার এলাকায় পর্যটকদের চিৎকারে মুখরিত হয়ে ওঠে। এ চমৎকার অভিজ্ঞতা বলে মনে করি।
ভালবাসার ইউরোপ কাহিনীট্যুরিস্ট বাসে করে আমরা প্যারিসের অসাধারণ সব বিশেষ বিশেষ জায়গাগুলো দেখি। এর মধ্যে সমস্ত শহরে প্রাচীনতম মূর্তি এবং ফোয়ারা ও দর্শনীয় সব স্থান দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই সবাই। বাসের মধ্যে ভিডিও করি, ছবি তুলি। বাসে মাইক্রোফোন নিয়ে বসে আছে এক ভদ্রলোক। তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন কোথায় এলাম, কি দেখছি, কোথায় কি। ট্যুরিস্ট বাস সন্ধ্যা হতেই আমাদেরকে আইফেল টাওয়ারের সামনে নামিয়ে দেয়।
বাস থেকে নেমে তাকাতে দেখি দিনের আলোতে যেরকম দেখেছিলাম আইফেলকে রাতের অন্ধকারে এক অসাধারণ আলোকিত টাওয়ার। ঝলমল ঝলমল করছে সমস্ত টাওয়ারটি আইফেল টাওয়ারের বাতি জ্বলার ঠিক পূর্ব মূহুর্তে আমরা আইফেল টাওয়ারের সামনে ছিলাম। যখনই বাতি জ্বলে উঠলো তখনই সমস্ত আইফেল টাওয়ার এলাকায় পর্যটকদের চিৎকারে মুখরিত হয়ে ওঠে। এ চমৎকার অভিজ্ঞতা বলে মনে করি।
জেনিফারের ইচ্ছা অনুযায়ী আইফেল এর চূড়ায় উঠতে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট নিয়ে লিফটে চড়ি। ২ ভাগে সর্বোচ্চ চূড়ায় নিয়ে যায় লিফট। আইফেল টাওয়ারের উপর থেকে ঝলমলে প্যারিসের শহরের সৌন্দর্য্য আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অদ্ভুত আশ্চর্য না হয়ে পারিনি এই অসধারণ দৃশ্য দেখে। আরও মজার ব্যাপার হলো আইফেল টাওয়ারের চূড়ায় রেস্টুরেন্ট এবং পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন স্টল রয়েছে।
টাওয়ার থেকে নিচে নেমে মাঠ পেড়িয়ে কিছুদূর হেটে ম্যাগডোনাল্সে গেলাম রাতের খাবার খেতে। খাওয়া শেষে স্টেশনে এসে ট্রেন ধরি জনভেলির উদ্দেশ্যে।
রাত তখন প্রায় ১২টা বাজে বাজে। স্টেশনে নামার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ করেই লোকজন দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করে। আমরা তখনও কিছু বুঝে উঠতে পারিনি যে, রাত ১২টার পর স্টেশনের শাটার নেমে যায়। যখন বুঝতে পারলাম তখন দেই দৌঁড়। দৌড়ে সবাই উপরে উঠতেই স্টেশনের শাটার নেমে যায়। ভাগ্য ভালো আর একটু দেরি হলে রেল স্টেশনেই সবাইকে রাত কাটাতো হতো। হাঁটতে হাঁটতে হোটেলে পৌছে গেলাম।
ভালবাসার ইউরোপ কাহিনীজেনিফার এর মন ভরেনি আইফেল টাওয়ার দেখে। সে কাল আবার যেতে চায়। এবং বেশ কিছু সময় নিরবে আইফেল টাওয়ারের নিচে কাটাতে চায় । পরদিন অর্থাৎ প্যারিসে শেষ দিন। ঘুম থেকে উঠে ফ্যারেস হয়ে কবিতার দেশ সৌন্দর্য্যের লিলাভূমি প্যারিস দেখতে আবারো রওনা দিলাম। কারণ পরদিন আমরা জার্মানি ফিরে যাবো। তারপরের দিন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে।
টাওয়ার থেকে নিচে নেমে মাঠ পেড়িয়ে কিছুদূর হেটে ম্যাগডোনাল্সে গেলাম রাতের খাবার খেতে। খাওয়া শেষে স্টেশনে এসে ট্রেন ধরি জনভেলির উদ্দেশ্যে।
রাত তখন প্রায় ১২টা বাজে বাজে। স্টেশনে নামার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ করেই লোকজন দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করে। আমরা তখনও কিছু বুঝে উঠতে পারিনি যে, রাত ১২টার পর স্টেশনের শাটার নেমে যায়। যখন বুঝতে পারলাম তখন দেই দৌঁড়। দৌড়ে সবাই উপরে উঠতেই স্টেশনের শাটার নেমে যায়। ভাগ্য ভালো আর একটু দেরি হলে রেল স্টেশনেই সবাইকে রাত কাটাতো হতো। হাঁটতে হাঁটতে হোটেলে পৌছে গেলাম।
ভালবাসার ইউরোপ কাহিনীজেনিফার এর মন ভরেনি আইফেল টাওয়ার দেখে। সে কাল আবার যেতে চায়। এবং বেশ কিছু সময় নিরবে আইফেল টাওয়ারের নিচে কাটাতে চায় । পরদিন অর্থাৎ প্যারিসে শেষ দিন। ঘুম থেকে উঠে ফ্যারেস হয়ে কবিতার দেশ সৌন্দর্য্যের লিলাভূমি প্যারিস দেখতে আবারো রওনা দিলাম। কারণ পরদিন আমরা জার্মানি ফিরে যাবো। তারপরের দিন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে।
যাক আমরা সারাদিন বিশেষ বিশেষ জায়গাগুলো আবার ঘুরলাম। মজার ব্যাপার হলো একটি বিশেষ মার্কেটে গেলাম যেটি নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে এক্সপেনসিভ মার্কেট। সেখান থেকে জেনিফার শ্যানেলের কিছু পারফিউম ও এলিজাবেথ আরডেম ক্রিমসহ বেশকিছু কেনাকাটা করে আবার ফিরে এলাম দিনের আলোতে আইফেল টাওয়ার দেখতে। অনেক বিরক্ত করছিল হকাররা। ওদের উৎপাতে ভালভাবে কোন জায়গায় বসতেও পারছিলাম না। ওরা ছোট ছোট বিভিন্ন সাইজের আইফেল টাওয়ার বিক্রি করে। যার কাছ থেকে যেমন দাম নিতে পারে। আমার স্ত্রী হকারদের কাছ থেকে এক ব্যাগ আইফেল টাওয়ার কিনল। এর মধ্যেই বেশিরভাগই গিফট এর জন্যে। আইফেল টাওয়ারের সামনে এবং পিছন সাইটে ছোট ছোট রেস্টুরেন্ট আছে। যেগুলো দেখতে অনেকটা ভ্যান গাড়ির মত মনে হয়। উপরে শেড লাগানো। দেখতে অনেক সুন্দর। গরম গরম খাবার বেশ মজাদার।