মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা : ফের মাধবদী বাজারের প্রধান গলির ৩ টি কাপড় ও সুতার গদিতে নতুন কৌশলে এক রাতে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়ছে। নৈশ প্রহরিরা ছিল কোথায়? এ প্রশ্ন এখন মাধবদী বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ৩০ অক্টোবর সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মাধবদী পৌর শহরের বড় মসজিদ রোডের চাউল পট্রির গলিতে। গত ৩ অক্টোবর মাধবদী বাজারের প্রধান গলি বড় মসজিদ রোডের মাদ্রাসা মার্কেটে এক রাতেই দু’টি মোবাইলের দোকানে সংঘবদ্ধ একদল চোর অভিনব কায়দায় দোকানের তালা না ভেঙ্গে ৫৭ পিস ও ৬২ পিস স্মার্টফোন যার মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার স্মার্টফোন চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার ১ মাস না পেরোতেই ফের গতকাল সোমবার গভীর রাতে মাধবদী বাজারের প্রধান গলি চাউল পট্রির দু’টি কাপড়ের গদি আল আমিন হকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হক টেক্সটাইল ও একই গলিতে আজিজুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আজিজ টেক্সটাইলের কাপড়ের গদিতে এবং বাজারের অন্য একটি গলিতে সিয়াম টেক্সটাইলের সুতার গদির দোকানের তালা না ভেঙ্গে অভিনব কায়দায় সাটার না ভেঙ্গে ফাঁকা করে চোরের দল প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্সের তালা খুলে নগদ টাকা সহ ব্যাংকের চেক বই ও জরুরী কাগজ পত্র চুরি করে নেয় চোরের দল। হক টেক্সটাইলের মালিক আল আমিন হক জানান আমার ব্যবসা বেশী চেকের মাধ্যমে হয় তাই দোকানে বেশী টাকা ছিলো না ২০/২৫ হাজার টাকা ও চেক বই চুরি করে নিয়ে নিয়েছে। সকালে এসে এ ঘটনা দেখে আমি ব্যাংকে জানিয়েছি যেন ব্যাংক থেকে আমার কোন চেক পাশ না করান। এ দিকে আজিজ টেক্সটাইলের মালিক আজিজুর রহমান বলেন আমাদের ব্যবসা কাপড়ের সাধারণত আমরা চেকেই বেশী লেনদেন করে থাকি তারপরও দোকান খরচ ও কর্মচারীদের জন্য খরচের জন্য প্রায় ১৫/২০ হাজার টাকা ছিল তা নিয়ে নিয়েছে। তবে চোরদলের আশা ছিল আরো বেশী টাকার তারা বেশী টাকা না পেয়ে ক্ষোভে দোকানের সমস্থ মালামাল তচনছ করে সারা ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে গেছে। সিয়াম টেক্সটাইলের সুতার গদি থেকে একই কায়দায় চোর দল ৯৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মাধবদী থানার এস আই উত্তম। এ দিকে একই রাতে মাধবদী বাজারের সোনার বাংলা মার্কেটের দু’টি দোকেনে ও গরুহাটের পাশে আরো দু’টি দোকেনে চুরি হয়েছে বলেও একটি সুত্র জানিয়েছে। মাধবদী শহরের প্রধান ব্যস্ততম সড়ক হচ্ছে বড় মসজিদ রোড। রোডটির দুই পাশের দোকানপাট রয়েছে, পাহাড়ার জন্য মাধবদী বাজার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের অধীনস্থ নৈশ প্রহরী রয়েছে। তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা অনাকাঙ্খিত এবং এছাড়া থানা পুলিশও এ রাস্তায় রাতভর টহল দিতে দেখা যায়। নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্বহীনতাই এসব ঘটনার জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন মাধবদী বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
মোঃ আল আমিন:
মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা : ফের মাধবদী বাজারের প্রধান গলির ৩ টি কাপড় ও সুতার গদিতে নতুন কৌশলে এক রাতে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়ছে। নৈশ প্রহরিরা ছিল কোথায়? এ প্রশ্ন এখন মাধবদী বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ৩০ অক্টোবর সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মাধবদী পৌর শহরের বড় মসজিদ রোডের চাউল পট্রির গলিতে। গত ৩ অক্টোবর মাধবদী বাজারের প্রধান গলি বড় মসজিদ রোডের মাদ্রাসা মার্কেটে এক রাতেই দু’টি মোবাইলের দোকানে সংঘবদ্ধ একদল চোর অভিনব কায়দায় দোকানের তালা না ভেঙ্গে ৫৭ পিস ও ৬২ পিস স্মার্টফোন যার মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার স্মার্টফোন চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার ১ মাস না পেরোতেই ফের গতকাল সোমবার গভীর রাতে মাধবদী বাজারের প্রধান গলি চাউল পট্রির দু’টি কাপড়ের গদি আল আমিন হকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হক টেক্সটাইল ও একই গলিতে আজিজুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আজিজ টেক্সটাইলের কাপড়ের গদিতে এবং বাজারের অন্য একটি গলিতে সিয়াম টেক্সটাইলের সুতার গদির দোকানের তালা না ভেঙ্গে অভিনব কায়দায় সাটার না ভেঙ্গে ফাঁকা করে চোরের দল প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্সের তালা খুলে নগদ টাকা সহ ব্যাংকের চেক বই ও জরুরী কাগজ পত্র চুরি করে নেয় চোরের দল। হক টেক্সটাইলের মালিক আল আমিন হক জানান আমার ব্যবসা বেশী চেকের মাধ্যমে হয় তাই দোকানে বেশী টাকা ছিলো না ২০/২৫ হাজার টাকা ও চেক বই চুরি করে নিয়ে নিয়েছে। সকালে এসে এ ঘটনা দেখে আমি ব্যাংকে জানিয়েছি যেন ব্যাংক থেকে আমার কোন চেক পাশ না করান। এ দিকে আজিজ টেক্সটাইলের মালিক আজিজুর রহমান বলেন আমাদের ব্যবসা কাপড়ের সাধারণত আমরা চেকেই বেশী লেনদেন করে থাকি তারপরও দোকান খরচ ও কর্মচারীদের জন্য খরচের জন্য প্রায় ১৫/২০ হাজার টাকা ছিল তা নিয়ে নিয়েছে। তবে চোরদলের আশা ছিল আরো বেশী টাকার তারা বেশী টাকা না পেয়ে ক্ষোভে দোকানের সমস্থ মালামাল তচনছ করে সারা ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে গেছে। সিয়াম টেক্সটাইলের সুতার গদি থেকে একই কায়দায় চোর দল ৯৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মাধবদী থানার এস আই উত্তম। এ দিকে একই রাতে মাধবদী বাজারের সোনার বাংলা মার্কেটের দু’টি দোকেনে ও গরুহাটের পাশে আরো দু’টি দোকেনে চুরি হয়েছে বলেও একটি সুত্র জানিয়েছে। মাধবদী শহরের প্রধান ব্যস্ততম সড়ক হচ্ছে বড় মসজিদ রোড। রোডটির দুই পাশের দোকানপাট রয়েছে, পাহাড়ার জন্য মাধবদী বাজার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের অধীনস্থ নৈশ প্রহরী রয়েছে। তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা অনাকাঙ্খিত এবং এছাড়া থানা পুলিশও এ রাস্তায় রাতভর টহল দিতে দেখা যায়। নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্বহীনতাই এসব ঘটনার জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন মাধবদী বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
0 Comments
মো: লোকমান হোসেন:
পার্বত্য অঞ্চল প্রতিনিধি: আধিপত্য নিয়ে ধারাবাহিক সংঘর্ষের জেরে খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ ১৩জন আহত হয়েছে। লাঞ্চিত হয়েছে অতিক্তি পুলিশ সুপার এম এম সালাহউদ্দিন। সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রুপকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে তিন রাউন্ড ফাকা গুলি ছুঁড়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে শহরে যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খাগড়াছড়ি পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি বেলাল হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারীরা মঙ্গলবার(৩১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে কদমতলী এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ছবিঘর সিনেমা হলের সামনে পৌঁছলে মেয়র রফিকুল আলমের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে আদালত সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় উভয় পক্ষ কিরিচ ও লাঠিসোটার পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করে। সংঘর্ষ চলাকালে আট রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। এ সময় এক পক্ষের হাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহউদ্দিন লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। একটি ট্রাকের সামনে গ্লাসও ভাংচুর হয়। সংঘর্ষ নিয়ে উভয় গ্রুপ পরস্পরকে দায়ী করেছে। খাগড়াছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার আব্দুল আওয়াল জানান, শ্রমিক লীগ নেতা বেলাল হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে মেয়র রফিকুল আলমের গ্রুপ হামলা চালালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে মেয়র রফিকুল আলমের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোঠান চৌধুরী ৫ নেতাকর্মীকে আহত করেছে। অপর দিকে মেয়র রফিকুল আলম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক দিনে পুলিশের সহযোগিতা এমপি গ্রুপের সন্ত্রাসীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক তার সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে অন্তত ১০জনকে আহত করেছে। আজকেও পুলিশের উপস্থিতিতে এমপির গ্রুপের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তার নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে পথচারীসহ ৬জনকে আহত করেছে। প্রসঙ্গত, গত পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের বিভক্তির সৃষ্টি হয়। সে থেকে প্রতিনিয়ত দুই পক্ষের মধ্যে অন্তত অর্ধশতাধিক হামলা, পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ সব ঘটনায় মামলা হয়েছে অর্ধশতাধিক। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারী পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি বেলাল হোসেন গুরুতর আহত হয়। মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা ঃ
মিনিবাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ তরুণ বন্ধু নিহত হয়েছে ও আহত হয়েছে আরো অন্তত ২ জন। গতকাল ৩০ অক্টোবর সোমবার ভোর সাড়ে ৬ টায় মাধবদী থানাধীন ঢাকা সিলেট মহা সড়কের কান্দাইল বাসষ্ট্যান্ডে এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে নরসিংদী থেকে ছেড়ে আসা নারায়নগঞ্জগামী মিনিবাস (সিলেট ক-৫৯০৪) ও অপরদিক কক্সবাজার থেকে ফিরে আসা সিলেটগামী একটি কালো রংয়ের বক্সি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৬-০২৫২) গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৬ টায় কান্দাইল বাসষ্ট্যান্ডে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মাইক্রোবাসটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় মাইক্রোবাসে থাকা ৪ বন্ধু ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে আশপাশের লোকজন ছুটোছুটি করে দৌড়ে এসে মুমুর্ষ অবস্থায় আরো ৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেয়ার পথে পথিমধ্যে আরো ২ জন নিহত হয়। মারাতœক আহত অবস্থায় বাকি ২ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়। সুত্র আরো জানায় নিহত ৬ তরুণ খুব ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল। তারা সুখ-দুখ, হাসি, আনন্দ, ভ্রমণ সহ সব কিছুতে এক সাথেই থাকতেন। সিলেট বিয়ানীবাজারের ওই তরুণ বন্ধুরা কক্সবাজারে গিয়েছিলেন নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ করতে। ত্রাণ বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথটা আর সুখকর হলো না তাদের। মাধবদীর কান্দাইলে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ওই ছয় তরুণের তাজা প্রাণ। নিহত ৬ তরুণ বন্ধুরা হলো-সিলেট বিয়ানীবাজার পৌরশহরের জামান প্লাজাস্থ রূপসী ফ্যশনের মালিক রেজাউল করিম (৩৫) পিতা লুৎফর রহমান, মতিন ক্লথ স্টোরের জোবায়ের আহমেদ (৩৬) পিতা ময়না মিয়া, ব্যবসায়ী বাবুল আহমেদ(৩৫) পিতা আরজত আলী, ইবাল আহমেদ(৪০) পিতা নাজিম উদ্দিন, শখ কসমেটিসের মালিক খায়রুল বাসার খায়ের (৩৭) পিতা বায়েজিত খান ও ড্রাইভার বাবুল মিয়া (৩২) পিতা অজ্ঞাত। এবং আহত ২ জন হলো দেলোয়ার হোসেন (৩৬) পিতা হাজী আব্দুল হান্নান, হাবিজ উদ্দিন (৩৮) পিতা হাজী মজির উদ্দিন। নিহত ও আহত প্রত্যেকেই মাইক্রোবাসে ছিল। নিহত প্রত্যেকের বাড়ী সিলেটের বিয়ানি বাজার বলে পুলিশ জানায়। এ দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকাবাসী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় ঢাকা সিলেট মহা সড়কে প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। অবরোধের ফলে উভয় দিকে শত শত গাড়ি আটকে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে অফিস ও ঘরমুখো মানুষরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। পরে সংবাদ পেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ ও দমকলবাহিনী কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত এ ব্যাপারে মাধবদী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে। নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুর বিভিন্ন প্রজাতির ৮৮ টি পাখিসহ পাখি ব্যবসায়ী আব্দুস ছাত্তারকে (৫০) আটক করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় উপজেলার বাসষ্ট্যান্ড বক চত্বর থেকে তাকে আটক করা হয়। আব্দুস ছাত্তার নওগাঁ সদর উপজেলার শেরপুর গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পাখি ব্যবসায়ী আব্দুস ছাত্তার জেলার পোরশা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিগুলো শিকার করে। শিকার করা ৮৮টি আবাবিল, বাবুই, হটটিটি, লিটিলবাটন এবং জিনিয়াসহ পাখি খাঁচায় করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গোপন সংবাদে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এব্যাপারে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ (৩৮/২) ধারায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নওগাঁ জেলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর শুক্রবার দুপুরে পখিগুলো জেলার ধামইরহাট উপজেলার আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে উন্মুক্ত করা হয়। শুক্রবার সকালে আব্দুস ছাত্তারকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়।# মোঃ আল আমিন, মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা ঃ পেছন থেকে একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ জন তরুণ-তরুণী ঘটনাস্থলেই নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে গতকাল ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদী থানার পাঁচদোনা চৈতাব এলাকার ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে। নিহতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া (২৫) ও অজ্ঞাত তরুণী (২৫)। প্রত্যক্ষদর্শী ও পাঁচদোনা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ইউসুফ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন আড়াইহাজার উপজেলা থেকে মোটরসাইকেলে দুই জন তরুণ-তরুণী নরসিংদীর দিকে যাচ্ছিলেন এ সময় পাঁচদোনার চৈতাব এলাকায় ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জনেরই মৃত্যু হয়। জানাগেছে নিহত তরুন তরুনী শিক্ষার্থী। পুলিশ নিহতদের মরদেহ ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। এসময় ঢাকা সিলেট মহা সড়কে দীর্ঘ যাজটের সৃস্টি হয় । এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত মহা সড়কের দীর্ঘ ৪/৫ ঘন্টার যানজট নিরসনের জন্য স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ প্রশাসন চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের হরষপুরে গ্রামে হেলিকাপ্টার চড়ে নিজ গ্রামে ফিরলেন সৌদি প্রবাসী। হরষপুর গ্রামের মৃত হোসেন ফকিরের ছেলে সৌদি প্রবাসী আলহাজ¦ মোঃ বাচ্চু হোসেন ফকির তার পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে হেলিকাপ্টার চড়ে এলাকায় ফিরলেন। এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় হরষপুর খেলার মাঠে হেলিকাপ্টারটি অবতরণ করেন। প্রথম বারের মতো হরষপুর ইউনিয়নে হেলিকাপ্টার অবতরন করায় এলাকার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। চারদিকে আইন শৃংখলার বাহিনীর নিরাপত্তার বেষ্টনীর মাধ্যমে হেলিকাপ্টারটি মাঠে অবস্থান নেয়। এই ব্যাপারে আলহাজ¦ বাচ্চু হোসেন ফকির বলেন, হেলিকাপ্টার চড়ে নিজ গ্রামে আসা এটা আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। আজ তা বাস্তবে রুপান্তরিত করতে পেয়ে নিজের কাছে অনেক আনন্দ লাগছে। আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এলাকাবাসি এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা করার সকলের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
মো: লোকমান হোসেন:
পার্বত্য অঞ্চল প্রতিনিধি : জুয়া খেলায় বাঁধা দেয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় জান্নাত বেগম (২২) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন টিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জুয়া খেলায় বাঁধা দেয়ায় বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে মোখলেছুর রহমান। হত্যার পর ঘরে ডাক্তার নিয়ে যায় সে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা করেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন নিহত জান্নাত বেগমের পিতা ফারুক মিয়া। প্রতিবেশীরা জানান, চার বছর আগে মোখলেছুর রহমানের সাথে জান্নাত বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দেড় বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই মোখলেছুর রহমান তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতো। এছাড়া জুয়া খেলা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল:
ঝিনাইদ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ ও যশোর জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহমান কপোতাক্ষ নদে আছে হাজারো প্রজাতির দেশীয় মাছ। নদীতে পানি সংকট হলেই প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায় এসব মাছ। প্রকৃতির আর্শীবাদে গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মরা খাল কপোতাক্ষ এখন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এর ফলে নদীতে এখন ভরপুর মাছ। শুধু জেলে পরিবার না সকল ধর্মের সব বয়সী মানুষ তোড়োজাল, ঠেলাজাল, চেড়ো, ঘুনি, দুয়াড়ি,বর্ষা,চাবুকসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে দিনরাত মেতে উঠেছে মৎস্য শিকারে। সরোজমিনে’’ ক্যামেরা পার্সন ইমরানকে নিয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা ঘুরে, দুই উপজেলার সদরসহ নদীর কূলবর্তী ভালাইপুর, সলেমানপুর, পাশপাতিলা, সুন্দরপুর, পরানপুর, খালিশপুর ও গোয়ালহুদা ছাড়াও বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে গ্রামের প্রায় ৭০ শতাংশ পরিবার মৎস্য শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুধু যে নদীতে মাছ ধরছেন তা নয় নদীর সাথে আছে বিভিন্ন খাল বিলের সংযোগ, তাছাড়া নদীর পানির তীব্র ধারা পার্শ্ববতী ধান, কচু, কলা, ঝালক্ষেতেও চলে গেছে, ফলে বলা চলে মাছ যেখানে সেখানে। গত ৬-৭ বছরের ভিতর মাছের এরুপ দৃশ্য দেখেনি বলে মনে করছেন এসব এলাকার মাছ শিকার প্রিয় ব্যাক্তিবর্গ। নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২১ অক্টোবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত ডাকাত দলের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার বীনাউটি ইউনিয়নের টিঘরিয়া গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। কসবা থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে তাদের কাছে খবর আসে বীনাউটি ইউনিয়নের টিঘরিয়া গ্রামের একটি নির্জন রাস্তার মোড়ে মুখোশ পরা অবস্থায় একদল ডাকাত বাড়িঘরে ডাকাতির উদ্দেশে অবস্থান নিয়েছে। এমন খবর পাওয়ার পর পুলিশের দুটি টহল দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বীনাউটি ইউনিয়নের টিঘরিয়া গ্রামে যায়। এ সময় ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। কয়েক মিনিটের এই বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে ডাকাতদের হামলায় পুলিশের চার সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ, দুটি রামদা, দুটি মুখোশ, একটি ছুরি এবং মুখোশ পরা অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ধারী এক ডাকাত সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওসি আরো জানান, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এস.এম. জহিরুল আলম চৌধুরী(টিপু):
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ১০ নং পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় উপজেলার মুকুন্দপুর আউলিয়া বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিস উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নান। উদ্ভোধন শেষে তিনি উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এবং বিভিন্ন অফিস পরির্দশ করেন। পরিদর্শন শেষে দুপুর ১.৩০ মিনিটের সময় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের হল রুমে সুশীল সমাজের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহণ করেন তিনি। মতবিনিময় সভা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. রেজওয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোছা: ইয়াসমিন নাহান রুমার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান। এই সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সামছুল হক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী আফরোজ, প্রেসক্লাবের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী লিটন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন্নাহার টুনি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শামিউল হক চৌধুরী প্রমুখ। রবিউল করিম:
গাজীপুর প্রতিনিধিঃ সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারনা করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে বুধবার রাতে গাজীপুরে ৪ ভূয়া সেনা সদস্য কে আটক করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর পোশাক, মেজর র্যাংক ব্যাচ, বুট, সেনাবাহিনীর লোগুযুক্ত মোজা, ভুয়া নিয়োগপত্রসহ বিভিন্ন প্রকার সিল উদ্ধার করা হয়। ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ জানান, ১৮ অক্টোবর বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে জয়দেবপুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার ভূয়া সেনা সদস্যসহ তাদের ব্যবহৃত সেনাবাহিনীরর ভূয়া পোশাক, মেজর র্যাংক ব্যাচ, বুট, সেনাবাহিনীর লোগোযুক্ত মোজা, ভুয়া নিয়োগপত্রসহ বিভিন্ন প্রকার সিল জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, আটককৃতরা দির্ঘদিন ধরে নিজেদের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের ও সেনাবাহিনীতে নিয়োগপত্রও প্রদান করার কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে ভুক্তভোগীরা চাকরিতে যোগদান করতে গিয়ে তাদের নিয়োগপত্রটি ভুয়া বলে জানতে পারেন। এ ছাড়াও প্রতারক চক্রটি গাজীপুরের হাইওয়ে রাস্তায় ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আসা লোকজনদের কৌশলে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে র্যাব, ডিবি পরিচয় দিয়ে টাকা ছিনতাই করে অন্যত্র নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এদের প্রতারনার শিকার বিভিন্ন ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে বুধবার এ প্র্রতারকচক্রকে আটক করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল:
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দুরারোগ্য “নিউরোফাইব্রোমাটোসিস” ব্যাধির কারণে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার কেসমত ঘোড়াগাছা গ্রামের একই পরিবারের ছয় সদস্য মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। হতদরিদ্র এই পরিবারের দুই মেয়েকে তাদের স্বামীরা সন্তানসহ তালাক দিয়েছেন। রোগটি ছোঁয়াচে না হলেও স্কুল কিংবা খেলার মাঠেও পরিবারের আক্রান্ত শিশুদের সাথে অন্য শিশুরা মিশতে চায় না। ফলে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চিকিৎসা বঞ্চিত গোটা পরিবারটি এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন অনেকটাই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন পরিবারটি। ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার কেসমত-ঘোড়াগাছা গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক মৃত ইজাল উদ্দিনের ছিল এই রোগ। তার স্বাভাবিক মুত্যৃর পর পরবর্তীতে বড় ছেলে ইফাজ উদ্দিন ও দুই মেয়ে নার্গিস খাতুন এবং পারভিনের ১০/১১ বছর বয়স থেকে শরীরে ছোট ছোট ফোট দেখা দেয়। পরে এগুলো বড় হয়ে মারবেল আকার ধারন করে এবং মুখমন্ডলসহ সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের বিয়ের পর ইফাজ উদ্দীনের ৮ম শ্রেনীতে পড়–য়া ছেলে অনিক হোসেন, পারভিনের মেয়ে ছোঁয়া খাতুন ও নার্গিসের ৭ম শ্রেনীতে পড়–য়া ছেলে রোমিওর শরীরেও “নিউরোফাইব্রোমাটোসিস” রোগ দেখা দেয়। আক্রান্ত পরিবারের বড় ছেলে ইফাজ উদ্দীন জানান, কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে ১৫ বছর আগে তিনি ঢাকার পিজি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রোগটি “নিউরোফাইব্রোমাটোসিস” বলে চিহ্নিত করেন। ডাক্তাররা তাকে জানান, এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। তাছাড়া “নিউরোফাইব্রোমাটোসিস” রোগের মৃত্যুর কোন সম্ভাবনা নেই। তাদের পুর্নবাসন ও সহমর্মিতা জানাতে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসতে পারেন। কথা বলতে ও আর্থিক সহায়তা দিতে ওই পরিবারের বড় ছেলে ইফাজ উদ্দীনের বিকাশ না¤॥^ার ০১৯৪৯-১৩২৬৭০ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রাম থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।১৬.১০.১৭ ইং সোমবার সকালে ওই ইউনিয়নের পরানপুর গ্রাম থেকে এ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সদর থানার ওসি (অপারেশন) মহসীন হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সোমবার পরানপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় ওই গ্রামের গফুর শেখের ছেলে লোকমান শেখ ও মুক্তার শেখের ছেলে আরব আলীর বাড়ী থেকে ৫টি ঢাল, ৩টি বল্লম, একটি রামদা, একটি তলোয়ার, ৮ টি টেটা ও লোহার রড় উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় পালিয়ে যায় লোকমান হোসেন ও আরব আলী।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: “দুর্যোগ সহনীয় আবাস গড়ি, নিরাপদে বাস করি” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ঝিনাইদহে আন্তজার্তিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ১৩.১০.২০১৭ ইং শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে শহরের পুরাতন ডিসিকোর্ট চত্বর থেকে র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে উজির আলী স্কুলে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আছাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজগর আলী, জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম, ওয়াজির আলী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, সহকারী শিক্ষক পার্থ প্রতিম কুন্ডু, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শুভাগত বিশ্বাস, উজির আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয়েল প্রধান সহকারী জল্পনা বিশ্বাস, অফিস সহকারী সুলতানা জাকিয়া ফেরদৌস ও শামীম হোসেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের আয়োজনে ভুমিকম্পে করনীয় বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত। নিজস্ব প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জ, ১২ অক্টোবর : সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার সীমান্তবাজার এলাকায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। তাঁরা দুজনেই ট্রাকের চালক। বুধবার রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁর নাম নজরুল ইসলাম (৪২)। বাড়ি নওগাঁয়। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু দাউদের ভাষ্য, নওগাঁ থেকে চালবোঝাই একটি ট্রাক ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাকের সঙ্গে সেটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। আহত দুই ট্রাকচালককে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরের দিকে দুজনেই মারা যান। তাঁদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকালে ১০ শিশুসহ ১৯ রোহিঙ্গা সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার ভোরে সীমান্তের পদ্মশাকরা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফ এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটককৃতরা হলেন- মরিয়ম বেগম, আসমা খাতুন, রাশিদা খাতুন, সুমাইয়া বেগম, গুলশান আরা খাতুন, জাইনুল বেগম, মো. আলাউদ্দিন, আজি রহমান ও এনায়েত আলি। বাকিরা সবাই শিশু। বিজিবির পদ্মশাকরা বিওপি কমান্ডার সুবেদার মোশাররফ হোসেন জানান, তারা বিএসএফের সহায়তায় বাংলাদেশে এসেছে। ২০১২ ও ২০১৪ সালে দুই দফায় তারা মায়ানমার থেকে ভারতের দিল্লিতে যান। সেখানেই তারা বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং খাদ্য বস্ত্র ও চিকিৎসা দিচ্ছে এ খবর পেয়ে তারা দিল্লি থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। তারা বেশ ক্লান্ত। তাদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান এসআই শরিফ এনামুল হক। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হুদাপাড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ২০ জনকে আটক করেছে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। শনিবার রাত ৯টার দিকে হুদাপাড়া গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৮ জন নারী ১১ জন পুরুষ ও একজন শিশু রয়েছে। আটককৃতরা হলেন-গোপালগঞ্জ জেলার মকসেদপুর উপজেলার অভিনাশ মন্ডলের ছেলে শ্রী মানব মন্ডল (৩৮), গোয়াল গ্রামের কানাইলাল সরকারের ছেলে কংকন সরকার (২৮), চকশী গ্রামের বীরেণ বিরাগীর ছেলে বিষ্ণ বিরাগী (৩০), বাসুদেবপুরের অমৃত বিশ্বাসের ছেলে অনিমেষ বিশ্বাস (২৩), পাটকেল বাড়িয়া গ্রামের শমর মন্ডলের ছেলে মহানন্দ্র মন্ডল (১৪), বাটিকামারী গ্রামের বলরাম মন্ডলের ছেলে নবীন মন্ডল (২১), কলি গ্রামের তারাপদ মন্ডলের ছেলে সমিরন মল্লিক (১৬), একই গ্রামের দূর্লভ বিশ্বাসের ছেলে বিলাস বিশ্বাস (১৮), নিশিন্দ্রপুর গ্রামের নিরাঞ্জন সরকারের ছেলে নিয়াজ সরকার (২২), নয়াকান্দি গ্রামের মৃত মহেন্ত বিরাগীর ছেলে অনন্ত বিরাগী (৩২), তার স্ত্রী রমিলা বোরাগী (২৯), একই গ্রামের মৃত কালিপদর স্ত্রী ডলি মন্ডল (৬৫), বাঘাদিয়া গ্রামের মানব মন্ডলের স্ত্রী কাঁকুলি মন্ডল (৩২), টিকাইডাঙ্গা গ্রামের শুকান্ত বিশ্বাসের মেয়ে শ্যামলী বিশ্বাস (২৪), গায়েন্দা গ্রামের মৌঠাল মন্ডলের স্ত্রী নিলিমা মন্ডল (৩৮), তার শিশু কন্যা পূর্ণা মন্ডল (৬), দলিরপার গ্রামের আনন্দ বিশ্বাসের স্ত্রী রিনা বিশ্বাস (৪৫) ও বাঁকেমারী গ্রামের বলাই মন্ডলের স্ত্রী হাঁসি (৫৫)। শরিয়তপুর জেলার পালং উপজেলার ডুংসা গ্রামের জামিনী পালের ছেলে কৃষ্ণু পাল (৬৩), একই গ্রামের কৃষ্ণু পালের স্ত্রী আলো রানী পাল (৫৫)। আটককৃতরা জানায়, তাদেরকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য হুদাপাড়া গ্রামের স্বপন প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। রাতে অবৈধ ভাবে তাদের দালালের মাধ্যমে ভারতে যাবার কথা ছিল । তারা রাতে দামুড়হুদা উপজেলার হুদাপাড়া সীমান্তের তালসারি ডিসি ইকোপার্ক নামক এলাকায় অবস্থান নেয়।গোপন সংবাদের খবর পেয়ে রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের মধ্যে ৮ জন নারী ১১ জন পুরুষ ও একজন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে ওই শিশু বাদে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইমদাদুল হক, পাইকগাছা, খুলনা ॥ পাইকগাছায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অভ্যন্তরিন নদ-নদীতে চলছে ইলিশ আহরণ। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শিবসা, ভদ্রা সহ কয়েকটি নদীতে প্রতিদিন ইলিশ ধরা অব্যাহত রেখেছে আহরণকারীরা। ফলে একদিকে বাস্তবায়ন হচ্ছে না সরকারের নিষেধাজ্ঞা, অপরদিকে ইলিশ উৎপাদন ও সংরক্ষণ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে মৎস্য প্রাণী সম্পদ মন্ত্রাণালয় এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১ অক্টোবর হতে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সময়কালে সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করে। মন্ত্রাণালয়ের এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে স্থানীয় মৎস্য অফিস ইতোমধ্যে প্যানা, পোষ্টারিং ও মাইকিং করে বিষয়টি জনসাধারণকে অবহিত করেন। এদিকে সরকারের এ নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে এলাকার ইলিশ আহরণকারীরা বিভিন্ন নদীতে ইলিশ ধরা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে সুন্দরবন সংলগ্ন শিবসা, লতা ও দেলুটির ভদ্রা নদী সহ কয়েকটি নদীতে ইলিশ মাছ ধরা অব্যাহত রয়েছে। আহরণকারীরা প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অভ্যন্তরিন এ নদীতে প্রতিদিন জোয়ারের সময় ফাঁস জাল দিয়ে ইলিশ ধরছে। শুক্রবার দুপুরে লতা ও দেলুটি এলাকার নদী গুলোতে একাধিক ব্যক্তিকে ইলিশ আহরণ করতে দেখা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস জানান, নির্দিষ্ট এ সময়ের মধ্যে কেউ এ আইন অমান্য করে ইলিশ আহরণ ও বিক্রয় করলে আইনে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং উভয়দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে। বিষয়টি ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জনসাধারণকে অবহিত করা হয়েছে। এমনকি ভ্রাম্যমান আদালত, পরিচালনাও অব্যাহত রয়েছে। তারপরও যদি কেউ সরকারের এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ আহরণ, মজুদ অথবা বিক্রয় করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্থানীয় মৎস্য দপ্তরের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ও এলাকার নদ-নদীতে ইলিশ আহরণ বন্ধে স্থানীয় মৎস্য দপ্তর ও প্রশাসনকে আরো বেশি তৎপর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল। পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আলহাজ¦ এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে দেশের সকল ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আওয়ামীলীগ বিএনপির মত ধাপ্পাবাজ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি প্রেস রিলিজের রাজনীতি করে, আর আওয়ামীলীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে। যার প্রমাণ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের দৃশ্যমান উন্নয়ন। এক সময় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে বাণিজ্য করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদাপুত্র তারেক রহমান বিদ্যুায়নের কথা বলে নি¤œমানের খাম্বা দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ, দেশে ওই সময় কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি। ফলে ভয়াবহ লোডশেডিংএ দেশবাসী অতিষ্ট হয়ে ওঠে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশে রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এখন দেশে লোডশেডিং নেই বললেই চলে। বর্তমান সরকারের আমলেই দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে এখনও বিদ্যুৎ পৌছায়নি সেখানে বিকল্প হিসেবে সরকার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি শুক্রবার বিকালে পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে বিগরদানা শেখ রাসেল সোলার ভিলেজ-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি প্রায়ত ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ বীরেন্দ্রনাথ সড়কের নাম ফলক উদ্বোধন করেন। দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, আ’লীগনেতা উপাধ্যক্ষ আফসার আলী, আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, এমপিপুত্র আলহাজ¦ শেখ মনিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নির্মল কান্তি মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব রায়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সমর কান্তি হালদার, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, জেলা যুবলীগনেতা শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, জেলা সৈনিকলীগের সভাপতি ফরিদ রানা। বক্তব্য রাখেন, আ’লীগনেতা সুকৃতি মোহন সরকার, দ্বীপ্তি চক্রবর্তী, যুবলীগনেতা শেখ শহিদ হোসেন বাবুল, প্রণব কান্তি মন্ডল, শেখ তৌহিদ হোসেন তাজ, দাউদ শরীফ, বিদ্যুৎ কুমার বিশ^াস, রাম টিকাদার, দ্বিজেন মন্ডল, যুব স্বেচ্ছাসেবকলীগনেতা আসিফ ইকবাল রনি, তাঁতীলীগনেতা দেবব্রত রায়, ইউপি সদস্য প্রীতিলতা ঢালী, চঞ্চলা রাণী মন্ডল, ডালিম রায়, কিংসুক রায়, রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, দীপক কুমার মন্ডল, শিবপদ মন্ডল, নিরাপদ মন্ডল, আশীষ কুমার হালদার, বিশ^জিত রায়, সুপদ কুমার রায় ও রনধীর মন্ডল।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: বৃহষ্পতিবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কেয়াবাগান নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাস উল্টে পারভেজ আহম্মেদ (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো ৭ জন। নিহত পারভেজ কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের ছামছুল ইসলামের ছেলে। আহতরা হলেন, ঝিনাইদহের শহরের আরাপপুর এলাকার আমিরুল আজমের মেয়ে আফরোজা (৫৫), মহেশপুর উপজেলার খালিশপুরের রবিউল ইসলামের ছেলে রিপন হোসেন (২৬), যশোরের সাতমাইল এলাকার সুভাস দাসের ছেলে সৌমেন (৩২), যশোরের পালবাড়ি এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে কামরুল হাসান (৩৪) সহ ৭ জন। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান জানান, সকালে যশোর থেকে ছেড়ে আসা রুপসা পরিবহনের একটি বাস ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিল। পথে কেয়াবাগান নামক স্থানে পৌছাইলে চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে খাদে উল্টে যায়। এতে প্রায় ৭ জন যাত্রী আহত হন। পরে খবর পেয়ে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারভেজ আহম্মেদ মারা যায়।
ইমদাদুল হক, পাইকগাছা, খুলনা ॥ পাইকগাছার অবহেলিত ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজে ২ কোটি সাড়ে ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলামের প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে এ বরাদ্দ হয়েছে। সোলাদানা ইউনিয়নের আবু হোসেন কলেজ, সোলাদানা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা সদরের পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার একাডেমীক ভবন নির্মাণের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়ন বাসীর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য একমাত্র প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সরদার আবু হোসেন কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সালে স্থাপিত হলেও এখনো পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত হয়নি। ফলে একদিকে যেমন বেতন ভাতা না পেয়ে শিক্ষক কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছে, তেমনি অবকাঠামোগত দিক দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি রয়ে গেছে অবহেলিত। নেই কোন উন্নত মানের ভবন। ফলে জরাজীর্ণ টিন সেডের ঘরে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বৃষ্টির সময় প্রতিটি কক্ষেই পানি পড়ে। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে ১৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত ও ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। প্রভাষক বজলুর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর হতে অবহেলিত রয়েছে। এমপি পুত্র আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকল্পে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অধ্যক্ষ সরদার শেখ ফারুক আহম্মেদ জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক ও সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলামের প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কল্পে ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতোমধ্যে গত ৫ সেপ্টেম্বর টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। নতুন এ একাডেমীক ভবনটি নির্মিত হলে লেখাপড়ার উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি সহ নানা সুবিধা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির হারও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান। অনুরূপভাবে সোলাদানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমীক ভবন নির্মাণে ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানের সভপতি ও সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮২ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১৭জন শিক্ষক, কর্মচারী কর্মরত ও প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। অপরদিকে পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার ভবন নির্মাণেও ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে অধ্যক্ষ মাওঃ আবু সাদেক জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৭ সালে স্থাপিত। প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ২৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত ও প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। সরদার আবু হোসেন কলেজ ও সিনিয়র মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজে ২ কোটি সাড়ে ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৩টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এ বরাদ্দ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন আগামী দু’এক মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সংস্কার সহ ৩টি প্রতিষ্ঠানে ৪ তলা ফাউন্ডেশনের ৩টি নতুন একাডেমীক ভবন নির্মিত হবে। এখানে উন্নত স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ ও বৈদ্যতিক সু-ব্যবস্থা থাকবে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে ৩টি প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে, শিক্ষার মান উন্নয়নের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির হার বৃদ্ধি পাবে। সর্বপোরী এলাকার শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী সকলেই উপকৃত হবে। নিজস্ব প্রতিনিধি :
কুমিল্লা: কুমিল্লার চান্দিনায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন। আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে চান্দিনার দোতলায় গোবিন্দপুর নামক স্থানে কোম্পানিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে এ হতাহতদের ঘটনা ঘটে। |
Archives
May 2018
|