ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: পানি উন্নয়ন বোর্ডের গঙ্গা-কপোতা (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতায় ৭৮ হাজার হেক্টর জমির ধান হুমকির মুখে পড়েছে। সেচ খালে এক মাস ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় ধান তে শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। েেতর ধান রায় তারা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দারস্থ হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে অপারেটর সংকট দেখিয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থিত গঙ্গা-কপোতা (জিকে) সেচ প্রকল্পের প্রধান পাম্প স্টেশনটি বন্ধ রাখা হয়েছে। চাকরী সরকারী করণের দাবীতে একযোগে পাম্প পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ২০ জন অপারেটর কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে বন্ধ রয়েছে পাম্প স্টেশনটি। পাম্প চালু না থাকায় জিকের প্রধান খালসহ শাখা খালগুলোতে পানি প্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান পাম্প স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন চার জেলার কয়েক লাখ কৃষক। সময়মতো পানি না পেলে হাজার হাজার একর জমির ধান নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত গঙ্গা-কপোতা (জিকে) সেচ প্রকল্পের প্রধান পাম্প স্টেশন। স্টেশনের দায়িত্বে থাকা ২০ জন অস্থায়ী পাম্প অপারেটর মেশিন বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। ভরা আমন মৌসুমে একযোগে চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ায় জিকে সেচ প্রকল্পের পানির ওপর নির্ভরশীল কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার হাজার হাজার কৃষক ধান আবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। আশ্বিনের এ সময়টাতে পানি না পেলে ফলন বিপর্যয়সহ ধানগাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে জানিয়েছেন হরিণাকুন্ডু এলাকার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের কৃষক মখলেছুর রহমান লাড্ডু। তিনি জানান, এ বছর তারা সেচ বাবদ জিকে প্রকল্পকে আগেভাগেই টাকা পরিশোধ করেছেন। মাঠে যারা ধান আবাদ করছেন, তাদের প্রায় সবাই বর্গাচাষি। এখন যদি আবার টাকা দিয়ে পানি কিনে জমিতে দিতে হয় তাহলে তাদের পথে বসে যেতে হবে। মখলেছ বলেন, তিনি নিজে হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পানি না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু সেচ খালে পানি আসছে না। জিকে অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পাম্প হাউসে স্থায়ী কোনো অপারেটর নেই। প্রতিবছর টেন্ডার দিলে ঠিকাদাররা অপারেটর সরবরাহ করেন। এ বছর মাত্র চার মাসের জন্য অপারেটর নিয়োগ করা হয়। তিন মাস তারা দায়িত্ব পালন করলেও কোনো অর্থ পাননি। এ কারণে সবাই চাকরি ছেড়ে চলে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি ব্যবস্থাপনা ইউনিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী ও জিকের পাম্প হাউসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শফিকুর রহমান জানান, গঙ্গা-কপোতা সেচ প্রকল্পের জন্য স্থায়ী কোনো অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয় না দীর্ঘদিন। ঠিকাদারদের মাধ্যমে দিন হাজিরায় অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হলেও এ বছর অর্থ বরাদ্দসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। অপারেটররা যখন জানতে পেরেছেন চার মাস পর তাদের চাকরি থাকবে না, টাকা-পয়সা পাওয়ার ব্যাপারেও কোনো নিশ্চয়তা নেই, তখন তারা পাম্প মেশিন বন্ধ করে চলে গেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করে সমাধানের চেষ্টা চলছে। ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কনক কান্তি জানান, বর্তমানে পানি সরবরাহ বন্ধ আছে। অপারেটর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সমস্যা কাটবে না।
মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল:
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: পানি উন্নয়ন বোর্ডের গঙ্গা-কপোতা (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতায় ৭৮ হাজার হেক্টর জমির ধান হুমকির মুখে পড়েছে। সেচ খালে এক মাস ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় ধান তে শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। েেতর ধান রায় তারা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দারস্থ হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে অপারেটর সংকট দেখিয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থিত গঙ্গা-কপোতা (জিকে) সেচ প্রকল্পের প্রধান পাম্প স্টেশনটি বন্ধ রাখা হয়েছে। চাকরী সরকারী করণের দাবীতে একযোগে পাম্প পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ২০ জন অপারেটর কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে বন্ধ রয়েছে পাম্প স্টেশনটি। পাম্প চালু না থাকায় জিকের প্রধান খালসহ শাখা খালগুলোতে পানি প্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান পাম্প স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন চার জেলার কয়েক লাখ কৃষক। সময়মতো পানি না পেলে হাজার হাজার একর জমির ধান নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত গঙ্গা-কপোতা (জিকে) সেচ প্রকল্পের প্রধান পাম্প স্টেশন। স্টেশনের দায়িত্বে থাকা ২০ জন অস্থায়ী পাম্প অপারেটর মেশিন বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। ভরা আমন মৌসুমে একযোগে চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ায় জিকে সেচ প্রকল্পের পানির ওপর নির্ভরশীল কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার হাজার হাজার কৃষক ধান আবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। আশ্বিনের এ সময়টাতে পানি না পেলে ফলন বিপর্যয়সহ ধানগাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে জানিয়েছেন হরিণাকুন্ডু এলাকার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের কৃষক মখলেছুর রহমান লাড্ডু। তিনি জানান, এ বছর তারা সেচ বাবদ জিকে প্রকল্পকে আগেভাগেই টাকা পরিশোধ করেছেন। মাঠে যারা ধান আবাদ করছেন, তাদের প্রায় সবাই বর্গাচাষি। এখন যদি আবার টাকা দিয়ে পানি কিনে জমিতে দিতে হয় তাহলে তাদের পথে বসে যেতে হবে। মখলেছ বলেন, তিনি নিজে হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পানি না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু সেচ খালে পানি আসছে না। জিকে অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পাম্প হাউসে স্থায়ী কোনো অপারেটর নেই। প্রতিবছর টেন্ডার দিলে ঠিকাদাররা অপারেটর সরবরাহ করেন। এ বছর মাত্র চার মাসের জন্য অপারেটর নিয়োগ করা হয়। তিন মাস তারা দায়িত্ব পালন করলেও কোনো অর্থ পাননি। এ কারণে সবাই চাকরি ছেড়ে চলে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি ব্যবস্থাপনা ইউনিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী ও জিকের পাম্প হাউসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শফিকুর রহমান জানান, গঙ্গা-কপোতা সেচ প্রকল্পের জন্য স্থায়ী কোনো অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয় না দীর্ঘদিন। ঠিকাদারদের মাধ্যমে দিন হাজিরায় অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হলেও এ বছর অর্থ বরাদ্দসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। অপারেটররা যখন জানতে পেরেছেন চার মাস পর তাদের চাকরি থাকবে না, টাকা-পয়সা পাওয়ার ব্যাপারেও কোনো নিশ্চয়তা নেই, তখন তারা পাম্প মেশিন বন্ধ করে চলে গেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করে সমাধানের চেষ্টা চলছে। ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কনক কান্তি জানান, বর্তমানে পানি সরবরাহ বন্ধ আছে। অপারেটর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সমস্যা কাটবে না।
0 Comments
হোটেল, গেষ্ট হাউজ ও কটেজে বিদেশী বা রোহিঙ্গা অবস্থান করলে তার তথ্য পুলিশকে দিতে হবে : পুলিশ সুপার26/9/2017 মো: লোকমান হোসেন:
পার্বত্য অঞ্চল প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন বলেছেন, কোন হোটেল, গেষ্ট হাউজ ও কটেজে বিদেশী বা রোহিঙ্গা অবস্থান করলে তার তথ্য পুলিশকে দিতে হবে। এতে সমুন্নত হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সরকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। তাই এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে হোটেল ও কটেজ মালিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কে হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতি, কটেজ মালিক সমিতি, হোটেল মালিক সমিতি ও বীচ হোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন। রোহিঙ্গা সংকট, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, সদর থানা ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া, হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ওমর সুলতান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার, দপ্তর সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কোম্পানী, কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহমদ নোবেল, হোটেল মালিক গ্রুপের সিরাজুল হক ও রমজান আলী সিকদার। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত সমূহ হলো- মিয়ানমারের নাগরিক বা বিদেশী নাগরিক হোটেলের রুমে অবস্থানকালীন সময়ে তাদের তথ্য সমূহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রেরণ করা। হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউস ও কটেজে বৈধ অনুমতি বিহীন নিয়োগ না দেয়া। রোহিঙ্গাদের অবস্থানের খবর পেলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ঠ থানায় অবহিত করা। এছাড়া হোটেলের নিরাপত্তা বিষয়সহ যে কোন প্রয়োজনে সদর থানায় অবহিত করা যাবে। মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : মঠবাড়িয়ায় মানব কল্যাণ সোসাইটি নামের সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে উত্তরাঞ্চলের বন্যার্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে মঠবাড়িয়া প্রেসকাব মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৩৪,৫০০/= টাকা প্রদান করা হয়। সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফরিদ উদ্দিন, সমাজসেবা কর্মকর্তা আখলাকুর রহমান, সংগঠনের উপদেষ্টা আরিফ-উল-হক, অধ্যÿ আলমগীর হোসেন খান, প্রেসকাবের সভাপতি আবদুস সালাম আজাদী, সাধারণ সম্পাদক জিলøুর রহমান, সংগঠনের সাধারণ পরিষদের সভাপতি তৌহিদ সোহেল, মহাসচিব এটিএম কাওসার, মনিরুজ্জামান হারুন, আবদুলøাহ আল মামুন, এজাজ চৌধূরী, বশির আহমেদ, মাহাবুবুর রহমান আকাশ, রুমি আহাদ, নাজমুল আহসান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিনিধি :
নোয়াখালী : মঙ্গলবার থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজাকে ঘিরে সর্বত্র বিরাজ করছে সাঁজসাঁজ রব। মন্ডপ গুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এবার “দেবী দূর্গার আগমন নৌকায়, গমন ঘোটকে”। শুভ মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দূর্গা কৈশাল থেকে মর্তলোকে আগমন করেছেন। তাই চন্ডিপাঠের মাধ্যমে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দেবীর আবাহন। আর এর মধ্যে দিয়ে সনাতন স¤প্রদায়ের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে শহরের মালঞ্চ সংঘ। তারা এক হাজার হাতের দেবী দূর্গা তৈরি করে জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এই ১ হাজার হাতের প্রতিমা দেখার জন্য মাইজদী শহর ছাড়াও জেলার বাইরে থেকে ভক্তরা তা দেখার জন্য ভীড় জমাচ্ছে। দূর্গা পূজা উপলÿে শহরের শপিং মল গুলোতে চলছে কেনাবেচার ধুম। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আগমনে সরব হয়ে উঠছে শপিং মল গুলো। এদিকে, নির্বিঘেœ দূর্গাপূজা উদ্যাপনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পÿ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা মূলক প্র¯ুÍতি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৬০টি পূজা মন্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশের পাশাপাশি র্নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, র্যাব ও আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। নোয়াখালী জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কিশোর চন্দ্র শীল জানান, যদিও শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের কিন্তু সকল ধর্মের লোকজন এ উৎসব উপভোগ করতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে যোগ দিয়ে থাকেন। নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সবাই মিলেমিশে ও সা¤প্রাদায়িক স¤প্রতি রÿা করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এ বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব যেন নিরাপদে নিবিঘেœ পালন করতে পারে সে লÿ্যে তারা ব্যাপক প্র¯Íতি নেয়া হয়েছে। পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছায় শারদীয়া দূর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার ১৪৩টি পূজা মন্ডপে আর্থিক সহায়তার অর্থ প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক প্রত্যেক মন্দির কমিটির সভাপতি, সম্পাদকের নিকট সরকারি সহায়তার ১৫ হাজার এবং ব্যক্তিগত নগদ ১ হাজার টাকা প্রদান করেন। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধুর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাসের পরিচালনায় বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, আ’লীগনেতা রতন ভদ্র, উপাধ্যক্ষ আফসার আলী, আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়, সম্পাদক তৃপ্তি রঞ্জন সেন। বক্তব্য রাখেন, পূজা পরিষদ নেতা বিজন বিহারী সরকার, প্রাণ কৃষ্ণ দাশ, বিভূতি ভূষণ সানা, কৃষ্ণপদ মন্ডল, হেমেশ চন্দ্র মন্ডল, সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, বি সরকার, øেহেন্দু বিকাশ, জগদীশ চন্দ্র রায়, দেবব্রত রায়, বাবু রাম মন্ডল ও মৃত্যুঞ্জয় সরদার।
পাইকগাছায় ৩০ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছায় ৩০ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সোমবার সকালে সরল বাজার বিক্রয় কেন্দ্রে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরুণ বালা। উল্লেখ্য, খাদ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে পৌর বাজার, বাসষ্ট্যান্ড কালিবাড়ী ও সরল বাজার সহ ৩টি বিক্রয় কেন্দ্রে শুক্রবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন ৩০ টাকা কেজি দরের এ চাউল বিক্রয় করা হবে। প্রতিদিন ডিলারদের কাছ থেকে ১জন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। খোলা বাজারে এ চাল বিক্রির মাধ্যমে বাজারের সব ধরণের চালের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ। পাইকগাছায় গ্রাম পুলিশকে হয়রানী করার অভিযোগ পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছায় জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী একটি মহল স্থানীয় এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালী মহলের এ ধরণের হয়রানী থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ ও তার পরিবার। প্রাপ্ত অভিযোগ জানাগেছে, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামের মৃত যতিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস দীর্ঘদিন সুনাম ও দক্ষতার সহিত গ্রাম পুলিশের চাকুরি করে আসছেন। এদিকে বিমলের সাথে একই এলাকার নির্মল চন্দ্র অধিকারী গংদের জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে নির্মল অধিকারী তঞ্চকিপূর্ণ জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে চাকুরি করছেন মর্মে বিমলের বিরুদ্ধে গত ২৭ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। এ ব্যাপারে গ্রাম পুলিশ বিমল জানান, আমি দীর্ঘদিন সততা ও নিষ্ঠার সাথে গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব পালন করে আসছি। পথিমধ্যে আমার জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখে ভুল থাকায় তা আমি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশোধন করি। আমার জন্ম নিবন্ধন, স্কুলের প্রত্যয়ন পত্র ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন পত্র সহ সবখানে জন্ম তারিখ একই রয়েছে। শুধুমাত্র জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে অহেতুক আমাকে হয়রানী করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ ও তার পরিবার। পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ সুষ্ঠুভাবে হজ্বব্রত পালন শেষে এলাকায় প্রত্যাবর্তন করায় পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হককে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। রোববার বিকালে তিনি উপজেলার সীমান্তবর্তী কাশিমনগর পৌছান। এ সময় হাজারো নেতাকর্মী মটরসাইকেল শোভাযাত্রাকারে এমপি নূরুল হককে স্বাগত জানান। পরে পৌর সদরের শহীদ মিনার চত্ত্বরে পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এমপি নুরুল হককে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। আ’লীগনেতা অধ্যক্ষ লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী সংবর্ধিত অতিথি এমপি নূরুল হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, আ’লীগনেতা আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য নাহার আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন, সাবেক চেয়ারম্যান মুনছুর আলী গাজী, আ’লীগনেতা বিজন বিহারী সরকার, সরদার গোলাম মোস্তফা, গোলাম রব্বানী, যুবলীগনেতা শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, শেখ শহীদ হোসেন বাবুল, শেখ মাসুদুর রহমান, কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দাউদ শরীফ, প্রণব মন্ডল, জগদীশ চন্দ্র রায়, দেবব্রত রায়, আসিফ ইকবাল রনি, সঞ্জয় ঘোষ, মিনারুল ইসলাম, দিপংকর মন্ডল, পরেশ মন্ডল, ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ বয়াতী, লুৎফর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মশিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক তানজীম মোস্তাফিজ বাচ্চু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম আমিনুর রহমান লিটু. পৌর সভাপতি মাসুদ পারভেজ রাজু ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান পারভেজ রনি।
মেহের আমজাদ, মেহেরপুর :
মেহেরপুরে ১১০ টি প্রাথমিক ও ৩৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিউবয়েলে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাত্র ৫৩ টি বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা গেলেও বাকি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে পান করছে আর্সেনিকযুক্ত পানি। শিক্ষকদের দাবি বারবার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলকে অবহিত করেও কোন প্রতিকার মিলছে না। শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুরা দীর্ঘদিন ধরে এ পানি পান করলে চামড়া, কিডনি, লিভারসহ মস্তিস্কের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামের পর এবার বিদ্যালয়গুলোতে মিলেছে আর্সেনিকের আধিক্য। লাল চিহ্নিত টিউবয়েলে পানি পান করা নিষেধ থাকলেও বাধ্য হয়েই শিশুদের পান করতে হচ্ছে আর্সেনিকযুক্ত পানি। কারণ জেলার ১২০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৫ টি ও ৩০৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১০ টিতে মিলেছে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক। কোন কোন বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে আর্সেনিকমুক্ত পানির ব্যবস্থা করলেও সে টিউবয়েলগুলো এখন বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে জেনেশুনেও তাদের বিষ পান করতে হচ্ছে। কারণ আশে-পাশের বাড়ির টিউবয়েলেও রয়েছে আর্সেনিকের অস্তিত্ব। অনেকেই বাড়িতে বিশুদ্ধ পানি পান করলেও বিদ্যালয়ে এসে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করতে হচ্ছে। ফলে আর্সেনিক থেকে রেহাই পাচ্ছেনা তারা। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বলছে আমরা বাড়ি থেকে সকালে স্কুলে আসি। সারা দিনে অনেক পানি পিপাসা লাগে। আমাদের বাধ্য হয়ে ওই আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করতে হচ্ছে, কারন আমাদের বিদ্যালয়ে কোন নিরাপদ পানি নাই । তাই আমাদের কিছু কারার নেই। শিক্ষকরা বলছেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ইচ্ছা না থাকলেও তারা এই আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে। অনেক চেষ্টা করেও তারা নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে পারছেন না। স্থানীয় ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েও কোন সমাধান পাচ্ছিনা । কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়ে কোন কাজ হচ্ছেনা। নিজস্ব প্রতিনিধি :
দিনাজপুর: দিনাজপুরে বিরল উপজেলার পূর্ব রাজরামপুর এলাকায় পৃথক ৩টি বজ্রপাতে এক শিশু ও মহিলাসহ ৮জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৫জন। শনিবার দুপুর দেড়’টায় দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পূর্ব রাজরামপুর এলাকায় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হন আরো ৭ জন। দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরো দু’জন। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে, বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ সরকার জানান, ঘটনার সময় সামান্য বৃষ্টি ঝরছিল। বজ্রপাতের শঙ্কায় কয়েকজন ওই এলাকার একটি স্যালো মেশিন ঘরে আশ্রয় নেয়। এ সময় ঘটে বজ্রপাত। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরো ৭ জন। আহতদের দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো দু’জন। এ প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত হতাহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। বিরল উপজেলার মখলেসপুর গ্রামে শনিবার দুপুরে বজ্রপাতে হৃদয় (১২) নামে এক শিশু আহত হয়। দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে শনিবার ভোরে চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা চকরামপুর গ্রামে হালিমা খাতুন (৩০) এক গৃহবধু বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারেসুল জানান, ভোরে বৃষ্টির সময় বাড়ির আঙিনায় রান্নার চুলা ঢাকার জন্য ঘর থেকে বের হন হালিমা। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। মো: লোকমান হোসেন:
পার্বত্য অঞ্চল প্রতিনিধি: বান্দরবানে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা বিষয়ক ও জেলার সামগ্রিক প্রোপট নিয়ে পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সভাকে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে সেনা সদর জোনের টু আইসি মেজর শফিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধূরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুফিদুুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন অং সুই প্রু মারমাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, গোলযোগের কারণে গত ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে মিয়ানমার হতে নাই্যংছড়ি সদরের ৪টি পয়েন্ট ও ঘুমধুমের ৪টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। এরমধ্যে বড়ছন খোলায় ৭হাজার ৫’শ জন, সাপমারাঝিড়িতে ২হাজার ৫’শ জন, ফুলতলীতে ৫’শ জন, পাহাড়পাড়ায় ৫হাজার জন রয়েছে নিবন্ধিত হয়েছে। তিনি আরো জানান, অনিবন্ধিতকৃত রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করার কার্যক্রম চলছে, নিবন্ধনে কার্যক্রম শেষ হলে সকল রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের বালুখালি শরনার্থী ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সভায় আরো জানানো হয়, বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলাসহ সামগ্রিক বিষয় তদারকির জন্য ঘুমধুম সীমান্তে সার্বনিক একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য সদর ও ঘুমধুমে ৪টি ত্রাণ সেন্টার খোলা হয়েছে। অপরদিকে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে পুলিশ সুপারের সভাকে একই বিষয় নিয়ে পৃথক আরো একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। দাকোপ (খুলনা প্রতিনিন্ধি)
খুলনার দক্ষিন অঞ্চলে অবহেলিত দাকোপে ৫৬টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারী ভবন নির্মিত না হওয়ায় জরার্জিন টিন সেট ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান । ১৭ বছরেও শিক্ষক মন্ডলিদের বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত তাদের ভোগান্তির অবসান ঘটেনি । সংশ্লিষ্ট এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী সুত্রে জানা যায় অবহেলিত দাকোপের বানিসান্তা ইউনিয়নে সুন্দরবন গা ঘেসা অমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে স্থাপিত হয় ।সেই হতে প্রধান শিক্ষক প্রসান্ত কুমার হালদার ১১ জন শিক্ষক ৩শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে সম্পূর্ন এলাবাসীর সহয়োগীতায় একটি টিন সেট ঘর নির্মান করেন। সে খানে স্থানীয় কোমল মতি শিক্ষার্থীদের আলোর সন্ধানে এগিয়ে নিতে সরকারী বিধীমালা অনুসারে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সন্তোস জনক ফলাফলের মধ্যে দিয়ে পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। খেজুরিয়া টি,এ ,ফারুখ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০০০সালে স্থাপিত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার মন্ডল ১১জন শিক্ষক মন্ডলী ২৭৫জন শিক্ষার্থী নিয়ে সম্পূর্ন এলাকাবাসী ও প্রতিষ্ঠাতার সহয়োগীতায় ৩টি টিন সেট ঘর নির্মান করে সে খানে পাঠ পরিচালনা করে আসছেন ,যেখানে সরকারী কোন অবদান নাই । আর ডি ডি মাধ্যমিক বিধ্যালয় প্রধান শিক্ষক গৌরপদ মন্ডল তিনি জানান ১৯৯৮সালে স্থাপিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সহকর্মী শিক্ষকমন্ডলীদের নিয়ে১৫০জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় তার ফলাফল সন্তোসজনক তিনি সরকারী করনে তার প্রতিষ্ঠানটি আনার জন্য বিভিন্ন ধর্না দিয়েও সুফল আসা করতে পারেনি। পশ্চিম বাজূয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০০২ সালে স্থাপিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৩৫০জন,১৩ জন শিক্ষক মন্ডলী অত্যন্ত সুনামের সাথে সন্তোষ জনক ফলাফলের মধ্যে দিয়ে তাদরে কার্যক্রম অব্যহৃত রেখেছেন। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় জরার্জীন ৩টি টিন সেট ঘরে বষার্ মৌসুম এলেই শিক্ষার্থীদের বসার স্থান থাকে না। সেনাঁরবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়১৯৯৮সালে স্থাপিত প্রধান শিক্ষক পুলিন চন্দ্র গাইন তার সহকর্মীদের নিয়ে ২৫০জন শিক্ষার্থীর মুখে হাসি ফুটাতে সোনার মানুষ তৈরা করার স্বপ্ন দেখছেন শিক্ষক মন্ডলীরা এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে আর কত বাকী । দাকোপ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০০০সালে স্থাপিত শিক্ষক মন্ডলীদের নিয়ে প্রধান শিক্ষক দিশে হারা শ্রেনি কক্ষে আসবাব পত্রে দারুন অভাব রয়েছে । তিলডাংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করুন দসা দীর্ঘ ১৭বছরেও শিক্ষক মন্ডলীদের বেতন ভাতা বঞ্চিত এমন কি শিক্ষক মন্ডলীদের অনুরোধে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কল্পেজেলা পরিষদ ও এম পির বরাদ্দ কৃত কিছূ অর্থ প্রধান শিক্ষক মিঠু সহকর্মীদের নিয়ে জরার্জীন টিনসেট ঘরে পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন । সরকারী সহযোগীতা জরুরী। রাজনগর সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৯০সালে স্থাপিত প্রধান শিক্ষক পিযুষ কুমার মন্ডল অত্যন্ত সুনামের সাথে তার সহকর্মীদের নিয়ে ২শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাঠ পরিচালনা করে আসছেন।যে খানে শ্রেণীকক্ষের দারুন অভাব রয়েছে। জে পি মাধ্যমিক বিধ্যালয়টি ২০০৪সালে স্থাপিত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান সানা তার সহকর্মীদের নিয়ে এলাকারকোমল মতি শিক্ষার্থীদের আলোর সন্ধানে এগিয়ে নিতে সরকারী বিধীমালা অনুসারে দ্বায়িত্ব পালন কেে যাচ্ছেন তারাবেতন ভাতাথেকে রয়েছে বঞ্চিত। কামারখোলা নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক প্রাসান্ত কুমারগোলদার জানাই ২০০২সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়,সম্পূর্ন এলাবাসীর সহযোগীতায় ২টি টিনসেট ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান পরিচালনা করে আসছেন যে খানে সরকারী কোন ভবন নাই। জরার্জিন টিনসেট ঘর ২টিতে পাঠ দানে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।তিলাডাংগা রাসখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকসেলিমহোসেন জানই ১৯৯৮সালে ১৩ জন শিক্ষক মন্ডরীদের সহযোগীতায় দাকোপের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিবসা নদীর তীরে অবস্থিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে কেউ লক্ষ্য করে না। সরকারী নির্দেশমোতাবেক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।আব্দলহোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক চিন্ময় বিশ্বাস তিনি বলেন পৌর এলাকায় তার প্রতিষ্ঠান অতি সুন্দর হওয়া উচিৎ । তিনি অপেক্ষায় রয়েছেন কোন দিন তারা সরকারী অর্ন্তভূক্ত হবে। খুলনার দক্ষিন অঞ্চলে ৫৬টি মাঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১টি মাধ্যমিক ৩টি নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করুন দসা ।তারা কবে সরকারীভাবে অনুমোদনপেয়ে এলাকার কোমরমতি শিক্ষার্থীদের আলোর সন্ধানের এগিয়ে নিতে পারবেএবং অতি দ্রুত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভবন নির্মানের সুযোগ পাবে এজন্য বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রি ও দেশ পরিচালক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রি জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ জরুরী বলে দাবী জানালেন দক্ষিন খুলনা অবহেলিত দাকোপ বাসী। মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ার একটি বাড়ী থেকে ৪ খদ্দেরসহ ২ মহিলাকে আটক করেছে র্যাব। ১৮.০৯.২০১৭ ইং সোমবার দুপুরে চাকলাপাড়ার বাবু মন্টু বসু সড়কের রোকেয়া খাতুনের বাড়ী থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো-ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের মৃত নাজির উদ্দিনের ছেলে নাজমুল হোসেন (৩০), একই গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান, জাড়গ্রামের ইশারত আলীর ছেলে মাসুদ আলী, আজিজুল ইসলামের ছেলে আকমল হোসেন ও গোবিন্দপুর গ্রামের ২ জন পতিতা। র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চাকলা পাড়ার একটি বাড়ীতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই ৬ জনকে আটক করা হয়। আগামীতে এ ধরনের কাজ না করার শর্তে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল:
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে আজ রবিবার সকালে মাদক ব্যবসায়ী স্বামী-স্ত্রীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫০ গ্রাম গাঁজাসহ অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়। রবিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওসমান গণির নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এরা হলেন-আইয়ুব আলী জোয়ার্দার পিতাঃ মৃত চাদ আলী জোয়ার্দার ও তার স্ত্রী মোছা: পারভীন আক্তার(৪০) । গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানা যায়,ওই দম্পতি গোপনে দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতেই মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এর পূর্বেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে নিয়মিত মামলা হয়। ৫ দিন জেলে থাকার পর জামিনে বের হয় বলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদ্বয় জানান। জেল থেকে বের হয়ে আবারও বিপুল উৎসাহে পূর্বের মাদক ব্যবসা শুরু করে। উপরুক্ত অপরাধের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই ৮ মাস করে বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়। অভিযানে ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর ইনন্সপেক্টর জনাব রাসেল আলী উপস্থিত ছিলেন। মোঃ আল আমিন, মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা :
বিদেশী ড্রাগন ফলের চাষবাদ করে লাভবান হচ্ছে নরসিংদীর চাষীরা। থাইল্যান্ডের সুস্বাদু এ ড্রাগন ফল এখন সারা বিশ্বে সুপরিচিত ও বিশ্বখ্যাত। অল্প জায়গায় স্বল্প খরচেই এ ড্রাগন ফলের বাগানের চাষ করা যায়। অতিথি আপ্যায়নে পুষ্টিগুণে ভরা ওষুধি ড্রাগন ফলের খ্যাতি রয়েছে নরসিংদী সহ সারাদেশে। সেই সাথে ড্রাগন ফল মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সুখ্যাতি অর্জনের পর বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তারই ধারাবাহীকতায় মাধবদীর উত্তর শিলমান্দী, নরসিংদীর শিবপুর, রায়পুরাতে ড্রাগন ফল চাষে পাওয়া গেছে সফলতার বেশ ক’টি মূখ। নরসিংদীতে ২-৩ বছর আগেও ড্রাগন ফল পরিচিত ছিল না। এখন এটি বেশ পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের ভেষজ গুণ থাকায় এ ফলের গাছটি রায়পুরার প্রায় বাড়ির আঙ্গিনা ও ছাদে চাষ করা হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। শুধু একটু পরিচর্যা করলেই ড্রাগন গাছে ফল ধরে। তাই ড্রাগন ফলের চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে এখানকার চাষী ও জনসাধারনরা। মাধবদী থানার শীলমান্দি গ্রামের ড্রাগন ফল চাষি সালাম জানান, ৫ শতাংশ ফসলি জমিতে ১০০টির বেশি ড্রাগন গাছ লাগিয়ে ছিলেন। প্রত্যেকটি গাছই এখন ফুলে ফলে ভরে আছে। ইতোমধ্যে তিনি ৪৫০টাকা দরে এক মণের বেশি ফল বিক্রিও করেছেন। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি। অনান্য ফসলের পাশাপাশি ড্রাগন চাষ অধিক লাভজনক বলে জানান তিনি। নরসিংদীর রায়পুরার চর মরজালের সৌখিন ড্রাগন ফল চাষি রহিম বলেন, ‘প্রথমে ঢাকার একটি ফলের দোকান থেকে ড্রাগন ফল কিনে খাওয়ার পর থেকে নার্সারী থেকে গাছ সংগ্রহ করতে থাকি পরে বাড়ির ছাদেই এর চাষাবাদ শুরু করি। এ বছর বেশ কিছু ফল ধরেছে। বাড়ির ছাদে টবে বা ড্রামের মধ্যে জৈব সারের মাটি ফেলে তাতে ড্রাগন চারা পুতে দিলেই হয়। ড্রাগন গাছ তিন ফুট উঁচু হলেই একটি শক্ত চিকন খুঁটির সঙ্গে সাইকেলের পুরাতন টায়ার ঝুঁলিয়ে দিলেই তাতে ডালপালা বিস্তার করে লতা ছড়াতে থাকে গাছটি। কয়েক মাস পরে ফুল ফোটে এবং ফল আসে। ড্রাগন ফল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।’ কৃৃষি সংশিষ্ট এক কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, এ বিদেশি জাতের ড্রাগন ফলের চাষাবাদে চাষীদের সাফল্য দেখিয়েছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আওতাধীন নরসিংদীর শিবপুর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্র। নরসিংদীর মাটি ও আবহাওয়া এ ফল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী বলে মনে করছেন এখানকার গবেষকরা। তাই যুব উন্নয়নের আর্থিক সহায়তা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃক ড্রাগন চাষে আগ্রহী চাষীদেরকে প্রশিণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাধ্যে প্রায় বেশ কিছু ড্রাগন ফলের চারা বিতরণ করা হয়েছে। গবেষণাকেন্দ্রের সূত্র মতে, ড্রাগন ফল দণি-পূর্ব এশিয়ার উষ্ণমন্ডলীয় এলাকার ফল। এটি ক্যাকটাস জাতীয় ফলের অন্তর্ভুক্ত। ড্রাগন ফলের গাছ লতানো ইউফোরবিয়া গোত্রের ক্যাকটাসের মতো। ২০১৩ সাল থেকে নরসিংদীতে পরীামূলকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষের জন্য প্রয়োজন দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। বছরে একটি ড্রাগন গাছ থেকে প্রায় ৩/৪ কেজীর মত ফল পাওয়া যায়। এসব ফল আকার ভেদে ৪৫০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। উল্লেখ্য যে নরসিংদী ও মাধবদীতে ড্রাগন ফল চাষী উদোক্তাদের টিকিয়ে রাখতে বিদ্যমান সমস্যা গুলো চিহিৃত করে এ সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারলেই এখানকার উৎপাদিত ড্রগন ফল দেশের চাহিদা পূরন করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করে অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখতে পারবে এবং শুধু ড্রাগন ফল চাষীরাই নয় সরকারও এ থেকে রাজস্ব পাবে বহুগুণ বেশী। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথযত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক উদ্যোক্তারা। মোঃ আল আমিন:
মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা : আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মাধবদী সহ নরসিংদীর ছয়টি উপজেলায় এ বছর মোট ৩২৮ টি মন্দির ও ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে গত ১১ সসেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সোমবার নরসিংদী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় জেলা ও ছয়টি উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা অংশ গ্রহন করেন। সভায় জানানো হয়, নরসিংদী সদরে ৯৬টি, পলাশ উপজেলায় ৩৭টি, শিবপুর উপজেলায় ৬৯টি, রায়পুরা উপজেলায় ৬২টি, মনোহরদী উপজেলায় ৪৬টি এবং বেলাব উপজেলায় ১৮টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় আসন্ন দুর্গাপূজা শৃংখলার সঙ্গে উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসময় নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা, নরসিংদী সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সাবেক অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা মিয়া, নরসিংদী জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ সূর্য্যকান্ত দাস, সাধারণ সম্পাদক দিপক সাহা, সাবেক সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, সাবেক সভাপতি অহিভূষণ চক্রবর্তীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছায় আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড. সোহরাব আলী সানা। তিনি রোববার বিকালে আলমতলা বাজারে লস্কর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য সচিব বিভূতি ভূষণ সানা এর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ বেনজীর আহম্মেদ বাচ্চু, জি এম ইকরামুল ইসলাম, এস এম রেজাউল হক, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা এড. ইদ্রিসুর রহমান মন্টু, গাজী জামাত হোসেন, জেলা তাঁতী লীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ আঃ রউফ মিন্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আবুল কামাল আজাদ, আব্দুল হাই গাইন, জহুরুল হক সানা, শাহারাবুল হোসেন প্রিন্স, হাফিজুর রহমান, গাজী শফিকুল ইসলাম, প্রভাষক মশিউর রহমান, শাহারুব মোড়ল, কামরুল ইসলাম, মশিয়ার সরদার, শহীদ হোসেন সুজন, লিটন জমাদ্দার, ওজিঢার রহমান ভুট্র, রামকৃষ্ণ বাছাড়, পার্থ মন্ডল, মিন্টু মিস্ত্রী, রফিকুল ইসলাম।
মেহের আমজাদ, মেহেরপুর :
“স্বাক্ষরতা অর্জন করি, ডিজিটাল বিশ্ব গড়ি”এই শ্লোগানে মেহেরপুরে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আয়োজনে একটি র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীর নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবীর। র্যালীটি শিল্পকলা একাডেমী থেকে শুরু হয়ে জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, সেভ দ্যা চিলন্ড্রেনের ডেপুটি ম্যানেজার খলিলুর রহমান, ব্র্যাক-এর মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন, সেভ দ্যা চিলন্ড্রেনের সিনিয়র অফিসার চয়ন কুমার তালুক্দার, প্রজেক্ট অফিসার দিলিপ বিশ্বাস সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি এনজিও কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা র্যালীতে অংশগ্রহন করে। র্যালী শেষে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিা কর্মকর্তা জেসের আলী, অধ্য আক্তারুজ্জামান, প্রধান শিক কাজী আনিছুজ্জামান, ব্র্যাক-এর মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন প্রমুখ । ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ জেলা ব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১’শ ৭৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ০৭.০৯.২০১৭ ইং বৃহস্পতিবার রাত থেকে ০৮.০৯.২০১৭ ইং শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশকিছু মাদকদ্রব্য। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, জেলাব্যাপি সন্ত্রাস, নাশকতা বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১’শ ২৯ জন, হরিণাকুন্ডু থেকে ৭ জন, শৈলকুপা থেকে ৯ জন, কালিগঞ্জ থেকে ১৯ জন, মহেশপুর থেকে ১১ জন ও কোটচাঁদপুর থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মো: লোকমান হোসেন:
পার্বত্য অঞ্চল প্রতিনিধি; খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে প্রাথমিক সহকারী শিক নিয়োগে জনসংখ্যানুপাতে ৫০% শতাংশ বাঙালি শিক নিয়োগসহ চার দফা দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ। মৌলিক অধিকারসহ যুক্তিক দাবি আদায় না হলে পার্বত্য জেলা পরিষদ ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন। বৃহস্পতিবার (৭সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার একাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মাঈন উদ্দীন এই ঘোষণা দেন। এ সময় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার একাংশের সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পারভেজ হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহীন আলমসহ অন্যান্য নেতবৃৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী সমুহ, খাগড়াছড়িতে সকল প্রকার নিয়োগে জনসংখ্যানুপাতে ৫০% শতাংশ বাঙালিদের নিয়োগ, অন্যান্য সকল নিয়োগেও জনসংখ্যানুপাতে ৫০% শতাংশ বাঙালি ও উপবৃত্তিসহ সকল সুযোগ সুবিধাও একই নিয়মে প্রদান করা, শুধুমাত্র চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা নয় অন্যান্য সকল ুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সদস্যদের জনসংখ্যানুপাতে নিয়োগ দেওয়া, চলতি নিয়োগে জনসংখ্যানুপাতে নিয়োগ সম্পন্ন করা। অন্যথায় অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পূনরায় স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ পরিা নেওয়া। গত ২০০১ সাল থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সকল নিয়োগে জনসংখ্যানুপাতে ৪৮% শতাংশ বাঙালিদের নিয়োগ দেওয়া হলেও সময়ের পরিক্রমায় উগ্র সম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণে বাঙালি বিদ্বেষী উপজাতি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে নিজেদের মনগড়া নিয়মে শুধুমাত্র চাকমা মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৭০% শতাংশ উপজাতিদের দিয়ে রমরমা নিয়োগ বানিজ্য চালাচ্ছেন। বঞ্চিত করছেন বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠি সহ অন্যান্য দ্র জাতিগোষ্ঠির সদস্যদের। জেলা পরিষদ স্ব-গৌরবে বাঙালি ৩০% শতাংশ নিয়োগের কথা প্রচার করা হলেও সেটি ঠিকমত মানা হচ্ছেনা। যে কয়েকজন বাঙালি চাকরী পাচ্ছেন তাও আবার ৫ ল থেকে ৭ ল টাকার বিনিময়ে। চলতি নিয়োগে ৩৫৮টি পদানুসারে হিসাব করলে বাঙালি নিয়োগ পাচ্ছে ২০% শতাংশেরও কম। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় আলাদাভাবে কোটা পায়। আর এ অঞ্চলের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া বাঙালি হিন্দু, বড়ুয়া, মুসলিমসহ অন্যান্যরা আলাদা কোটা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এতে আরো বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট শুক্রবার পার্বত্য জেলা পরিষদ খাগড়াছড়ি এর নিকট হস্তান্তরিত প্রাথমিক শিা বিভাগে সহকারী শিক নিয়োগ পরিা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক শিার মানোন্নয়রে জন্য এই প্রথম পুরুষ প্রার্থীরদের জন্যে স্নাতক পাশ বাধ্যতামূলক করা হয়। নিয়োগের লিখিত পরিার জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৩২৮৩ জনের আসন বিন্যাস পরিকল্পনা জেলা পরিষদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলেও রাতারাতি অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ৩২৯৩জনের আরেকটি আসন বিন্যাস প্রকাশ করা হয়। একই তারিখে সারাদেশে জাতীয় নিবন্ধন পরিা থাকায় জেলা পরিষদের নিকট শিক নিয়োগ পরিার তারিখ পরিবর্তনের জন্য একাধিকবার আবেদন করা হলেও যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ১৩৫২জন উচ্চ শিতি মেধাবী প্রার্থীকে বাহিরে রেখে পরিা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ পড়াদের বেশির ভাগই ছিল বাঙালি। নিয়োগ বাণিজ্যকে সমৃদ্ধ করার জন্য অনেকটা তাড়াহুড়ো করেই ফলাফল পকাশ করে জেলা পরিষদ। অনেকটা অবিশ্বাস্য ভাবে প্রশ্ন-উত্তরপত্র ফাঁস করে ৮০ নম্বরের পরিায় গনহারে ৭৩ নম্বর পেয়েছে অসংখ্য উপজাতি প্রার্থী। নিয়মানুসারে মৌখিক পরিায় সর্বনিম্ন ৩ (তিন) জন প্রার্থী থাকার বিধান থাকলেও ফলাফল প্রকাশে এটি মানা হয়নি। এই সকল কাজকর্মে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি যেমন প্রশ্নবিদ্ধ, সার্বিক ভাবে পার্বত্য বাঙালিদের বাদ দিয়ে উপজাতিদের একচেটিয়া সুযোগ সুবিধা বিধানের প্রয়াস মাত্র এটি। এ ধরনের ঘটনাকে জাতিগত বিদ্বেষী বলে নিন্দা জানানো হয়, সাংবাদিক সম্মেলনে। অভিযোগ করে বলা হয়, দীর্ঘদিন যাবত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ একচেটিয়া উপজাতিদের সার্বিক নিয়োগ, উপবৃত্তিসহ শিা ও অন্যান্য েেত্র লাগামহীন বৈষম্য করে আসছে। বৈষম্যের শিকার পিছিয়ে পড়া জাতির জন্য দুঃখজনক। এবিষয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বচ্ছাতার সাথে শিক নিয়োগ হচ্ছে। কোন ধরনের অনিয়ম হচ্ছে না। তিনি আইন ও বিধি মেনে পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরিক জেলা প্রাথমিক শিা বিভাগসহ সব বিভাগে নিয়োগ দিচ্ছে। এখানে কোন ধরনের অনিয়ম হচ্ছে না। একটি মহল নিয়োগ পক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। পরীায় কোন ধরনের প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে না বলেও দাবী করেন তিনি। তবে, আসন বিন্যাস প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের একটি সূত্র জানায়, নিয়োগের লিখিত পরিার জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৩২৮৩জন হলেও বাছাইয়ে বাদ যাওয়া অপর ১০জনের আবেদন যাচাই-বাছাই করে পরীায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা দূর্বৃত্ত ডাকাতের হামলায় প্রতিবন্ধী মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়েছেন। উপজেরা মিরুখালী ইউনিয়নের মুসল্লিবাড়ী সংলগ্ন গত ৩১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাত্রে আনুমানিক ২ টার সময় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ও হাসপাতাল সূত্রে জানাযায় আহত মুক্তিযোদ্ধা হলেন ওই গ্রামের মৃত্যু ওয়াজেদ আলী হাওলাদারের পুত্র মোঃ আলী আকবার হাওলাদার(৮৫) । আলী আকবার হাওলাদার গত ২৫ আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তুলে নিয়ে তাহাল বসতঘরে আলমিরাই রাখে। ৩১ আগষ্ট রাত্রে আনুমানিক ২টার সময় ঘরের পিছন দিয়ে ঘরের পিরা কেটে ঘরে ঢুকে সামনের দরজাখুলে ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলী আকবারের ঘরে প্রবেশ করে ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দেয়। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী গোলবরু বেগম(৬৫) ডাকাত দল দেখে চিৎকার দিলে ডাকাত দল তাকে বেধে ফেলে। ডাকাত দল মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবারের কাছে টাকা দাবী করেন। আলী আকবার বলে আমার কাছে কোন টাকা নেই । এ কথা বলার ডাকাত দল মুক্তিযোদ্ধার শরীরে অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে। এক পর্যায়ে ডাকাত দলের আঘাতে আলী আকবারের মাথা ফেটে রক্ত বের হয়, পিঠে মারাত্মকভাকে আঘাত করে, তার বাম পা আঘাত করলে বাম পা ভেঙ্গে যায়। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর গোলবরু বিবির কানে থাকা দুল নিয়ে যাই, নাকের স্বর্ন, এবং আলমিরা থেকে ৪৬ হাজার টাকা নিয়ে দুর্বৃত্ত ডাকাতদল পালিয়ে যায়। পরে আহত মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীর গোলবরুর বেগমের চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন চলে আসে। আহত মুক্তিযোদ্ধাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। উপজেলা হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবার হাওয়াদার গন্যমাধ্যম কর্মীদেরকে আরও জানান মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন আমি ০৯ নং সেক্টরে ছিলাম্ তার সনদ নম্বর -৯১৫, যুদ্ধের সময়ে আমার ডান পা কেটে যায়। আমি দেশ স্বাধীন করেছি। আমি আমার ওপর এই অমানুবিক নির্যাতনের বিচার চাই। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহত মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবার জানান। পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম, জাইকা প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী আসমাউল হুসনা, সহকারী শিক্ষা অফিসার শোভা রায়, পাইকগাছা প্রেসকাবের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, সাংবাদিক ইমদাদুল হক ও সিএ কৃষ্ণপদ মন্ডল। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলার ঘোষাল বান্দিকাটী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম, মালথ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিপন গাজী ও হাউলী-প্রতাপকাটী স্কুলের শিক্ষার্থী রাকিব বিল্লাহকে প্রত্যেকের একটি করে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।
মো: লোকমান হোসেন:
পার্বত্য অঞ্চল প্রতিনিধি; মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর টানা হামলা-নির্যাতন-ধর্ষণের শিকার হয়ে বাস্তুভিটা ছেড়ে বাংলাদেশের আসার পথে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বহনকারী অন্তত ১২টি নৌকা সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে ডুবে গেছে। আজ বুধবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ এলাকার নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পাঁচটি লাশ ভাসতে দেখে লোকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেয়। পরে লাশগুলো ডাঙায় নিয়ে আসা হয়। উপকূলের নিরাপত্তায় কাজ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোস্টগার্ড শাহপরীর দ্বীপের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট ফয়সাল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাঁদের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। মো: লোকমান হোসেন পার্বত্য অঞ্চল প্রতিনিধি;-রাঙামাটিতে সংগঠিত হওয়া ভয়াবহ পাহাড় ধসের তিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে ত্রাণ বিতরণ করেন পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সাঈদ তারেকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী, পৌরসভায় মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী। ত্রান বিতরণ অনুষ্ঠানে পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের ১৪০ পরিবারের তিগ্রস্তদের মধ্যে সম্পূর্ণ তিগ্রস্থদের ২ বান ঢেউ টিন, ৬ হাজার টাকা নগদ অর্থ এবং ৩০ কেজি চাউল, আংশিক তিগ্রস্তদের মাঝে ১ হাজার টাকা নগদ অর্থ এবং ৩০ কেজি চাউল বিতরণ করা হয়। ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের প থেকে জানানো হয়, যারা পাহাড় ধসের পরে দীর্ঘদিন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে তারা নিজের বাড়ি-ঘরে ফিরে যাবে এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদের সার্বিক সহায়তার জন্য সরকার ও প্রশাসন তাদের পাশে আছে বলেও জানান তারা। প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড় ধস সংগঠিত হওয়ার পরে দীর্ঘ প্রায় তিন মাস পাহাড় ধসে তিগ্রস্তরা আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছিলো। পাহাড় ধস ঘটনায় ১২০ জন নিহত হয় এবং হাজারো ঘর-বাড়ি তিগ্রস্ত হয়। মেহের আমজাদ:
মেহেরপুর : মেহেরপুরে ১৯৮৫ সালের এসএসসি ব্যাচের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুর পৌর কলেজ মিলনায়তনে ১৯৮৫ সালের এসএসসি ব্যাচের বন্ধুদের নিয়ে সংগঠন “আমরা ৮৫”-এর সভাপতি মোমিনুল হক জুয়েলের সভাপতিত্বে ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় । এ সময় “আমরা ৮৫”-এর অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আযম লিন্টু, সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, মাসুদ রেজা, উপদেষ্টা আহসান রেজা পিকু, মোঃ কলিমদ্দিন, ডাঃ আব্দুর রাশেদ, কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুল হক মন্টু, যুগ্ম সম্পাদক শামীমুল ইসলাম রজ্জাক, সদস্য বুড়িপোতা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহ্জামান, আবুল হাসান মিঠু, মুনশী মোকাদ্দেস হোসেন,সরফরাজ খান, তপন, সবুজ, বাবু, মিঠু প্রমুখ । ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও মত বিনিময়ের এক পর্যায়ে “আমরা ৮৫”-এর অসুস্থ সদস্য সামসুল ইসলামকে সংগঠনের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয় । |
Archives
May 2018
|