এপিপি, কলকাতা: খুচরো পয়সার সঙ্কটে জেরবার ভারতের কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। খুচরো, পাইকারি প্রায় সব ব্যবসায়ীকেই চড়া বাটা দিয়ে কিনতে হচ্ছে ৫ এবং ২ টাকার কয়েন। মাসখানেক আগে খুচরো পয়সা কিনতে গেলে যেখানে ১০০ টাকার জন্য ১০ টাকা বাটা দিতে হতো, এখন সেই বাটা বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা। কলকাতায় এই মূল্যমান থাকলেও শহরতলিতে সেই বাটা আরও চড়া। ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এতে ব্যবসায়ীরা চরম সমস্যায় পড়ছেন।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাপক মুনাফা লুটতেই খুচরো পয়সার কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে। গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে পুলিশ এবং ব্যাঙ্কের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলেও খবর। আরও অভিযোগ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চতুর্থ শ্রেণীর কিছু কর্মীর যোগসাজসেই অনুমোদিত তালিকার বাইরেও খুচরো পয়সার কিছু ব্যাগ চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আশেপাশে এবং বিক্রি হচ্ছে ডালহৌসি এলাকায়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিধি অনুযায়ী প্রতিদিনই ২ টাকা এবং ৫ টাকার কয়েনের একশো থেকে দেড়শো ব্যাগ ইস্যু করা হয়। ২ টাকার কয়েনের ব্যাগটিতে থাকে পাঁচ হাজার টাকা এবং ৫ টাকার কয়েনের ব্যাগটিতে থাকে সাড়ে বারো হাজার টাকা। সরকারি সংস্থা এবং কিছু বেসরকারি সংস্থাকে কয়েন ভর্তি এই ব্যাগগুলি দেওয়া হয়। সপ্তাহের তিনদিন সোম, বুধ এবং শুক্রবার সিটিসি এবং সিএসটিসি এই খুচরো পয়সা পায়। ব্যাঙ্কগুলিও তাদের চাহিদা অনুযায়ী কয়েন পায়। এর বাইরে ১ লক্ষ টাকার করদাতারা মাসে একটি এবং এর কম টাকার করদাতারা দু’মাস অন্তর কয়েন ভর্তি একটি করে ব্যাগ পেতে পারেন।
প্রশ্ন উঠেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে খুচরো পয়সার ব্যাপক সরবরাহ সত্ত্বেও সঙ্কট কীভাবে তৈরি হচ্ছে। ব্যাঙ্কের প্রশাসনিক কর্তাদের তরফে অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও সন্তোষজনক উত্তর নেই। তবে ওই ব্যাঙ্কেরই কর্মী সংগঠনের একটি সূত্রের বক্তব্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে পরিমাণ কয়েন ছাপায় তাতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আলিপুর এবং মুম্বই এই দুটি জায়গায় ব্যাঙ্কের যে টাঁকশাল রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ২ টাকা এবং ৫ টাকার কয়েন ছাপা হচ্ছে। এই সূত্রেরই আরও অভিযোগ, ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকার দশ টাকার কয়েন বাজারে ছাড়া হলেও রহস্যজনকভাবে তা উধাও হয়ে গিয়েছে।
এর বেশির ভাগটাই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে পাচার করা হচ্ছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ওই কয়েন গলিয়ে দামি ধাতু বার করা হয়। গয়না এবং ব্লেড তৈরির কাজে সেই ধাতু ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি ২ টাকার কয়েনে চারটি ব্লেড তৈরি হচ্ছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এরকম একটি ব্লেড কারখানার সন্ধান পেয়েছে সেখানকার পুলিশ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কড়া নিরাপত্তায় মুম্বই থেকে আসা কয়েন ভর্তি ট্রাকগুলি শিয়ালদহ স্টেশন এবং দমদম বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আনা হয় আলিপুর টাঁকশালে। সেখান থেকে বিভিন্ন সংস্থাকে ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভল্টে গচ্ছিত রাখা হয়। এই নিরাপত্তা পদ্ধতি থাকা সত্ত্বেও খোলা বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকার খুচরো পয়সা কীভাবে আসছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ পোদ্দার নামে একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যারা নোট কেনাবেচা করে তারাই সিংহভাগ কয়েন কিনে নিচ্ছে। এরজন্য চড়া দামও দেওয়া হচ্ছে। ২ টাকার কয়েন ভর্তি ব্যাগের জন্য বাড়তি আড়াইশো টাকা এবং ৫ টাকার কয়েন ভর্তি ব্যাগের জন্য প্রায় দেড় হাজার টাকা বেশি দিচ্ছে।
প্রশ্ন উঠেছে কি করে কোন পথ ধরে বাড়তি টাকার বিনিময়ে কয়েন বেরিয়ে যাচ্ছে? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মী সংগঠনের এক সূত্রের গুরুতর অভিযোগ প্রশাসন,পুলিশ, আমলা প্রায় সবারই পরোক্ষ ইন্ধন রয়েছে এই কাজে এবং এক একজন এর জন্য দৈনিক প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার আয় করছে বলেও অভিযোগ।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাপক মুনাফা লুটতেই খুচরো পয়সার কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে। গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে পুলিশ এবং ব্যাঙ্কের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলেও খবর। আরও অভিযোগ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চতুর্থ শ্রেণীর কিছু কর্মীর যোগসাজসেই অনুমোদিত তালিকার বাইরেও খুচরো পয়সার কিছু ব্যাগ চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আশেপাশে এবং বিক্রি হচ্ছে ডালহৌসি এলাকায়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিধি অনুযায়ী প্রতিদিনই ২ টাকা এবং ৫ টাকার কয়েনের একশো থেকে দেড়শো ব্যাগ ইস্যু করা হয়। ২ টাকার কয়েনের ব্যাগটিতে থাকে পাঁচ হাজার টাকা এবং ৫ টাকার কয়েনের ব্যাগটিতে থাকে সাড়ে বারো হাজার টাকা। সরকারি সংস্থা এবং কিছু বেসরকারি সংস্থাকে কয়েন ভর্তি এই ব্যাগগুলি দেওয়া হয়। সপ্তাহের তিনদিন সোম, বুধ এবং শুক্রবার সিটিসি এবং সিএসটিসি এই খুচরো পয়সা পায়। ব্যাঙ্কগুলিও তাদের চাহিদা অনুযায়ী কয়েন পায়। এর বাইরে ১ লক্ষ টাকার করদাতারা মাসে একটি এবং এর কম টাকার করদাতারা দু’মাস অন্তর কয়েন ভর্তি একটি করে ব্যাগ পেতে পারেন।
প্রশ্ন উঠেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে খুচরো পয়সার ব্যাপক সরবরাহ সত্ত্বেও সঙ্কট কীভাবে তৈরি হচ্ছে। ব্যাঙ্কের প্রশাসনিক কর্তাদের তরফে অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও সন্তোষজনক উত্তর নেই। তবে ওই ব্যাঙ্কেরই কর্মী সংগঠনের একটি সূত্রের বক্তব্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে পরিমাণ কয়েন ছাপায় তাতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আলিপুর এবং মুম্বই এই দুটি জায়গায় ব্যাঙ্কের যে টাঁকশাল রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ২ টাকা এবং ৫ টাকার কয়েন ছাপা হচ্ছে। এই সূত্রেরই আরও অভিযোগ, ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকার দশ টাকার কয়েন বাজারে ছাড়া হলেও রহস্যজনকভাবে তা উধাও হয়ে গিয়েছে।
এর বেশির ভাগটাই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে পাচার করা হচ্ছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ওই কয়েন গলিয়ে দামি ধাতু বার করা হয়। গয়না এবং ব্লেড তৈরির কাজে সেই ধাতু ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি ২ টাকার কয়েনে চারটি ব্লেড তৈরি হচ্ছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এরকম একটি ব্লেড কারখানার সন্ধান পেয়েছে সেখানকার পুলিশ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কড়া নিরাপত্তায় মুম্বই থেকে আসা কয়েন ভর্তি ট্রাকগুলি শিয়ালদহ স্টেশন এবং দমদম বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আনা হয় আলিপুর টাঁকশালে। সেখান থেকে বিভিন্ন সংস্থাকে ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভল্টে গচ্ছিত রাখা হয়। এই নিরাপত্তা পদ্ধতি থাকা সত্ত্বেও খোলা বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকার খুচরো পয়সা কীভাবে আসছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ পোদ্দার নামে একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যারা নোট কেনাবেচা করে তারাই সিংহভাগ কয়েন কিনে নিচ্ছে। এরজন্য চড়া দামও দেওয়া হচ্ছে। ২ টাকার কয়েন ভর্তি ব্যাগের জন্য বাড়তি আড়াইশো টাকা এবং ৫ টাকার কয়েন ভর্তি ব্যাগের জন্য প্রায় দেড় হাজার টাকা বেশি দিচ্ছে।
প্রশ্ন উঠেছে কি করে কোন পথ ধরে বাড়তি টাকার বিনিময়ে কয়েন বেরিয়ে যাচ্ছে? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মী সংগঠনের এক সূত্রের গুরুতর অভিযোগ প্রশাসন,পুলিশ, আমলা প্রায় সবারই পরোক্ষ ইন্ধন রয়েছে এই কাজে এবং এক একজন এর জন্য দৈনিক প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার আয় করছে বলেও অভিযোগ।