এপিপি বাংলা ডটকম
কলকাতা: বাইক বাহিনী সংক্রান্ত নির্দেশ না মানায় ফের পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ক্ষুব্ধ আদালত রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল, ভোট প্রচারে বাইক-বাহিনী নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের দাপট বন্ধে কেন ব্যর্থ রাজ্য সরকার? আদালতের ১০ জুলাইয়ের নির্দেশ কেন মান্য করা হয়নি? মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের জবাবদিহি তলব করেছেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার এ ব্যাপারে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। ১০ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, কমিশনের নির্দেশিকা মতো ভোট প্রচারে বাইক-বাহিনীর ব্যবহার বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। পাশাপাশি কমিশনের চাহিদা মতো প্রচারপর্বে প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় মোতায়েন করতে হবে ১০ জন করে সশস্ত্র পুলিশ। কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো, তা শুক্রবার জানাতে হবে ফের পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী লক্ষ্মীচাঁদ বিহানির কাছে বিচারপতি জানতে চান, রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, আদালতের কোনও নির্দেশই মানেনি রাজ্য সরকার। বন্ধ হয়নি বাইক-বাহিনী। এমনকী, প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারপর্বে ১০ জন করে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে কিনা, তা নিয়েও স্পষ্ট করে রাজ্য সরকার কিছুই জানায়নি। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি।
এজলাসে উপস্থিত সরকারি আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি জানতে চান, আদালতের ১০ জুলাইয়ের নির্দেশ পালন করতে কেন ব্যর্থ হল রাজ্য সরকার? তখন সরকারি আইনজীবী বলেন, কমিশন আদালতকে বিভ্রান্ত করছে। রাজ্য সরকার আদালতের সব নির্দেশই মেনেছে। নিজের দাবির স্বপক্ষে একটি চিঠি বিচারপতিকে দেন তিনি। কিন্তু সেই চিঠি পড়ে আরও ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তিনি বলেন, আদালত বাইক-বাহিনী বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। প্রচারপর্বে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করতে বলেছে। আর এই চিঠিতে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে ভোটের দিন কীভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হবে, তার উল্লেখ রয়েছে। এই চিঠি কেন দেখানো হচ্ছে? আপনি কি আদালতের সঙ্গে ছলনা করছেন? ক্ষুব্ধ বিচারপতি মন্তব্য করেন, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করতে পারি। দুপুর দুটোয় তাঁদের এজলাসে ডেকেও পাঠাতে পারি।
তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে মরিয়া সরকারি আইনজীবী আদালতের কাছে কিছু সময় প্রার্থনা করেন। দুপুর দুটো পর্যন্ত সময় দেন বিচারপতি। সেইসঙ্গে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে এজলাসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। দুপুর দুটো নাগাদ অ্যাডভোকেট জেনারেল এজলাসে এলে বিচারপতি তাকে বলেন, ১৫ জুলাই মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে আলাদা আলাদাভাবে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন আদালতের নির্দেশ মান্য করা হয়নি।
কিন্তু কেন এদিন এত ক্ষুব্ধ হলেন বিচারপতি? আইনজীবী মহল মনে করছে, এর আগে রাজ্য সরকারকে লেখা চিঠিতে কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রচারপর্বের জন্য মোট ৩২ হাজার পুলিশ দরকার। সেই একই চিঠিতে প্রচারপর্বে গ্রাম পঞ্চায়েত পিছু ১০ জন সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের কথাও বলা হয়। ৪ জুন কমিশনের এই চিঠি অনুযায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এর দেড় মাস পরেও ফের একই অভিযোগ ওঠাতেই বিচারপতি এদিন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বলে মনে করছে আইনজীবী মহল। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এদিন বিচারপতি বুঝিয়ে দিলেন, আদালতের নির্দেশকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। আদালত যা বলবে, সেটা মানতে হবে। এটাই সংবিধানের বিধান।
কলকাতা: বাইক বাহিনী সংক্রান্ত নির্দেশ না মানায় ফের পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ক্ষুব্ধ আদালত রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল, ভোট প্রচারে বাইক-বাহিনী নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের দাপট বন্ধে কেন ব্যর্থ রাজ্য সরকার? আদালতের ১০ জুলাইয়ের নির্দেশ কেন মান্য করা হয়নি? মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের জবাবদিহি তলব করেছেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার এ ব্যাপারে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। ১০ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, কমিশনের নির্দেশিকা মতো ভোট প্রচারে বাইক-বাহিনীর ব্যবহার বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। পাশাপাশি কমিশনের চাহিদা মতো প্রচারপর্বে প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় মোতায়েন করতে হবে ১০ জন করে সশস্ত্র পুলিশ। কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো, তা শুক্রবার জানাতে হবে ফের পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী লক্ষ্মীচাঁদ বিহানির কাছে বিচারপতি জানতে চান, রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, আদালতের কোনও নির্দেশই মানেনি রাজ্য সরকার। বন্ধ হয়নি বাইক-বাহিনী। এমনকী, প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারপর্বে ১০ জন করে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে কিনা, তা নিয়েও স্পষ্ট করে রাজ্য সরকার কিছুই জানায়নি। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি।
এজলাসে উপস্থিত সরকারি আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি জানতে চান, আদালতের ১০ জুলাইয়ের নির্দেশ পালন করতে কেন ব্যর্থ হল রাজ্য সরকার? তখন সরকারি আইনজীবী বলেন, কমিশন আদালতকে বিভ্রান্ত করছে। রাজ্য সরকার আদালতের সব নির্দেশই মেনেছে। নিজের দাবির স্বপক্ষে একটি চিঠি বিচারপতিকে দেন তিনি। কিন্তু সেই চিঠি পড়ে আরও ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তিনি বলেন, আদালত বাইক-বাহিনী বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। প্রচারপর্বে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করতে বলেছে। আর এই চিঠিতে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে ভোটের দিন কীভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হবে, তার উল্লেখ রয়েছে। এই চিঠি কেন দেখানো হচ্ছে? আপনি কি আদালতের সঙ্গে ছলনা করছেন? ক্ষুব্ধ বিচারপতি মন্তব্য করেন, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করতে পারি। দুপুর দুটোয় তাঁদের এজলাসে ডেকেও পাঠাতে পারি।
তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে মরিয়া সরকারি আইনজীবী আদালতের কাছে কিছু সময় প্রার্থনা করেন। দুপুর দুটো পর্যন্ত সময় দেন বিচারপতি। সেইসঙ্গে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে এজলাসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। দুপুর দুটো নাগাদ অ্যাডভোকেট জেনারেল এজলাসে এলে বিচারপতি তাকে বলেন, ১৫ জুলাই মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে আলাদা আলাদাভাবে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন আদালতের নির্দেশ মান্য করা হয়নি।
কিন্তু কেন এদিন এত ক্ষুব্ধ হলেন বিচারপতি? আইনজীবী মহল মনে করছে, এর আগে রাজ্য সরকারকে লেখা চিঠিতে কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রচারপর্বের জন্য মোট ৩২ হাজার পুলিশ দরকার। সেই একই চিঠিতে প্রচারপর্বে গ্রাম পঞ্চায়েত পিছু ১০ জন সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের কথাও বলা হয়। ৪ জুন কমিশনের এই চিঠি অনুযায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এর দেড় মাস পরেও ফের একই অভিযোগ ওঠাতেই বিচারপতি এদিন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বলে মনে করছে আইনজীবী মহল। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এদিন বিচারপতি বুঝিয়ে দিলেন, আদালতের নির্দেশকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। আদালত যা বলবে, সেটা মানতে হবে। এটাই সংবিধানের বিধান।