এপিপি, কলকাতা : বাংলার সর্বকালের সেরা নয় রতœকে সম্মান জানালো রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে, সোমবার অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান দেয়া হয় স্ব স্ব ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের সর্বকালের সেরা নয় ব্যক্তিত্বকে। তাঁরা হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যশিল্পী অমলা শঙ্কর, বিখ্যাত সরোদবাদক আমজাদ আলি খান, স্বনামধন্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতাদেবী, কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্না, সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভারতীয় সংগীতশিল্পী মান্না দে, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, উত্তমযগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নায়িকা সুপ্রিয়াদেবী ও বিশিষ্ট অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম সরকারের আমলে যোগ্যতার মাপকাঠিতে কখনও তাঁরা প্রাপ্য সম্মান পাননি। কিন্তু তাঁদের কৃতিত্বকে গৌরবাম্বিত করতে ও তাঁদের শ্রেষ্ঠত্বকে সেলাম জানাতে এগিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বকালের সেরা এই ‘নবরতœ’কে সম্মান জানাতে আগেই তিনি সূচনা করেছিলেন ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার। সোমবার সেই বিশেষ দিনে বর্ণময় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্মান জানানো হয় ‘নবরতœ’কে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মা-মাটি-মানুষের সরকারে পুরো মন্ত্রিসভা। ছিলেন শিল্প-কলা-সংস্কৃতি-বুদ্ধিজীবী মহলের বিশিষ্টরা। কেন্দ্রীয় স্তরে ‘পদ্ম’ পুরস্কার রয়েছে। আর এবার সেই আদলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে চালূ হল ‘বঙ্গ’ পুরস্কার। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে স্বভাবতই আপ ুত বাংলার শিল্প-কলা-সংস্কৃতি-বুদ্ধিজীবী কিংবদন্তিরা। গতকাল সোমবার গুণীজনদের সম্মান প্রদর্শনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও হয়। রশিদ খানের উচ্চাঙ্গসংগীততের সঙ্গে সেখানে ছিল নচিকেতার জীবনমুখী গান।
0 Comments
এপিপি, কলকাতা : ভারতের অভ্যন্তরে জঙ্গি সংগঠনগুলি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যথেষ্ট দক্ষ হয়ে উঠেছে। ফলে ভারতের অভ্যন্তর থেকেই বড় বিপদ ঘটার সম্ভাবনা বাড়ছে। একথা জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, দেশীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির উন্নতির পারা এতটাই চড়েছে যে বাইরে থেকে তাদের আর সাহায্য নেওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই। দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে চিদম্বরমের কথা বলার সময়ে ১৩ জুলাইয়ে মুম্বাই বিস্ফোরণের প্রসঙ্গও ওঠে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, মুম্বাই পুলিশ বেশ কিছু সূত্র পেয়েছে। কিন্তু এখন সে সম্বন্ধে কিছু বলার সময় আসেনি। মুম্বাইয়ের জাভেরি বাজার, অপেরা হাউস এবং দাদারে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণ নিয়ে যথেষ্ট চাপে মুম্বাই পুলিশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র দপ্তরও। এখনও পর্যন্ত এই নাশকতার পিছনে কোন সংগঠন রয়েছে তার হদিশ হরতে পারেনি তদন্তকারী দল। সাফল্য বলতে শুধু এক সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ। ফলে, সাংবাদিক সম্মেলনে বারবার প্রশ্ন ওঠে ভারতের মধ্যে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে। চিদম্বরমকে প্রশ্ন করা হয় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের কার্যকলাপ নিয়ে। তখনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশীয় জঙ্গি সংগঠনগুলি নাশকতার কাজে যথেষ্ট দক্ষ হয়ে উঠেছে। এখন আর তারা বাইরের সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করে থাকে না। সংগঠনগুলি নিজেরাই বোমা বাঁধতে এবং সরবরাহ করতে শিখে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের অভ্যন্তরে থেকেই নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন চিদম্বরম। মুম্বাই বিস্ফোরণের জন্য ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনকে সন্দেহ করা হচ্ছে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে চিদম্বরম জানান, মুম্বাই পুলিশ আমাকে কোনও তথ্য দেয়নি। ফলে আমি এখনই কিছু বলতে পারি না। কিন্তু, মুম্বাই পুলিশ তদন্তে কিছুটা সাফল্য পেয়েছে বেল জানিয়েছেন তিনি। তবে ২০১০ সালে পুণে এভং সাম্প্রতিক মুম্বাই বিস্ফোরণে মুম্বাই পুলিশ বা স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষে খারাপ রেকর্ড কিনা জানতে চাইলে চিদম্বরম জানান, অনেক ভালো কাজের রেকর্ডও আছে তাদের স্বপক্ষে। উদয়ন পাল, কলকাতা : তিন দশক অতিক্রান্ত তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তবু আজও অষ্টাদশী থেকে আশি নারীমন তাঁর প্রেমে পড়ে আছে। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী উত্তরকুমার। উত্তম-ম্যাজিক আচ্ছন্ন বাঙালি এখনও নস্ট্যালজিয়ায় বুঁদ হয়ে আছেন। তাঁরই ৩১তম প্রয়অণবার্ষিকীতে সপ্তাহভর বড়পর্দায় দেখা যাবে তাঁরই অভিনীত একগুচ্ছ সিনেমা। অনুষ্ঠানের যৌথ উদ্যোক্ত ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ও শিল্পী সংসদ। আজ রবিবার ২৪ জুলাই কলকাতার উত্তমমঞ্চে এই চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা করবেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যসভার সাংসদ সৃঞ্জয় বোস, ইআইএমপিএ-র সভাপতি বিজয় কল্যাণী, অভিনেত্রী সুপ্রিয়াদেবী, মাধবী মুখোপাধ্যায়, রতœা ঘোষাল, শুকুন্তলা বড়–য়া, সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাদ্যায়, সঙ্গীত শিল্পী বনশ্রী সেনগুপ্ত প্রমুখ। উত্তমমঞ্চের বড়পর্দায় মহানায়কের ছবি দেখা যাবে ৩০ জুলাই অবধি। রোজ বেলা তিনটে আর সন্ধ্যা ছ’টায়। ওই দিন উত্তর কলকাতার স্টার থিয়েটারে এই চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের পূর্ত বিভাগের প্রতিমন্ত্রী সব্রত সাহা। উপস্থিত থাকবেন ডেপুটি মেয়র ফরজানা আলম, বিএফজেএ’র সভাপতি বিজয় রায়, অভিনেতা দুলাল রায়, সুধীন সরকার, অমর সেন প্রমুখ। শিল্পী সংসদের সম্পাদক সাধন বাগচী জানিয়েছেন, এই ‘রেট্রোস্পেক্টিভ’-এর টিকিট বিক্রির টাকায় দুঃস্থ শিল্পীদের পাশে দাঁড়াবেন তাঁরা। এছাড়া রোববার সকালে মহানায়কের প্রয়াণদিবসে টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর সামনে তাঁর মূর্তিতে অনুরাগীদের মাল্যদান ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের আয়োজন করেছে উত্তর স্মৃতি সংসদ। উপস্থিত থাকবেন টালিগঞ্জের কলাকুশলী ছাড়াও ভিন্ন ক্ষেত্রের গুণিজনরা। পাশাপাশি ওই দিনই সন্ধ্যায় তপন থিয়েটারে মহানায়কের নামে ‘উত্তম কলারতœ পুরস্কার’-এর আয়োজন করেছে বাংলা চলচ্চিত্র প্রচার ও প্রসার সমিতি। অনুষ্ঠানে বাংলা চলচ্চিত্র সঙ্গীত ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট গুণিজনদের ‘উত্তম কলারতœ পুরস্কার’এ সম্মানিত করা হবে। অনুষ্ঠানে বাংলা চলচ্চিত্র সঙ্গীত ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট গুণিজনদের ‘উত্তম কলারতœ পুরস্কার’এ সম্মানিত করা হবে। উদয়ন পাল, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম পরিবর্তন এবং জেলা ভাগের বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী ৩ আগষ্ট সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হচ্ছে। শুক্রবার কলকাতার মহাকরণে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিধানসভায় যে সমস্ত দলের প্রতিনিধি রয়েছে, কেবলমাত্র তাদেরই ডাকা হবে ওই বৈঠকে। ব্রিগেডের সভায় মুখ্যমন্ত্রী এদিন বেশ কিছু প্রশাসনিক ঘোষণাও করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, প্রশাসন-পুলিশের কাজের সুবিধার্থে ইতিমধ্যেই আসানসোল-দুর্গাপুরে পৃথক কমিশনারেট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, একইরকম কমিশনারেট হবে হাওয়া এবং দুই ২৪ পরগনায়। এদিকে, রাজ্যের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো সর্বদলীয় বৈঠকের বিষয়ে সি পি এম তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব বলেন, যে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, সেটা ভেবে দেখা হবে। তবে সর্বদলীয় বৈঠকের বিষয়ে সরকারিভাবে চিঠি পেলে আলোচনা করে ঠিক করা হবে, তাতে আমরা অংশ নেব কি না সেটা এখনিই বলা যাচ্ছে না। এপিপি, কলকাতা : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনেস্কো ‘ওয়াল্ড হেরিটেজ’ ঘোষণা করল বা না করল তাতে বিশ্বভারতীর কিছু এসে যায় না। গুরুদেবের অবদান ইউনেস্কোর স্বীকৃতির উপর নির্ভরশীল নয়। একথা স্পষ্ট জানালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য রজতকান্ত রায়।
বুধবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপাচার্য রজতকান্ত রায় বলেন, ‘বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের দরকার আছে বলে মনে করি না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আবেদন করা হয়েছে। শান্তিনিকেতনে গুরুদেবের যে অবদান তার স্বীকৃতি ইউনেস্কোর উপর নির্ভর করে না। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হল বা না হল গুরুদেবের কিছু যায় আসে না। ব্যক্তিগতভাবে আমারও কিছু যায় আসে না।’ ২০০৯ সাল থেকে ‘ওয়াল্ড হেরিটেজে’র স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকাতে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে পাঁচিল তুলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন পাঁচিল তোলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ‘ওয়ার্ল্ড’ হেরিটেজে’র দোহাই দিয়ে যেভাবে পাঁচিল তুলেছেন, তা রবীন্দ্রনাথেল চিন্তাধারার সঙ্গে মেলে না। এই প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘গুরুদেবের আদর্শকে আমরা নষ্ট করছি না। প্রকৃতিকে আমরা সংরক্ষণ করছি না। তা না হলে জঙ্গলে পরিণত হবে বিশ্বভারতী। আগামী ২৮ জুলাই উপাচার্য রজতকান্ত রায় অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু গত পাঁচ বছর তিনি কী কাজ করেছেন বা করতে পারেননি তা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি একরাশ দুঃখ েিনয় যাচ্ছি।’ পরে সহ-উপাচার্য উদয় নারায়ণ সিংহ জানান, বিশ্বভারতী ২০০৬ থেকে ২০০৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দুই ধরনের উন্নয়নের কাজ হয়েছে ২০০৬ থেকে বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। কিন্তু ২০০৯-২০১১ প্রধানত সংস্কারের কাজ হয়েছে। তিনি জানান, সাড়ে ছ’কোটি টাকা ব্যয় করে ১৭টি বাড়ির সংস্কার করা হয়েছে। সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ে কেনা বইগুলি এবং তার লেখা বইগুলি ডিজিটাইলাএজশন করা হয়েছে। লিপিকাতে যে পাণ্ডুলিপি রয়েছে তার সংরক্ষণ করা হচ্ছে ও দেওয়াল চিত্রগুলি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সাড়ে আট কোটি টাকা দিয়ে রবীন্দ্রনাথেল বিভিন্ন অপ্রকাশিত ২০৬৫টি ছবির সংকলন তৈরির কাজ চলছে। তিনি জানান, বিশ্বভারতীর ১৮ একর জমি আদিবাসীদের দেওয়া হয়েছে। ৬০ একর জমি বিভিন্ন ব্যক্তিকে বাসস্থানের জন্য দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে যারা উদ্বাস্তু রয়েছেন তাদের পাট্টা দেওয়া এপিপি, কলকাতা :পশ্চিমঙ্গ রাজ্যে জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছে। মুম্বাইতে নাশকতা ঘটানোর পর এবার পশ্চিমবঙ্গে বড় ধরনের নাশকতা করতে তিনজন কুখ্যাত জঙ্গি রাজ্যে ঢুকে পড়েছে। এই তিন জঙ্গির মধ্যে একজন পাকিস্তানের, আর দুজন বাংলাদেশে। বাংলাদেশের দুই জঙ্গির নাম হাবিব খান ও গোলাম খান। এই দুই জনের বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল াতে এবং অন্য জঙ্গি সওকত হোসেনের বাড়ি পাকিস্তানের করাচিতে। রাজ্যে বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে এই তিন জঙ্গি এখন গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। এদের সঙ্গে অন্য কেউ রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে কোনও হদিশ দিতে পারেনি গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা দফতরের কর্তারা রাজ্য সরকারকে এই তিন জঙ্গির ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, শিলিগুড়িতে বড় কিছু নাশকতা করবে এরা। সেকারণেই এই তিনজনের ব্যাপারে রাজ্য গোয়েন্দা কর্তাদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে গা ঢাকা দেওয়ার জন্য অপরাধীদের কাছে কলকাতা একটা নিরাপদ জায়গা। ভিন রাজ্যে নাশকতা ঘটিয়ে তারা পশ্চিমবঙ্গে এসে আÍগোপন করে। মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত এমন দুজনের সন্ধান পাওয়া গেছে কলকাতাতেই।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওড়া স্টেশনে পুলিশের জালে ধলা পড়েছে একজন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে গোয়েন্দারা। মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্ত অপর একজন এখনও নিখোঁজ। আবদুল া নামে নিখোঁজ এই জঙ্গি কুখ্যাত জঙ্গি আমির রেজা খানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। আবদুল ার বাড়ি কলকাতার পার্ক সার্কাসের মফিদুল ইসলাম লেনে। এর খোঁজে পুলিশের রাতের ঘুম ছুটে গেছে। এরপর আবার আরও তিন জঙ্গির রাজ্যে প্রবেশবার্তা জানিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের সতর্কবাণী। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সমস্ত থানাগুলিকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তিন জঙ্গির ছবি জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষত শিলিগুড়ি অঞ্চলের হোটেল, পেট্রোল পাম্প ও রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে নজরদারি বিশেষভাবে বাড়ানো হয়েছে। ভিভিআইপিদের ওপর আক্রমণ হতে পারে জানিয়ে রাজ্যের গোয়েন্দা দফতরকে সতর্ক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সিবিআই ইন্টারপোলের কাছে রেডকর্নার নোটিশ জারি করার আবেদন করেছে। মুম্বাই, কলকাতা, আমেদাবাদ, দিল কেও বাড়তি নজরদারীর কথা বলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পার্সেল, ফুলের বোকে প্রভৃতির ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উদয়ন পাল, কলকাতা: তরাই ও ডুয়ার্সের এলাকাকে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না করলে এর নির্বাচন হতে দেবেন দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। এর প্রত্যুত্তরে তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, এটা আদতে মোর্চার অন্দরমহলের রাজনীতি। মানুষকে ভোটের আগে দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্র“তির পথ থেকে পিছিয়ে আসতে হবে এই ভয়ে গুরুং এখন উল্টোপথে হাঁটতে চাইছেন বলেই এমন অদ্ভুত দাবি করছেন। তবে যে চুক্তিতে ওরা সই করেছে তা থেকে ওদের পিছিয়ে আসার কোনও উপায়ই নেই। অন্যদিকে, পাহাড় চুক্তির বিরুদ্ধে আবারও সমালোচনায় মুখর হয়েছে সিপিএম। বুধবার গুরুং মুখ খোলার পরই বিশিষ্ট সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, আমাদের পুরোপুরি অন্ধকারে রেখেই হয়েছে এই চুক্তি। মমতা যদিও রাজ্য ভাগ হবে না মুখে বলছেন কিন্তু আসলে চুক্তির ফলে বিপদ বাড়বে। চুক্তি কার্যকরী হলে পাহাড়ে অশান্তি বাড়বে বই কমবে না। উদয়ন পাল, কলকাতা: মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনায় কলকাতার এক জঙ্গিকে খুঁজছে পুলিশ। শনিবার মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশের কাছে আবদুল া ওরফে নাটা নামে ওই জঙ্গি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। মুম্বাই পুলিশের কাছে খবর, আবদুল া ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রধান পান্ডা আমির রেজা খানের ডান হাত হিসাবে কাজ করছিল। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর মূল দায়িত্বে ছিল আবদুল া। কলকাতার পার্ক সার্কাসের মফিদুল ইসলাম লেনে আমির রেজার বাড়ির কাছেই আবদুল ার বাড়ি। মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে হানার ঘটনাতেও আবদুল া জড়িত। ওই ঘটনার পর থেকেই গত ন’বছর আবদুল া পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মুম্বাই পুলিশ আরও দু’টি নামের ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের কাছে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে। ওই দুই সন্দেহভাজন গত কয়েকদিনে কলকাতা থেকে ট্রেনে চেপে মুম্বাই অথবা লখনউ গিয়েছিল কি না, সেব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। তাদের নাম ধরে মুম্বাই ও লখনউয়ের সমস্ত ট্রেনের রিজার্ভেশন লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, তারা সরাসরি ট্রেনে অথবা লখনউ পর্যন্ত ট্রেনে গিয়ে সেখান থেকে বিমানে মুম্বাই যেতে পারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বাই বিস্ফোরণের পরই ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাদের ধাণা ছিল, এর পিছনে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হাত রয়েছে। বিস্ফোরণের তারিখ, বিস্ফোরণস্থল বাছা, সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটানো দেখেই গোয়েন্দা কর্তারা এই মতামতে পৌঁছেছিলেন। মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের বেশ কয়েকটি ডেরা এবং অনুগামী রয়েছে। মুম্বাই পুলিশ আবদুল া সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় কলকাতা পুলিশ নড়েচড়ে বসে। মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে হানার অনেক আগেই আমিরের দাদা আসিফ রেজা খানের সংস্পর্শে এসে আবদুল া জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছিল। তথ্যকেন্দ্রে হানার পর মহম্মদ সাদিক ওরফে সাদাকাতের সঙ্গে আবদুল াও কলকাতা ছেড়ে পালায়। সাদাকাতই তথ্যকেন্দ্রের সামনে গুলি চালিয়ে পুলিশকর্মীদের হত্যা করেছিল। সাদাকাতকে ২০০৯ সালে মুম্বাই থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে আমেদাবাদে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গোয়েন্দারা জেনেছেন, সাদাকাত গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবদুল াই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর দায়িত্বে রয়েছে। কলকাতা পুলিশ জেনেছে, কয়েক মাস আগে আবদুল ার বাবা মারা যান। তখন আবদুল া বাড়িতে ফোন করে কয়েকদিন কথাবার্তা বলে। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে সে পার্ক সার্কাসে আসেনি। বছর দুয়েক আগে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে কলকাতার কয়েকজন শিল্পপতি ও হোটেল মালিকের কাছে মোটা টাকা চেয়ে ফোন এসেছিল। গোয়েন্দারা তদন্ত করে দেখেছিলেন, আমির রেজা খানের নাম করে বিদেশ থেকে ফোন করা হলেও, ভারতে এবং কলকাতার ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের নিয়ে তাকে তথ্য জোগাচ্ছিল আবদুল া। এপিপি, কলকাতা: বিস্ফোরণ, বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বাই যেন অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে। ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাাতিক বিমানবন্দর থেকে ভিটি স্টেশন, কোলাবার গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া থেকৈ সেনাপতি বাপট মার্গ, মহালক্ষ্মী থেকে নাগপাড়া, কিংবা গরকালের তিন বিস্ফোরণস্থল জাভেরি বাজার, অপেরা হাউস, দাদরের কোণে কোণে মুম্বাইকারদের মুখে একটাই কথা, ‘ঢের হয়েছে। আর নয়। আর কত বিস্ফোরণের দগদগে ঘায়ে কলঙ্কিত হবে এ শহর ? আর কত প্রাণের বিনিময়ে শোধ করতে হবে বাণিজ্যনগরীর মহিমা ? আর কত বার মার খাওয়ার পরদিনই ঘুর দাঁড়িয়ে হার না মানার সংকল্প দেখাতে হবে ? মায়ানগরী তো ক্রমেই ধামাকা নগরীতে পরিণত হচ্ছে।’ এবারের ধামাকার পর মুম্বাইবাসী ক্ষোভ যেন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। কারণ, ২৬/১১-র তাজ, নরিম্যান হাউস, ট্রাইডেন্টে সন্ত্রাসবাদী হানার ঘটনায় ধৃত আজমল কাসাভ। শুক্রবার মুম্বাইকারদের কাছে ধামাকা প্রসঙ্গ তুলতেই একই কথা শুনেছি। মনে হয়েছে, যেন কেউ শিখিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। যার মোদ্দা অর্থ হল, কাসাবের জন্য নিরাপত্তা আর আমাদের জন্য আই ই ডি ? বন্ধ হোক এই প্রহসন। আমাদের হন্য সীমা ছাড়াচ্ছে। চলতি সিরিয়াল বিস্ফোরণের পর মুম্বাইবাসীর মোদ্দা প্রতিক্রিয়া এটাই। অপেরা হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে হীরে ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছিল, কোনও রাজনেতাকে হাতের কাছে পেলে এঁরা বোধ হয়, মারধরই করে বসবে। তাজে হামলার পরও মুম্বাইয়ের সিভিল সোসাইটি রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। মোমবাতি মিছিল হয়েছিল। পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গেও বহু মোমবাতি জ্বলেছে। আবার সেই একই প্রতিক্রিয়া মুম্বাইয়ের। অপেরা হাউস এলাকার তিন দশকের বাসিন্দা শৈলেশ ভাই, নৈলেশ ভাই বলছিলেন, ১০ হাজার ব্যবহাসী এখানে কারবার করে। ভারতের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি শুল্ক আসে এখান থেকে। আমাদের করের টাকায় কাসাভ খেয়ে-দেয়ে নাদুসনুদুস হচ্ছে, আর আমাদের কপালে জুটছে বোমা। আমাদের জীবনের কোনও মূল্য নেই ? আর এক হীরে ব্যাবসায়ী সমীর শেঠ এতটাই চটে আছেন যে, তিনি বললেন, আমাদের শেঠনি’রা কাঁদবেন আর কাসাভ জেলে বড় হবে। রাজনেতাদের নিরাপত্তা বাড়বে। যদি লিখতে হয়, এটাই লিখবেন, যারা কাসাভকে ফাঁসিতে ঝোলাতে ভয়ে মরে, তাদের সাধারণ মানুষের জীবনরক্ষার দায়ও নিতে হবে। আমাদের টাকায় কাসাভের মতো জঙ্গিদের নিরাপত্তা দেওয়া চলবে না। শুধু হীরে ব্যবসায়ীরাই নন, ট্রম্বের বাসিন্দা জাভেরি বাজরের কর্মচারী মহম্মদ ফারুক কিংবা দাদরের বাসিন্দা রাজু ভাই শাহের প্রশ্ন, এভাবে বাঁচব কী করে। প্রতিদিন বাড়ি ফিরে যদি ভগবানকে ধন্যবাদ দিয়ে বলতে হয়, যাক আজ অন্তত বিনা ধামাকাতেই দিনটা কাটল, তাহলে কেমন লাগে। এপিপি, কলকাতা : লস্কর-ই-তৈবার সম্মুখ সংগঠন জমাত-উদ-দাওয়ার ‘আপাত নিরীহ’ ওয়েবসাইটে লেখা ‘ইসলামিক জিহাদ’ বা ‘হাফিজ সঈদ’ লিঙ্কগুলি ভাবিয়ে তুলেছে ভারতের গোয়েন্দাদের। ওই লিঙ্কগুলির মাধ্যমে জঙ্গিদের মধ্যে যোগাযোগের সম্ভাবনা গোয়েন্দারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বুধবার মুম্বাইয়ে সিরিয়াল বিস্ফোরণের পর ওয়েবসাইটটি নতুন করে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে গোয়েন্দারা। লস্কর-ই-তৈবার বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের মুল হাতিয়ার ওই ‘আপাত নিরীহ’ ওয়েবাসাইটকে সামনে রেখে জিহাদিদের লড়াই ও লস্করের শীর্ষনেতা হাফিজ মহম্মদ সঈদের প্রচারের বিষয়টিকেও সামনে রাখছেন গোয়েন্দারা। শুধু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নন, কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে পর্যন্ত লস্কর-ই-থৈবার সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ ও ভারতবিরোধী বক্তব্য ছড়ানের বড় হাতিয়ার ছিল সম্মুখ সংগঠন জমা-উদ-দাওয়ার ওয়েবসাইটটি। শুধু ভারতবিরোধী প্রচারই নয়, তার সঙ্গে লস্করের নেতারা নিজেদের মতামতও ব্যক্ত করতেন ওই ওয়েসবসাইটের মাধ্যমে। প্রায়ই লস্করের শীর্ষনেতা হাফিজ সঈদ ও অন্যান্য নেতারা নিজেদের কথা বলতেন। ওই ওয়েবসাইটের ব গের মাধ্যমে সুযোগ ছিল লস্করের নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে লস্কর-ই-তৈবা সেরে নিত নিয়োগের প্রাথমিক কাজও। তাই ওই ওয়েবসাইটের উপর সর্বক্ষণ নজরদারি ছিল গোয়েন্দাদের। গত ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে হামলার পর লস্করের ওই সংগঠন জমাত-উদ-দাওয়া নিষিদ্ধ হয়। তারপর ওই ওয়েবসাইটটিকেও ‘আপাত নিরীহ’ করে তুলতে শুরু করে লস্কর। এখন ওয়েবসাইটিতে কয়েকটি ীরঙ্ক রয়েছে, সেগুলির মাধ্যমে অন্যান্য ওয়েবসাইটে পৌঁছে যাওয়া যায়। এমনকী বিভিন্ন দেশের যুবক-যুবতীদের বিয়ের ক্ষেত্রেও লস্করের এই ওয়েবসাইটটি ঘেঁটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সন্দেহজনক কিছুর সন্ধান করেছিলেন। বুধবার মুম্বাইয়ের বিস্ফোরণের পর ওই ওয়েবসাইটটি নতুন করে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ওয়েবসাইটে দু’টি নামে ওই দু’টি লিঙ্ক ইতিমধ্যেই ঘেঁটেছেন গোয়েন্দারা। এগুলিতে ক্লিক করলেও ভেসে উঠছে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ওই ওয়েবসাইটগুলিও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। গোয়েন্দাদের মতে, এমনও হতে পারে যে, জমাত-উদ-দাওয়ার ওয়েবসাইটের সামনের পাতায় কিছু না রেখে ওই বিশেষ দু’টি সন্দেহজনক লিঙ্কোর মাধ্যমে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে অন্য কোনও ওয়েবসাইটের সঙ্গে। সেই ওয়েবাসাইটগুলির মাধ্যমে লস্কর-ই-তৈবা আগের মতো বাইরে যোগাযোগ রাখছে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
উদয়ন পাল, কলকাতা: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে লোকপালের আওতায় নেওয়ার পক্ষে নন তিনি। শুক্রবার এমনটাই বলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, ভারতে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি তিনি লক্ষ্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর উপরে লোকপাল জারি হলে সেটা হবে অস্বাস্থ্যকর। ফলে প্রধানমন্ত্রী লোকপালের অধীনে যেতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার পর তিনি লোকপালের আওতায় আসতে পারেন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে লোকপাল বিলকে একটি ভালো পদক্ষেপ বলে ব্যাখ্যা করে রাহুল বলেছেন, এটা দুর্নীতি ঘটে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অথচ দুর্নীতি ঘটার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থায় দুর্নীতি গভীর এক ক্ষত তৈরি করেছে বলে কংগ্রেসের এই সাংসদ এদিন স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এর বিপরীত কর্মকাণ্ড গড়ে ওঠায় সাহায্য করতে পারে নতুন প্রজন্মের রাজনীতি। দুর্নীতি দমনে প্রধানমন্ত্রী এবং ইউপিএ সভানেত্রী কঠোর ও তৎপর বলে দাবি করেছেন রাহুল। তিনি উলে খ করেন যে, তাদের সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে। মন্ত্রীদের জেলে ঢুকিয়েছে। এখন দুর্নীতি নিয়ে চিৎকার করছে বিরোধীরা। কিন্তু দুর্নীতির ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ এবং ওড়িশার মতোই কর্নাটক। বিরোধীরা সেখানে ক্ষমতাসীন হলেও ব্যতিক্রম নয় কর্নাটক। এপিপি, কলকাতা : পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবিতে মঙ্গলবার ফের রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন সকালে ছাত্ররা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। রাজভবনের দিকে যাওয়া ছাত্রদের এক মোটরবাইক মিছিল পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ছাত্ররা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে তারা। শুরু হয় ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকার পরও তা অমান্য করার দায়ে একাধিক ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হায়দ্রাবাদ এবং তেলেঙ্গনার অন্যান্য জেলায় ছাত্রদের গ্রেফতার করা সত্ত্বেও আর্টস কলেজে ছাত্ররা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছে এদিন। এর ফলে উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে যায়।
এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে চতুর্থবার ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে ছাত্ররা। ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। পাথর ছুড়তে থাকা ছাত্রদের তাড়া করছে এই বাহিনী। শহরের বিভিন্ন অংশ এবং অন্যান্য জেলা থেকে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা ছাত্রদের গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। ছাত্রদের অনির্দিষ্টকালের অনশন কর্মসূচি বানচান করতে রোববার রাত থেকেই পুলিশ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল নিয়েছে। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ সংগ্রাম কমিটি বলেছে যে, তাদের কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে হায়দরাবাদ যাওয়া ঠেকাতে ওয়ারাঙ্গল, করিমনগর, নালগোন্ডা এবং অন্যান্য শহরের একাধিক ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদে ওয়ারাঙ্গলের কাকাতিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করে দিয়েছেন। তেলেঙ্গনার ১০টি জেলার্য় শতাধিক ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তেলেঙ্গনা রাষ্ট্রিয় সমিতির নেতা ই রাজন্দিার। পুলিশ তাদের কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করলেও সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে যৌথ সংগ্রাম কমিটি। আর্টস কলেজে সকাল ১১টায় ছাত্ররা অনশন শুরু করে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটে পুলিশ প্রহরা থাকলেও কৌশলে অনশন ‘মঞ্চে পৌছে গিয়েছেন যৌথ সংগ্রাম কমিটির রাজনৈতিক আহ্ায়ক এম কোদানদারাম সহ বেশ কয়েকজন নেতা। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ সংগ্রাম কমিটির কর্মসূচি বানচাল করতে ক্যাম্পাস দখলে নিয়েছে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। পুরো এলাকা ব্যারিকেড করে রাখার ফলে প্রবল উত্তেজনা রয়েছে। পৃথক তেলেঙ্গনার দাবিতে ১০০০০ ছাত্র অনশনে বসবে বলে পরিকল্পনা করেছিল কমিটি। কিন্তু হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার এ কে খান বলেছেন ওই কর্মসূচির কোনও অনুমতি ছিল না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে তিনি বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঢোকা নিষিদ্ধও করেছেন। শহরে পাঁচ বা তার বেশি মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত নির্দেশের প্রতি তিনি এদিন আলোকপাতও করেছেন। তেলেঙ্গনা বিক্ষোভের øায়ুকেন্দ্র ওসমানিয়ায় এই মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। এপিপি, কলকাতা: ফের মাওবাদী ইস্যু নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অস্বস্তিতে ফেললেন তৃণমূলের বিতর্কিত সাংসদ সদস্য কবীর সুমন। জঙ্গলমহল থেকে অবিলম্বে যৌথ বাহিনী তুলতে হবে। মঙ্গলবার কলকাতা ইউনিভারসিটি হলে আয়োজিত এই কনভেনশনে তিনি দাবি করেন রাজ্যের সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যখন নিজেই জঙ্গলমহলে উপস্থিত তখন তাঁরই দলের সাংসদ সদস্যের এহেন আচরণ নতুন করে বিতর্কের ইন্ধন জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এ পি ডি আর, লালগড় মঞ্চ, মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতি, নারী ইজ্জত বাঁচাও কমিটি, বন্দি মুক্তি কমিটিসহ বেশ কিছু সংগঠনের ডাকা এই আলোচনা চক্রে জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরাতে রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার সমালোচনা করা হয়। পাশাপাশি বন্দিমুক্তি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হন বক্তারা। রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হওয়া এই আলোচনাসভায় সক্রিয়ভাবেই অংশ নেন সুমনবাবু। কবীর সুমন মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গল মহল সফরকে স্বাগত জানালেও তিনি যেভাবে বিনা শর্তে যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার দাবি তুলেছেন তা কার্যত দলনেত্রীর উদ্যোগের বিরোধিতার সামিল। শুধু তাই নয় তাঁর সহকর্মী রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর নাম করেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের এই বিতর্কিত সংসদ সদস্য। তাঁর দাবি, সম্প্রতি পূর্ণেন্দুবাবু এক টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন প্রয়োজনে জঙ্গল মহলে বন্দুক হাতে উন্নয়ন করতে হবে। ‘শ্রমমন্ত্রীর এই কথায় আমি শঙ্কিত বলে দাবি করেছেন কবীর সুমন।
তিনি মনে করেন, জঙ্গলমহলে যৌথ বাহিনী রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী একবারও সেখানে যাওয়ার সাহস না দেখালেও মমতার যাওয়াটা ইতিবাচক বলেই তাঁর ধারণা। মুখ্যমন্ত্রী বন্দিদের প্রত্যেকের মামলা আলাদা আলাদা করে বিবেচনা করে তবেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার বিরোধিতা করেছেন কবীর সুমন। তাঁর মতে, ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার যেভাবে সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি দিয়েছিল সেই মডেলেই বর্তমান বন্দিদের বিষয়টি দেখা উচিত। এছাড়া ইউ এ পি এ আইন বাতিলের দাবিও তোলেন তিনি। এদিনের সভায় জঙ্গলমহল থেকেও বেশ কিছু প্রতিনিধি অংশ নেন। এপিপি, কলকাতা: জনসংখ্যা বৃদ্ধি রুখতে যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্ান জানাল নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে জন্মহার কমাতে মহিলাদের মতামতের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিকেও জোরদার করার পরিকল্পনা নিল নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে আঠারোতে প্রাপ্তবয়স্ক হলেও মেয়েদের কমপক্ষে ২০ বছর বয়সের আগে বিয়ে না করারই পরামর্শ দিল নয়াদিল্লি। ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন সহ যোজনা কমিশনের সদস্য (স্বাস্থ্য) শাহিদা হামিদা, স্বাস্থ্যসচিব কে চন্দ্রমোলি, বিশেষ সচিব পি কে প্রধান সহ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জনসংখ্যা স্থিরতা কোষের কার্যনির্বাহী অফিসার ধরিত্রী পান্ডা প্রত্যেকই একই সুরে সামাজিক উন্নয়নের কথা বলেন। গত দশ বছরে সমস্ত ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি বেড়ে গিয়ে ১২১ কোটিরও বেশি হয়ে যাওয়ায় চিন্তিত নয়াদিল্লি তরুণদের সচেতন হওয়া তথা সমাজকে সচেতন করতে দূত হিসেবে কাজ করার কথা বলেন।
জনসংখ্যার বিচারে ভারত এই মুহূর্তে বিশ্বের দ্বিতীয়। চিনের পরেই। তবে বর্তমান জন্মহার বজায় থাকলে ২০২০ সালে তা ১৩৯ কোটি হবে বলে উল্লেখ করেন অজয় মাকেন। বলেন, সেদিন আমরা জনসংখ্যায় চিনকেও ছাপিয়ে যাব। অথচ কার্যক্ষমতায় চিন বা জাপানকে ছুঁতে পারছি কই ? প্রশ্ন রাখেন তিনি। উদয়ন পাল, কলকাতা: পদ্মার ইলিশ বাঙালির পাতে সহজলভ্য করতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের হস্তক্ষেপ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে মমতা বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার পদ্মার ইলিশের উপর ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ধার্য করেছে। ফলে ইলিশের উৎপাদন যাই হোক না কেন, আমদানিকারীদের ভারতে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আনতে সরকার নির্ধারিত দরে তা কিনতে হচ্ছে। উৎপাদন বেশি হলেও বাজারে ইলিশের দাম কখনও কমছে না। সেই কারণে মমতা চান, বাংলাদেশ সরকার ইলিশের উপর ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য তুলে নিক এবং অবাধ রপ্তানির ব্যবস্থা চালু করুক। তাহলে রাজ্যের বাজারে সস্তায় পৌঁছাবে বাংলাদেশের ইলিশ। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর কালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি যাতে তোলেন, সেই অনুরোধই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাহুল গান্ধী এপিপি, কলকাতা : অঝোর বৃষ্টি। রাত থেকেই আকাশ ছিল থমথমে। অনেকেই ভেবেছিলেন, আকাশ থেকে তেড়েফুঁড়ে নামা বৃষ্টিতে হয়তো দফারফাই হল রাহুলের মহাপঞ্চায়েত। হল বরং ঠিক উল্টোটাই। হাজার হাজার মানুষ বৃষ্টি মাথায় করে রাহুলের কথা শুনলেন। মহাপঞ্চায়েতে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁরা সকলেই কিন্তু কৃষক নন। রাহুল গান্ধীর কথা শুনতে ভিড় করেছিলেন সাধারণ বহু মানুষও। শত্র“র মুখে ছাই। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে রাহুলের জনপ্রিয়তার গ্রাফ যে ঊর্ধ্বমুখী, তা জানান দিল আলিগড়ে মহাপঞ্চায়েত। শুক্রবার থেকেই আলিগড়ে মানুষের জমায়েত বাড়তে হোটেল, ধর্মশালায় ঘর পাওয়াই দুষ্কর। এক কথায়, মহাপঞ্চয়েতে রাহুল পেয়েছেন একশোয় একশো। জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে কৃষক রাজনীতিতে হাতেকড়ির পরপরই দারুণ নম্বর পাওয়া রাহুল বলেছেন, ‘‘সরকারি গজদন্তমিনারে বসে যোজনা কমিশন উন্নয়নের যে পরিকল্পনা করে, তার চেয়েও বেশি জীবনমুখী মাটিতে থাকা মানুষ। আমি তাই কেবলই শিখছি।” স্বাগত জানাল প্রবল করতালি। রাহুল বললেন, ‘‘এই কয়েকদিন পদযাত্রা থেকে যা শিখেছি, তা আমার জীবনকে ধন্য করেছে। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।” রাহুলের কথাবার্তা মা-মাটি-মানুষের আন্দোলনকেই মনে পড়িয়ে দিচ্ছে নাকি ? কথায় বলে, একটি স্ফুলিঙ্গই দাবানল জ্বালাতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের স্ফুলিঙ্গ এখন উত্তরেও। মাটির রাজনীতি যেন পুরনো গানের মতো লাবণ্য মেখে ফের ফিরছে। তাতে লাভ এই, মাটির মানুষের আশা জাগছে। না, আর একা নই, কেউ পাশে আছে। মহাপঞ্চায়েতে আসা কৃষকরাজ কিশোর যা বললেন তার সারমর্ম, কৃষকদের সুদিন আসছে। নতুন দিনের নায়ক হবেন চাষাভুষোরা। এ সময়ে এই রাজনীতির উদ্ভব তো উত্তরপ্রদেশে নয়, নতুন শতাব্দীর মাটির রাজনীতির সূতিকাগার তো বাংলা। সে কথাও এদিন একবাক্যে মেনেছে মহাপঞ্চায়েত। রাহুল, ‘চেয়েছিলাম কৃষকরা মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ করুন। পেরেছি।’ মহাপঞ্চায়েতে রাহুলের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সচিন পাইলট, রীতা বহুগুণার মতো নেতারা। রাহুল জানিয়েছেন, ইউপিএ সরকার কৃষকদের পাশে রয়েছে। আগামী বাদল অধিবেশনে কৃষক স্বার্থরক্ষায় জমি অধিগ্রহণ বিল আনতে চলেছে নয়াদিল্লি। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বলেছেন, ‘‘ওই নতুন বিল কৃষকদের উন্নয়ন ও কল্যাণের দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।” মহাপঞ্চায়েতের সাফল্যের মায়াবতীর ঘাড়ের উপর রাহুলের নিঃশ্বাস পড়ল। তবে কি বহেনজির ছুটির ঘন্টা বাজল ? আসছে বছর তার উত্তর দেবে ব্যালট। উদয়ন পাল, কলকাতা: জন লোকপাল বিল ইস্যুতে সরকারের উপর চাপ বহাল রাখলেন আন্না হাজারে। ১৬ আগস্টের প্রস্তাবিত অনশন থেকে তিনি পিছু হটছেন না, সে কথা রোববার আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন আন্না হাজারে। রামলীলা ময়দানে রামদেবের আন্দোলন বানচান করতে যেভাবে পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করা হয়েছে, যন্তরমন্তরে আন্না আয়োজিত আসন্ন অনশন আন্দোলনে তা প্রযুক্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত থাকলেও অনশন আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসছেন না প্রবীণ গান্ধীবাদী নেতা। সংসদের বাদল অধিবেশনে কড়া লোকপাল বিল পেশ করা না হলে ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হবে তাঁর আমরণ অনশন। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারত’ শীর্ষক আন্দোলনের মুম্বাই শাখা অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্না সমালোচনা করেছেন লোকপাল নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কপিল সিবালের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ারও। ভারতে নাগরিক সমাজের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে আটের দশকে রাজীব গান্ধীর পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা প্রচলনের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন হাজারে। বলেন, ভারতের পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা প্রচলনের জন্য তদানীন্তর প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজীব গান্ধী পাঁচ লক্ষেরও বেশি গ্রাম প্রধানের কাছে অভিমত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। বিষয়টি ঐতিহাসকি বলেই প্রয়াত গান্ধী গ্রাম প্রধানদের কাছে অভিমত চেয়েছিলেন। আসলে জনগণকে বিষয়টির সঙ্গে একাÍ করে তুলতে চেয়েছিলেন রাজীব। লোকপালের মতো বিলের ক্ষেত্রে নাগরিক সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করা অবশ্য করণীয় সরকারের। কড়া লোকপাল বিলের সমর্থনে আগামী ১৬ আগস্ট রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আলো নিভিয়ে দেশবাসীকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্ান হানিয়েছেন আন্না। লাঠি নয়, এবার তিনি গুলির মুখোমুখি হতে চান। এদিকে গত বছর কয়েকদিন পরিষেবা বন্ধের জন্য রিলায়েন্স-এর ক্ষতিপূরণে কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা পক্ষপাতমূলক আচরণে প্রধানমন্ত্রীকেই ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তাঁর কাছে আর্জি পেশ করেন সত্তরোর্ধ্ব গান্ধীবাদী নেতা। এপিপি, কলকাতা : ভারতের উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্মৌ থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে মালয়া স্টেশনের ফরিদপুরের কাছে দিল্লি-হাওড়া গামী কালকা মেলের ১৩টি বগি লাইন চ্যুত হয়। ভারতীয় সময় দুপুর ১২.১০ মিনিটে ট্রেনটি লাইন চ্যুত হয়। উক্ত ঘটনায় ২০ জন যাত্রী ঘটনা স্থলে মারা যান এবং ১০০ জনের বেশি গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন ও সরকারী নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্য চালায়। আহতদের ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এলাহবাদ ও কানপুর থেকে দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন এসে বগির মধ্যে আটকে থাকা যাত্রীদের গ্যাস কাটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সাহায্যে উদ্ধার করে। ঘটনার পর ঐ লাইনের কিছু ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তৎপরতার সাথে কাজ চালিয়ে বিকেল থেকে আমার স্বাভাবিক ভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তর ভারতীয় রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার এইচ সি যোশী জানান, চারটি এ সি কোচ, পাঁচটি স্লিপার কোচ-সহ ১৩টি সাধারণ কোচের বগি লাইন চ্যুত হয়। এদিকে ভারতীয় রেলের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, নিহতদের পরিবার পাঁচ লাখ টাকা ও যাঁরা গুরুত্বর আহত হয়েছেন সেই সমস্ত যাত্রীদের এক টাকা ও সাধারণ আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী নিহতদের এক লাখ টাকা ও গুরুত্বর আহতদের ৫০ হাজার টাকা ও সাধারণভাবে যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের জন্য ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এপিপি, কলকাতা: ভারতে বিভিন্ন দলের সাংসদদের জন্য সুখবর ! সাংসদরা নিজ-নিজ কেন্দ্রে উন্নয়নমূলক কাজকর্মের জন্য বছরে আর দু’কোটি নয়, এখন থেকে তাঁরা পাবেন পাঁচ কোটি টাকা। মানে, পাঁচ বছরে পাবেন পঁচিশ কোটি। সাংসদদের কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্পে (‘এমপি ল্যাডস্’) এই বাড়তি অর্থবরাদ্দের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে গত পয়লা এপ্রিল থেকেই এই বৃদ্ধি কার্যকর হচ্ছে। ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অম্বিকা সোনি সাংবাদিকদের এই খবর দিয়ে জানান, এর ফলে বছরে বাড়তি দু’হাজার তিনশো সত্তর কোটি টাকা খরচ হবে। এতদিন ‘এমপি ল্যাডস্’ প্রকল্পে বছরে খরচ হত এক হাজার পাঁচশো আশি কোটি টাকা। বাড়তি বরাদ্দের ফলে তা গিয়ে দাঁড়াবে তিন হাজার সাড়ে ন’শো কোটি টাকায়। তাঁদের নিজ-নিজ সংসদীয় কেন্দ্র-এলাকায় খাবার পানি-নিকাশি-শিক্ষা-জনস্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদা পূরণ করতে সাংসদরা বহুদিন ধরেই ওই বরাদ্দ-বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
উদয়ন পাল, কলকাতা : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩০ জুন ২০১১ তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে যে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী গৃহীত হয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিএএএমবি (ক্যাম্পেন এগেইনষ্ট অ্যাট্রোসিটিস অন মাইনোরিটিস ইন বাংলাদেশ) নামক সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়েছে এই ‘‘নতুন সংশোধনে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার অধিকার বজায় রাখা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন মানুষ সহ সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান আদিবাসীর ক্ষুব্ধ। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ধর্মীয় শক্তিগুলি আবার প্রশ্রয় পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।” কলকাতা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক রতন খাসনবিশ, সুবীর ভৌমিক, বিমল প্রামাণিক, রতেœশ্বর সরকার, কালীকৃষ্ণ গুহ ও মোহিত রায়ের মত বিশিষ্ট জনেরা। সিএএএমবির তরফে এদিন ‘‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১৯৭২ সালের সংবিধানকে অপরিবর্তিত রূপে গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।” সংস্থার তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশের পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী বাংলাদেশের ‘‘ধর্মীয় মৌলবাদকে জিইয়ে রাখবে”। যার ‘‘বিরূপ প্রভাব প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গেও পড়বে যার সব ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
উদয়ন পাল, কলকাতা: এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব উঠল মন্ত্রিসভার বৈঠকে। বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার মহাকরণে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীরা এক জোট হয়ে সওয়াল করেন। এদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ নামটির ইংরেজি হরফে প্রথমেই ডব্লিুই আসার জন্য সমস্ত দিকেই অন্যান্য রাজ্যগুলি থেকে পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। কেননা ডব্লিুউ হল ইংরেজি হরফের শেষের দিকের অক্ষর। বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে রাজ্যের কোনও কাজ নিয়ে গেলে অন্যান্য রাজ্যগুলি বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে নামের অক্ষর আগে হওয়ায়। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রাথমিক স্তরে ভাবনা চিন্তা নেওয়া হয়েছে। বিধানসভার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে ভাবের আদান প্রদান ঘটিয়ে ঐকমত্য হয়ে এই প্রস্তাব পাঠানো হবে কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্য। এই ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্য সচিব সমর ঘোষকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামফ্রন্ট সরকারও তাদের মন্ত্রিসভার বৈঠকে একসময় নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বিষয়টি ধামা চাপা পড়ে যায়। এখন নতুন সরকারের এই প্রস্তাব কতটা কার্যকরী হয় সেদিকেই নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে রাজ্যের অতিবৃষ্টি এবং খরা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। এবারের মাত্রাতিরিক্ত বর্ষণের ফলে রাজ্যে যাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেকথা মাথায় রেখে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার বিষয়ে নানান পরিকল্পনার কথা আলোচিত হয় মিন্ত্র পরিষদের বৈঠকে। ‘পানি ধর ও পানি ভর’ এই নীতিকে সামনে রেখে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের খরা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙন এবং বন্যা প্রতিরোধের বিষয়গুলির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে এদিন। এছাড়াও সরকারি কর্মচারিদের সমস্ত বিষয়টিকে কম্পিউটর প্রযুক্তিতে আনা হবে বলেও এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মাত্র কয়েকদিন আগেই মহাকরণের বিভিন্ন দফতরগুলিতে আচমকা হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দিনই তিনি অভিযোগ পান যে এখনও কম্পিউটর পরিষেবায় উন্নত নয় সব দফতর। ফলে কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক অসুবিধা হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান কর্মচারীরা। মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করবেন। এদিনের বৈঠকে সমস্ত সরকারি কর্মচারিদের কম্পিউটরের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর প্রতিশ্র“তির বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এগোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এপিপি, কলকাতা : কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধীর মিছিলে এক যুবক হঠাৎই ঢুকে পড়ে পিস্তল সহ। । ওই যুবকের সঙ্গে পয়েন্ট ৩২ বোর রিভলভার ছিল। রাহুলের নিরাপত্তায় থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্র“প (এসপিজি) জওয়ানরা ওই যুবককে ধরেছে। ওই যুবক রাহুলের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ‘সেকেন্ড রিং’-এর খুব কাছে চলে এসেছিল। তার সঙ্গে রিভলভার থাকায় এসপিজি-র জওয়ানরা তাকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাপ্পাল গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক কংগ্রেস কর্মী বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই যুবকের সঙ্গে যে রিভলভার ছিল, তার বৈধ লাইসেন্স আছে। তিনি পরিবার নিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। রাহুল গান্ধী সেই পথে পদযাত্রা করছেন শুনে তার প্রিয় নেতাকে দেখার জন্য খুব কাছে চলে গিয়েছিল ওই যুবক। উত্তরপ্রদেশে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে আলিগড় পদযাত্রা শুরু করার দু-ঘন্টার মধ্যেই এই যুবককে আটক করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। এদিকে, রাহুল গান্ধীর মিছিলে পিস্তল সমেত এক যুবক ঢুকে পড়েছে শুনে আলিগড় সহ গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়েই তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নানারকম গুজব ছড়াতে থাকে বিভিন্ন জায়গায়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর কাছেও এখবর পৌঁছয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশও এই ঘটনার জেরে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে। রাহুলের যদি কোনওরকম বিপদ হত, তা হলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ওপরেই যে সেই ঘটনার দায় চাপত, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে ন। এই ঘটনার পরেই মিছিলে হাঁটতে থাকা রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরপ্রদেশে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধী সরব হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ সফরে গিয়ে তিনি কৃষকদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন এবং মিছিল করে হাঁটছেন। বুধবার রাতে তিনি কৃষকদের বাড়িতেই ছিলেন। সব মিলিয়ে রাহুল গান্ধীর মতো ভিভিআইপি উত্তরপ্রদেশে এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়ায় তটস্থ আলিগড় সহ নিকটবর্তী জেলাগুলির পুলিশ আধিকারিকরা। সকলেই চাইছেন, ভালোয় ভালোয় যেন রাহুল গান্ধীর উত্তরপ্রদেশ সফর শেষ হয়। উদয়ন পাল, কলকাতা : প্রবল বৃষ্টি কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে। তারই মধ্যে অমরনাথের দিকে রওনা হলেন আরো ৩ হাজার পুণ্যার্থী। এটি পুণ্যার্থীদের অষ্টম দল। এবারের যাত্রী দলে রয়েছেন ৮৮৬ জন মহিলা ও ৬৬টি শিশু। ১০১টি বাসে চড়ে ওরা ভাগবতী নগর বেস ক্যাম্প ছেড়েছেন বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায়।
পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সি আর পি এফ-এর কড়া পাহারা রয়েছে বাসগুলির আগে ও পিছনে। এই যাত্রী দল নিয়ে এ পর্যন্ত অমরনাথের দিকে গেলেন মোট ২৬,০৭৮ জন পুণ্যার্থী। ১৩,৫০০ ফুট উচ্চতায় এরা সকলেই অমরনাথ গুহায় পৌঁছে পুজো দেবেন। এপিপি, কলকাতা : বাসচালকের ভুলে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল বুধবার বাংলাদেশি সময় রাত ২.৩৫ মিনিটে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কাঁসিরামনগরে ছাপরা-মুথরা এক্সপ্রেসের সঙ্গে বরযাত্রী বোঝাই একটি বাসের সংঘর্ষে ৩৭ জন বাসযাত্রীর এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন এদিন রাতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৩৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩৫ জন। বাসটিতে মোট ৮০ জন যাত্রী ছিল। একটি প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিং-এ এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের দ্রুত সেখান থেকে উদ্ধার করে এটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে গভীর শোকের ছায়অ নেমে আসে গোটা এলাকায়। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। আসে দমকল এবং উদ্ধারকারী দল। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় উদ্ধারের কাজ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আশপাশের এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ এসে ভিড় জমান ঘটনাস্থলে। ভিড় সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। পুলিশের জনৈক মুখপাত্র বলেছেন, রাত ২.৩৫ মিনিট নাগাদ ছাপরা-মথুরা এক্সপ্রেসের সঙ্গে বরযাত্রী বোঝাই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের অঞ্চল। বাসটির ইঞ্জিন একেবারে ভিতরে ঢুকে যায়। গোটা বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে দলা পাকিয়ে যায়। রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বাস চালকের ভুলের জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ভয়াবহতা প্রথমটা মানুষের পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। তারপর জানাজানি হয় মর্মান্তিক ঐ দুর্ঘটনার খবর। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীরা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। পুলিশ এবং দমকল ও উদ্ধারকারী দল আসার আগেই গ্রামবাসীরা উদ্ধারের কাজে নেমে পড়েন। ট্রেনটি মথুরা থেকে ছাপরার দিকে যাচ্ছিল। রবিবার রাত ১১.১৫ মিনিটে মথুরা থেকে ট্রেনটি রওনা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মৃতদের পরিবারবর্গকে ২ লক্ষ এবং গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবার নির্দেশও তিনি দিয়েছেন। এটোয়ার জেলাশাসক শৈলজা কুমারী বলেছেন, আহতদের এটোয়া এবং ফারুক্কাবাদ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত বাসচালকের উচিত ছিল লেভেল ক্রশিংয়ে ঢোকার আগে সাবধানতা অবলম্বন করা। উদয়ন পাল, কলকাতা: জ্যোতিষী বলেছেন, যমজ কন্যা হবে। সলমন খান পরামর্শ দিয়েছেন একটা ফুটবল টিম করো। কিন্তু হবু মা ঐশ্বর্য এবং হবু বাবা অভিষেক দুজনেই চাইছেন তঁঅদের যমজ সন্তানই হোক। তবে দুটিই মেয়ে নয়, একটি মেয়ে আর একটি ছেলে। আর যদি যমজ সন্তান নাও হয় তাঁদের তবে তারা প্রথমে একটি কন্যা সন্তানই কামনা করছেন। তারপর তাঁরা চান একটি পুত্র সন্তান। অর্থাৎ গোদা বাংলায় এক মেয়ে এক ছেলে। যেমন অভিষেকের বাবার অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের। হ্যাঁ নির্দ্বিধায় মুক্ত কণ্ঠে এক সাক্ষাৎকারে সাফ কবুল করলেন অভিষেক বচ্চন এবং তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য। তাঁরা যমজ সন্তানই চান। তবে জ্যোতিষীর গণনা সঠিক হোক তা তাঁরা চান না। অর্থাৎ ঐশ্বর্য কোল আলো করে আসুক দুটি মেয়ে তা কখনওই চান না তাঁরা দুজনেই। জ্যোতিষীর গণনা আংশিক সত্যি হোক। হোক পুত্র এবং কন্যা দুই-ই। জীবনের পূর্ণতা পেতে ঐশ্বর্য যেমন চান ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই মা হতে, তেমনই অভিষেকও তাই চান। তাতেই জমে যাবে জলসা।
|
বিভাগীয় সম্পাদক
প্রিয় পাঠক আপনাদের জন্যই পশ্চিম বঙ্গের লেখা দিয়েই আমাদের এ বিশেষ আয়োজন। তাই এ সম্পর্কে মতামত জানিয়ে আমাদের চলার পথকে আরো প্রসারিত করুন. বিষয় ভিত্তিক লেখা
All
আর্কাইভ
April 2018
|