উদয়ন পাল, কলকাতা: এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব উঠল মন্ত্রিসভার বৈঠকে। বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার মহাকরণে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীরা এক জোট হয়ে সওয়াল করেন। এদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ নামটির ইংরেজি হরফে প্রথমেই ডব্লিুই আসার জন্য সমস্ত দিকেই অন্যান্য রাজ্যগুলি থেকে পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। কেননা ডব্লিুউ হল ইংরেজি হরফের শেষের দিকের অক্ষর। বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে রাজ্যের কোনও কাজ নিয়ে গেলে অন্যান্য রাজ্যগুলি বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে নামের অক্ষর আগে হওয়ায়। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রাথমিক স্তরে ভাবনা চিন্তা নেওয়া হয়েছে। বিধানসভার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে ভাবের আদান প্রদান ঘটিয়ে ঐকমত্য হয়ে এই প্রস্তাব পাঠানো হবে কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্য। এই ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্য সচিব সমর ঘোষকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বামফ্রন্ট সরকারও তাদের মন্ত্রিসভার বৈঠকে একসময় নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বিষয়টি ধামা চাপা পড়ে যায়। এখন নতুন সরকারের এই প্রস্তাব কতটা কার্যকরী হয় সেদিকেই নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।
অন্যদিকে রাজ্যের অতিবৃষ্টি এবং খরা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। এবারের মাত্রাতিরিক্ত বর্ষণের ফলে রাজ্যে যাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেকথা মাথায় রেখে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার বিষয়ে নানান পরিকল্পনার কথা আলোচিত হয় মিন্ত্র পরিষদের বৈঠকে। ‘পানি ধর ও পানি ভর’ এই নীতিকে সামনে রেখে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের খরা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙন এবং বন্যা প্রতিরোধের বিষয়গুলির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে এদিন।
এছাড়াও সরকারি কর্মচারিদের সমস্ত বিষয়টিকে কম্পিউটর প্রযুক্তিতে আনা হবে বলেও এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মাত্র কয়েকদিন আগেই মহাকরণের বিভিন্ন দফতরগুলিতে আচমকা হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দিনই তিনি অভিযোগ পান যে এখনও কম্পিউটর পরিষেবায় উন্নত নয় সব দফতর। ফলে কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক অসুবিধা হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান কর্মচারীরা। মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করবেন। এদিনের বৈঠকে সমস্ত সরকারি কর্মচারিদের কম্পিউটরের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর প্রতিশ্র“তির বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এগোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বামফ্রন্ট সরকারও তাদের মন্ত্রিসভার বৈঠকে একসময় নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বিষয়টি ধামা চাপা পড়ে যায়। এখন নতুন সরকারের এই প্রস্তাব কতটা কার্যকরী হয় সেদিকেই নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।
অন্যদিকে রাজ্যের অতিবৃষ্টি এবং খরা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। এবারের মাত্রাতিরিক্ত বর্ষণের ফলে রাজ্যে যাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেকথা মাথায় রেখে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার বিষয়ে নানান পরিকল্পনার কথা আলোচিত হয় মিন্ত্র পরিষদের বৈঠকে। ‘পানি ধর ও পানি ভর’ এই নীতিকে সামনে রেখে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের খরা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙন এবং বন্যা প্রতিরোধের বিষয়গুলির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে এদিন।
এছাড়াও সরকারি কর্মচারিদের সমস্ত বিষয়টিকে কম্পিউটর প্রযুক্তিতে আনা হবে বলেও এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মাত্র কয়েকদিন আগেই মহাকরণের বিভিন্ন দফতরগুলিতে আচমকা হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দিনই তিনি অভিযোগ পান যে এখনও কম্পিউটর পরিষেবায় উন্নত নয় সব দফতর। ফলে কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক অসুবিধা হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান কর্মচারীরা। মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করবেন। এদিনের বৈঠকে সমস্ত সরকারি কর্মচারিদের কম্পিউটরের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর প্রতিশ্র“তির বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এগোলেন মুখ্যমন্ত্রী।