উদয়ন পাল, কলকাতা: তিস্তার পানিবন্টন নিয়ে অন্তর্বর্তী চুক্তির ওপর ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও ব্যাপক ও গভীর হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে। এরকম একটি চুক্তি হলে তা দু’টি দেশেল মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে যা দক্ষিণ এশিয়ার এই অংশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও নিরাপত্তা পরিবেশের উন্নতির সহায়ক হবে। এই চুক্তি স্বাক্ষরে আরও বিলম্ব হলে তা দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশের পক্ষে বিপর্যয়কর হবে। কারণ তিস্তার পানিবন্টন সমস্যার সমাধানের সঙ্গে দুই দেশের কল্যাণ, আরও অর্থনৈতিক উন্নতি ও জাতীয় নিরাপত্তা প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠকের পর একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রী ডা. দীপু মণি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ডা. মণি বলেন, গত সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঐতিহাসিক ঢাকা সফরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, সীমান্তের দুই পারে জমির ওপর এলোমেলো দখল ও ছিটমহল বিনিময়ের মতো জটিল বিষয়গুলি নিয়ে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু তিস্তা নিয়ে অন্তর্বর্তী চুক্তি না হওয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নতির যে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা দুই দেশ স্থির করে রেখেছিল তা বানচাল হয়ে যায়। তিস্তা নিয়ে অচলাবস্থার জন্য সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি হয়েছে, তা হল ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর আটকে যাওয়া, যেটা হলে দুই দেশের স্বার্থে একটা ‘নতুন অধ্যায়ের’ সূচনা হত।
দীপু মণি আরও বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে চুক্তি না হলে আমরা ট্রানজিটের ব্যবস্থা করতে পারি না। কারণ আমাদের বিরোধী পক্ষ তাদের কট্টর ভারতবিরোধী অবস্থানের কারণে আমাদের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়ার অভিযোগ তুলবে। তাই আমাদের ট্রানজিট চুক্তি আটকে রাখতে হয়েছে। এর ফল হিসেবে আমাদের দুই দেশই ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েক বছল ধরে ট্রানজিটের পক্ষে আমরা বাংলাদেশে যে জনমত গড়ে তোলার প্রয়াস নিয়েছিলাম তা ফলপ্রসু হয়নি। এটা আমাদের ব্যবসা ও পরিষেবার পক্ষে একটা বড় ধাক্কা। কারণ তারা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক যোগাযোগের একটা ‘হাব’ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত হচ্চিল।’
ডা. মণির মতে, উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দুই দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে চুক্তি করার এটাই যে ‘উপযুক্ত সময়’ সেটা পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতীয় শাসকদলের নেতৃত্বকে বুঝতে হবে। তিস্তার পানি ও ট্রানজিট নিয়ে আমাদের মতৈক্যে আসার যে এটাই উপযুক্ত সময় সেটা আমি মমতাদিকে জানিয়েছি। আমরা আরও দু’বছর ক্ষমতায় থাকছি। এই সময়ের মধ্যেই আমাদের প্রয়োজনীয় সব চুক্তি সেরে ফেলতে হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যদি আমাদের ক্ষমতায় না আসতে দেওয়া হয়, তাহলে ভারতের জন্য অনেক দুঃখ ও বিস্ময় অপেক্ষা করবে। কারণ যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তারা ভারতের বন্ধু হবে না। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে ভঅরত সেটা ভালোই জানে। আপনারা এই সুযোগ কাজে না লাগালে সেটা হবে সুযোগের অপচয়। এবং সেই সুযোগ দীর্ঘদিন ভারত নাও পেতে পারে।’ বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মনে করেন, তিস্তার উজানে রয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ রয়েছে ভাটিতে। তিস্তার পানির ওপর উভয়ের অধিকার সমান। শুখা মরশুমে পানি কম থাকলে যে পানি পাওয়া যাবে তা উভয় দেশ সমানভাবে ভাগাভাগি করে নেবে। ‘তবে ভবিষ্যতে তিস্তার প্রবাহ বাড়াতে হবে এবং সেজন্য ভুটান ও সিকিম থেকে আসা নদী ও বর্ষার গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া যেতে পারে।’
ডা. মণি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার যেভাবে মুসলিম মৌলবাদী, ভারতীয় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন তাকে ভারতীয় বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের প্রশংসা করা উচিত। এর জন্য রাতে ভারতীয়রা শান্তিতে ঘুমোতে পারছেন। এজন্য হাসিনা তাঁর জীবনকে পর্যন্ত বাজি রেখেছেন। কাজেই ভারতের ব্যাপারে তাঁর ও তাঁর সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও সন্দেহ পোষণ বা প্রশ্ন তোলা উচিত নয়।’
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠকের পর একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রী ডা. দীপু মণি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ডা. মণি বলেন, গত সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঐতিহাসিক ঢাকা সফরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, সীমান্তের দুই পারে জমির ওপর এলোমেলো দখল ও ছিটমহল বিনিময়ের মতো জটিল বিষয়গুলি নিয়ে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু তিস্তা নিয়ে অন্তর্বর্তী চুক্তি না হওয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নতির যে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা দুই দেশ স্থির করে রেখেছিল তা বানচাল হয়ে যায়। তিস্তা নিয়ে অচলাবস্থার জন্য সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি হয়েছে, তা হল ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর আটকে যাওয়া, যেটা হলে দুই দেশের স্বার্থে একটা ‘নতুন অধ্যায়ের’ সূচনা হত।
দীপু মণি আরও বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে চুক্তি না হলে আমরা ট্রানজিটের ব্যবস্থা করতে পারি না। কারণ আমাদের বিরোধী পক্ষ তাদের কট্টর ভারতবিরোধী অবস্থানের কারণে আমাদের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়ার অভিযোগ তুলবে। তাই আমাদের ট্রানজিট চুক্তি আটকে রাখতে হয়েছে। এর ফল হিসেবে আমাদের দুই দেশই ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েক বছল ধরে ট্রানজিটের পক্ষে আমরা বাংলাদেশে যে জনমত গড়ে তোলার প্রয়াস নিয়েছিলাম তা ফলপ্রসু হয়নি। এটা আমাদের ব্যবসা ও পরিষেবার পক্ষে একটা বড় ধাক্কা। কারণ তারা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক যোগাযোগের একটা ‘হাব’ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত হচ্চিল।’
ডা. মণির মতে, উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দুই দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে চুক্তি করার এটাই যে ‘উপযুক্ত সময়’ সেটা পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতীয় শাসকদলের নেতৃত্বকে বুঝতে হবে। তিস্তার পানি ও ট্রানজিট নিয়ে আমাদের মতৈক্যে আসার যে এটাই উপযুক্ত সময় সেটা আমি মমতাদিকে জানিয়েছি। আমরা আরও দু’বছর ক্ষমতায় থাকছি। এই সময়ের মধ্যেই আমাদের প্রয়োজনীয় সব চুক্তি সেরে ফেলতে হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যদি আমাদের ক্ষমতায় না আসতে দেওয়া হয়, তাহলে ভারতের জন্য অনেক দুঃখ ও বিস্ময় অপেক্ষা করবে। কারণ যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তারা ভারতের বন্ধু হবে না। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে ভঅরত সেটা ভালোই জানে। আপনারা এই সুযোগ কাজে না লাগালে সেটা হবে সুযোগের অপচয়। এবং সেই সুযোগ দীর্ঘদিন ভারত নাও পেতে পারে।’ বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মনে করেন, তিস্তার উজানে রয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ রয়েছে ভাটিতে। তিস্তার পানির ওপর উভয়ের অধিকার সমান। শুখা মরশুমে পানি কম থাকলে যে পানি পাওয়া যাবে তা উভয় দেশ সমানভাবে ভাগাভাগি করে নেবে। ‘তবে ভবিষ্যতে তিস্তার প্রবাহ বাড়াতে হবে এবং সেজন্য ভুটান ও সিকিম থেকে আসা নদী ও বর্ষার গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া যেতে পারে।’
ডা. মণি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার যেভাবে মুসলিম মৌলবাদী, ভারতীয় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন তাকে ভারতীয় বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের প্রশংসা করা উচিত। এর জন্য রাতে ভারতীয়রা শান্তিতে ঘুমোতে পারছেন। এজন্য হাসিনা তাঁর জীবনকে পর্যন্ত বাজি রেখেছেন। কাজেই ভারতের ব্যাপারে তাঁর ও তাঁর সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও সন্দেহ পোষণ বা প্রশ্ন তোলা উচিত নয়।’