এপিপি বাংলা ডটকম
কলকাতা: ভারতীয় প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে সাতটা নাগাদ মারা যান ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও অভিনেতা ঋতুপর্ণ ঘোষ। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত ছিলেন। বুধবার রাতে খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে ডাক্তারদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
১৯৬৩ সালের ৩১ অগস্ট কলকাতায় তাঁর জন্ম। বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা সবই কলকাতায়। প্রথমে সাউথ পয়েন্ট স্কুল, পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করেন। ছোটদের জন্য তাঁর তৈরি প্রথম ছবি ‘হিরের আংটি’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে।
ওই একই বছর তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘১৯ শে এপ্রিল’-এর জন্য প্রথম জাতীয? পুরস্কার পান। তার পর একের পর এক ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘অসুখ’, ‘উত্সব’, ‘চোখের বালি’-র মতো অনন্য সাধারণ সব ছবি তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।
২০১২ সালে ‘আবহমান’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি মোট ১২টি জাতীয় ও বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর অভিনীত তিনটি ছবি ‘আর একটি প্রেমের গল্প’, মেরোরিজ ইন মার্চ’ এবং ‘চিত্রাঙ্গদা’।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার এই ছবিগুলি এক দিকে পেয়েছিল দর্শকদের অকুন্ঠ প্রশংসা, অন্য দিকে কুড়িয়েছিল ফিল্ম সমালোচকদের বাহবা।
বিজ্ঞাপনি ছবি দিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। শুধুমাত্র চলচ্চিত্রই নয়, টেলিভিশনের উপস্থাপক হিসেবেও তিনি তাঁর প্রতীভার স্বাক্ষর রেখেছেন। বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর লেখারও বহু গুনমুগ্ধ ভক্ত রয়েছেন। তাঁর মনন ও চিন্তা জগতের অনেকটাই জুড়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বেশ কয়েকটি ছবি তিনি কবিগুরুর সাহিত্য নিয়ে তৈরি করেছিলেন। যে সমস্ত পরিচালকরা বাংলা ছবির দর্শকদের সিনেমা হলমুখী করেছিলেন ঋতুপর্ণ তাঁদের পুরোধা ছিলেন। তাঁর মৃত্যু নিঃসন্দেহে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে বিরাট ক্ষতি। গোটা চলচ্চিত্র জগত্ তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত।
কলকাতা: ভারতীয় প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে সাতটা নাগাদ মারা যান ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও অভিনেতা ঋতুপর্ণ ঘোষ। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত ছিলেন। বুধবার রাতে খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে ডাক্তারদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
১৯৬৩ সালের ৩১ অগস্ট কলকাতায় তাঁর জন্ম। বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা সবই কলকাতায়। প্রথমে সাউথ পয়েন্ট স্কুল, পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করেন। ছোটদের জন্য তাঁর তৈরি প্রথম ছবি ‘হিরের আংটি’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে।
ওই একই বছর তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘১৯ শে এপ্রিল’-এর জন্য প্রথম জাতীয? পুরস্কার পান। তার পর একের পর এক ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘অসুখ’, ‘উত্সব’, ‘চোখের বালি’-র মতো অনন্য সাধারণ সব ছবি তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।
২০১২ সালে ‘আবহমান’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি মোট ১২টি জাতীয় ও বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর অভিনীত তিনটি ছবি ‘আর একটি প্রেমের গল্প’, মেরোরিজ ইন মার্চ’ এবং ‘চিত্রাঙ্গদা’।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার এই ছবিগুলি এক দিকে পেয়েছিল দর্শকদের অকুন্ঠ প্রশংসা, অন্য দিকে কুড়িয়েছিল ফিল্ম সমালোচকদের বাহবা।
বিজ্ঞাপনি ছবি দিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। শুধুমাত্র চলচ্চিত্রই নয়, টেলিভিশনের উপস্থাপক হিসেবেও তিনি তাঁর প্রতীভার স্বাক্ষর রেখেছেন। বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর লেখারও বহু গুনমুগ্ধ ভক্ত রয়েছেন। তাঁর মনন ও চিন্তা জগতের অনেকটাই জুড়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বেশ কয়েকটি ছবি তিনি কবিগুরুর সাহিত্য নিয়ে তৈরি করেছিলেন। যে সমস্ত পরিচালকরা বাংলা ছবির দর্শকদের সিনেমা হলমুখী করেছিলেন ঋতুপর্ণ তাঁদের পুরোধা ছিলেন। তাঁর মৃত্যু নিঃসন্দেহে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে বিরাট ক্ষতি। গোটা চলচ্চিত্র জগত্ তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত।