উদয়ন পাল কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নতুন সরকারের কাছে নিজেদের একগুচ্ছ দাবি দাওয়া প্রকাশ করে, তা মেটানোর আর্জি জানাল অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেদের এই দাবিগুলির কথা জানান তাঁরা। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাচার কমিটির সদস্য সম্পাদক ড. আবু সালে শরিফ। সাচার কমিটিতে এই রাজ্যের যে করুণ চিত্র উঠে এসেছে, তার সংপ্তি বিবরণের পাশাপাশি আলোচনায় উঠে আসে কোন কোন েেত্র কী কী পদপে নতুন সরকারের নেওয়া উচিত, সেই প্রসঙ্গও। অর্থাৎ, সাচার কমিটি যে যে েেত্র রাজ্যের উন্নতির জন্য সুপারিশগুলি করেছিল, সেই দিকগুলিই এ দিন আবারও উঠে আসে নেতৃত্বের আলোচনায়। সাচার কমিটির সদস্য সম্পাদক ড. আবু সালে শরিফ বলেন, ‘ভারত এখন উন্নয়নশীল দেশ। এই উন্ন্য়নের অংশীদারি দেশের সব অংশের মানুষের থাকা অতি প্রয়োজন। দেশের সংখ্যালঘু মানুষ কেমন রয়েছে, কী তাঁদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, তা জানার জন্যই সাচার কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সংখ্যালঘু মানুষের খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থানের উপর ভিত্তি করেই সাচার কমিটির রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেই রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছিল, রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষরা যথেষ্ট পিছিয়ে। শিা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, চাকুরি-সব েেত্রই পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘এ রাজ্যে ১৫ শতাংশ সংখ্যালঘু পড়–য়া চতুর্থ শ্রেণিতে ওঠার আগেই বিদ্যালয় ছেড়ে দেয়।’ রাজ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন সরকারের কাছে নিজেদের আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের সংরণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে যে সংরণ সিস্টেম চালু রয়েছে, তার সংশেধান করা হোক।’ এই ব্যাপারে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়–, কর্নাটকে যে সিস্টেম চালু রেেছ, তা বিবেচনার জন্য একটি কমিটি তৈরির কথাও তিনি জানান। সেই কমিটির নির্দেশিত সংরণ প্রক্রিয়া রাজ্যে দ্রুত চাল করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানান তিনি। বিচারপতি সাচারকে এ রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন ড. আবু সালে শরিফ জানান, বিচারপতি সাচার এ রাজ্যে আসবেন। তবে তার দিনণ নির্দিষ্ট হয়নি। রাজ্যে এসে বিচারপতি সাচার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাাৎ করবেন বলেও তিনি জানান। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের উন্নতির জন্য যে পদপেগুলি ইতিমধ্যেই নিয়েছেন, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের সহ সভাপতি মহম্মদ সুলেমান খুরশিদ, সাধারণ সম্পাদক ড. মনজুর আলম, রাজ্য সম্পাদক শাহুদ আলম সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
0 Comments
উদয়ন পাল কলকাতা থেকে : সাংহাই থেকে সাংহাই। দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সাংহাই’ ছবির শুটিং শেষ করেই পরিচালক গৌতম ঘোষের সঙ্গে সাংহাই আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে গেলেন প্রসেনজিৎ। চিনের সবচেয়ে বড় এই চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মনের মানুষ’ নির্বাচিত হয়েছে প্রতিযোগিতা বিভাগে। ১৫২টি দেশের হাজারের বেশি ছবি থেকে বাছা হয়েছে মাত্র ১৬টি ছবি। এ দেশ থেকে একমাত্র ‘মনের মানুষ’। “মনের মানুষ’ করতে গিয়ে যে কষ্ট করেছি, তারই সুফল ভোগ করছি। সারা বিশ্বের এত ছবির মধ্যে থেকে নির্বাচিত হয়ে ভালই লাগছে। গৌতমদার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে হাবিব ভাই(বাংলাদেশি প্রযোজক হাবিবুর রহমান) আর চঞ্চল (বাংলাদেশি অভিনেতা )এসেছেন। জমিয়ে আড্ডাও হচ্ছে এখানে।” সেই কথা সাংহাই থেকে জানাচ্ছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
সাহিদ সিরাজী : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছেন, তিনি বাংলাদেশকে অত্যন্ত ভালোবাসেন এবং প্রতিবেশী দেশটির জন্য কিছু একটা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। মতায় আসার পর প্রথমবারের মতো তিনি ভারতের প্রেসকাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং সকল প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ‘এটি একটি ঘরোয়া বৈঠক এবং আমি জবাবও দেব ঘরোয়াভাবে।’ তিস্তা নদীর পানি বন্টন ও ছিটমহল বিনিময় বিষয়ে তিনি কিভাবে সাড়া দেবেন বাসস প্রতিনিধি এ বিষয় জানতে চাইলে মমতা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে যথেষ্ট ভালোবাসি এবং যখন প্রয়োজন দেখা দেবে তখন সে েেত্র কিছু একটা করার জন্য আমি প্রস্তুত।’
মমতা আরো সুনির্দিষ্ট করে বলেন, যখন এসব ইস্যু বাংলাদেশ উত্থাপন করবে তিনি তা বিবেচনা করবেন। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত আন্তরিক। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজ পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক অবস্থা বিপর্যস্ত। রাজ্যের পুঞ্জীভূত দেনার পরিমাণ দুই লাখ তিনশ’ কোটি রুপি। সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে সাাতকালে রাজ্যের অর্থনৈতিক বিষয়ে তিনি কোনো রাখঢাক করেননি। তিনি বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সামনে রাজ্যের মারাত্মক শোচনীয় অবস্থা সম্পর্কে তুলে ধরেছি। তিনি জোরপূর্বক ভূমি অধিগ্রহণের বিপে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি যখন তাদের (গরিবদের) আহার দিতে পারছি না তখন কিভাবে তাদের জমি নিয়ে নেবো?’ রাহুল গান্ধীর ভারতের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী হওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত নেবেন কংগ্রেস ও এর নেতৃবৃন্দ। আন্না হাজারে ও যোগগুরু রামদেবের লোকপাল নিয়োগ ও দুর্নীতি নির্মূলের দাবিতে অনশনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মমতা বলেন, ‘আমি আর দিল্লীর প্রতিনিধিত্ব করছি না, দয়া করে এসব প্রশ্ন তাদের (কেন্দ্র) করুন, তবে আমি যোগ ব্যায়াম পছন্দ করি এবং তার (রামদেবের) কাসে যোগ দেব।’ সিপিআই(এম) ও সিপিআই’র একীভূত হওয়ার প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, ‘রসগোল্লাকে পানতোয়ার সঙ্গে মেশাবেন কিভাবে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদয়ন পাল কলকাতা থেকে : জঙ্গলমহলের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে বৃহস্পতিবার মহাকরণে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলের মানুষদের জন্য কর্মসংস্থান, খাদ্য ও খাবার পানি সরবরাহ, চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্যাকেজ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে মুখ্যসচিব সমর ঘোষ, স্বরাষ্ট্রসচিব জি ডি গৌতম, রাজ্য পুলিশের ডি জি নাপরাজিত মুখোপাধ্যায় সহ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এই সপ্তাহের শেষের দিকে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখ্যাপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের কাছে একটি আলাদা প্যাকেজ রাজ্য চাইতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর। তাই মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত জঙ্গলমহলের উন্নয়নের ব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তর থেকে রিপোর্ট চাইছেন। রিপোর্ট হাতে এলে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আরও বিস্তারিতভাবে এ নিয়ে কথা বলতে পারবেন। জঙ্গলমহলের বাসিন্দা যুবকদের আরও বেশি করে পুলিশে চাকরি দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হবে সরকার। পুলিশে এখন বেশ কয়েক হাজার পদ শূন্য আছে। জঙ্গলমহলের যুবকদের পুলিশে চাকরি দিয়ে এলাকায় মাওবাদী সমস্যা কমানো যাবে বলে মনে করছে সরকার। প্রয়োজনে জঙ্গলমহলের যুবকদের নিয়ে পুলিশের একটা আলাদা ব্যাটেলিয়ান খোলার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থান হলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। জঙ্গলমহলের আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার জন্য প্রকল্প আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পটি দ্রুত রূপায়ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গলমহলে একটি মানুষও যাতে অনাহারে না থাকেন, তার জন্য বিনামূল্যে চাল সরবরাহ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে সরকার। এদিনই খাদ্য দপ্তরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন, চাল-গম পোকা গেলে নষ্ট হওয়ার আগে গরিব মানুষদের কাছে তা বিলি করে দিন। জঙ্গলমহলে পানীয় ও সেচের পানি সরবরাহ বাড়ানোর জন্য পানিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর ইতমধ্যে ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানি ছাড়াও বৃষ্টির পানি ধরে রেখে তা ব্যবহার করার উপর জোর দিয়েছে দপ্তর। জঙ্গলমহলের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ডাক্তার এবং ওষুধের কোনও সমস্যা যাতে না থাকে সেদিকে বিশেষ নজরদারি করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। জঙ্গলমহলের মানুষের জীবনধারণের ন্যূনতম প্রয়োজনগুলি মেটানোর জন্য দপ্তরগুলিকে সক্রিয় হতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভ পাল কলকাতা থেকে : ছিটমহল সমস্যার সমাধানে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে ছিটমহলের বাসিন্দারা নতুন কমিটি গঠন করল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিট পোয়াতের কুঠিতে ছিটমহল বাসিন্দাদের একসভায় নতুন এক কমিটি গঠিত হয় বলে ছিটের বাসিন্দা কাসেম আলি মিঞা জানান। তিনি আরও জানান , ছিটমহল সমস্যা সমাধান ১৯৫৮, ১৯৭৪ ও ১৯৯২ সালে তিন-তিনটি চুক্তি হলেও আজও সেই চুক্তি কার্যকর হয়নি। ছিটমহলের বাসিন্দারা আজ নেই রাজ্যের বাসিন্দায় পরিণত হয়েছে। প্রবীণ কাশেম আলি বলেন , ছিটমহল সমস্যা সমাধানের দাবিতে ছিটমহলের বাসিন্দারা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দাবি পত্র পাঠানো হয়েছে। ছিটমহল বিনিময়ের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের দাবিতে ভবারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি ছিটমহল পোয়াতের কুঠির বাসিন্দারা ‘ছিটমহল বিনিময় অগ্রগামী কমিটি’ নামে নতুন কমিটি গঠন করেন। নরেন্দ্র চন্দ্র বর্মনকে সভাপতি ,খবীরউদ্দিন মিঞাকে সহ সভাপতি. আবদুল গফুর মিঞাকে সম্পাদক , অবিনাশ বর্মনকে সহ সম্পাদক ও নুর মহম্মদ মিঞাকে কোষাধ্য করে ৯ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয় বলে জানা গেছে। নতুন এই কমিটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল গুলির বিনিময় দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে কমিটির সভাপতি নরেন্দ্র বর্মন ও সম্পাদক আবদুল গফুর মিঞা জানান। ছিটমহল বিনিময়ের দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দাবি জানানো ছাড়াও দেশের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানাবেন নতুন কমিটি।
|
বিভাগীয় সম্পাদক
প্রিয় পাঠক আপনাদের জন্যই পশ্চিম বঙ্গের লেখা দিয়েই আমাদের এ বিশেষ আয়োজন। তাই এ সম্পর্কে মতামত জানিয়ে আমাদের চলার পথকে আরো প্রসারিত করুন. বিষয় ভিত্তিক লেখা
All
আর্কাইভ
April 2018
|