এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে বামেদের তরফে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও সিপিআই নেতা ডি রাজা। দুর্নীতি দমনে কার্যকরী লোকপাল আইনের দাবিতে তাঁরা প্রথম থেকেই সরব। বৃহস্পতিবার বাম সহ ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দলের জোট সারা ভারতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ধর্নার আয়োজন করে। রাজধানীতে সংসদ ভবনে বিভিন্ন বাম দলের সাংসদরা ধর্নায় বসেন। কেরল ও ত্রিপুরাতেও চলে ধর্না। ওড়িশা রাজভবনের সামনে ধর্না সমাবেশ আয়োজন হয়েছিল। রাজস্থানে বামদল লি জয়পুর সহ ১৭টি জেলায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে র্যালির আয়োজন করে। বুধবারও বামেদের প্রতিবাদের সেই ধারার কোনও পরিবর্তন হয়নি। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এর আগে লোকপাল বিল নিয়ে আন্নার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়ে দেন যে, বামেরা দুর্নীতি দমনে কার্যকরী লোকপাল চায়। কিন্তু সংসদকে গুরুত্বহীন করে নয়। এই মন্তব্য দিয়ে দুর্নীতি নিয়ে বামেদের ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ নীতি কার্যত মেনে নিয়েছেন ইয়েচুরি। লোকপাল ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠকের মধ্যেই বুধবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাম নেতারা দিল্লি আসেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের ধর্না কর্মসূচি হয়। রাজ্যের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্যেই বিরোধীদের উপর সন্ত্রাস নেমে এসেছে বলে বামেদের দাবি। তার প্রতিবাদেই গতকাল শুক্রবারে এই ধরনা।
এপিপি, কলকাতা: দুর্নীতি দমনে সরকারের পেশ করা লোকপাল বিলটিকে প্রত্যাহার করে আরও শক্তিশালী লোকপাল বিল আনার পক্ষেই সর্বদলীয় বৈঠকে বুধবার সন্ধ্যায় মত দিলেন বামেরা। তবে আন্না হাজারের দাবি মতো সংসদের অধিবেশন আরও দীর্ঘায়িত না করার পক্ষেই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সহমত ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের পরেও সংসদের বাদল অধিবেশন চালিয়ে এখনই লোকপাল বিলকে নিজেদের দাবি মতো পেশ করে অনুমোদন করাতে চান আন্না হাজারে। তবে কোনও রাজনৈতিক দলই এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে আন্নার প্রস্তাবে সমর্থন দেয়নি।
এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে বামেদের তরফে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও সিপিআই নেতা ডি রাজা। দুর্নীতি দমনে কার্যকরী লোকপাল আইনের দাবিতে তাঁরা প্রথম থেকেই সরব। বৃহস্পতিবার বাম সহ ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দলের জোট সারা ভারতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ধর্নার আয়োজন করে। রাজধানীতে সংসদ ভবনে বিভিন্ন বাম দলের সাংসদরা ধর্নায় বসেন। কেরল ও ত্রিপুরাতেও চলে ধর্না। ওড়িশা রাজভবনের সামনে ধর্না সমাবেশ আয়োজন হয়েছিল। রাজস্থানে বামদল লি জয়পুর সহ ১৭টি জেলায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে র্যালির আয়োজন করে। বুধবারও বামেদের প্রতিবাদের সেই ধারার কোনও পরিবর্তন হয়নি। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এর আগে লোকপাল বিল নিয়ে আন্নার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়ে দেন যে, বামেরা দুর্নীতি দমনে কার্যকরী লোকপাল চায়। কিন্তু সংসদকে গুরুত্বহীন করে নয়। এই মন্তব্য দিয়ে দুর্নীতি নিয়ে বামেদের ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ নীতি কার্যত মেনে নিয়েছেন ইয়েচুরি। লোকপাল ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠকের মধ্যেই বুধবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাম নেতারা দিল্লি আসেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের ধর্না কর্মসূচি হয়। রাজ্যের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্যেই বিরোধীদের উপর সন্ত্রাস নেমে এসেছে বলে বামেদের দাবি। তার প্রতিবাদেই গতকাল শুক্রবারে এই ধরনা।
0 Comments
উদয়ন পাল, কলকাতা: ভারত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ সফরের আগেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। মীমাংসাসূত্র সন্ধানের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। ঢাকায় যে সীমান্ত নিয়ে তৈরি করা নতুন মানচিত্র চূড়ান্ত করার কাজ চলছে, তার প্রথম পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গ-সাতক্ষীরা সীমান্ত এবং রাঙামাটির মিজোরাম-বাংলাদেশে সীমান্তের মানচিত্র চূড়ান্ত হয়েছে। এই কাজে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার রজিত মিত্র এবং নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক-করিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। উল্লেখ্য, দু’দেশের মধ্যে বিস্তৃত ৪,১৫৬ কিলোমিটারের জন্য মোট ১,১৪৯টি মানচিত্র তৈরি হয়েছে। এগুলিকে স্ট্রিপম্যাপ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম দফায় মানচিত্র চূড়ান্ত করার কাজ চলবে। পরে দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু করা হবে। উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালে সীমান্ত নির্ধারণের কাজ শুরু হয়, কিন্তু নানা কারণে সেই প্রক্রিয়া এতদিন সফল হয়নি। ফলে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে সমস্যা থেকেই গেছে। গত বছর জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ভারত সফরের পর ফের সীমান্ত নিয়ে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই সূত্রেই শুরু হয় মানচিত্র থৈরির কাজ। দু’দেশের মধ্যে ৪,১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের জন্য আলাদা আলাদা তৈরির কাজ শুরু হয়। বিদেশ দপ্তরের জনৈক মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের জন্য ৬২৮টি, ত্রিপুরার ২৬৯টি, অসম সীমান্তের ৯৩টি, মেঘালায় সীমান্তের ১৩৯টি এবং মিজোরামের জন্য ২০টি মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। তবে ছিটমহল এবং সাড়ে ৬ কিলোমিটার বিতর্কিত সীমান্তের মানচিত্র তৈরি করা হয়নি। সব মিলিয়ে মোট ২২টি স্থানের মানচিত্র তৈরি করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ সফরের সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দু’দেশের বিদেশমন্ত্রকই আশা করছে ২০১২ সালের মধ্যে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত নির্ধারণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। উদয়ন পাল, কলকাতা: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সরব আন্না হাজারে তাঁর আমরণ অনশন নিয়ে প্রশাসনকে বিপাকে ফেলেছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তারও করেছিল দিল্লি পুলিশ। এখনও তিনি বন্দী হয়ে তিহার জেলে আছেন। এ নিয়ে সারা ভারতেও উত্তাল। অবশেষে আন্না হাজারে সমঝোতায় এসে দু’সপ্তাহের জন্য অনশন করবেন বলে ঘোষণা করলেন। তাঁর দলীয় নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, দিল্লি পুলিশের অনুমোদন সাপেক্ষে আজ শুক্রবার থেকে অনশনে বসবেন কিষাণবাবুরাও ‘আন্না হাজারে। গত বুধবার রাতেই গান্ধীবাদী ওই প্রবীণ সমাজকর্মীকে ১৪ দিনের জন্য অনশনে বসার অনুমতি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এরপরেই দিল্লির রামলীলা ময়দানে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে থেকে অনশন-সত্যাগ্রহে সামিল হওয়ার কথা থাকলেও অনশন মঞ্চ তৈরি করার মতো অবস্থা না থাকায় অবশেষে আজ থেকে ওই অনশন শুরু হবে বলে টিম-আন্নার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সরকারিস্তরে ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জেরে ইদানিং ভারতজুড়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন আন্না হাজারে। দুর্নীতি রোধে জনলোকপাল বিলের দাবি নিয়ে এর আগে গত ৫ এপ্রিল দিল্লির যন্তরমন্তরে অনশনে বসেছিলেন তিনি। তখনকার মতো তাঁর দাবিকে মেনে নিয়েছিল ইউপিএ সরকার। সংসদের বাদল অধিবেশনে একটি বিলও আনা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিলকে ‘ক্ষমতাহীন’ আখ্যা দিয়ে ‘শক্তিশালী’ জনলোকপাল বিল আনার দাবিতে ফের ১৬ আগস্ট আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা করেন আন্না। কিন্তু তাঁকে অনশনে বসতে দেওয়া তো দূরের কথা, ১৬ আগস্ট সাত-সকালে আন্না সহ তাঁর ৪০ সহযোগীকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তারপর থেকেই টিম-আন্নার সঙ্গে শুরু হয় দিল্লি পুলিশ তথা কেন্দ্রীয় সরকারের øায়ুযুদ্ধ। এমনকী, আন্নার সমর্থনে সংসদ তোলপাড় করে তোলে বিরোধীরা। এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে আন্নাকে ১৪ দিনের জন্য অনশনে বসার অনুমতি দেয় দিল্লি পুলিশ। দিল্লির রামলীলা ময়দানে তাঁবু খাটানোর অনুমিতও দেওয়া হয়েছে। রাত্রি ১০টা পর্যন্ত মঞ্চে মাইক ব্যবহার করা যাবে বলেও দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে। কিন্তু বর্ষায় রামলীলা ময়দানে অনশনে বসার পরিস্থিতি না থাকায় অনশনের নির্ঘন্ট একদিন পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন আন্দোলনকারীরা। সেইমতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রামলীলা ময়দানে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এদিকে, দিল্লি পুলিশ এই অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই ভারতজুড়ে বিজয় উৎসব শুরু করে দিয়েছেন আন্নার সমর্থকরা। আজ সকালে তিহার জেল থেকে তিনি অনশন মঞ্চে যাবেন। চিকিৎসক দল আন্নার অনশন নিয়ে কড়া দৃষ্টি রাখছেন। তাঁরা মনে করেন হাজারে দু’সপ্তাহ অনশন চালাতে পারবেন কি না সংশয় আছে। এদিকে তিহার জেলের সামনে আন্নার সমর্থকেরা ভীড় করে আছেন। জেলের ভিতর তাঁদের নেতা আন্না হাজারে অনশন করছেন বলে জেলের বাইরেও তাঁর সমর্থকেরা অনশনে বসেছেন। রামলীলা ময়দানে আজ থেকে আন্নার সঙ্গে তাঁর সমর্থকেরাও ঐ ময়দানে অনশন করবেন আন্নার সঙ্গে। এপিপি, কলকাতা: মঙ্গলবার ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটায় কলকাতার অতিপরিচিত বাংলা আকাদেমিতে ‘‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনার ব্যবস্থা করে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপরাষ্ট্রদূত জনাব মুস্তাফিজুর রহমান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করেন বাংলাদেমেল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী রাফিউদ্দিন আহমেদ রজু, শীর্ষক আলোচনার মূলবক্তব্য পেশ করেন দুই বাংলার প্রখ্যাত সহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বাংলা আকাদেমির প্রধান মহাশ্বেতাদেবী, নেতাজী রিসার্চব্যুরোর পক্ষে প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বোস উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক - ড: জয়ন্ত কুমার রায় এবং বাংলা স্টেটস ম্যান পত্রিকার সম্পাদক মানস ঘোষ। এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা উপদূতাবাসের প্রথম সচিব প্রেস কাজী মুস্তাক জহির। সম্মানীয় অতিথিদের মঞ্চে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান কলকাতাস্থ উপদূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত জনাব মুস্তাফিজুর রহমা, মূল আলোচক সৈয়দ শামসুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের টুঙ্গিপাড়ার মেঠোবালক থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার বিভিন্ন চিত্র কথার জালে সমোহিত করেন বাংংলা আকাদেমির সভাকক্ষে উপস্থিত ৩০০ জন শ্রোতাদের সামনে। তিনি বলেন, বাংলাভাষায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর রাজনীতির কবি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার মতো এত পৈশাচিক ঘটনা আর কোনও দিন যেন না ঘটে সেটা বিশ্ববাসিকে স্মরণে রাখতে হবে। তাকে প্রতিহত করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজও পরাজিত শত্র“রা রয়েছে তাই তারা আগস্ট মাসকেই বারে বারে হত্যালীলা চালাতে চায়। তা না হলে ২১ আগস্ট কেন শেখ হাসিনার সভায় গ্রেনেড হামলা হয়। তারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করেই শান্তি হয়নি। শেষ মূল উৎপাটন করতে তারা আজও অপেক্ষায় রয়েছে। আপনারা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা আমাদের পরম আÍীয় আপনারা আগেও আমাদের শক্তি যুগিয়েছেন আশা রাখবো আগামী দিনেও আমাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে আমাদের পাশে থাকবেন। আমাদের জননেত্রী যে কাজে হাত দিয়েছেন আপনাদের প্রার্থনা আর্শীবাদ ফসলে মুজিব হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের যথাযথ শাস্তি আমরা দিতে সক্ষম হবো বলে আশাকরি। উদয়ন পাল, কলকাতা : মঙ্গলবার সকালেই পুলিশ পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হল প্রবীণ গান্ধীবাদী ও সমাজকর্মী আন্না হাজারেকে। ৭৩ বছর বয়সী আন্না মঙ্গলবার থেকে দিল্লির জয়প্রকাশ নারায়ণ পার্কে অনশন ধর্মঘট শুরু করবেন, এমনই ঠিক ছিল। ‘সঠিক’ লোকপাল বিলের দাবিতে বহু আগেই আন্না জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি স্বাধীনতা দিবসের পর দিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসবেন। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তাঁকে লাগাতার অনশনের অনুমতি দেয়নি। মাত্র ৩ দিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং সঙ্গে চাপানো ছিল একগাদা শর্ত। আন্না সে সব শর্ত মানতে প্রস্তুত ছিলেন না। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা না করে একজন পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হতেই হল আন্না হাজারেকে। সঙ্গে আরও ৪০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। রাজনৈতিক, তথ্যাভিজ্ঞমহলের অভিমত, অনেক সংযমের পরিচয় দেওয়ার পরে সঠিকভাবেই কড়া পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। মঙ্গলবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর অনশন শুরু হওয়ার আগেই দিল্লি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আন্না জে পি পার্কে তাঁর অনশনস্থলে রওনা হওয়ার আগেই ময়ূরবিহার থেকে তাঁকে পুলিশ বাধ্য হয় গ্রেফতার করতে। এর আগে ডিসিপি (ক্রাইম) অশোক চাঁদ-সহ দিল্লির পদস্থ পুলিশ অফিসাররা পূর্ব দিল্লির অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে হাজারের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি যেন জে পি পার্কে অনশনে বসার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন। কিন্তু কে কার কথা শোনে। পুলিশের সমস্তরকম অনুরোধ-উপরোধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্না হাজারে তাঁর অনশন কর্মসূচিকে অব্যাহত রাখতে জে পি পার্কে রওনা হলে পুলিশ বাধ্য হয় তাঁকে গ্রেফতার করতে। এদিকে আন্না হাজারের গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদের উভয়কক্ষে তুমুল হই হট্টোগোল শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা। আধ ঘন্টার জন্য সভা মুলতুবি হয়ে যায় উভয়কক্ষেই। আন্না সেটাই চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতীয় উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়েও রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল আন্না হাজারের অনশনের উদ্যোগকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। আন্নার ‘শক্তিশালী’ লোকপাল বিলের দাবির বিরোধিতা করে প্রতিভা পাটেল বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে সকলেরই বিরত থাকা উচিত। সরকার হাজারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে লোকপাল বিল সংসদে পেশ করেছে। কিন্তু হাজারে চাইছেন, সংসদীয় ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অচল করে দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসতে। তাঁকে এ ব্যাপারে ইন্ধন জোগাচ্ছে বিজেপি এবং সঙঘ পরিবার। কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন হল, আন্না হাজারাকে যদি দুর্নীতি ও ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, তা হলে তিনি ভোটে দাঁড়ান। তার পর ভোটে জিতে সংসদে এসে সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থা মতে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিন। আন্না হাজারে চাইছেন, ভারতের আইন ব্যবস্থা ও বিচার ব্যবস্থাকে কজ্বা করতে। বিচার ব্যবস্থাকে লোকপাল বিলের আওতায় আনতে। যা সম্পূর্ণ হাস্যকর। এর আগে এই দুর্নীতির ইস্যুতেই লোকপাল বিলের খসড়া তৈরি করতে যৌথ কমিটির দাবিতে যন্তর মন্তরে অনশনে বসেছিলেন আন্না হাজারে। বারবার তিনি অনশনের হুমকি দিচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মতোই আচরণ করছেন। অথচ সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি নেই বলে জানাচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মতোই সরকারের সঙ্গে এই লোকপাল বিল নিয়ে তিনি দর কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হল, তা হলে তিনি ভোটে কেন দাঁড়াচ্ছেন না ? আন্নাকে ভারতীয় সংবিধানের ৬৫ ধারায় গ্রেফতার করে সিভিল লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে আন্না হাজারাকে গ্রেফতারের ঘটনায় দিল্লি, মুম্বাই, আমেদাবাদ ও কলকাতায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আন্নার সমর্থককারীরা বিভিন্ন বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করে। চিদাম্বরম জরুরি বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। উল্লেখ্য, মা সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ অবস্থায় এখন বিদেশে, তাই দলের দেখভালের দায়িত্বে এখন আছেন রাহুলই। এপিপি, কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন বাম সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিতর্কিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনও। টুইটারে শুক্রবার তসলিমার টুইটার পেজে হঠাৎই ফুটে ওঠে শ্লেষাত্মক এক টুইট। ‘ মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত করতে আমায় তো কলকাতা ছাড়া করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি নির্বাচনে হারলেন কী করে! আশ্চর্য।’ টুইটারে তসলিমার এই মন্তব্য থেকে বাম সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর জমে থাকা ক্ষোভ স্পষ্ট হয়েছে। ২০০৭-এর সেই নভেম্বরের ২১ তারিখ , যেদিন কোলকাতায় তসলিমার উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে প্রায় দাঙ্গা বাধার পরিস্থিাত সৃষ্টি হয়, সেই দিনটিকে দুঃস্বপ্নের অধ্যায় বলেও উল্লেখ করেছেন তসলিমা। ইসলামি মৌলবাদের রোষে ১৯৯৪ থেকে বাংলাদেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে নির্বাসন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তসলিমা। ফ্রান্স, সুইডেনের পাশাপাশি ভারতেও বেশ কিছুদিন কাটিয়েছেন তিনি। বরাবরই লেখিকা বলে এসছেন , বাংলা তার অত্যন্ত প্রিয় জায়গা। কলকাতা থাকতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন তিনি। কিন্তু ২০০৭-এর সেই ভয়াবঞ দিনটির পর কলকাতায় ফিরে আসার আগ্রহ দেখালেও বুদ্ধবাবুর সরকার তসলিমাকেকলকাতায় ঠাঁই দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। ৩৪ বছরের বাম-জমানার পতনের পর তসলিমা বলেছিলেন পরিবর্তন শুধু শাসকের নামে বা চেহারায় হলে হবে না। আমূল পরিবর্তন আনতে হবে পুরো ব্যবস্থায়। নয়তো পরিবর্তন স্রেফ একটা কথার কথাই রয়ে যাবে। আশঙ্কা করেছিলেন , ‘আজ য়৭ারা পরিবর্তনের জেরে লাফাচ্ছে, তারাই পাঁচ বছর পর আবার সিপিএমকে ভোট দিয়ে বসবে না তো?’ এপিপি, কলকাতা: ভুয়ো সংঘর্ষের নামে অভিযুক্তদের দায়ে জড়িত পুলিশ কর্মীদের উচিত শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ওইসব পুলিশ কর্মীকে ফাঁসিতে ঝোলানোই যথাযথ বিচার। মঙ্গলবার এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু ও বিচারপতি সি কে প্রসাদ। শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি বলেছেন, ‘‘ভুয়ো সংঘর্ষের নামে অভিযুক্তকে মেরে ফেলা আসলে ঠান্ডা মাথায় খুন। আইনের প্রহরী হিসেবে পুলিশের কাজ হওয়া উচিত মানুষকে রক্ষা করা। ভাড়াটে খুনিদের মতো আচরণ পুলিশের সাজে না।”
২০০৬ সালের অক্টোবরে রাজস্থানে ভুয়ো সংঘর্ষে দারা সিং নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, দারা সিং একজন মাফিয়া। রাজস্থান সরকার তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ২৫ হাজার টাকা। দারা সিংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী অভিযোগ জানান, অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ অরবিন্দ জৈন, আইপিএস এসপি আরশাদের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মীরা তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত রাজস্থানের সাবেক মন্ত্রী রাজেন্দর রাঠোরও। দারা সিংয়ের স্ত্রী সুশীলা দেবীর আবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের এপ্রিলে শীর্ষ আদালত ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়। সাবেক মন্ত্রী রাজেন্দ্রর ও অভিযুক্ত আইপিএস অফিসাররা এ পর্যন্ত গ্রেফতার হননি। শীর্ষ আদালত অভিযুক্ত পুলিশ কর্তাদের আÍসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায়, সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ওই দুই পুলিশ কর্তাকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআইকে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু ও সি কে প্রসাদ বলেন, ‘‘ভুয়ো সংঘর্ষে পুলিশ কর্মীরা অভিযুক্তকে মেরে ফেললে তা বিরলতম অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম ব্যবস্থা নেবে আদালত। কারণ, অভিযুক্তকে মেরে ফেলা সম্পূর্ণ নীতি বিরুদ্ধ বিষয়।” দারা সিংয়ের হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা এই অভূতপূর্ব মন্তব্য করেছেন। এ দিকে ভারতে ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ২০০৮ থেকে এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত ভুয়ো সংঘর্ষের ৩৬৯ মামলা নথিভুক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতরে উত্তরপ্রদেশে ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা সর্বাধিক। উত্তরপ্রদেশে ১২০জন ভুয়ো সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের পরেই মণিপুরের স্থান। মণিপুরে ২০০৮-০৯ সালে ১৬ জন, ২০০৯-১০ সালে ১২ জন, এ বছর এ পর্যন্ত একজন ভুয়ো সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন। গত তিন বছরের জম্মু-কাশ্মীরে ভুয়ো সংঘর্ষের ১৪টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। ছত্রিশগড়, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভুয়ো সংঘর্ষের মামলা হয়েছে যথাক্রমে ১১টি, ১৩টি ও ১২টি। এই অবস্থায় ভুয়ো সংঘর্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ভুয়ো সংঘর্ষে অভিযুক্ত গুজরাতের বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। ঘটনাগুলির তদন্ত করছে সিবিআই, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট। এপিপি, কলকাতা : কমনওয়েলথ গেমস দুর্নীতিতে সিএজি-র (ক্যাগ) রিপোর্টে অভিযুক্ত দিল্লি র মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ইস্তফা দাবি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নিতিন গড়করি। যদিও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। দুর্নীতি ইস্যুতে কংগ্রেসের দ্বিচারিতা নিয়ে রবিবার সরব হন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, লোকায়ুক্তের রিপোর্টে খনি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী উয়েদুরাপ্পার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পরেও কংগ্রেস নেতৃত্ব নীরব। ক্যাগ একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। তাদের রিপোর্টে দিলি র মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কমনওয়েলথ গেমসের একাধিক ক্ষেত্রে বেনিয়ম অবলম্বনের তথ্য থাকায় তাঁর ইস্তফা দেওয়ারই উচিত। তবে এদিন কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠকের পর দলের সাধারণ সচিব দিগি¦জয় সিং জানান, শীলা দীক্ষিতের পদত্যাগ করার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। কারণ পুরো সিএজি রিপোর্ট এখনও তাদের হাতে আসেনি। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির হাতে সেই রিপোর্ট যাবে। বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি সেই কমিটির সদস্য। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে গড়করি বলেন, ‘‘দ্বিচারিতা করে শীলাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস।” এপিপি, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম বদল ও জেলা ভাগ নিয়ে মহাকরণে শুরু হয় সর্বদলীয় বৈঠক। রোটান্ডায় এই বৈঠক শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে এই প্রথম সর্বদল বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী আগেই মন্ত্রিসভায় রাজ্যের নামবদলের বিষয়ে একটি প্রস্তাব নিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এরকম একটি সংবেদনশীল বিষয়ে অন্য রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়েই এগোতে চান। তাই কিছুটা চাপে পড়ে বামেরাও এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেয়। আর এই সর্বদল বৈঠকের পরই বসে মন্ত্রিসভার বৈঠক। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিধানসভায় যেসব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে তাদের সকলকে বৈঠকে ডাকা হয়। মোট নয়টি রাজনৈতিক দল এই বৈঠকে যোগ দিয়েছে। এছাড়া সর্বদল বৈঠকে জেলা ভাগ ও জেলার নতুন নামকরণেল বিষয়টিও আলোচনা হয়। কলকাতাকে নতুন জেলা হিসাবে গঠন করা হচ্ছে। পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে ভেঙে নতুন জেলা ঝাড়গ্রাম গঠন করা হচ্ছে। নতুন জেলা হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদান মিলবে। ফলে জঙ্গলমহলের উন্নয়নের কাজ আরও ভালভাবে করা যাবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নতুন নাম তাম্রলিপ্ত হবে কি না সেটা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়। বামেরা এদিনের বৈঠকে জঙ্গলমহল ও পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা ইস্যু েিনয় আলোচনা করে। এই সর্বদলীয় বৈঠকের মঞ্চকে ব্যভহার করে কিছুটা সস্তা রাজনীতি করার কৌশল নিতে চাইছে বামেদের একাংশ। |
বিভাগীয় সম্পাদক
প্রিয় পাঠক আপনাদের জন্যই পশ্চিম বঙ্গের লেখা দিয়েই আমাদের এ বিশেষ আয়োজন। তাই এ সম্পর্কে মতামত জানিয়ে আমাদের চলার পথকে আরো প্রসারিত করুন. বিষয় ভিত্তিক লেখা
All
আর্কাইভ
April 2018
|