উদয়ন পাল, কলকাতা : মঙ্গলবার সকালেই পুলিশ পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হল প্রবীণ গান্ধীবাদী ও সমাজকর্মী আন্না হাজারেকে। ৭৩ বছর বয়সী আন্না মঙ্গলবার থেকে দিল্লির জয়প্রকাশ নারায়ণ পার্কে অনশন ধর্মঘট শুরু করবেন, এমনই ঠিক ছিল। ‘সঠিক’ লোকপাল বিলের দাবিতে বহু আগেই আন্না জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি স্বাধীনতা দিবসের পর দিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসবেন। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তাঁকে লাগাতার অনশনের অনুমতি দেয়নি। মাত্র ৩ দিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং সঙ্গে চাপানো ছিল একগাদা শর্ত। আন্না সে সব শর্ত মানতে প্রস্তুত ছিলেন না।
সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা না করে একজন পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হতেই হল আন্না হাজারেকে। সঙ্গে আরও ৪০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। রাজনৈতিক, তথ্যাভিজ্ঞমহলের অভিমত, অনেক সংযমের পরিচয় দেওয়ার পরে সঠিকভাবেই কড়া পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। মঙ্গলবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর অনশন শুরু হওয়ার আগেই দিল্লি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আন্না জে পি পার্কে তাঁর অনশনস্থলে রওনা হওয়ার আগেই ময়ূরবিহার থেকে তাঁকে পুলিশ বাধ্য হয় গ্রেফতার করতে। এর আগে ডিসিপি (ক্রাইম) অশোক চাঁদ-সহ দিল্লির পদস্থ পুলিশ অফিসাররা পূর্ব দিল্লির অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে হাজারের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি যেন জে পি পার্কে অনশনে বসার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন। কিন্তু কে কার কথা শোনে। পুলিশের সমস্তরকম অনুরোধ-উপরোধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্না হাজারে তাঁর অনশন কর্মসূচিকে অব্যাহত রাখতে জে পি পার্কে রওনা হলে পুলিশ বাধ্য হয় তাঁকে গ্রেফতার করতে।
এদিকে আন্না হাজারের গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদের উভয়কক্ষে তুমুল হই হট্টোগোল শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা। আধ ঘন্টার জন্য সভা মুলতুবি হয়ে যায় উভয়কক্ষেই। আন্না সেটাই চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতীয় উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়েও রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল আন্না হাজারের অনশনের উদ্যোগকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। আন্নার ‘শক্তিশালী’ লোকপাল বিলের দাবির বিরোধিতা করে প্রতিভা পাটেল বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে সকলেরই বিরত থাকা উচিত। সরকার হাজারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে লোকপাল বিল সংসদে পেশ করেছে। কিন্তু হাজারে চাইছেন, সংসদীয় ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অচল করে দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসতে। তাঁকে এ ব্যাপারে ইন্ধন জোগাচ্ছে বিজেপি এবং সঙঘ পরিবার। কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন হল, আন্না হাজারাকে যদি দুর্নীতি ও ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, তা হলে তিনি ভোটে দাঁড়ান। তার পর ভোটে জিতে সংসদে এসে সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থা মতে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিন। আন্না হাজারে চাইছেন, ভারতের আইন ব্যবস্থা ও বিচার ব্যবস্থাকে কজ্বা করতে। বিচার ব্যবস্থাকে লোকপাল বিলের আওতায় আনতে। যা সম্পূর্ণ হাস্যকর। এর আগে এই দুর্নীতির ইস্যুতেই লোকপাল বিলের খসড়া তৈরি করতে যৌথ কমিটির দাবিতে যন্তর মন্তরে অনশনে বসেছিলেন আন্না হাজারে। বারবার তিনি অনশনের হুমকি দিচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মতোই আচরণ করছেন। অথচ সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি নেই বলে জানাচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মতোই সরকারের সঙ্গে এই লোকপাল বিল নিয়ে তিনি দর কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হল, তা হলে তিনি ভোটে কেন দাঁড়াচ্ছেন না ? আন্নাকে ভারতীয় সংবিধানের ৬৫ ধারায় গ্রেফতার করে সিভিল লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে আন্না হাজারাকে গ্রেফতারের ঘটনায় দিল্লি, মুম্বাই, আমেদাবাদ ও কলকাতায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আন্নার সমর্থককারীরা বিভিন্ন বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করে। চিদাম্বরম জরুরি বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। উল্লেখ্য, মা সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ অবস্থায় এখন বিদেশে, তাই দলের দেখভালের দায়িত্বে এখন আছেন রাহুলই।
সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা না করে একজন পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হতেই হল আন্না হাজারেকে। সঙ্গে আরও ৪০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। রাজনৈতিক, তথ্যাভিজ্ঞমহলের অভিমত, অনেক সংযমের পরিচয় দেওয়ার পরে সঠিকভাবেই কড়া পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। মঙ্গলবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর অনশন শুরু হওয়ার আগেই দিল্লি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আন্না জে পি পার্কে তাঁর অনশনস্থলে রওনা হওয়ার আগেই ময়ূরবিহার থেকে তাঁকে পুলিশ বাধ্য হয় গ্রেফতার করতে। এর আগে ডিসিপি (ক্রাইম) অশোক চাঁদ-সহ দিল্লির পদস্থ পুলিশ অফিসাররা পূর্ব দিল্লির অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে হাজারের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি যেন জে পি পার্কে অনশনে বসার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন। কিন্তু কে কার কথা শোনে। পুলিশের সমস্তরকম অনুরোধ-উপরোধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্না হাজারে তাঁর অনশন কর্মসূচিকে অব্যাহত রাখতে জে পি পার্কে রওনা হলে পুলিশ বাধ্য হয় তাঁকে গ্রেফতার করতে।
এদিকে আন্না হাজারের গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদের উভয়কক্ষে তুমুল হই হট্টোগোল শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা। আধ ঘন্টার জন্য সভা মুলতুবি হয়ে যায় উভয়কক্ষেই। আন্না সেটাই চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতীয় উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়েও রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল আন্না হাজারের অনশনের উদ্যোগকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। আন্নার ‘শক্তিশালী’ লোকপাল বিলের দাবির বিরোধিতা করে প্রতিভা পাটেল বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে সকলেরই বিরত থাকা উচিত। সরকার হাজারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে লোকপাল বিল সংসদে পেশ করেছে। কিন্তু হাজারে চাইছেন, সংসদীয় ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অচল করে দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসতে। তাঁকে এ ব্যাপারে ইন্ধন জোগাচ্ছে বিজেপি এবং সঙঘ পরিবার। কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন হল, আন্না হাজারাকে যদি দুর্নীতি ও ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, তা হলে তিনি ভোটে দাঁড়ান। তার পর ভোটে জিতে সংসদে এসে সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থা মতে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিন। আন্না হাজারে চাইছেন, ভারতের আইন ব্যবস্থা ও বিচার ব্যবস্থাকে কজ্বা করতে। বিচার ব্যবস্থাকে লোকপাল বিলের আওতায় আনতে। যা সম্পূর্ণ হাস্যকর। এর আগে এই দুর্নীতির ইস্যুতেই লোকপাল বিলের খসড়া তৈরি করতে যৌথ কমিটির দাবিতে যন্তর মন্তরে অনশনে বসেছিলেন আন্না হাজারে। বারবার তিনি অনশনের হুমকি দিচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মতোই আচরণ করছেন। অথচ সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি নেই বলে জানাচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মতোই সরকারের সঙ্গে এই লোকপাল বিল নিয়ে তিনি দর কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হল, তা হলে তিনি ভোটে কেন দাঁড়াচ্ছেন না ? আন্নাকে ভারতীয় সংবিধানের ৬৫ ধারায় গ্রেফতার করে সিভিল লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে আন্না হাজারাকে গ্রেফতারের ঘটনায় দিল্লি, মুম্বাই, আমেদাবাদ ও কলকাতায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আন্নার সমর্থককারীরা বিভিন্ন বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করে। চিদাম্বরম জরুরি বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। উল্লেখ্য, মা সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ অবস্থায় এখন বিদেশে, তাই দলের দেখভালের দায়িত্বে এখন আছেন রাহুলই।