এপিপি, কলকাতা: ভুয়ো সংঘর্ষের নামে অভিযুক্তদের দায়ে জড়িত পুলিশ কর্মীদের উচিত শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ওইসব পুলিশ কর্মীকে ফাঁসিতে ঝোলানোই যথাযথ বিচার। মঙ্গলবার এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু ও বিচারপতি সি কে প্রসাদ। শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি বলেছেন, ‘‘ভুয়ো সংঘর্ষের নামে অভিযুক্তকে মেরে ফেলা আসলে ঠান্ডা মাথায় খুন। আইনের প্রহরী হিসেবে পুলিশের কাজ হওয়া উচিত মানুষকে রক্ষা করা। ভাড়াটে খুনিদের মতো আচরণ পুলিশের সাজে না।”
২০০৬ সালের অক্টোবরে রাজস্থানে ভুয়ো সংঘর্ষে দারা সিং নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, দারা সিং একজন মাফিয়া। রাজস্থান সরকার তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ২৫ হাজার টাকা। দারা সিংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী অভিযোগ জানান, অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ অরবিন্দ জৈন, আইপিএস এসপি আরশাদের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মীরা তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত রাজস্থানের সাবেক মন্ত্রী রাজেন্দর রাঠোরও। দারা সিংয়ের স্ত্রী সুশীলা দেবীর আবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের এপ্রিলে শীর্ষ আদালত ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়। সাবেক মন্ত্রী রাজেন্দ্রর ও অভিযুক্ত আইপিএস অফিসাররা এ পর্যন্ত গ্রেফতার হননি। শীর্ষ আদালত অভিযুক্ত পুলিশ কর্তাদের আÍসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায়, সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ওই দুই পুলিশ কর্তাকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআইকে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু ও সি কে প্রসাদ বলেন, ‘‘ভুয়ো সংঘর্ষে পুলিশ কর্মীরা অভিযুক্তকে মেরে ফেললে তা বিরলতম অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম ব্যবস্থা নেবে আদালত। কারণ, অভিযুক্তকে মেরে ফেলা সম্পূর্ণ নীতি বিরুদ্ধ বিষয়।” দারা সিংয়ের হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা এই অভূতপূর্ব মন্তব্য করেছেন। এ দিকে ভারতে ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ২০০৮ থেকে এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত ভুয়ো সংঘর্ষের ৩৬৯ মামলা নথিভুক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতরে উত্তরপ্রদেশে ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা সর্বাধিক। উত্তরপ্রদেশে ১২০জন ভুয়ো সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের পরেই মণিপুরের স্থান। মণিপুরে ২০০৮-০৯ সালে ১৬ জন, ২০০৯-১০ সালে ১২ জন, এ বছর এ পর্যন্ত একজন ভুয়ো সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন। গত তিন বছরের জম্মু-কাশ্মীরে ভুয়ো সংঘর্ষের ১৪টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। ছত্রিশগড়, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভুয়ো সংঘর্ষের মামলা হয়েছে যথাক্রমে ১১টি, ১৩টি ও ১২টি। এই অবস্থায় ভুয়ো সংঘর্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ভুয়ো সংঘর্ষে অভিযুক্ত গুজরাতের বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। ঘটনাগুলির তদন্ত করছে সিবিআই, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট।
২০০৬ সালের অক্টোবরে রাজস্থানে ভুয়ো সংঘর্ষে দারা সিং নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, দারা সিং একজন মাফিয়া। রাজস্থান সরকার তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ২৫ হাজার টাকা। দারা সিংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী অভিযোগ জানান, অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ অরবিন্দ জৈন, আইপিএস এসপি আরশাদের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মীরা তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত রাজস্থানের সাবেক মন্ত্রী রাজেন্দর রাঠোরও। দারা সিংয়ের স্ত্রী সুশীলা দেবীর আবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের এপ্রিলে শীর্ষ আদালত ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়। সাবেক মন্ত্রী রাজেন্দ্রর ও অভিযুক্ত আইপিএস অফিসাররা এ পর্যন্ত গ্রেফতার হননি। শীর্ষ আদালত অভিযুক্ত পুলিশ কর্তাদের আÍসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায়, সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ওই দুই পুলিশ কর্তাকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআইকে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু ও সি কে প্রসাদ বলেন, ‘‘ভুয়ো সংঘর্ষে পুলিশ কর্মীরা অভিযুক্তকে মেরে ফেললে তা বিরলতম অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম ব্যবস্থা নেবে আদালত। কারণ, অভিযুক্তকে মেরে ফেলা সম্পূর্ণ নীতি বিরুদ্ধ বিষয়।” দারা সিংয়ের হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা এই অভূতপূর্ব মন্তব্য করেছেন। এ দিকে ভারতে ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ২০০৮ থেকে এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত ভুয়ো সংঘর্ষের ৩৬৯ মামলা নথিভুক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতরে উত্তরপ্রদেশে ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা সর্বাধিক। উত্তরপ্রদেশে ১২০জন ভুয়ো সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের পরেই মণিপুরের স্থান। মণিপুরে ২০০৮-০৯ সালে ১৬ জন, ২০০৯-১০ সালে ১২ জন, এ বছর এ পর্যন্ত একজন ভুয়ো সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন। গত তিন বছরের জম্মু-কাশ্মীরে ভুয়ো সংঘর্ষের ১৪টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। ছত্রিশগড়, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভুয়ো সংঘর্ষের মামলা হয়েছে যথাক্রমে ১১টি, ১৩টি ও ১২টি। এই অবস্থায় ভুয়ো সংঘর্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ভুয়ো সংঘর্ষে অভিযুক্ত গুজরাতের বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। ঘটনাগুলির তদন্ত করছে সিবিআই, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট।