উদয়ন পাল, কলকাতা: মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনায় কলকাতার এক জঙ্গিকে খুঁজছে পুলিশ। শনিবার মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশের কাছে আবদুল া ওরফে নাটা নামে ওই জঙ্গি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। মুম্বাই পুলিশের কাছে খবর, আবদুল া ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রধান পান্ডা আমির রেজা খানের ডান হাত হিসাবে কাজ করছিল। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর মূল দায়িত্বে ছিল আবদুল া। কলকাতার পার্ক সার্কাসের মফিদুল ইসলাম লেনে আমির রেজার বাড়ির কাছেই আবদুল ার বাড়ি। মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে হানার ঘটনাতেও আবদুল া জড়িত। ওই ঘটনার পর থেকেই গত ন’বছর আবদুল া পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মুম্বাই পুলিশ আরও দু’টি নামের ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের কাছে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে। ওই দুই সন্দেহভাজন গত কয়েকদিনে কলকাতা থেকে ট্রেনে চেপে মুম্বাই অথবা লখনউ গিয়েছিল কি না, সেব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। তাদের নাম ধরে মুম্বাই ও লখনউয়ের সমস্ত ট্রেনের রিজার্ভেশন লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, তারা সরাসরি ট্রেনে অথবা লখনউ পর্যন্ত ট্রেনে গিয়ে সেখান থেকে বিমানে মুম্বাই যেতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বাই বিস্ফোরণের পরই ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাদের ধাণা ছিল, এর পিছনে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হাত রয়েছে। বিস্ফোরণের তারিখ, বিস্ফোরণস্থল বাছা, সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটানো দেখেই গোয়েন্দা কর্তারা এই মতামতে পৌঁছেছিলেন। মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের বেশ কয়েকটি ডেরা এবং অনুগামী রয়েছে।
মুম্বাই পুলিশ আবদুল া সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় কলকাতা পুলিশ নড়েচড়ে বসে। মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে হানার অনেক আগেই আমিরের দাদা আসিফ রেজা খানের সংস্পর্শে এসে আবদুল া জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছিল। তথ্যকেন্দ্রে হানার পর মহম্মদ সাদিক ওরফে সাদাকাতের সঙ্গে আবদুল াও কলকাতা ছেড়ে পালায়। সাদাকাতই তথ্যকেন্দ্রের সামনে গুলি চালিয়ে পুলিশকর্মীদের হত্যা করেছিল। সাদাকাতকে ২০০৯ সালে মুম্বাই থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে আমেদাবাদে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গোয়েন্দারা জেনেছেন, সাদাকাত গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবদুল াই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর দায়িত্বে রয়েছে।
কলকাতা পুলিশ জেনেছে, কয়েক মাস আগে আবদুল ার বাবা মারা যান। তখন আবদুল া বাড়িতে ফোন করে কয়েকদিন কথাবার্তা বলে। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে সে পার্ক সার্কাসে আসেনি। বছর দুয়েক আগে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে কলকাতার কয়েকজন শিল্পপতি ও হোটেল মালিকের কাছে মোটা টাকা চেয়ে ফোন এসেছিল। গোয়েন্দারা তদন্ত করে দেখেছিলেন, আমির রেজা খানের নাম করে বিদেশ থেকে ফোন করা হলেও, ভারতে এবং কলকাতার ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের নিয়ে তাকে তথ্য জোগাচ্ছিল আবদুল া।
মুম্বাই পুলিশ আরও দু’টি নামের ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের কাছে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে। ওই দুই সন্দেহভাজন গত কয়েকদিনে কলকাতা থেকে ট্রেনে চেপে মুম্বাই অথবা লখনউ গিয়েছিল কি না, সেব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। তাদের নাম ধরে মুম্বাই ও লখনউয়ের সমস্ত ট্রেনের রিজার্ভেশন লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, তারা সরাসরি ট্রেনে অথবা লখনউ পর্যন্ত ট্রেনে গিয়ে সেখান থেকে বিমানে মুম্বাই যেতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বাই বিস্ফোরণের পরই ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাদের ধাণা ছিল, এর পিছনে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হাত রয়েছে। বিস্ফোরণের তারিখ, বিস্ফোরণস্থল বাছা, সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটানো দেখেই গোয়েন্দা কর্তারা এই মতামতে পৌঁছেছিলেন। মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের বেশ কয়েকটি ডেরা এবং অনুগামী রয়েছে।
মুম্বাই পুলিশ আবদুল া সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় কলকাতা পুলিশ নড়েচড়ে বসে। মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে হানার অনেক আগেই আমিরের দাদা আসিফ রেজা খানের সংস্পর্শে এসে আবদুল া জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছিল। তথ্যকেন্দ্রে হানার পর মহম্মদ সাদিক ওরফে সাদাকাতের সঙ্গে আবদুল াও কলকাতা ছেড়ে পালায়। সাদাকাতই তথ্যকেন্দ্রের সামনে গুলি চালিয়ে পুলিশকর্মীদের হত্যা করেছিল। সাদাকাতকে ২০০৯ সালে মুম্বাই থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে আমেদাবাদে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গোয়েন্দারা জেনেছেন, সাদাকাত গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবদুল াই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর দায়িত্বে রয়েছে।
কলকাতা পুলিশ জেনেছে, কয়েক মাস আগে আবদুল ার বাবা মারা যান। তখন আবদুল া বাড়িতে ফোন করে কয়েকদিন কথাবার্তা বলে। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে সে পার্ক সার্কাসে আসেনি। বছর দুয়েক আগে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে কলকাতার কয়েকজন শিল্পপতি ও হোটেল মালিকের কাছে মোটা টাকা চেয়ে ফোন এসেছিল। গোয়েন্দারা তদন্ত করে দেখেছিলেন, আমির রেজা খানের নাম করে বিদেশ থেকে ফোন করা হলেও, ভারতে এবং কলকাতার ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের নিয়ে তাকে তথ্য জোগাচ্ছিল আবদুল া।