এপিপি, কলকাতা : লস্কর-ই-তৈবার সম্মুখ সংগঠন জমাত-উদ-দাওয়ার ‘আপাত নিরীহ’ ওয়েবসাইটে লেখা ‘ইসলামিক জিহাদ’ বা ‘হাফিজ সঈদ’ লিঙ্কগুলি ভাবিয়ে তুলেছে ভারতের গোয়েন্দাদের। ওই লিঙ্কগুলির মাধ্যমে জঙ্গিদের মধ্যে যোগাযোগের সম্ভাবনা গোয়েন্দারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বুধবার মুম্বাইয়ে সিরিয়াল বিস্ফোরণের পর ওয়েবসাইটটি নতুন করে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে গোয়েন্দারা। লস্কর-ই-তৈবার বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের মুল হাতিয়ার ওই ‘আপাত নিরীহ’ ওয়েবাসাইটকে সামনে রেখে জিহাদিদের লড়াই ও লস্করের শীর্ষনেতা হাফিজ মহম্মদ সঈদের প্রচারের বিষয়টিকেও সামনে রাখছেন গোয়েন্দারা। শুধু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নন, কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে পর্যন্ত লস্কর-ই-থৈবার সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ ও ভারতবিরোধী বক্তব্য ছড়ানের বড় হাতিয়ার ছিল সম্মুখ সংগঠন জমা-উদ-দাওয়ার ওয়েবসাইটটি। শুধু ভারতবিরোধী প্রচারই নয়, তার সঙ্গে লস্করের নেতারা নিজেদের মতামতও ব্যক্ত করতেন ওই ওয়েসবসাইটের মাধ্যমে। প্রায়ই লস্করের শীর্ষনেতা হাফিজ সঈদ ও অন্যান্য নেতারা নিজেদের কথা বলতেন। ওই ওয়েবসাইটের ব গের মাধ্যমে সুযোগ ছিল লস্করের নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে লস্কর-ই-তৈবা সেরে নিত নিয়োগের প্রাথমিক কাজও। তাই ওই ওয়েবসাইটের উপর সর্বক্ষণ নজরদারি ছিল গোয়েন্দাদের। গত ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে হামলার পর লস্করের ওই সংগঠন জমাত-উদ-দাওয়া নিষিদ্ধ হয়। তারপর ওই ওয়েবসাইটটিকেও ‘আপাত নিরীহ’ করে তুলতে শুরু করে লস্কর। এখন ওয়েবসাইটিতে কয়েকটি ীরঙ্ক রয়েছে, সেগুলির মাধ্যমে অন্যান্য ওয়েবসাইটে পৌঁছে যাওয়া যায়। এমনকী বিভিন্ন দেশের যুবক-যুবতীদের বিয়ের ক্ষেত্রেও লস্করের এই ওয়েবসাইটটি ঘেঁটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সন্দেহজনক কিছুর সন্ধান করেছিলেন। বুধবার মুম্বাইয়ের বিস্ফোরণের পর ওই ওয়েবসাইটটি নতুন করে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ওয়েবসাইটে দু’টি নামে ওই দু’টি লিঙ্ক ইতিমধ্যেই ঘেঁটেছেন গোয়েন্দারা। এগুলিতে ক্লিক করলেও ভেসে উঠছে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ওই ওয়েবসাইটগুলিও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। গোয়েন্দাদের মতে, এমনও হতে পারে যে, জমাত-উদ-দাওয়ার ওয়েবসাইটের সামনের পাতায় কিছু না রেখে ওই বিশেষ দু’টি সন্দেহজনক লিঙ্কোর মাধ্যমে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে অন্য কোনও ওয়েবসাইটের সঙ্গে। সেই ওয়েবাসাইটগুলির মাধ্যমে লস্কর-ই-তৈবা আগের মতো বাইরে যোগাযোগ রাখছে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
বিভাগীয় সম্পাদক
প্রিয় পাঠক আপনাদের জন্যই পশ্চিম বঙ্গের লেখা দিয়েই আমাদের এ বিশেষ আয়োজন। তাই এ সম্পর্কে মতামত জানিয়ে আমাদের চলার পথকে আরো প্রসারিত করুন. বিষয় ভিত্তিক লেখা
All
আর্কাইভ
April 2018
|