এপিপি, কলকাতা: ফের মাওবাদী ইস্যু নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অস্বস্তিতে ফেললেন তৃণমূলের বিতর্কিত সাংসদ সদস্য কবীর সুমন। জঙ্গলমহল থেকে অবিলম্বে যৌথ বাহিনী তুলতে হবে। মঙ্গলবার কলকাতা ইউনিভারসিটি হলে আয়োজিত এই কনভেনশনে তিনি দাবি করেন রাজ্যের সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যখন নিজেই জঙ্গলমহলে উপস্থিত তখন তাঁরই দলের সাংসদ সদস্যের এহেন আচরণ নতুন করে বিতর্কের ইন্ধন জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এ পি ডি আর, লালগড় মঞ্চ, মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতি, নারী ইজ্জত বাঁচাও কমিটি, বন্দি মুক্তি কমিটিসহ বেশ কিছু সংগঠনের ডাকা এই আলোচনা চক্রে জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরাতে রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার সমালোচনা করা হয়। পাশাপাশি বন্দিমুক্তি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হন বক্তারা। রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হওয়া এই আলোচনাসভায় সক্রিয়ভাবেই অংশ নেন সুমনবাবু। কবীর সুমন মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গল মহল সফরকে স্বাগত জানালেও তিনি যেভাবে বিনা শর্তে যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার দাবি তুলেছেন তা কার্যত দলনেত্রীর উদ্যোগের বিরোধিতার সামিল। শুধু তাই নয় তাঁর সহকর্মী রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর নাম করেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের এই বিতর্কিত সংসদ সদস্য। তাঁর দাবি, সম্প্রতি পূর্ণেন্দুবাবু এক টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন প্রয়োজনে জঙ্গল মহলে বন্দুক হাতে উন্নয়ন করতে হবে। ‘শ্রমমন্ত্রীর এই কথায় আমি শঙ্কিত বলে দাবি করেছেন কবীর সুমন।
তিনি মনে করেন, জঙ্গলমহলে যৌথ বাহিনী রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী একবারও সেখানে যাওয়ার সাহস না দেখালেও মমতার যাওয়াটা ইতিবাচক বলেই তাঁর ধারণা।
মুখ্যমন্ত্রী বন্দিদের প্রত্যেকের মামলা আলাদা আলাদা করে বিবেচনা করে তবেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার বিরোধিতা করেছেন কবীর সুমন। তাঁর মতে, ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার যেভাবে সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি দিয়েছিল সেই মডেলেই বর্তমান বন্দিদের বিষয়টি দেখা উচিত। এছাড়া ইউ এ পি এ আইন বাতিলের দাবিও তোলেন তিনি।
এদিনের সভায় জঙ্গলমহল থেকেও বেশ কিছু প্রতিনিধি অংশ নেন।
তিনি মনে করেন, জঙ্গলমহলে যৌথ বাহিনী রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী একবারও সেখানে যাওয়ার সাহস না দেখালেও মমতার যাওয়াটা ইতিবাচক বলেই তাঁর ধারণা।
মুখ্যমন্ত্রী বন্দিদের প্রত্যেকের মামলা আলাদা আলাদা করে বিবেচনা করে তবেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার বিরোধিতা করেছেন কবীর সুমন। তাঁর মতে, ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার যেভাবে সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি দিয়েছিল সেই মডেলেই বর্তমান বন্দিদের বিষয়টি দেখা উচিত। এছাড়া ইউ এ পি এ আইন বাতিলের দাবিও তোলেন তিনি।
এদিনের সভায় জঙ্গলমহল থেকেও বেশ কিছু প্রতিনিধি অংশ নেন।