এপিপি, কলকাতা : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনেস্কো ‘ওয়াল্ড হেরিটেজ’ ঘোষণা করল বা না করল তাতে বিশ্বভারতীর কিছু এসে যায় না। গুরুদেবের অবদান ইউনেস্কোর স্বীকৃতির উপর নির্ভরশীল নয়। একথা স্পষ্ট জানালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য রজতকান্ত রায়।
বুধবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপাচার্য রজতকান্ত রায় বলেন, ‘বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের দরকার আছে বলে মনে করি না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আবেদন করা হয়েছে। শান্তিনিকেতনে গুরুদেবের যে অবদান তার স্বীকৃতি ইউনেস্কোর উপর নির্ভর করে না। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হল বা না হল গুরুদেবের কিছু যায় আসে না। ব্যক্তিগতভাবে আমারও কিছু যায় আসে না।’ ২০০৯ সাল থেকে ‘ওয়াল্ড হেরিটেজে’র স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকাতে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে পাঁচিল তুলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন পাঁচিল তোলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ‘ওয়ার্ল্ড’ হেরিটেজে’র দোহাই দিয়ে যেভাবে পাঁচিল তুলেছেন, তা রবীন্দ্রনাথেল চিন্তাধারার সঙ্গে মেলে না। এই প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘গুরুদেবের আদর্শকে আমরা নষ্ট করছি না। প্রকৃতিকে আমরা সংরক্ষণ করছি না। তা না হলে জঙ্গলে পরিণত হবে বিশ্বভারতী।
আগামী ২৮ জুলাই উপাচার্য রজতকান্ত রায় অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু গত পাঁচ বছর তিনি কী কাজ করেছেন বা করতে পারেননি তা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি একরাশ দুঃখ েিনয় যাচ্ছি।’ পরে সহ-উপাচার্য উদয় নারায়ণ সিংহ জানান, বিশ্বভারতী ২০০৬ থেকে ২০০৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দুই ধরনের উন্নয়নের কাজ হয়েছে ২০০৬ থেকে বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। কিন্তু ২০০৯-২০১১ প্রধানত সংস্কারের কাজ হয়েছে। তিনি জানান, সাড়ে ছ’কোটি টাকা ব্যয় করে ১৭টি বাড়ির সংস্কার করা হয়েছে। সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ে কেনা বইগুলি এবং তার লেখা বইগুলি ডিজিটাইলাএজশন করা হয়েছে। লিপিকাতে যে পাণ্ডুলিপি রয়েছে তার সংরক্ষণ করা হচ্ছে ও দেওয়াল চিত্রগুলি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সাড়ে আট কোটি টাকা দিয়ে রবীন্দ্রনাথেল বিভিন্ন অপ্রকাশিত ২০৬৫টি ছবির সংকলন তৈরির কাজ চলছে। তিনি জানান, বিশ্বভারতীর ১৮ একর জমি আদিবাসীদের দেওয়া হয়েছে। ৬০ একর জমি বিভিন্ন ব্যক্তিকে বাসস্থানের জন্য দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে যারা উদ্বাস্তু রয়েছেন তাদের পাট্টা দেওয়া
বুধবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপাচার্য রজতকান্ত রায় বলেন, ‘বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের দরকার আছে বলে মনে করি না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আবেদন করা হয়েছে। শান্তিনিকেতনে গুরুদেবের যে অবদান তার স্বীকৃতি ইউনেস্কোর উপর নির্ভর করে না। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হল বা না হল গুরুদেবের কিছু যায় আসে না। ব্যক্তিগতভাবে আমারও কিছু যায় আসে না।’ ২০০৯ সাল থেকে ‘ওয়াল্ড হেরিটেজে’র স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকাতে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে পাঁচিল তুলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন পাঁচিল তোলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ‘ওয়ার্ল্ড’ হেরিটেজে’র দোহাই দিয়ে যেভাবে পাঁচিল তুলেছেন, তা রবীন্দ্রনাথেল চিন্তাধারার সঙ্গে মেলে না। এই প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘গুরুদেবের আদর্শকে আমরা নষ্ট করছি না। প্রকৃতিকে আমরা সংরক্ষণ করছি না। তা না হলে জঙ্গলে পরিণত হবে বিশ্বভারতী।
আগামী ২৮ জুলাই উপাচার্য রজতকান্ত রায় অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু গত পাঁচ বছর তিনি কী কাজ করেছেন বা করতে পারেননি তা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি একরাশ দুঃখ েিনয় যাচ্ছি।’ পরে সহ-উপাচার্য উদয় নারায়ণ সিংহ জানান, বিশ্বভারতী ২০০৬ থেকে ২০০৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দুই ধরনের উন্নয়নের কাজ হয়েছে ২০০৬ থেকে বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। কিন্তু ২০০৯-২০১১ প্রধানত সংস্কারের কাজ হয়েছে। তিনি জানান, সাড়ে ছ’কোটি টাকা ব্যয় করে ১৭টি বাড়ির সংস্কার করা হয়েছে। সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ে কেনা বইগুলি এবং তার লেখা বইগুলি ডিজিটাইলাএজশন করা হয়েছে। লিপিকাতে যে পাণ্ডুলিপি রয়েছে তার সংরক্ষণ করা হচ্ছে ও দেওয়াল চিত্রগুলি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সাড়ে আট কোটি টাকা দিয়ে রবীন্দ্রনাথেল বিভিন্ন অপ্রকাশিত ২০৬৫টি ছবির সংকলন তৈরির কাজ চলছে। তিনি জানান, বিশ্বভারতীর ১৮ একর জমি আদিবাসীদের দেওয়া হয়েছে। ৬০ একর জমি বিভিন্ন ব্যক্তিকে বাসস্থানের জন্য দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে যারা উদ্বাস্তু রয়েছেন তাদের পাট্টা দেওয়া