রাহুল গান্ধী
এপিপি, কলকাতা : অঝোর বৃষ্টি। রাত থেকেই আকাশ ছিল থমথমে। অনেকেই ভেবেছিলেন, আকাশ থেকে তেড়েফুঁড়ে নামা বৃষ্টিতে হয়তো দফারফাই হল রাহুলের মহাপঞ্চায়েত।
হল বরং ঠিক উল্টোটাই। হাজার হাজার মানুষ বৃষ্টি মাথায় করে রাহুলের কথা শুনলেন। মহাপঞ্চায়েতে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁরা সকলেই কিন্তু কৃষক নন। রাহুল গান্ধীর কথা শুনতে ভিড় করেছিলেন সাধারণ বহু মানুষও।
শত্র“র মুখে ছাই। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে রাহুলের জনপ্রিয়তার গ্রাফ যে ঊর্ধ্বমুখী, তা জানান দিল আলিগড়ে মহাপঞ্চায়েত। শুক্রবার থেকেই আলিগড়ে মানুষের জমায়েত বাড়তে হোটেল, ধর্মশালায় ঘর পাওয়াই দুষ্কর।
এক কথায়, মহাপঞ্চয়েতে রাহুল পেয়েছেন একশোয় একশো। জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে কৃষক রাজনীতিতে হাতেকড়ির পরপরই দারুণ নম্বর পাওয়া রাহুল বলেছেন, ‘‘সরকারি গজদন্তমিনারে বসে যোজনা কমিশন উন্নয়নের যে পরিকল্পনা করে, তার চেয়েও বেশি জীবনমুখী মাটিতে থাকা মানুষ। আমি তাই কেবলই শিখছি।” স্বাগত জানাল প্রবল করতালি। রাহুল বললেন, ‘‘এই কয়েকদিন পদযাত্রা থেকে যা শিখেছি, তা আমার জীবনকে ধন্য করেছে। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।”
রাহুলের কথাবার্তা মা-মাটি-মানুষের আন্দোলনকেই মনে পড়িয়ে দিচ্ছে নাকি ? কথায় বলে, একটি স্ফুলিঙ্গই দাবানল জ্বালাতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের স্ফুলিঙ্গ এখন উত্তরেও। মাটির রাজনীতি যেন পুরনো গানের মতো লাবণ্য মেখে ফের ফিরছে। তাতে লাভ এই, মাটির মানুষের আশা জাগছে। না, আর একা নই, কেউ পাশে আছে। মহাপঞ্চায়েতে আসা কৃষকরাজ কিশোর যা বললেন তার সারমর্ম, কৃষকদের সুদিন আসছে। নতুন দিনের নায়ক হবেন চাষাভুষোরা। এ সময়ে এই রাজনীতির উদ্ভব তো উত্তরপ্রদেশে নয়, নতুন শতাব্দীর মাটির রাজনীতির সূতিকাগার তো বাংলা। সে কথাও এদিন একবাক্যে মেনেছে মহাপঞ্চায়েত। রাহুল, ‘চেয়েছিলাম কৃষকরা মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ করুন। পেরেছি।’
মহাপঞ্চায়েতে রাহুলের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সচিন পাইলট, রীতা বহুগুণার মতো নেতারা। রাহুল জানিয়েছেন, ইউপিএ সরকার কৃষকদের পাশে রয়েছে। আগামী বাদল অধিবেশনে কৃষক স্বার্থরক্ষায় জমি অধিগ্রহণ বিল আনতে চলেছে নয়াদিল্লি। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বলেছেন, ‘‘ওই নতুন বিল কৃষকদের উন্নয়ন ও কল্যাণের দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।”
মহাপঞ্চায়েতের সাফল্যের মায়াবতীর ঘাড়ের উপর রাহুলের নিঃশ্বাস পড়ল। তবে কি বহেনজির ছুটির ঘন্টা বাজল ?
আসছে বছর তার উত্তর দেবে ব্যালট।
হল বরং ঠিক উল্টোটাই। হাজার হাজার মানুষ বৃষ্টি মাথায় করে রাহুলের কথা শুনলেন। মহাপঞ্চায়েতে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁরা সকলেই কিন্তু কৃষক নন। রাহুল গান্ধীর কথা শুনতে ভিড় করেছিলেন সাধারণ বহু মানুষও।
শত্র“র মুখে ছাই। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে রাহুলের জনপ্রিয়তার গ্রাফ যে ঊর্ধ্বমুখী, তা জানান দিল আলিগড়ে মহাপঞ্চায়েত। শুক্রবার থেকেই আলিগড়ে মানুষের জমায়েত বাড়তে হোটেল, ধর্মশালায় ঘর পাওয়াই দুষ্কর।
এক কথায়, মহাপঞ্চয়েতে রাহুল পেয়েছেন একশোয় একশো। জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে কৃষক রাজনীতিতে হাতেকড়ির পরপরই দারুণ নম্বর পাওয়া রাহুল বলেছেন, ‘‘সরকারি গজদন্তমিনারে বসে যোজনা কমিশন উন্নয়নের যে পরিকল্পনা করে, তার চেয়েও বেশি জীবনমুখী মাটিতে থাকা মানুষ। আমি তাই কেবলই শিখছি।” স্বাগত জানাল প্রবল করতালি। রাহুল বললেন, ‘‘এই কয়েকদিন পদযাত্রা থেকে যা শিখেছি, তা আমার জীবনকে ধন্য করেছে। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।”
রাহুলের কথাবার্তা মা-মাটি-মানুষের আন্দোলনকেই মনে পড়িয়ে দিচ্ছে নাকি ? কথায় বলে, একটি স্ফুলিঙ্গই দাবানল জ্বালাতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের স্ফুলিঙ্গ এখন উত্তরেও। মাটির রাজনীতি যেন পুরনো গানের মতো লাবণ্য মেখে ফের ফিরছে। তাতে লাভ এই, মাটির মানুষের আশা জাগছে। না, আর একা নই, কেউ পাশে আছে। মহাপঞ্চায়েতে আসা কৃষকরাজ কিশোর যা বললেন তার সারমর্ম, কৃষকদের সুদিন আসছে। নতুন দিনের নায়ক হবেন চাষাভুষোরা। এ সময়ে এই রাজনীতির উদ্ভব তো উত্তরপ্রদেশে নয়, নতুন শতাব্দীর মাটির রাজনীতির সূতিকাগার তো বাংলা। সে কথাও এদিন একবাক্যে মেনেছে মহাপঞ্চায়েত। রাহুল, ‘চেয়েছিলাম কৃষকরা মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ করুন। পেরেছি।’
মহাপঞ্চায়েতে রাহুলের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সচিন পাইলট, রীতা বহুগুণার মতো নেতারা। রাহুল জানিয়েছেন, ইউপিএ সরকার কৃষকদের পাশে রয়েছে। আগামী বাদল অধিবেশনে কৃষক স্বার্থরক্ষায় জমি অধিগ্রহণ বিল আনতে চলেছে নয়াদিল্লি। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বলেছেন, ‘‘ওই নতুন বিল কৃষকদের উন্নয়ন ও কল্যাণের দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।”
মহাপঞ্চায়েতের সাফল্যের মায়াবতীর ঘাড়ের উপর রাহুলের নিঃশ্বাস পড়ল। তবে কি বহেনজির ছুটির ঘন্টা বাজল ?
আসছে বছর তার উত্তর দেবে ব্যালট।