এপিপি, কলকাতা: বিস্ফোরণ, বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বাই যেন অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে। ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাাতিক বিমানবন্দর থেকে ভিটি স্টেশন, কোলাবার গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া থেকৈ সেনাপতি বাপট মার্গ, মহালক্ষ্মী থেকে নাগপাড়া, কিংবা গরকালের তিন বিস্ফোরণস্থল জাভেরি বাজার, অপেরা হাউস, দাদরের কোণে কোণে মুম্বাইকারদের মুখে একটাই কথা, ‘ঢের হয়েছে। আর নয়। আর কত বিস্ফোরণের দগদগে ঘায়ে কলঙ্কিত হবে এ শহর ? আর কত প্রাণের বিনিময়ে শোধ করতে হবে বাণিজ্যনগরীর মহিমা ? আর কত বার মার খাওয়ার পরদিনই ঘুর দাঁড়িয়ে হার না মানার সংকল্প দেখাতে হবে ? মায়ানগরী তো ক্রমেই ধামাকা নগরীতে পরিণত হচ্ছে।’
এবারের ধামাকার পর মুম্বাইবাসী ক্ষোভ যেন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। কারণ, ২৬/১১-র তাজ, নরিম্যান হাউস, ট্রাইডেন্টে সন্ত্রাসবাদী হানার ঘটনায় ধৃত আজমল কাসাভ। শুক্রবার মুম্বাইকারদের কাছে ধামাকা প্রসঙ্গ তুলতেই একই কথা শুনেছি। মনে হয়েছে, যেন কেউ শিখিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। যার মোদ্দা অর্থ হল, কাসাবের জন্য নিরাপত্তা আর আমাদের জন্য আই ই ডি ? বন্ধ হোক এই প্রহসন। আমাদের হন্য সীমা ছাড়াচ্ছে। চলতি সিরিয়াল বিস্ফোরণের পর মুম্বাইবাসীর মোদ্দা প্রতিক্রিয়া এটাই।
অপেরা হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে হীরে ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছিল, কোনও রাজনেতাকে হাতের কাছে পেলে এঁরা বোধ হয়, মারধরই করে বসবে। তাজে হামলার পরও মুম্বাইয়ের সিভিল সোসাইটি রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। মোমবাতি মিছিল হয়েছিল। পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গেও বহু মোমবাতি জ্বলেছে। আবার সেই একই প্রতিক্রিয়া মুম্বাইয়ের। অপেরা হাউস এলাকার তিন দশকের বাসিন্দা শৈলেশ ভাই, নৈলেশ ভাই বলছিলেন, ১০ হাজার ব্যবহাসী এখানে কারবার করে। ভারতের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি শুল্ক আসে এখান থেকে। আমাদের করের টাকায় কাসাভ খেয়ে-দেয়ে নাদুসনুদুস হচ্ছে, আর আমাদের কপালে জুটছে বোমা। আমাদের জীবনের কোনও মূল্য নেই ?
আর এক হীরে ব্যাবসায়ী সমীর শেঠ এতটাই চটে আছেন যে, তিনি বললেন, আমাদের শেঠনি’রা কাঁদবেন আর কাসাভ জেলে বড় হবে। রাজনেতাদের নিরাপত্তা বাড়বে। যদি লিখতে হয়, এটাই লিখবেন, যারা কাসাভকে ফাঁসিতে ঝোলাতে ভয়ে মরে, তাদের সাধারণ মানুষের জীবনরক্ষার দায়ও নিতে হবে। আমাদের টাকায় কাসাভের মতো জঙ্গিদের নিরাপত্তা দেওয়া চলবে না। শুধু হীরে ব্যবসায়ীরাই নন, ট্রম্বের বাসিন্দা জাভেরি বাজরের কর্মচারী মহম্মদ ফারুক কিংবা দাদরের বাসিন্দা রাজু ভাই শাহের প্রশ্ন, এভাবে বাঁচব কী করে। প্রতিদিন বাড়ি ফিরে যদি ভগবানকে ধন্যবাদ দিয়ে বলতে হয়, যাক আজ অন্তত বিনা ধামাকাতেই দিনটা কাটল, তাহলে কেমন লাগে।
এবারের ধামাকার পর মুম্বাইবাসী ক্ষোভ যেন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। কারণ, ২৬/১১-র তাজ, নরিম্যান হাউস, ট্রাইডেন্টে সন্ত্রাসবাদী হানার ঘটনায় ধৃত আজমল কাসাভ। শুক্রবার মুম্বাইকারদের কাছে ধামাকা প্রসঙ্গ তুলতেই একই কথা শুনেছি। মনে হয়েছে, যেন কেউ শিখিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। যার মোদ্দা অর্থ হল, কাসাবের জন্য নিরাপত্তা আর আমাদের জন্য আই ই ডি ? বন্ধ হোক এই প্রহসন। আমাদের হন্য সীমা ছাড়াচ্ছে। চলতি সিরিয়াল বিস্ফোরণের পর মুম্বাইবাসীর মোদ্দা প্রতিক্রিয়া এটাই।
অপেরা হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে হীরে ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছিল, কোনও রাজনেতাকে হাতের কাছে পেলে এঁরা বোধ হয়, মারধরই করে বসবে। তাজে হামলার পরও মুম্বাইয়ের সিভিল সোসাইটি রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। মোমবাতি মিছিল হয়েছিল। পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গেও বহু মোমবাতি জ্বলেছে। আবার সেই একই প্রতিক্রিয়া মুম্বাইয়ের। অপেরা হাউস এলাকার তিন দশকের বাসিন্দা শৈলেশ ভাই, নৈলেশ ভাই বলছিলেন, ১০ হাজার ব্যবহাসী এখানে কারবার করে। ভারতের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি শুল্ক আসে এখান থেকে। আমাদের করের টাকায় কাসাভ খেয়ে-দেয়ে নাদুসনুদুস হচ্ছে, আর আমাদের কপালে জুটছে বোমা। আমাদের জীবনের কোনও মূল্য নেই ?
আর এক হীরে ব্যাবসায়ী সমীর শেঠ এতটাই চটে আছেন যে, তিনি বললেন, আমাদের শেঠনি’রা কাঁদবেন আর কাসাভ জেলে বড় হবে। রাজনেতাদের নিরাপত্তা বাড়বে। যদি লিখতে হয়, এটাই লিখবেন, যারা কাসাভকে ফাঁসিতে ঝোলাতে ভয়ে মরে, তাদের সাধারণ মানুষের জীবনরক্ষার দায়ও নিতে হবে। আমাদের টাকায় কাসাভের মতো জঙ্গিদের নিরাপত্তা দেওয়া চলবে না। শুধু হীরে ব্যবসায়ীরাই নন, ট্রম্বের বাসিন্দা জাভেরি বাজরের কর্মচারী মহম্মদ ফারুক কিংবা দাদরের বাসিন্দা রাজু ভাই শাহের প্রশ্ন, এভাবে বাঁচব কী করে। প্রতিদিন বাড়ি ফিরে যদি ভগবানকে ধন্যবাদ দিয়ে বলতে হয়, যাক আজ অন্তত বিনা ধামাকাতেই দিনটা কাটল, তাহলে কেমন লাগে।