বিশেষ সংবাদদাতা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করায় অভিযোগকারী সাংবাদিককে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাঁদাবাজি মামলাসহ পুলিশী হয়রানীর হুমকি দিচ্ছে বলে জানাগেছে। ভূক্তভোগী সাংবাদিক ইতিমধ্যেই বিষয়টি পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে অবহিত করে যেকোন মামলা তদন্ত সাপেক্ষে গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের হরষপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হুমায়ূন কবীরের পাঠদানে অনিহা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, সেচ্চাচারিতাসহ অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অনলাইন দৈনিক এপিপি বাংলা ডটকম এর প্রধান সম্পাদক সাহিদ সিরাজী গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর বরাবরে একটি অভিযোগ করেন। মন্ত্রী অভিযোগটি যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক জানানোর জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। সহকারী শিক্ষক মো. হুমায়ূন কবীর উক্ত অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য সাংবাদিক সাহিদ সিরাজীকে বেশ কিছু দিন ধরে চাঁদাবাজির মামলাসহ পুলিশী হয়রানীর হুমকি দিয়ে আসছেন।
সাহিদ সিরাজী ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের বরাবরে দেয়া খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সুপারিশ সম্বলিত এক আবেদনে জানান, সহকারী শিক্ষক মো. হুমায়ূন কবীরের অসংখ্য অনিয়ম, দূর্নীতি বিদ্যালয়ে পাঠদানে অনিহা, অফিস রুমে প্রতিদিন দরবার সালিশ নিয়ে ব্যস্ত থাকা, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে আমিনাতি করা, আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, বড় ভাই রাজাকার কমান্ডার শাজাহান মিয়াকে রক্ষায় অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের জন্য চাঁদাবাজির মামলাসহ পুলিশী হয়রানীর হুমকি দিয়ে আসছে। সাহিদ সিরাজী অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক হুমায়ূন কবীরের দেয়া মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলাসহ যেকোন মামলা যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে গ্রহণের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারকে লিখিত এক আবেদনে অনুরোধ জানান এবং সহকারী শিক্ষক হুমায়ুন কবীরের যেকোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমর্থন না দেওয়ার জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের প্রতি আহব্বান জানান।