ঢাকা: দেশের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাতে রবিবার ১০ জেলায় অন্তত ১৯ জন মারা যাবার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৪ জন। চলতি মাসে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে পিতা-পুত্রসহ ৫, মাগুরায় ৪, নওগাঁয় ২, নোয়াখালীতে ২, সুনামগঞ্জে ১, গাজীপুরে ২, গোপালগঞ্জে ১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ ও রাঙ্গামাটিতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসে এনিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু ৫০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে বজ্রপাতে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। বছরের এ সময়টিতে বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে বজ্রপাতও হচ্ছে ব্যাপকভাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাওহিদা রশিদ বলছেন বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি সম্পর্ক আছে।
অধ্যাপক তাওহিদা রশিদ বলছেন বিজ্ঞানীরা অনেকে মনে করেন বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য এটা বেশি হচ্ছে তবে অনেক বিজ্ঞানীই আবার এ মতের সাথে একমত নন।
‘তবে বাংলাদেশে আমরাও ভাবছি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই তাপমাত্রা বেড়েছে এবং এর কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশে দশমিক ৭৪ শতাংশ তাপমাত্রা বেড়েছে।’
তাওহিদা রশিদের মতে বজ্রপাতের ধরণই এমন। সকালের দিকে প্রচ- তাপমাত্রা হয়। আর তখন এটি অনেক জলীয় বাষ্প তৈরি করে। এ জলীয় বাষ্পই বজ্র ঝড় ও বজ্রপাতের প্রধান শক্তি। তাপমাত্রা যত বাড়বে তখন জলীয় বাষ্প বা এ ধরণের শক্তিও তত বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়া মানেই হলো ঝড়ের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়া। বছরে এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার কারণে ১২শতাংশ বজ্র ঝড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এটি কোন কোন বিজ্ঞানী প্রমাণ করেছেন’।