উদয়ন পাল, কলকাতা: কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়বেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে এদিন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে অনেক আলোচনার পর নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের নামটি কলকাতা ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য বেছে নেওয়া হয়। বসিরহাট-উত্তর কেন্দ্রের জন্য অবশ্য তেমন কোনও আলোচনার প্রয়োজন পড়েনি। নিরঞ্জন সাহা বা শক্তিপদ মুখোপাধ্যায়ের মতো কয়েকজনের কথা প্রাথমিক আলোচনায় বিবেচনাধীন থাকলেও পরে সুবিদ আলি গাজিকেই প্রার্থী হিসাবে মনোয়ন দিয়েছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মাথারা। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রাধান্য থাকায় সুবিদকেই বসিরহাটে শেষমেশ প্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে তথ্যভিজ্ঞ মহল। উল্লেখ্য, সুব্রত বক্সি পদত্যাগ করায় ভবানীপুরে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভার অলিন্দে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রবেশাধিকার দিতেই তাঁর দলের সভাপতি সুব্রত বক্সি ভবনীপুর কেন্দ্রটি ছেড়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে বিধায়ক সিপিএমের মোস্তাফা বিন কাশেমের আকস্মিক অপমৃত্যুতে বসিরহাট-উত্তর কেন্দ্রেও উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এই দু’টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে প্রকাশ, ভবানীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী বাছতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দলের ছাত্রফ্রন্টের ‘ভারী’ নেতাকে প্রার্থী করার কথা ভাবা হয়। কিন্তু কসবায় জাভেদ খানের কাছে যে ভাবে এসএফআইয়ের ‘পোস্টার বয়’ শতরূপ ঘোষ মুখ থুবড়ে পড়েছেন, তাতে শেষমেশ সেই পরিকল্পা বাতিল হয়। তার আগেও আলিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এসএফআইয়ের ‘তরুণ তুর্কি’ কৌস্তুভ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি সিপিএম। ২০০-এ রাজ্যের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থেকে সাংসদ হয়ে আলিপুরের বিধায়কপদটি ছেড়ে দেন তাপস পাল। ফলে উপনির্বাচন হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরহাদ হাকিমের কাছে পযুর্দস্ত হতে হয় কৌস্তুভকে। এই অভিজ্ঞতার নিরিখে আলিমুদ্দিন এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে কোনও মহিলা প্রার্থীকে ময়দানে নামাতে সচেষ্ট হয়। যদিও হার নিশ্চিত, এমন কোনও আসনে লড়তে রাজি হননি অনেকে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন আশুতোষ কলেজের অধ্যাপক চন্দ্রমৌলি সেনগুপ্ত। এই গেরোয় আটকে মঙ্গলবার সিপিএমের রাজ্য সমপাদকমণ্ডলীর বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি বিমান বসুরা। অবশেষে জোট কেটেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নন্দিনী মুখোপাধ্যায়কে ভবানীপুরের প্রার্থী হতে রাজি করানো গিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে নন্দিনীদেবী গুণী হিসাবে যথেষ্ট সমাদৃত। ইউনিভাসিটি অফ ম্যাঞ্চেস্টারের পিএইচডি এই মেধাবী গবেষক-অধ্যাপক ১৯৮৭ সালে হাওড়া শিবপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। পরে ১৯৯১ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি মাস্টারস করেন। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত কলকাতার গল্ফ গার্ডেনের এই বাসিন্দা।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে প্রকাশ, ভবানীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী বাছতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দলের ছাত্রফ্রন্টের ‘ভারী’ নেতাকে প্রার্থী করার কথা ভাবা হয়। কিন্তু কসবায় জাভেদ খানের কাছে যে ভাবে এসএফআইয়ের ‘পোস্টার বয়’ শতরূপ ঘোষ মুখ থুবড়ে পড়েছেন, তাতে শেষমেশ সেই পরিকল্পা বাতিল হয়। তার আগেও আলিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এসএফআইয়ের ‘তরুণ তুর্কি’ কৌস্তুভ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি সিপিএম। ২০০-এ রাজ্যের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থেকে সাংসদ হয়ে আলিপুরের বিধায়কপদটি ছেড়ে দেন তাপস পাল। ফলে উপনির্বাচন হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরহাদ হাকিমের কাছে পযুর্দস্ত হতে হয় কৌস্তুভকে। এই অভিজ্ঞতার নিরিখে আলিমুদ্দিন এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে কোনও মহিলা প্রার্থীকে ময়দানে নামাতে সচেষ্ট হয়। যদিও হার নিশ্চিত, এমন কোনও আসনে লড়তে রাজি হননি অনেকে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন আশুতোষ কলেজের অধ্যাপক চন্দ্রমৌলি সেনগুপ্ত। এই গেরোয় আটকে মঙ্গলবার সিপিএমের রাজ্য সমপাদকমণ্ডলীর বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি বিমান বসুরা। অবশেষে জোট কেটেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নন্দিনী মুখোপাধ্যায়কে ভবানীপুরের প্রার্থী হতে রাজি করানো গিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে নন্দিনীদেবী গুণী হিসাবে যথেষ্ট সমাদৃত। ইউনিভাসিটি অফ ম্যাঞ্চেস্টারের পিএইচডি এই মেধাবী গবেষক-অধ্যাপক ১৯৮৭ সালে হাওড়া শিবপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। পরে ১৯৯১ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি মাস্টারস করেন। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত কলকাতার গল্ফ গার্ডেনের এই বাসিন্দা।