এপিপি, কলকাতা: ‘‘মুম্বাই হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসাভের ফাঁসি আপাতত হচ্ছে না।” গত সোমবার ভারতের শীর্ষ আদালতের এই ঘোষণার খবর শুনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেন মুম্বাই হামলায় কাসাভের হাতে নিহত বদুয়া গ্রামের যুবক আজফার শেখের (২৭) বাবা-মা। ক্ষোভে ফুঁসছেন বদুয়া গ্রামের বাসিন্দারা। সকলেরই আবেদন আদালতের কাছে, ‘‘কোনও মতেই যেন জঙ্গি কাসাভকে রেহাই দেওয়া না হয়। আদালত যেন ফাঁসির থেকেও কঠোর সাজা থাকলে সেটাই দেয়। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে জঙ্গিদের গুলিতে নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের আজফার শেখ। ঘটনার ঠিক ৬ মাস আগে আজফার সংসারের হাল ফেরানোর তাগিদে রুজির টানে মুম্বাই যান। মুম্বাই রেলের ভিটি স্টেশনে পার্সেল ওঠানো-নামানোর কাজও শুরু করে আজফার।
আজফারের পিতা আল্লারাখা শেখ ও মা আনারকলি বিবি বলেন, ‘‘আমাদের দরিদ্রের সংসার। আজফার বড় হওয়ায় তারই দায়িত্ব বেশি ছিল। সংসারের হাল ফেরানোর চেষ্টায় ছিল। মুম্বাই শহরে কাজে যোগ দেওয়ার পর দু’বার কিছু টাকাও পাঠায়।” হঠাৎ ফোনে খবর পাই আমার ছেলে আজফার বেঁচে নেই। ভিটি স্টেশনের কাছে একটি হোটেলে রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ফেরার পথে জঙ্গিদের গুলিতে মারা গিয়েছে সে। দেহ ফিরে আসে গ্রামে। আমরা চাই আজমল কাসাভের মতো জঙ্গিদের যেন ক্ষমা না করে আদালত। ফাঁসি যেন রদ না হয়। আজফারের গ্রাম বড়ঞার বদুয়ার গ্রামবাসীরা বলেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে ভারতের বিচার ব্যবস্থা যে ভাবে চলেছে তাতে আমরা খানিকটা আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে, আজমল কাসাভের ফাঁসি হবেই। কিন্তু সোমবার বিচারপতিরা যে রায় দিলেন তাতে আমরা হতভম্ব। আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আছে। আমরা চাই আজমল কাসাভের ফাঁসি হোক।
আজফারের পিতা আল্লারাখা শেখ ও মা আনারকলি বিবি বলেন, ‘‘আমাদের দরিদ্রের সংসার। আজফার বড় হওয়ায় তারই দায়িত্ব বেশি ছিল। সংসারের হাল ফেরানোর চেষ্টায় ছিল। মুম্বাই শহরে কাজে যোগ দেওয়ার পর দু’বার কিছু টাকাও পাঠায়।” হঠাৎ ফোনে খবর পাই আমার ছেলে আজফার বেঁচে নেই। ভিটি স্টেশনের কাছে একটি হোটেলে রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ফেরার পথে জঙ্গিদের গুলিতে মারা গিয়েছে সে। দেহ ফিরে আসে গ্রামে। আমরা চাই আজমল কাসাভের মতো জঙ্গিদের যেন ক্ষমা না করে আদালত। ফাঁসি যেন রদ না হয়। আজফারের গ্রাম বড়ঞার বদুয়ার গ্রামবাসীরা বলেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে ভারতের বিচার ব্যবস্থা যে ভাবে চলেছে তাতে আমরা খানিকটা আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে, আজমল কাসাভের ফাঁসি হবেই। কিন্তু সোমবার বিচারপতিরা যে রায় দিলেন তাতে আমরা হতভম্ব। আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আছে। আমরা চাই আজমল কাসাভের ফাঁসি হোক।