এপিপি ডেস্ক: পাকিস্তানের জনগণের চোখে আমেরিকা এখন ভারতের থেকেও বড় শত্রু। সোমবার নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকতার একটি প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই কথা বলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার ও বর্তমানে তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে কোনো সন্ত্রাসবাদী হামলা হলেই আমেরিকা যেভাবে পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলে, তাতে পাকিস্তানিদের মনে এই আমেরিকা-বিরোধী মনস্তত্ত্ব আরো চেপে বসেছে। কিছু দিন আগে নিউ ইয়র্ক শহরে বিস্ফোরণের ছক কষার অভিযোগে গ্রেফতার হয় শাহজাদ ফয়সল নামে এক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত যুবক। ইমরানের দাবি, ফয়সলের ওই পরিকল্পনা সফল হলে পাকিস্তানের অন্তত ১৫০টি জায়গায় তৎক্ষণাৎ বোমাবর্ষণ করত ওয়াশিংটন। ইমরানের মতে, এই ধরনের পারস্পরিক অবিশ্বাসের আবহে কখনোই ‘বন্ধুত্ব’ হতে পারে না। বিশেষ করে আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যে, যাদের আর্থ-রাজনৈতিক অবস্থায় রয়েছে বিরাট পার্থক্য। ইমরানের দাবি, আমেরিকার ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ সব চেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছে পাকিস্তান। ওয়াশিংটনের দক্ষিণ এশিয়া নীতির তীব্র সমালোচনা করে ইমরান বলেন, ‘অন্যের যুদ্ধে’ পাকিস্তান শুধুই ‘ভাড়া করা বন্দুক’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ছাত্রদের সঙ্গে এই আলোচনায় উঠে আসে ভারতের প্রসঙ্গও। ইমরান বলেন, দুই দেশের গুপ্তচর বিভাগ অন্যের দেশে নাক গলানো বন্ধ না করলে, আস্থাবর্ধক পদক্ষেপেও কোনো লাভ হবে না। তার মতে, মুম্বাইয়ের মতো একটা ঘটনাই দীর্ঘদিনের আস্থাবর্ধক পদক্ষেপকে নিস্ফল করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। একে অপরের দেশের হিংসায় মদত দেয়া বন্ধ না করলে, কোনো আলোচনাতেই সমস্যা মিটবে না। এক ছাত্র প্রশ্ন করেন, “পাকিস্তান এখনো ভারতকে নিজেদের অস্তিত্ত্বের পক্ষে বিপজ্জনক বলে মনে করে কি না?” ইমরানের উত্তর, “না, আমি তা মনে করি না।” বরং ইমরান বলেন, পাক সরকারের অপদার্থতার জন্যই ভারতের সঙ্গে সমস্যা জিইয়ে আছে। পাকিস্তানের প্রতি ওয়াশিংটনের ভৃত্যের মতো আচরণের জন্যও জারদারি সরকারের ব্যর্থতার দিকে আঙুল তোলেন তিনি। ইমরান এমনও বলেন যে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির জন্য ভারত ও পাকিস্তান দু’জনেরই একে অপরকে দরকার। সূত্র: ওয়েবসাইট।
0 Comments
|
নিউজ সার্চ
All
নিউজ আর্কাইভ
May 2018
|