‘গুপ্তধনের মধ্যে কিছু মুদ্রা ও অলংকারের গায়ে হিন্দু দেব-দেবীর চিত্র অঙ্কিত আছে বলে জানায় ঝালকৃষ্ণ শ্রেষ্ঠ নামের একজন।’ ঠিক কি পরিমান গুপ্তধন পাওয়া গেছে তা তাৎক্ষনিকভাবে নিরুপন না করা হলেও প্রায় ৩০০ কিলোগ্রামের মতো গুপ্তধন পাওয়া গেছে ওই গোপন কুঠুরিতে বলেও জানায় সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের ওই মুখপাত্র।
হনুমান ধোকা রাজপ্রাসাদটি বিশ্ব বিশ্বের অনেকগুলো দর্শনীয় স্থানের মধ্যে একটি। নেপালের সংস্কারে আমরা এরকম আরও অনেক গুপ্তধান পাবার আশা রাখি বলেও জানালেন ওই মুখপাত্র। নেপালের সরকার দ্ইু মাস আগে ধ্বংসপ্রায় প্রাসাদ পুনরুদ্ধার প্রকল্প চালু করে। ৪৫ লাখ রুপির এই প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে আগামী সেপ্টেম্বরে। ১৯ শতকের শেষ পর্যন্ত এই রাজপ্রাসাদে রাজণ্যবর্গরা থাকতেন। বর্তমানে এটি একটি জাদুঘর। ২০০১ সালে রাজপরিবারে এক দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে রাজা জ্ঞানেন্দ্র নেপালের রাজ্য ক্ষমতায় আসে। সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র ২০০৮ সালে নেপালে মাওবাদীদের বিদ্রোহের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। দীর্ঘ এক দশকের লড়াই সংগ্রামের পর মাওবাদীরা হিন্দু রাজতন্ত্রকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে।