রোববার টেলিভিশনে গাদ্দাফি ও বিশ্ব দাবা ফেডারেশনের সভাপতি কারসান লিয়ামঝিনভের মধ্যে দাবা খেলার দৃশ্য সম্প্রচার করা হয়। এসময় দেখা যায়, গাদ্দাফির বড় ছেলে মুহম্মদ খেলা দেখছেন।
গাদ্দাফির গায়ে ছিল বাদামী রংয়ের জুব্বা ও চোখে ছিল কালো সানগ্লাস। লিবীয় নেতাকে সর্বশেষ জনসম্মুখে দেখা যায় গত ৩০ মে। এ সময় টেলিভিশনে দেখানো হয় গাদ্দাফি ত্রিপোলিতে দণি আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন।
দাবা কোথায় খেলা হচ্ছে টেলিভিশনে তা বলা হয়নি। তবে লিয়ামঝিনভ রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, তিনি রোববার ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির সঙ্গে দাবা খেলেছেন। তিনি গাদ্দাফির ছেলে মুহম্মদের সঙ্গেও দাবা খেলেছেন বলে দাবি করেন।
লিয়ামঝিনভ ইন্টার ফ্যাক্সকে বলেন, ‘বৈঠক প্রায় দুই ঘন্টা স্থায়ী হয়। আমরা গাদ্দাফির সঙ্গে কিছু সময় দাবা খেলি।’ বিশ্ব দাবা সভাপতি হিসাবে তিনি ত্রিপোলি সফর করেন।
‘গাদ্দাফি বলেছেন, তিনি লিবিয়ার ত্যাগ করেছেন না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এটা তার মাতৃভূমি, যে ভূমিতে তার সন্তান ও নাতি-নাতনী মারা গেছে।
তিনি বলেছেন, তিনি বুঝতে পারছেন না তাকে কোন পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।’
গাদ্দাফির উদ্ধৃতি দিয়ে লিয়ামঝিনভ বলেন, ‘গাদ্দাফি তাকে বলেছেন যে, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীও না, প্রেসিডেন্টও না এমনকি রাজাও না। আমি লিবিয়ায় কোন পদেই নেই। তাই কোন পদ থেকে পদত্যাগ করার মত অবস্থান আমার নেই।’
লিয়ামঝিনভ ত্রিপোলিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ দেখেছেন। তিনি লিবিয়ার পররাষ্ট্র এবং শিামন্ত্রীর সঙ্গেও সাাৎ করেন।
গাদ্দাফি যখন দাবা খেলছিলেন তখন জিনতানে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধে বহু হতাহত হয়।
এছাড়া ত্রিপোলির দণি পশ্চিমে বারবার পার্বত্য অঞ্চল, মিসরাতার কাছে দাফনিয়ায়ও উভয় পরে মধ্যে যুদ্ধ হয়।
জিনতানে সরকারি বাহিনীর বোমা হামলায় কমপে ৭ জন নিহত হয়।
‘ন্যাটো পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেণ করছে এবং বেসামরিক লোকদের রা প্রয়োজনীয় পদপে গ্রহণ করছে।’ ন্যাটোর এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।
ত্রিপোলিতে এক সরকারি মুখপাত্র জানান, রাজধানীর পশ্চিমে জাবিইয়াহ থেকে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাত বেনগাজিতে বিদ্রোহীদের জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদকে লিবীয় জনগণের ‘একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এনিয়ে ১২টি দেশ এই পরিষদকে স্বীকৃতি দিল। সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াম একথা জানান।