এপিপি ডেস্ক : জাপান সাগরে একটি দক্ষিণ কোরীয় মাছ ধরার নৌকা জব্দ করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণের উপকূল প্রহরী বাহিনী রোববার এতথ্য জানিয়েছে। এ ঘটনার পর উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আটককৃত নৌযানটি দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় পোহাং বন্দরের। এতে দক্ষিণের চারজন ও চীনের তিনজন নাবিক ছিলেন। নৌকাটি এসময় উত্তর কোরিয়ার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাছাকাছি কাজ করছিলো বলে উপকূল প্রহরী বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়। জব্দ করার পর রোববার নৌকাটিকে উত্তর কোরিয়ার সংজিন বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। দক্ষিণের উপকূল প্রহরী বাহিনী বলে, “আমরা আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী উত্তর কোরীয় কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি মীমাংসা করার আহ্বান জানিয়েছি। একইসঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাহাজ ও নাবিকদের ফিরিয়ে দেওয়ারও আহবান জানানো হয়েছে।” তবে দায়েসিয়াং ৫৫ নামের জেলেনৌকাটিকে কি অবৈধভাবে মাছ ধরার সন্দেহে আটক করা হয়েছে কিনা এ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওয়াইটিএন টেলিভিশন জানায় রোববার স্থানীয় সময় সকাল এগারোটায় মাছ ধরার নৌকাটি থেকে পাঠানো এক বার্তায় সেটি এখন উত্তর কোরিয়ার সংজিন বন্দরের দিকে যাচ্ছে বলে জানানো হয়। নৌকাটি রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার যৌথ মাছ ধরার এলাকার মধ্যে বা এর কাছাকাছি চলাচল করছিলো বলে সিউল সরকারের কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওই টেলিভিশন জানায়। এলাকাটি উত্তরের মুসুদাং অঞ্চল থেকে ২শ’ ৭০ কিলোমিটার পূর্বে। যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার নৌ মহড়া চলাকালে নৌযান জব্দ হওয়ার এ ঘটনাটি ঘটলো। চলমান এ নৌমহড়া কোরীয় দ্বীপপুঞ্জে উত্তেজনা ও ক্ষোভ বাড়ানোসহ উত্তর কোরিয়া এর পাল্টা জবাব দেওয়ারও হুমকী দেয়।
0 Comments
এপিপি ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়ার পর থেকেই কোরিয়া উপদ্বীপে চলছে উত্তেজনা৷ সৌলের দাবি, জাহাজটি ডুবিয়েছে উত্তর কোরিয়া – যদিও তা অস্বীকার করে আসছে পিয়ংইয়ং৷ তারপর থেকে যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব৷ এর মধ্যেই পীত সাগরে শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয় বাহিনীর যৌথ মহড়া৷ এর লক্ষ্য যে উত্তর কোরিয়াকে শাসিয়ে দেওয়া, তা দুই দেশের কর্মকর্তাদের কথায় স্পষ্ট৷ সেই মহড়া উদ্বোধন করতেই দক্ষিণ কোরিয়া গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস৷ দক্ষিণের পররাষ্ট্রমন্ত্রী য়ু মিউং হুয়ান আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তে ইয়ুং'এর সঙ্গে বৈঠকের পর হিলারি সাংবাদিকদের বললেন, পিয়ংইয়ংকে তাদের পরমাণু কর্মসূচি এবং স্বেচ্ছাচারী আচরণ থেকে বিরত রাখতেই নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করার প্রয়োজন৷ আমরা মাস খানেক ধরে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি৷ এই অঞ্চলে উত্তেজনায় প্ররোচনা দিচ্ছে উত্তর কোরিয়াই৷ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ এখন তাদের অস্ত্র এবং বিলাস দ্রব্য কেনা-বেচার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র৷ হিলারি একইসঙ্গে বললেন, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার জনগণকে দুর্ভোগে ফেলা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নয়৷ তাঁর ভাষায়, কিম জং ইলের শাসনে এমনিতেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তারা৷ ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য, উত্তর কোরিয়ার সরকারকে চাপে রাখা৷ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সঙ্কট নিয়ে ছয়জাতি আলোচনা পুনরায় শুরুর ক্ষেত্রেও শর্ত দিয়েছেন হিলারি৷ বলেছেন, যুদ্ধজাহাজ ডোবানোর কথা স্বীকার করতে হবে পিয়ংইয়ংকে৷ বন্ধ করতে হবে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড৷ যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, এর লক্ষ্য হলো উত্তর কোরিয়া সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া যে তাদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে৷ পীত সাগর আর জাপান সাগরে হচ্ছে এই মহড়া৷ এতে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গেছে ২০টি রণতরী৷ এই ধরনের আরো মহড়াও চলবে৷ উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই সামরিক মহড়ার সমালোচনা করা হয়েছে৷ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীনও৷ বেইজিং বলছে, এই মহড়া আগুনে ঘি দেওয়ারই শামিল৷ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চিন গাং সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা সব পক্ষকেই বলবো শান্ত থাকার জন্য৷ কারো এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে৷'' |
নিউজ সার্চ
All
নিউজ আর্কাইভ
May 2018
|