এপিপি বাংলা ডেস্ক : ইরানের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপ করা নতুন নিষেধাজ্ঞা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং ইউ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিবৃতিটিতে জিয়াং ইউ বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহুপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞায় চীন অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো কূটনৈতিক তৎপরতায় অংশ নেবে এবং আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে এর সমাধান করবে।” ইরানের তেল ও গ্যাস শিল্পকে লক্ষ্যবস্তু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর আগে জাতিসংঘ চতুর্থ বারের মতো দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মূলত ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করতেই জাতিসংঘ গত মাসে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
0 Comments
এপিপি বাংলা ডেস্ক : রুশ গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) এর ক্ষমতার আওতা বৃদ্ধির জন্য একটি বিলে বৃহস্পতিবার স্বাক্ষর করলেন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তাঁর স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত হলো। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার এতথ্য জানানো হয়। এর আগে বিলটি সংসদের নিম্ন এবং উচ্চকক্ষে পাশ হয়ে আসে। এদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলি এর তীব্র সমালোচনা করেছে। এ আইনের আওতায়, কোন ব্যক্তির আচরণের ফলে অপরাধমূলক পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে বলে মনে করলে এফএসবি তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক সতর্কতা নোটিস জারি করতে পারে। মানবাধিকার সংগঠনগুলির মতে, এ আইন ইতিমধ্যেই প্রবল ক্ষমতাপ্রাপ্ত রুশ গোয়েন্দা সংস্থাটিকে আইনের উর্ধে পৌছে দিবে। উল্লেখ্য, সোভিয়েত আমলে তখনকার গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি ও একইরকমভাবে সরকার বা গোয়েন্দা সংস্থাটির বিরোধীদেরকে হয়রানি করার জন্য সতর্কতা নোটিস প্রদান করতো। এর আগে প্রবল বিরোধিতার মুখে আইনপ্রণেতারা এফএসবি’কে একইধরনের ক্ষমতা প্রদানের জন্য একটি আইন সংশোধনী প্রস্তাব প্রত্যাহার করেন। চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ এ আইনের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণায় নামেন। তিনি বলেন, “প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব আইন সংষ্কারের অধিকার রয়েছে। এমনকি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সম্পর্কিত বিষয়েও। আমি চাই আপনারা এ বিষয়টি জানেন যে আজকে যা হচ্ছে - তা সরাসরি আমার নির্দেশেই হচ্ছে।” কেজিবি’র প্রাক্তণ গুপ্তচর ভøাদিমির পুতিন ২০০০ - ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এফএসবি’র ক্ষমতা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। মানবাধিকার কর্মীদের আশা ছিল তাঁর উত্তরসুরী মেদভেদেভ গোয়েন্দা সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। তবে সমালোচকদের মতে বাস্তবে এর কিছুই দেখা যায়নি। এপিপি ডেস্ক : পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৫২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রেহমান মালিক এ তথ্য জানিয়েছেন। ভারি বৃষ্টিপাত ও বিমানের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় বুধবার সকালে পাহাড়ের ঘন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয় বলে বিধ্বস্ত ওই বিমানটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা জানান, মানবদেহের টুকরো অংশগুলো দুর্ঘটনাস্থলে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। পাকিস্তানি বিমানসংস্থার গত ১৮ বছরের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। বেসরকারি বিমানসংস্থা এয়ারব্লু’র ইডি ২০২ মডেলের বিমানটি করাচি থেকে ইসলামাবাদে আসছিলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিস্ফোরণের আগে বিমানটি কম উচ্চতায় উড়ছিলো। পাকিস্তান থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি’র সংবাদদাতা জানান, দু’টি পাহাড়ের গিরিখাদের মধ্যে সড়ক থেকে বেশ দূরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে উদ্ধার কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। অপেক্ষায় থাকা হেলিকপ্টারগুলো থেকে ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিলো না। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রেহমান মালিক এক্সপ্রেস টিভিকে জানান, “কেউ বেঁচে নেই”। তিনি বলেন, সবার দেহ ছিন্নভিন্ন ও টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “এটা একটি বড় ট্রাজেডি। সত্যিই বড় ট্রাজেডি।” বিমানে দুই জন মার্কিন নাগরিক ছিলেন বলে য্ক্তুরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে। এয়ারব্লু’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানে ১৫২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৬ জন ক্রু। দেশটির পুলিশপ্রধান বনি আমিন বলেন, “দুর্ঘটনাস্থলে মানুষের শরীরের টুকরো টুকরো অংশ পাওয়া গেছে। আমরা একটি যন্ত্র পেয়েছি। সেটা সম্ভবত ব্ল্যাক বক্স। এখন বিশেষজ্ঞরা এটা পরীক্ষা করে দেখবেন।” এ ঘটনায় পাকিস্তান সরকার এক দিনের জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে। উদ্ধারকর্মী আরশাদ জাভেদ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, “চার জন পুলিশসহ আমি ও আমার সহকর্মীরা মিলে দুর্ঘটনাস্থলে অঞ্চলে যাই। বিমানের টুকরো অংশগুলো চারদিকে ছড়িয়ে থাকতে দেখি। এ সময় আগুন জ্বলছিল।” তিনি আরও বলেন, “পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া হাত-পা পড়ে থাকতে দেখেছি আমরা। আমি একটি ব্যাগের মধ্যে দু’টি মাথা, দু’টি পা ও দু’টি হাত সংগ্রহ করেছি।’’ তার ভাষায় ‘‘ জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা চিৎকার করলেও কেউ সাড়া দেয়নি।”
এপিপি ডেস্ক : আফগান যুদ্ধের বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর সামরিক তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। প্রায় ৯০,০০০ সামরিক রেকর্ড সম্বলিত এ তথ্য ফাঁস হওয়াকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজ বলে উল্লেখ করেছে। ‘উইকিলিকস’ নামের একটি সংস্থা এসব তথ্য প্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তানে বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা চালালেও অনেক ক্ষেত্রেই তা গোপন রাখা হয়েছে। এছাড়া, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর শীর্ষ কর্মকর্তারা ও ইরান সরাসরি তালেবানদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে বলে প্রতিবদেন অভিযোগ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘তারা (পাকিস্তান ও ইরান) কৌশলে গোপন অধিবেশনের মাধ্যমে মার্কিন ও ন্যাটো সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে জঙ্গিদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।’
ইরাকে গ্রেপ্তারকৃত এক মার্কিন সেনা বিশ্লেষক এসব দলিলপত্র ফাঁস হওয়ার পেছনে রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউস উইকিলিসের এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, ‘এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা বিপদে পড়বে। তবে, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেমস জোন্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এসব তথ্য আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সহযোগিতার ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না।’ এপিপি ডেস্ক : জার্মানির শহর ডুইসবুর্গে লাভ প্যারেড সঙ্গীত উৎসবে যোগ দিতে যাওয়ার পথে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার লাভ প্যারেডে অতিরিক্ত জনসমাগম হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তরুণ-তরুণীদের লাভ প্যারেডে যোগ দিতে বাধা দিলে একটি ট্যানেলে মুখে চাপাচাপি এবং আতঙ্কে পদদলিত হয়ে মৃতের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয় কমপক্ষে ১শ’ জন। এর মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তবে ঘটনা খতিয়ে দেখতে পুলিশ ও নগর কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে তদন্তের কাজ শুরু করেছে। তবে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনার পরও কনসার্ট বাতিল করা হয়নি। ইউরোপের সবচেয়ে বড় কনাসর্ট হয়ে থাকে জার্মানির এই লাভ প্যারেডে। এবারের কনসার্টে বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৪ লাখ তরুণ-তরুণী অংশ নেয়। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিহতের পরিবারের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন। শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, ‘তরুণ-তরুণীরা পার্টিতে এসেছিল আনন্দ করতে। কিন্তু ঘটে গেল হতাহতের ঘটনা। আমি এ ঘটনায় খুবই ব্যথিত ও শোকাহত।’ ডুইশবুর্গ মেয়র অ্যাডলফ শোয়েরল্যান্ড আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, উৎসবের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্তই ছিল। তিনি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত উপস্থাপন করার অঙ্গীকার করেছেন।
এদিকে, দুর্ঘটনা ঘটে স্থানীয় সময় বিকাল ছয়টা নাগাদ। দুর্ঘটনার পরেও লাভ প্যারেড কনসার্ট চালু রাখা হয়, যাতে আরো আতঙ্ক সৃষ্টি না হয়। নয়টি হেলিকপ্টার এবং ডজন-ডজন অ্যাম্বুলেন্স দেখাশুনা করে আহতদের। পুলিশ নিযুক্ত রয়েছে প্রায় ছয় হাজার। নিকটস্থ মোটরওয়ে বন্ধ করে সেখানেই তাঁবুতে আহতদের প্রাথমিক পরিচর্যা করা হয়েছে। পরের দিকে মোটরওয়ের তরফের বেড়া খুলে লোকজনদের সেদিক দিয়েও বেরুনোর ব্যবস্থা করা হয়। কনসার্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ডুইসবুর্গের মতো ছোট শহরে, বিশেষ করে পুরনো রেলওয়ে চত্বরে, যেখানে বিভিন্ন বিবৃতি অনুযায়ী বস্তুত ৫০ হাজার লোক ধরে, সেখানে কমপক্ষে দশ লক্ষ মানুষের সমাবেশের ব্যবস্থা করতে গিয়ে সব রকমের সাবধানতাই নেয়া হয়েছিল। বিশেষ করে সাময়িক তারের বেড়ার মাধ্যমে জনস্রোতকে ঠিক দিকে চালু করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সাধারণত পুলিশ যেমন করে থাকে। কিন্তু মুশকিল হল, কনসার্ট স্থলে প্রবেশের একমাত্র পথ ছিল একটি প্রায় ২০ মিটার প্রস্থের ও ২০০ মিটার লম্বা টানেল পেরিয়ে এবং কনসার্ট প্রাঙ্গণ পুরোপুরি ভর্তি দেখে পুলিশ বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নতুন অতিথিদের প্রবেশই বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু অতিথি আসা তখনও বন্ধ হয়নি। ফলে টানেলের ভেতরে মানুষের চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, কিছু মানুষ গরমে এবং আতঙ্কে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ওদিকে টানেলের মুখেও জনতা তারের বেড়া ঠেলে ফেলে সুড়ঙ্গের ঢাল বেয়ে এবং একটি রেলিং ছাড়া সিঁড়ি দিয়ে ওপরে যাবার চেষ্টা করে। এভাবে যারা ওপরে ওঠার চেষ্টা করছিল, তাদের মধ্যেও কিছু লোক আট-দশ মিটার উচ্চতা থেকে নীচে পড়ে প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের সেরকম কথা বলতে শোনা গেছে। এপিপি ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়ার পর থেকেই কোরিয়া উপদ্বীপে চলছে উত্তেজনা৷ সৌলের দাবি, জাহাজটি ডুবিয়েছে উত্তর কোরিয়া – যদিও তা অস্বীকার করে আসছে পিয়ংইয়ং৷ তারপর থেকে যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব৷ এর মধ্যেই পীত সাগরে শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয় বাহিনীর যৌথ মহড়া৷ এর লক্ষ্য যে উত্তর কোরিয়াকে শাসিয়ে দেওয়া, তা দুই দেশের কর্মকর্তাদের কথায় স্পষ্ট৷ সেই মহড়া উদ্বোধন করতেই দক্ষিণ কোরিয়া গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস৷ দক্ষিণের পররাষ্ট্রমন্ত্রী য়ু মিউং হুয়ান আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তে ইয়ুং'এর সঙ্গে বৈঠকের পর হিলারি সাংবাদিকদের বললেন, পিয়ংইয়ংকে তাদের পরমাণু কর্মসূচি এবং স্বেচ্ছাচারী আচরণ থেকে বিরত রাখতেই নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করার প্রয়োজন৷ আমরা মাস খানেক ধরে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি৷ এই অঞ্চলে উত্তেজনায় প্ররোচনা দিচ্ছে উত্তর কোরিয়াই৷ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ এখন তাদের অস্ত্র এবং বিলাস দ্রব্য কেনা-বেচার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র৷ হিলারি একইসঙ্গে বললেন, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার জনগণকে দুর্ভোগে ফেলা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নয়৷ তাঁর ভাষায়, কিম জং ইলের শাসনে এমনিতেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তারা৷ ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য, উত্তর কোরিয়ার সরকারকে চাপে রাখা৷ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সঙ্কট নিয়ে ছয়জাতি আলোচনা পুনরায় শুরুর ক্ষেত্রেও শর্ত দিয়েছেন হিলারি৷ বলেছেন, যুদ্ধজাহাজ ডোবানোর কথা স্বীকার করতে হবে পিয়ংইয়ংকে৷ বন্ধ করতে হবে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড৷ যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, এর লক্ষ্য হলো উত্তর কোরিয়া সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া যে তাদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে৷ পীত সাগর আর জাপান সাগরে হচ্ছে এই মহড়া৷ এতে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গেছে ২০টি রণতরী৷ এই ধরনের আরো মহড়াও চলবে৷ উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই সামরিক মহড়ার সমালোচনা করা হয়েছে৷ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীনও৷ বেইজিং বলছে, এই মহড়া আগুনে ঘি দেওয়ারই শামিল৷ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চিন গাং সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা সব পক্ষকেই বলবো শান্ত থাকার জন্য৷ কারো এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে৷'' এপিপি ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে পদার্পণ করলেন। বিপি নিয়ে বারাক ওবামার মন্তব্য দুই নেতার বৈঠকে প্রভাব ফেলবে না বলে আশা করা হচ্ছে। গভীর পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকা এই সফরের সময়ে আটলান্টিকের দুই পাশের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আশঙ্কা দানা বেঁধেছে যে, আফগানিস্তানের যুদ্ধে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র জয়ী হবে নাকি ব্যর্থ হবে। দুই দেশেরই রক্ত ঝরছে ওই যুদ্ধে। হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে অনুষ্ঠেয় বৈঠক ও সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তরুণ এই দুই নেতা পাশাপাশি বসবেন। গত মাসে কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে ওবামা ও ক্যামেরন মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টারে একসঙ্গে ভ্রমণ করেছেন। গত মে মাসে ইংল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ক্যামেরন ও ওবামা ঘন ঘন টেলিফোনে কথাও বলেছেন। হোয়াইট হাউসে ক্যামেরনের প্রথম সফর এই দুই ঐতিহাসিক মিত্র-রাষ্ট্রের ভবিষ্যতে ‘বিশেষ সম্পর্ক’ গড়ার ইঙ্গিত বহন করে। আশা করা হচ্ছে, ব্রিটিশভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিপিকে নিয়ে দুই নেতাকেই কঠিন সব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। মেক্সিকো উপসাগরে তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বিপি রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। হোয়াইট হাউসও জোর দিয়ে জানায়, ক্যামেরনের জন্যও বিপি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, “আমার মনে হয় না, এটা (বিপি’র ঘটনা) আলোচনায় কোনো খারাপ প্রভাব ফেলবে। প্রেসিডেন্ট আশা করেন, এই বিপর্যয়ের ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে বিপি। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীও (ক্যামেরন) এমনই বলেছেন। ” হোয়াইট হাউসের তীè পর্যবেক্ষণে রয়েছে বিপি। গভীর সমুদ্রে বিস্ফোরিত এই তেলকূপটি বন্ধ করতে চায় ওবামার প্রশাসন। ডেভিড ক্যামেরন টাইম ম্যাগাজিনকে বলেন, “অবশ্যই আমরা বিপি নিয়ে আলোচনা করব। কেবল ব্রিটেনের জন্যই এটি গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি নয়, যুক্তরাষ্টের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্যের মতোই যুক্তরাষ্ট্রেরও এতে হাজার হাজার কর্মী কর্মরত রয়েছে।” ওবামা ও ক্যামেরন আফগানিস্তানের যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করবেন। সেখানে নয় বছর ধরে চলা যুুদ্ধে দেশ দুটির রক্তক্ষয়ের পরিমাণ বেড়েই যাচ্ছে। আগামী বছর জুলাইয়ে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু করতে চান ওবামা। এরইমধ্যে ক্যামেরনও ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সেনাদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। রাজনৈতিকভাবে ওবামা ও ক্যামেরনের তেমন কোনো পার্থক্য নেই। বৃহৎ পরিসরে সরকার গঠনের বিরোধিতা করেন ক্যামেরন, আর ওবামা তাঁর দেশের অর্থনীতিতে গভীর হস্তক্ষেপ করেছেন। দুই জনই ব্যবহারিক। গত দুইশ বছরের ইতিহাসে ক্যামেরন ব্রিটেনের কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। আর ওবামা তরুণদের ভোটেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ক্যামেরন সম্পর্কে ওবামার মন্তব্য, “আমি তাঁকে তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমান, নিবেদিত ও কার্যকর নেতাই মনে করি এবং আমরা তাঁর সঙ্গে ফলপ্রসূ কাজ করতে যাচ্ছি।” ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি ট্রেনের সংঘর্ষে ৬০ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। সোমবার খুব সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। খবর এএফপি’র। কোলকাতা থেকে ২৬০ কিলোমিটার উত্তরে বীরভুম জেলার একটি রেলস্টেশনে একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিলো। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির সঙ্গে একই রেললাইন ধরে পেছন থেকে আসা আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৬০ জন যাত্রী নিহত ও প্রায় ১২০ জন আহত হন। পশ্চিমবঙ্গের ত্রাণ বিষয়ক মন্ত্রী মুর্তজা হুসেইন বলেন, “মৃতের বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। আমরা গ্যাস কাটার ও অন্য যন্ত্রপাতি পাঠিয়েছি যাতে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম চালানো যায়।” নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলেও তিনি আশঙ্কা করেন। জরুরিকর্মীরা মৃতদেহ ও আহতদের দুর্ঘটনার স্থান থেকে টেনে বের করছে। পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, “নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। আমরা এখনো কিছু মৃতদেহ বের করার চেষ্টা করছি।” দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের বেঁচে যাওয়া একজন যাত্রী বলেন, “আমি ট্রেনের মধ্যে গভীর ঘুমে ছিলাম। এক সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের মতো শব্দ শুনতে পাই এবং ঘুমের জায়গা থেকে পড়ে যায়। তারপর চারদিকে আতঙ্ক।” এছাড়া বেঁচে যাওয়া রজনি ধর জানান, তিনি জোরে একটি শব্দ শুনতে পান এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের এখনো সন্দেহ রয়েছে, এই বিপর্যয়ের পেছনে কারা জড়িত।” তিনি নিহতদের প্রত্যেক পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ রুপি ও আহতের এক লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় রেলের ট্রাফিক ম্যানেজার সুনীল ব্যানার্জি বলেন, “নিহত সবাই অসংরক্ষিত বগির যাত্রী ছিলেন। ফলে আমরা তাদের কারোরই নাম-ঠিকানা পাইনি।” দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। সচরাচর ওই বগিতে যাত্রীরা ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করেন। এর দুই মাসেরও কম সময় আগে পশ্চিমবঙ্গে আরেকটি ট্রেন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় প্রায় ১৫০ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার জন্য মাওবাদীদের দায়ী করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উচ্চগতির ট্রেন ভারতে এখনো দূরপাল্লার যাত্রীদের এখনো মূল ভরসা। ভারতে প্রতিদিন এক কোটি ৮৫ লাখ মানুষ এসব ট্রেনে যাতায়াত করেন। প্রতিবছর গড়ে ৩০০টা দুর্ঘটনা ঘটে। আর্জেন্টিনায় কনকনে শীতে শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে গিয়ে নয় জন মারা গেছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আর্জেন্টিনার উত্তরাঞ্চলে অস্বাভাবিক বরফ পড়ছে বলে রোববার বেসরকারি একটি সংগঠন জানিয়েছে । নিহতদের বেশির ভাগই রাজধানী বুয়েনস এইরেস এর রাস্তায় বাস করতেন বলে নাগরিক সংস্থা রেড সলিদারিয়া’র পরিচালক জুয়ান কার জানান। আর্জেন্টিনার জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়, দেশটির মধ্যাঞ্চলে তাপমাত্রা কমে ১৪ ডিগ্রি মাইনাসে নেমে যায়। এর ফলে উত্তরের পুরো অঞ্চল ঠাণ্ডায় জমে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি কিনটন সোমবার পাকিস্তানের জন্য ব্যাপক ত্রাণ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। হিলারি কিনটন রোববার ইসলামাবাদে পৌঁছে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় পাকিস্তানকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান। রোববার সন্ধ্যায় তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রেজা গিলানি ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে দেখা করেন। একজন জেষ্ঠ্য মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ত্রাণ সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে আছে, পানি, জ্বালানি ও স্বাস্থ্য প্রকল্প। পাঁচ বছর মেয়াদি ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার ত্রাণ সহায়তার বিলটি গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অনুমোদিত হয়। এদিকে, পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত এলাকা জঙ্গীমুক্ত করতে ইসলামাবাদকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের উদ্বেগ রয়েছে যে, জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোর পক্ষে পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সমর্থন রয়েছে। যদিও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান রয়েছে পাকিস্তানের সরকারের। সোমবার হিলারি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক হাক্কানির সঙ্গে দেখা করবেন। একজন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা জানান, হাক্কানির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক থাকার ফলেই জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়েছে। ইসলামাবাদ থেকে আগামী মঙ্গলবার আফগানিস্তানে অনুষ্ঠেয় দাতা গোষ্ঠীদের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে হিলারি রওনা হবেন। যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত আফগানিস্তানের পশ্চিমা নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন আরও গভীরভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার অঙ্গীকার করেছে। তালেবান ও আল কায়েদা জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সামরিক সহযোগিতা করতে আগ্রহী ওয়াশিংটন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি সোমবার সন্ধ্যায় হিলারি কিনটনের দেখা করতে যাচ্ছেন। কোরেশি জানান, কিনটনের সফরের মাধ্যমে ‘পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আর গতিশীল হবে’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে স্নায়যুদ্ধের যুগে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান মিত্ররাষ্ট্র ছিলো। ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার পর ওই সম্পর্কে ভাটা পড়ে। জাঁকালো একটি ভোজের কোনো তুলনাই হয়না। কিন্তু, ভোজের শেষে তেমনিই সুস্বাদু মিষ্টান্ন ছাড়া পুরো ভোজটিই যেন অসম্পূর্ন থেকে যায়। আর মিষ্টান্নের কথা উঠলে কেক, পাই, পুডিং বা মিষ্টি জাতীয় যেকোনো খাবার আমরা সবাই কমবেশি পছন্দ করি। আবার অনেকেরই মিষ্টান্নের মধ্যে মিষ্টির পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁতের ডাক্তারের বিলটা নিয়ে দুশ্চিন্তাও যেন একই হারে বাড়তে থাকে। কিন্তু,স্বয়ং মিষ্টান্নের দাম নিয়েই যদি দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়? মিষ্টান্নের জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করার কথা চিন্তা করাটাও আমাদের কাছে উন্মাদনা বলে মনে হয়। কিন্তু আপনি যদি উন্মাদের মতই ধনী হন বা একেবারে উন্মাদই হয়ে থাকেন! তাহলে আপনার জন্য নিচে এমন এক মিষ্টান্নের সন্ধান দেওয়া হলো যা হয়তো আপনি খেতে চাইবেন। আর আমরা বাকিরা জিভে জল নিয়ে বসে থেকে এর দামের দিকে সতর্ক নজর রাখবো। সে মিষ্টান্নটি হলো একটি ফ্রুট কেক। আর দাম? মাত্র এক কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলার। একটি ফ্রুট কেক কেনার জন্য এত টাকা খরচের দুঃসাহস আপনার হবে কি? সম্ভবত না! তবে আপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবে টোকিও’র এক পেস্ট্রি বাবুর্চি। তিনিই তৈরী করেছেন এ ঐতিহাসিক ফ্রুট কেকটি। তাই আগামী ক্রিসমাসে Nature’s Miracle শিরোনামে দর্শনীয় হীরা খঁচিত এ কেকটি নিলামে তুলবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এ কেকের নকশা তৈরী করতে ছয় মাস এবং কেকটি তৈরি করতে পুরো এক মাস সময় লেগেছে তাঁর। সম্পূর্ন কেকটির বাইরের অংশটি ছোট ছোট ২শ’ ২৩ টি হীরা দিয়ে সাজিয়েছেন এ পেস্ট্রি প্রস্তুতকারী। তবে হীরাগুলি ছাড়া সম্পূর্ন কেকটিই খাওয়ার যোগ্য। তাই সহজেই আপনার প্রিয়জনকে কেকটি উপহার হিসেবে দিয়ে বলতে পারেন, “এটা তোমার জন্য। তুমি এটা খেতে পারো। শুধু হীরাগুলোর দিকে একটু নজর রাখলেই হবে!” |
নিউজ সার্চ
All
নিউজ আর্কাইভ
May 2018
|