এদিকে, দুর্ঘটনা ঘটে স্থানীয় সময় বিকাল ছয়টা নাগাদ। দুর্ঘটনার পরেও লাভ প্যারেড কনসার্ট চালু রাখা হয়, যাতে আরো আতঙ্ক সৃষ্টি না হয়। নয়টি হেলিকপ্টার এবং ডজন-ডজন অ্যাম্বুলেন্স দেখাশুনা করে আহতদের। পুলিশ নিযুক্ত রয়েছে প্রায় ছয় হাজার। নিকটস্থ মোটরওয়ে বন্ধ করে সেখানেই তাঁবুতে আহতদের প্রাথমিক পরিচর্যা করা হয়েছে। পরের দিকে মোটরওয়ের তরফের বেড়া খুলে লোকজনদের সেদিক দিয়েও বেরুনোর ব্যবস্থা করা হয়। কনসার্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ডুইসবুর্গের মতো ছোট শহরে, বিশেষ করে পুরনো রেলওয়ে চত্বরে, যেখানে বিভিন্ন বিবৃতি অনুযায়ী বস্তুত ৫০ হাজার লোক ধরে, সেখানে কমপক্ষে দশ লক্ষ মানুষের সমাবেশের ব্যবস্থা করতে গিয়ে সব রকমের সাবধানতাই নেয়া হয়েছিল। বিশেষ করে সাময়িক তারের বেড়ার মাধ্যমে জনস্রোতকে ঠিক দিকে চালু করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সাধারণত পুলিশ যেমন করে থাকে। কিন্তু মুশকিল হল, কনসার্ট স্থলে প্রবেশের একমাত্র পথ ছিল একটি প্রায় ২০ মিটার প্রস্থের ও ২০০ মিটার লম্বা টানেল পেরিয়ে এবং কনসার্ট প্রাঙ্গণ পুরোপুরি ভর্তি দেখে পুলিশ বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নতুন অতিথিদের প্রবেশই বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু অতিথি আসা তখনও বন্ধ হয়নি। ফলে টানেলের ভেতরে মানুষের চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, কিছু মানুষ গরমে এবং আতঙ্কে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ওদিকে টানেলের মুখেও জনতা তারের বেড়া ঠেলে ফেলে সুড়ঙ্গের ঢাল বেয়ে এবং একটি রেলিং ছাড়া সিঁড়ি দিয়ে ওপরে যাবার চেষ্টা করে। এভাবে যারা ওপরে ওঠার চেষ্টা করছিল, তাদের মধ্যেও কিছু লোক আট-দশ মিটার উচ্চতা থেকে নীচে পড়ে প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের সেরকম কথা বলতে শোনা গেছে।
এপিপি ডেস্ক : জার্মানির শহর ডুইসবুর্গে লাভ প্যারেড সঙ্গীত উৎসবে যোগ দিতে যাওয়ার পথে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার লাভ প্যারেডে অতিরিক্ত জনসমাগম হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তরুণ-তরুণীদের লাভ প্যারেডে যোগ দিতে বাধা দিলে একটি ট্যানেলে মুখে চাপাচাপি এবং আতঙ্কে পদদলিত হয়ে মৃতের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয় কমপক্ষে ১শ’ জন। এর মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তবে ঘটনা খতিয়ে দেখতে পুলিশ ও নগর কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে তদন্তের কাজ শুরু করেছে। তবে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনার পরও কনসার্ট বাতিল করা হয়নি। ইউরোপের সবচেয়ে বড় কনাসর্ট হয়ে থাকে জার্মানির এই লাভ প্যারেডে। এবারের কনসার্টে বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৪ লাখ তরুণ-তরুণী অংশ নেয়। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিহতের পরিবারের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন। শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, ‘তরুণ-তরুণীরা পার্টিতে এসেছিল আনন্দ করতে। কিন্তু ঘটে গেল হতাহতের ঘটনা। আমি এ ঘটনায় খুবই ব্যথিত ও শোকাহত।’ ডুইশবুর্গ মেয়র অ্যাডলফ শোয়েরল্যান্ড আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, উৎসবের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্তই ছিল। তিনি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত উপস্থাপন করার অঙ্গীকার করেছেন।
এদিকে, দুর্ঘটনা ঘটে স্থানীয় সময় বিকাল ছয়টা নাগাদ। দুর্ঘটনার পরেও লাভ প্যারেড কনসার্ট চালু রাখা হয়, যাতে আরো আতঙ্ক সৃষ্টি না হয়। নয়টি হেলিকপ্টার এবং ডজন-ডজন অ্যাম্বুলেন্স দেখাশুনা করে আহতদের। পুলিশ নিযুক্ত রয়েছে প্রায় ছয় হাজার। নিকটস্থ মোটরওয়ে বন্ধ করে সেখানেই তাঁবুতে আহতদের প্রাথমিক পরিচর্যা করা হয়েছে। পরের দিকে মোটরওয়ের তরফের বেড়া খুলে লোকজনদের সেদিক দিয়েও বেরুনোর ব্যবস্থা করা হয়। কনসার্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ডুইসবুর্গের মতো ছোট শহরে, বিশেষ করে পুরনো রেলওয়ে চত্বরে, যেখানে বিভিন্ন বিবৃতি অনুযায়ী বস্তুত ৫০ হাজার লোক ধরে, সেখানে কমপক্ষে দশ লক্ষ মানুষের সমাবেশের ব্যবস্থা করতে গিয়ে সব রকমের সাবধানতাই নেয়া হয়েছিল। বিশেষ করে সাময়িক তারের বেড়ার মাধ্যমে জনস্রোতকে ঠিক দিকে চালু করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সাধারণত পুলিশ যেমন করে থাকে। কিন্তু মুশকিল হল, কনসার্ট স্থলে প্রবেশের একমাত্র পথ ছিল একটি প্রায় ২০ মিটার প্রস্থের ও ২০০ মিটার লম্বা টানেল পেরিয়ে এবং কনসার্ট প্রাঙ্গণ পুরোপুরি ভর্তি দেখে পুলিশ বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নতুন অতিথিদের প্রবেশই বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু অতিথি আসা তখনও বন্ধ হয়নি। ফলে টানেলের ভেতরে মানুষের চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, কিছু মানুষ গরমে এবং আতঙ্কে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ওদিকে টানেলের মুখেও জনতা তারের বেড়া ঠেলে ফেলে সুড়ঙ্গের ঢাল বেয়ে এবং একটি রেলিং ছাড়া সিঁড়ি দিয়ে ওপরে যাবার চেষ্টা করে। এভাবে যারা ওপরে ওঠার চেষ্টা করছিল, তাদের মধ্যেও কিছু লোক আট-দশ মিটার উচ্চতা থেকে নীচে পড়ে প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের সেরকম কথা বলতে শোনা গেছে।
0 Comments
Leave a Reply. |
নিউজ সার্চ
All
নিউজ আর্কাইভ
May 2018
|