নতুন ভিডিও চিত্রে দেখা যায় সৈন্যদের একজন চোখ বাধা কমপে ৪ ব্যক্তিকে যৌন হয়রানি ও মারধর করছে। এসব নির্যাতিত লোকের হাত জানালা ও দরজার ফ্রেমে বাধা ছিল।
ফেসবুক-এর মত সামাজিক গণমাধ্যমে এ সপ্তাহে এই ভিডিও চিত্র পাঠানো হয়।
চিত্রে দেখা যায়, নির্যাতনকারী লোকটি বিকৃতভাবে হাসছে এবং সালোয়ার-কামিজ পরা আরেক ব্যক্তি তাকে সহায়তা করছে। গণমাধ্যমের খবরে আজ বলা হয়, ভিডিওতে চোখ বাধা মানুষদের আর্তনাদ এবং ক্যামেরার বাইরে কোন একজনের অট্টহাসি শোনা যাচ্ছিল। এই ভিডিও চিত্রের সত্যতা সম্পর্কে তাৎণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এটা এমন এক সময় প্রকাশিত হলো যখন পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী বেশ কয়েকটি বিচার বহির্ভুত হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে।
গত মাসে দণি-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায় ৫ নিরস্ত্র বিদেশীকে আধা-সামরিক বাহিনী ও পুলিশের গুলিবর্ষণের চিত্র ধারণ করা হয়। তাদেরকে ‘আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী’ হিসেবে অভিহিত করে ওই গুলি চালানো হয়। বিদেশীদের মধ্যে একজন গর্ভবতী মহিলা ছিলেন। পরে জানা যায়, বিদেশীদের কারো কাছে কোন অস্ত্র এবং কোন বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল না। গত মাসে করাচীর একটি পার্কে সরফরাজ শাহ নামে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরকে আধা-সামরিক বাহিনীর এক সদস্যের খুব কাছ থেকে গুলি করার দৃশ্য একজন টিভি ক্যামেরাম্যান চিত্রায়িত করেন। এই চিত্রটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বারবার দেখানো হয়।