ঢাকা: নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সরগরম গাজীপুর সিটি করপোরশেন। আজমতউল্লা খানের পক্ষে প্রচারে নেমেছেন জাহাঙ্গীর আলম। আর সরকারের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন অপর মেয়র প্রার্থী এমএ মান্নান।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। মঙ্গলবার সকালে নগরীর পূবাইল, মিরেরবাজার ও জামতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় মেয়র প্রার্থী আজমতউল্লা খানের নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম। কর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। গাজীপুরের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে জনগণের কাছে তিনি ভোট চান দোয়াত-কলম প্রতীকে।
জাহাঙ্গীর বলেন, গাজীপুরের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদেও প্রার্থীদের জন্য ভোট চাচ্ছি। দলমত নির্বিশেষে আমাদের সকলেই দোয়াত-কলমে ভোট দেয়। আগামীদিনের জন্য একটা নতুন নগর গড়তে পারি।
আর সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছেন অপর মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান।মান্নান বলেন, আওয়ামী লীগ মানে ১৪দল প্রভাব বিস্তার করছে এবং সরকারের উচ্চ মহল থেকে ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানাই। জাহাঙ্গীরকে যারা ভোট দিত এখন তারা আওয়ামী লীগের বক্সে ভোট না দিয়ে আমার বক্সে ভোট দিবে।
এদিকে,গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান(টেলিভিশন প্রতীক) ১১-দফা সম্বলিত নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
গাজীপুরবাসীর কাছে ভোট প্রার্থনা করে অধ্যাপক মান্নান বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে একটি আধুনিক শহরে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন। তিনি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়ন, যানজট নিরসন ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনসহ আধুনিক নগরায়নে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যাপারে তিনি ওয়াদা করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, যুগ্ম-মহাসচিব আমানুল্লাহ আমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সিরাজুল হক, বিএনপি’র জেলা সভাপতি ফজলুল হক মিলন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সায়দুল আলম বকুল উপস্থিত ছিলেন।