ঢাকা : বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র চাপ অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো একটি চিঠিতে এ আশ্বাস দেন তিনি। বৃহস্পতিবার (০৩ মে) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ট্রাম্পের পাঠানো চিঠিটি হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। চিঠিতে ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যহত রাখবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ভয়ঙ্কর রোহিঙ্গা সঙ্কটের জাদুকরী সমাধান নেই: জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা সঙ্কটের জাদুকরী কোনো সমাধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দল। রবিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ১৫ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের সবার মুখে একই কথা- এটি এক ভয়ঙ্কর সঙ্কট। কাজেই এটার সমাধানে জাদুটোনা কাজে আসবে না। ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি কারেন পিয়ার্স বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মায়ানমার থেকে এসেছে, তাই এই সমস্যা মায়ানমারকেই সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফেরত যেতে ও নিরাপদ জীবন দিতে হবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় কিছু সময় লাগতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখান থেকে মায়ানমারে যাবো। তাদের কাছ থেকে শুনতে চাইবো, সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হতে পারে তারা। এদিকে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় আমরা নিরাপত্তা পরিষদে সমর্থন দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো ও রোহিঙ্গাদের উপকারে আসে এমন সিদ্ধান্ত নেবো।’ প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য পেরুর গুস্তাভো মেজা কোয়াদ্রার মন্তব্য, ‘আমরা এই শরণার্থী সঙ্কট দেখে খুব উদ্বিগ্ন। আমরা এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। রোহিঙ্গাদের জন্য যেন কিছু করতে পারি, তাই সমস্যাটিকে আরও ভালোভাবে জানার জন্য আমরা এখানে এসেছি।’ কুয়েতের প্রতিনিধি মনসুর আল উতাইবি আশ্বাস দিলেন, ‘আমরা এখান থেকে মায়ানমারে যাবো ও সেখান থেকে নিউইয়র্কে ফিরে বিষয়টি নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আলোচনা করবো। তবে আমরা এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না যে, আমরা দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নেবো।’ এর আগে রবিবার সকাল ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় আশ্রয় শিবিরে গিয়ে সরাসরি রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নৃশংসতার কাহিনি শোনেন তারা। এর পর ব্রিফিং কক্ষে ঢুকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতিসংঘের এই প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রোহিঙ্গাদের নিয়ে তাদের কাছে নানা তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেন। কক্সবাজার থেকে সরকারি সূত্র জানায়, ইউএনএসসির প্রেসিডেন্ট পেরুর গুস্তাভো মেজা-চুয়াড্রার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি ইরাক থেকে কুয়েত এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে শনিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম প্রতিনিধিদলকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। প্রতিনিধিদলে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও চীনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যদের মধ্যে বলিভিয়া, ইকুয়েটোরায়েল গায়েনা, ইথিওপিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, নেদারল্যান্ডস, পেরু, পোল্যান্ড ও সুইডেনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং আইভরি কোস্টের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি রয়েছেন। এই সফরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা এবং মানবিক সহায়তা ও অন্যান্য কাজে দায়িত্ব পালনরত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ঢাকায় ফিরে প্রতিনিধিদলটি সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং পরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য দুদিনের সফরে মায়ানমার যাবেন।
ডেস্ক রিপোর্ট :
ঢাকা : বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র চাপ অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো একটি চিঠিতে এ আশ্বাস দেন তিনি। বৃহস্পতিবার (০৩ মে) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ট্রাম্পের পাঠানো চিঠিটি হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। চিঠিতে ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যহত রাখবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ভয়ঙ্কর রোহিঙ্গা সঙ্কটের জাদুকরী সমাধান নেই: জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা সঙ্কটের জাদুকরী কোনো সমাধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দল। রবিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ১৫ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের সবার মুখে একই কথা- এটি এক ভয়ঙ্কর সঙ্কট। কাজেই এটার সমাধানে জাদুটোনা কাজে আসবে না। ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি কারেন পিয়ার্স বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মায়ানমার থেকে এসেছে, তাই এই সমস্যা মায়ানমারকেই সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফেরত যেতে ও নিরাপদ জীবন দিতে হবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় কিছু সময় লাগতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখান থেকে মায়ানমারে যাবো। তাদের কাছ থেকে শুনতে চাইবো, সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হতে পারে তারা। এদিকে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় আমরা নিরাপত্তা পরিষদে সমর্থন দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো ও রোহিঙ্গাদের উপকারে আসে এমন সিদ্ধান্ত নেবো।’ প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য পেরুর গুস্তাভো মেজা কোয়াদ্রার মন্তব্য, ‘আমরা এই শরণার্থী সঙ্কট দেখে খুব উদ্বিগ্ন। আমরা এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। রোহিঙ্গাদের জন্য যেন কিছু করতে পারি, তাই সমস্যাটিকে আরও ভালোভাবে জানার জন্য আমরা এখানে এসেছি।’ কুয়েতের প্রতিনিধি মনসুর আল উতাইবি আশ্বাস দিলেন, ‘আমরা এখান থেকে মায়ানমারে যাবো ও সেখান থেকে নিউইয়র্কে ফিরে বিষয়টি নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আলোচনা করবো। তবে আমরা এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না যে, আমরা দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নেবো।’ এর আগে রবিবার সকাল ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় আশ্রয় শিবিরে গিয়ে সরাসরি রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নৃশংসতার কাহিনি শোনেন তারা। এর পর ব্রিফিং কক্ষে ঢুকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতিসংঘের এই প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রোহিঙ্গাদের নিয়ে তাদের কাছে নানা তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেন। কক্সবাজার থেকে সরকারি সূত্র জানায়, ইউএনএসসির প্রেসিডেন্ট পেরুর গুস্তাভো মেজা-চুয়াড্রার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি ইরাক থেকে কুয়েত এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে শনিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম প্রতিনিধিদলকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। প্রতিনিধিদলে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও চীনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যদের মধ্যে বলিভিয়া, ইকুয়েটোরায়েল গায়েনা, ইথিওপিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, নেদারল্যান্ডস, পেরু, পোল্যান্ড ও সুইডেনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং আইভরি কোস্টের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি রয়েছেন। এই সফরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা এবং মানবিক সহায়তা ও অন্যান্য কাজে দায়িত্ব পালনরত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ঢাকায় ফিরে প্রতিনিধিদলটি সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং পরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য দুদিনের সফরে মায়ানমার যাবেন।
0 Comments
Leave a Reply. |
বিভাগ ভিত্তিক নিউজ
All
Archives
May 2018
|