বিক্ষোভকারীরা টায়ার আগুন ধরিয়ে ও আবর্জনা দিয়ে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের রাস্তাঘাট অবরোধ করে রাখে। এ সময় ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে বিক্ষিপ্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। ব্যারিকেড নির্মাণে অংশ নেওয়া ৪০ বছর বয়সী কৃষক অ্যালেক্সি ক্লারিয়াস চিৎকার করে বলেন, ‘জাতিসংঘ আমাদের বিষ খাইয়ে হত্যা করতে এসেছে।’ তিনি ভূমিকম্পের নির্মিত একটি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে সংগঠকরা কলেরার মহামারীর ঘটনায় সরকার ও জাতিসংঘের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলার আহ্বান জানান। গত অক্টোবরে শুরু হওয়া কলেরায় এ পর্যন্ত ১১ শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা শান্তিরী বাহিনীর সদস্য কিছু নেপালিকে পরীক্ষা করেছে। তবে কোনো কলেরার জীবাণু পায়নি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, এখন কলেরার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করতে হবে, কলেরার উৎস নিয়ে বিবাদ করার সময় নেই। প্রেসিডেন্ট রেনে প্রেভাল সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান। আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কলেরার অজুহাতে সংঘর্ষ বাধানোর নিন্দা জানান তিনি।
আমেরিকা মহাদেশে সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতিতে গত জানুয়ারির ভূমিকম্পে আড়াই লাখ লোক নিহত হয়। এরপর জাতিসংঘের শান্তিরী বাহিনীর সদস্যরা দেশটির পুনর্গঠনে সহায়তা করার জন্য সেখানে যায়। রাজধানীতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্কুলশিক্ষক লাডিউ নভেম্ব্রে (৩৮) বলেন, ‘অবকাঠামো নেই, শিক্ষা নেই। এ মুহূর্তে কলেরায় মানুষ মারা যাচ্ছে। অথচ প্রেসিডেন্ট কিছু বলছেন না।’কর্মকর্তারা আশঙ্কা করে বলেছেন, ‘এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ১২ মাসে ১০ হাজার লোক মারা যেতে পারে।’