পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আফ্রিকা অণুবিভাগের মহাপরিচালক আল্লামা সিদ্দিকী এ তথ্য জানান। বহিঃপ্রচার অণুবিভাগের মহাপরিচালক শামীম আহসান জানান, বহির্প্রচার অণুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
সুদানের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা, টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় শুভকামনা জানিয়ে দেশটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় বাংলাদেশ। আল্লামা সিদ্দিকী জানান, স্বাধীন দেশ হিসেবে দক্ষিণ সুদানের জন্মলগ্নে জাতিসংঘে ওঠা প্রস্তাবে কো-স্পন্সর ছিল বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস অবশ্য গত শুক্রবার বলেছিলেন, ‘দাপ্তরিক কিছু প্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক রীতি অনুসরণ করে আগামী ক`দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।’
জাতিসংঘের ১৯৩তম সদস্য হিসেবে গত ১৪ জুলাই স্বীকৃতি পেয়েছে নতুন রাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী দক্ষিণ সুদান। পৃথিবীর মানচিত্রে গত ৯ জুলাই আত্মপ্রকাশ করে দক্ষিণ সুদান, যার রাজধানী জুবা।দক্ষিণ সুদানের আগে সর্বশেষ মন্টেনিগ্রো জাতিসংঘ সদস্যপদ লাভ করে ২০০৬ সালে।
তবে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়ার ভেটোর কারণে তাইওয়ান ও কসোভো জাতিসংঘের সদস্যপদ পায়নি।মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ অবশ্য কসোভোকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এব্যাপারে প্রায়শই বাংলাদেশকে অনুরোধ করে। এদিকে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১২০ সদস্যের একটি দল দক্ষিণ সুদানে কাজ করে। তারা রাজধানী জুবার পুনর্গঠনের পাশাপাশি সেখানকার অধিবাসীদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাতিসংঘ অর্পিত দায়িত্ব পালন করে। সাবেক সুদানের দক্ষিণের ওই অঞ্চলটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি সেনা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর (ইউএনএমআইএস) হয়ে কাজ করেছে। স্বাধীনতার পর দেশটির পতাকাও সেখানকার সর্বোচ্চ শিখরে উড়িয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।