নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নির্বাচনে মূলত এশিয়ান-আমেরিকানরাই কোন প্রার্থী বিজয়ী হবেন তা নির্ধারণ করে দেবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারণ হবে খুবই সামান্য ব্যবধানে। এশিয়ান ভোটারদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে আমেরিকায় এশিয়ান-আমেরিকান ভোটারদের প্রবৃদ্ধির হার হচ্ছে ৪৮ শতাংশ। নির্বাচনে ব্যাটেল-গ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত নর্থ ডাকোটা, নর্থ ক্যারোলিনা ও নেভাদায় এশিয়ান ভোটারদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। নর্থ ক্যারোলিনা ও নর্থ ডাকোটায় গত ১০ বছরে এশিয়ান-আমেরিকান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৮৫ শতাংশ, নেভাদায় ১১৬ শতাংশ অ্যারিজোনাতে ৯৫ শতাংশ। ব্যাটেল-গ্রাউন্ড স্টেটগুলোতে এশিয়ান-আমেরিকানদের সংখ্যাবৃদ্ধির হার গত ১০ বছরে গড়ে ৫১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বাংলাদেশী, পাকিস্তানী, ভারতীয়, কোরিয়ান ও চীনের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয়দলের সমর্থকরাই রয়েছেন। তবে এদের মধ্যে ডেমোক্র্যাট সমর্থক বেশি।
আমেরিকাব্যাপী প্রায় ১৫ লাখ ক্ষুদ্র-মাঝারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এশীয়-আমেরিকানদের মালিকানাধীন। এই সব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০ লাখ কর্মচারী রয়েছেন। ফলে ভোটের ময়দানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কমিউনিটি হিসেবে এশিয়ান-আমেরিকানরা এবার আবির্ভুত হয়েছেন।