বার্লিন: নির্বাচন শেষে শুরু হয়েছে অভিনন্দনবার্তার জোয়ার। চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তাকে এবং তার দল সিডিইউ-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকে। অন্যদিকে ডানপন্থী দল এএফডি-র উত্থানে তাদের সমমনারাও খুশি।
নির্বাচনের ফলাফল জেনেই ম্যার্কেলকে ফোন করেছিলেন এমানুয়েল মাক্রোঁ। রবিবার গভীর রাতে চতুর্থবার জার্মান চ্যান্সেলর হওয়ার জন্য ম্যার্কেলকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দুই দেশ ‘ইউরোপ এবং আমাদের দেশের জন্য সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার অঙ্গীকারকে আরো এগিয়ে নেবে।'
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখয় টেলিগ্রামে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় ম্যার্কেল ও তার দল সিডিইউ নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ম্যার্কেলের পুনর্র্নিবাচিত হওয়া ইউরোপের এক থাকার লক্ষ্য পূর্ণের জন্য সুখবর।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার অভিনন্দনবার্তায় ম্যার্কেলকে দিয়েছেন ‘ইসরায়েলের সত্যিকারের বন্ধু'-র মর্যাদা।
আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে অভিনন্দন জানানোর পালা এখনো চলছে। ব্রাসেলস থেকেও এসেছে অভিনন্দনবার্তা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিশনার পিয়ের মস্কোভিচি অবশ্য ম্যার্কেলকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ডানপন্থি দল এএফডি-র উত্থানে কিঞ্চিত উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। তার মতে, ‘এএফডি-র উত্থান (জার্মান) সমাজে যে এক ধরনের সংশয় রয়েছে, তারই বহিপ্রকাশ।'
অভিবাসনবিরোধী দলটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেখেও তিনি অবশ্য শঙ্কিত নন। তিনি মনে করেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বয্দ্ধু পরবর্তী জার্মান গণতন্ত্র অনেক শক্তিশালী' আর সে কারণেই হিটলারের সময় ফিরে আসা সম্ভব নয়।
কিন্তু এএফডি-র শুভানুধ্যায়ীরা বিষয়টিকে যেন সেভাবেই দেখছেন। তাই ইউরোপের অন্যান্য ডানপন্থি দল রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। ফ্রান্সের ‘ন্যাশনাল ফ্রন্ট' দলের নেত্রী মারিন ল্য পেন টুইটারে এএফডি-কে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে লিখেছেন, ‘ঐতিহাসিক জয়ের জন্য এএফডি-তে আমাদের মিত্রদের বলছি, সাবাশ! এই জয় ইউরোপের জনগণের মাঝে নতুন জাগরণের স্মারক।'
নেদারল্যান্ডসের ডানপন্থী নেতা গেয়ার্ট ভিল্ডার্স টুইটারে লিখেছেন, ‘বার্তাটা খুব পরিষ্কার। আমরা মোটেই ইসলামি জাতি নই।'
এদিকে গ্রিসের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ানিস ভারুফাকিস মনে করেন, জার্মান নির্বাচনের ফলাফলে গ্রিস সংকট মোকাবেলায় জার্মানির ভূমিকার প্রভাব রয়েছে। ২০১৫ সালে আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং সিগমার গাব্রিয়েলের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি জানতে চেয়েছেন, ‘তারা কি নির্বাচনের ফলাফলে বিস্মিত?' সূত্র: ডয়চে ভেলে