তিনি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, দিনাজপুর, কুষ্ঠিয়া, নাটোরের বনপাড়া, আহম্মদপুর, নাজিরপুর, বড়াইগ্রাম, বাগাতিপাড়া, লালপুর থেকে সাতশ’ থেকে সাড়ে সাতশ’ টাকা মন দরে আম কিনে আটশ’ সাড়ে আটশ’ টাকা দরে প্রাণে বিক্রি করেন। আড়তে আম বাছাইয়ের কাজে নিয়োজিত সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের গৃহিনী আলেয়া বেগম জানান, প্রতিদিন তিনি গড়ে একশ’ টাকা আয় করেন। এতে তার অভাবের সংসারে বাড়তি আয় হচ্ছে।
আম পরিবহনের কাজ করে প্রতিদিন দু’শ টাকা আয় করছে একডালা গ্রামের লোকমান হোসেন। তিনি জানান, আগে এসময় তার কোনো কাজ থাকতো না। প্রাণ-এর আম কেনার ফলে তারা টাকা আয় করার একটা উপায় হয়েছে। প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের নাটোর কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হাসান মোহম্মদ মঞ্জুরুল হক জানান, চলতি বছর প্রাণ ৬০ হাজার টন আম কিনবে। মধ্য জ্যৈষ্ঠ থেকে আম কেনা শুরু হয়েছে, চলবে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি আশ্বিনা আম থাকা পর্যন্ত। এতে নাটোরের আমচাষিরা ৩ মাসে আয় করবে এক কোটি ২০ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, গ্যাস না থাকায় নাটোরে ডিজেল, বিদ্যুৎ ও স্টিম তেরির খরচসহ সার্বিক উৎপাদন খরচ অন্যান্য কারখানার থেকে তিন গুন বেশি হয়। গ্যাসের অভাবে নাটোরে আমের পাল্প করে ঘোড়াশাল কারখানায় নিয়ে জুস তৈরি করতে হয়। এতে পরিবহন খরচসহ উৎপাদন খরচে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নাটোরে প্রাকৃতিক গ্যাস থাকলে আম মৌসুমে এই কারখানায় আরও ৫ হাজার নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো বলে জানান তিনি।