ডিএসই’র বাজারে গতকাল সকাল থেকেই সুচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে শুরু হলেও শেষ পর্যায়ে অধিকাংশ শেয়ারের দর পতন হওয়ায় স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী নয়। জেলার অনেক বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন শেয়ার বাজারের এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে কিছূ সংখ্যক অসাধূ বড় ধরনের ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই এর আওতায় গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়ার পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউজে মোট ১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত বুধবার মোট লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৭২ লাখ টাকার। ফলে গতকাল জেলায় একদিনের ব্যবধানে ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন কমেছে।
গতকাল জেলার আইসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড আইএসটিসিএলে মোট ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা,মাল্টি সিকিউরিটিজ এন্ড সার্ভিস লিমিটেডে মোট ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ,শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডে মোট ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা,রয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেডে মোট ২ কোটি ১৩ লাখ এবং ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স এনসিসি ব্যাংক ব্রোকারেজ হাউজে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
বগুড়ার বিনিয়োগকারী আজিজুর রহমান ও নুরুল অমিন বলেন, গত সোমবার থেকে শেয়ার বাজারে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা মনে করেছিলাম যে এখন থেকে সপ্তাহের শেষ দিবস পর্যন্ত এই দর বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবারও অধিকাংশ শেয়ারের দর পতন হওয়ায় আমাদের আশা পুরন হলো না। স্থানীয় বিনিয়োগকারী রাজু হোসেন পাইকাড় ও আশিকুর রহমান বলেন, দেশের শেয়ারবাজার কখনো ভালো হতেই মন্দাভাব পড়ে যায়। এমন অবস্থা আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজার পরিস্তিতি নিয়ে হিমশিম খাতে হচ্ছে।
জেলার বিনিয়োগকারী খলিলুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম বলেন, বাজার পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্তিতে পড়েছে। এ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিবসে শেয়ারবাজার একটু ঘুরে দাড়াতে শুরু করলেও বুধবারের আবার অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর পতনে জেলার বিনিয়োগকারীরা বাজারের গতিমতি বুঝে উঠতে পারছে না। বিনিয়োগকারী ছামছুল হক ও সইব্বর আহম্মেদ বলেন, পুঁজিবাজারে কিছূ সংখ্যক অসাধূ বিনিয়োগকারীরা আবারো সক্রিয় হওয়ায় বাজারের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে।