ঢাকা: দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসনের অন্যান্য শাখার ব্যর্থতার কারণেই পোশাক শিল্পে নাশকতা থামছে না বলে দাবি করে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
শনিবার বেলা ৩টায় বিজিএমইএ ভবনে গাজীপুরের স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ’র নেতারা।
বিজিএমইএ’র নেতারা বলেন, কারখানায় দুর্বৃত্তদের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও অনেক কারখানায় দুর্বিত্তরা অগ্নিসংযোগ করে। কিন্তু কোনো ঘটনারই বিচার হয়নি। আর এসব ঘটনার নেপথ্যে কারা তা খুঁজে বের করে প্রকাশ করা হয়নি। তাহলে আজ আর কোনো কারখানায় অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটত না।
পরিকল্পিত আগুনেই নিঃস্ব হয়েছেন স্ট্যান্ডার্ড গ্র“পের মালিক ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। আর তাই পোষাক শিল্পে ২০০৬ সাল থেকে যত গুলো অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার সকল ঘটনার বিচার দাবি করেছে তৈরি পোষাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরেরকোনাবাড়িস্থ স্ট্যান্ডার্ড গ্র“পের মালিক ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, বিজিএমই এর সভাপতি আতিকুল ইসলাম এবং বর্তমান ও সাবেক বিজিএমই এর নেতারা।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রয়োজনে পোষাক শিল্প ধ্বংসকারীদের বিচারের জন্য সংসদে নতুন করে আইন পাস করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্ট্যান্ডার্ড গ্র“পের মালিক ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।এ ঘটনায় অনিশ্চিত হয়ে গেছে ১৯ হাজার শ্রমিকের ভাগ্য।
তিনি বলেন, আমার প্রায় ১২শ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ রয়েছে। যদি সময় মতো এ ঋণ পরিশোধ করতে না পারি তাহলে আমার ছেলে-মেয়েদের জেলে যেতে হবে।এসময় মোশারফ হোসেনের সাথে বিজিএমই এ মালিকদের কান্নায় এক আবেগ ঘণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমসইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প শ্রীলংকার মতো হতে আর বেশি সময় লাগবে না। এসব নাশকতার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করেত হবে। বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। তাহলে এসব সমস্যার সমাধান হবে।অন্যদিকে গার্মেন্টস কারখানার জন্য পৃথক আইনের প্রয়োজন বলে মনে করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দন বলেন, প্রশাসনের উচিত পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা বিধান করা। কারা এসব নাশকতা করছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। অতীতের ঘটনায় বিচার করা হলে নাশকতা সৃষ্টিকারীরা আর এ ধরনের ঘটনা সৃষ্টির সুযোগ ও সাহস পেত না।