ঢাকা: রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া মাছ ও সবজির দাম। সব ধরনের সবজি আগের সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ৮-১০ টাকা করে কমেছে।
মিয়ানমার আর ভারত থেকে আমদানি বাড়ায় পাইকারি বাজারের পাশাপাশি রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতেও কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পেয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও করলা, টমেটো ও কাচাঁ মরিচসহ সব ধরনের সবজির দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে -১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।তবে মাছের দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতারা বলছেন, প্রতি কেজি মাছ আগের সপ্তাহ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন অন্য কথা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি) রাজধানীতে কেজি প্রতি ৪৭ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।রাজধানীর ১০০টি স্পটে টিসিবি ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে বৃহস্পতিবার থেকে।প্রথমদিনে ওইসব ট্রাকের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তারপরও বাজারের চেয়ে ১৩ ে থকে ১৫ টাকা কম দামে পেঁয়াজ পেয়ে খুশি ক্রেতারা।
রাজধানীর বাজারে এতদিন যে পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, শুক্রবার হটাৎ করে তা ৬০টাকায় নেমে এসেছে। এ যেনো আলাউদ্দিনের চেরাগ পাওয়ার মতো অবস্থা। এদিকে কাঁচা বাজারে কাঁচা মরিচ ও আদার দামও কমতির দিকে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ১০ থেকে ২০ কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আদার দাম প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম প্রায়ই অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাঁঠাল বাগান বাজার ঘুরে এচিত্র দেখা গেছে।হঠাৎ করে আদার দাম বাড়ার কারণ বলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। দোকানদারদের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছুই বলতে পারছেন না। তবে অনেকে ধারণা করছেন ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় আদার দাম বাড়তে পারে।
এদিকে মুদি দোকানে গিয়ে দেখা গেছে আদার দাম ও কমতে শুরু করছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, চায়না বড় রসুন ৬০ টাকা, দেশী ৬৫ টাকা, একদানা রসুন ১২০ টাকা, গুরা মরিচ ১৮০ এবং হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা, ধনিয়া ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দারচিনি ২৫০ টাকা, এলাচি এক হাজার ৫০ টাকা, জিরা ৪৩০, দেশী মশুর ডাল ১০৫, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০, খেসারি ডাল ৪৫, আ্যাংকর ডাল ৪৫, মুগ ডাল ১২০ টাকা। চিনি ৪৫ টাকা, সয়াবিন খোলা ১১৩ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটার ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কাঁচা বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০ টাকা, সিম ৮০-১০০, ঝিঙ্গা ৪০, মূলা ৩০, আলু ১৮ টাকা, গাজর ৬০, করল্লা ৪০, ঢেড়স ৪০, পটল ৩০, পেঁপে ১৬, কচুর লতি ৪০, বরবটি ৪০, টমেটো ৮০, চিচিঙ্গা ৫০, মিষ্টি কুমড়া সাইজ অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া সব ধরনের শাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
নাজির শাইল চালের দাম ৫৫ টাক, মিনিকেট ৪৮, লতা আটাশ ৩৮-৪০, মোটা ৩৮,পাইজাম ৩৬, জিরা নাজির ৫২, পোলাও ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশের হালি তিন হাজার ৫০০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশের পিস ৯০০ টাকা, ঝাটকা ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষ করা কৈ মাছের কেজি ২৩০, দেশী কৈ ৩০০ টাকা, চন্দনা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। কাতল মাছ ৩৫০ ও রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। বড় চিংড়ি ৮৫০ টাকা, টাকি মাছ ১২০, মলাঢেলা ৩০০, বাইলা মাছ ৫৫০, কাঁচকি মাছ ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আজকের বাজারে প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম ৩২ টাকা, দেশী মুরগির ডিম ৪০ টাকা, দেশী হাঁসের ডিম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া পাকিস্থানি মুরুগির ডিম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, খাসির মাংস ৫০০ টাকা। দেশী মুরগি ২৮০-৩৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ ও লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকা, হাঁস ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।