সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যালয়ে গভর্নর ড. আতিউর রহমান নতুন এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। গভর্নর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি যাতে বেড়ে না যায় সেজন্য এর চাপকে সব সময় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রাসঙ্গিক যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক পিছপা হবে না।’ কাক্সিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তথা বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হলে প্রবৃদ্ধিরও উন্নতি হবে। একই সঙ্গে কৃষির জন্য অনুকূল উৎপাদনশীল খাতে পর্যাপ্ত ঋণ ও উপকরণ সরবরাহ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও অবকাঠামো খাতের উন্নতি প্রয়োজন। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে অপচয়ী ভোগ কমানো, অনুৎপাদনশীল ও ‘ফটকাবাজারি’ খাতে ঋণ বিতরণে নিরুৎসাহিত করে গভর্নর বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং জনমত গড়ে তুলতে হবে। আর এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে সহায়তা করার জন্য নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।’আতিউর রহমান বলেন, ‘রেমিটেন্সের উচ্চ প্রবাহের কারণে ব্যাংকিং খাতে একদিকে তারল্য বাড়ছে, অন্যদিকে টাকা অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়ছে, যা মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ ফেলতে পারে। তবে বিনিয়োগ বাড়লে এবং সেইসঙ্গে আমদানি প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক ধারায় ফিরে এলে এটা মোকাবেলা করা সম্ভব। এছাড়া মূল্যস্ফীতির ওপর আরেকটি চাপ আসতে পারে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর চাপ থেকে।’ ঘোষিত মুদ্রানীতিতে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির গড় হার সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যেই সীমিত থাকবে উল্লেখ করে বলা হয়, বড় ধরনের প্রাকৃৃতিক বা সামাজিক বিপর্যয় না ঘটলে মূল্যস্ফীতির চাপ সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ পাশের দেশের (ভারত) চেয়ে ভাল অবস্থানে আছে। কিন্তু ভাল অবস্থানে থাকলেও বৈধ ও অবৈধ বাণিজ্যের কারণে ভারতের দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়।’ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সর্বশেষ গত এপ্রিলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির গড় হার দেখানো হয়েছে ৮ দশমিক ৫৪। এর মধ্যে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার হচ্ছে ১০ দশমিক ৪৭ এবং খাদ্য-বহির্ভূত খাতে ৫ দশমিক ৪৬। মুদ্রানীতিতে সরকারের ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতার কথা তুলে ধরা হয়। এক্ষেত্রে কৃষি-শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যয়ভার সহনীয় রাখতে ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বচ্ছল গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সুপারিশ করা হয়েছে ভর্তুকি প্রত্যাহারের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ‘বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের নয়’ উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভর্তুকি বাড়ানো হোক বা কমানো হোক এর একটা প্রভাব মূল্যস্ফীতিতে পড়বে।’
মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার বিষয়টিতে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে প্রবৃদ্ধি সহায়ক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যালয়ে গভর্নর ড. আতিউর রহমান নতুন এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। গভর্নর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি যাতে বেড়ে না যায় সেজন্য এর চাপকে সব সময় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রাসঙ্গিক যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক পিছপা হবে না।’ কাক্সিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তথা বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হলে প্রবৃদ্ধিরও উন্নতি হবে। একই সঙ্গে কৃষির জন্য অনুকূল উৎপাদনশীল খাতে পর্যাপ্ত ঋণ ও উপকরণ সরবরাহ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও অবকাঠামো খাতের উন্নতি প্রয়োজন। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে অপচয়ী ভোগ কমানো, অনুৎপাদনশীল ও ‘ফটকাবাজারি’ খাতে ঋণ বিতরণে নিরুৎসাহিত করে গভর্নর বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং জনমত গড়ে তুলতে হবে। আর এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে সহায়তা করার জন্য নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।’আতিউর রহমান বলেন, ‘রেমিটেন্সের উচ্চ প্রবাহের কারণে ব্যাংকিং খাতে একদিকে তারল্য বাড়ছে, অন্যদিকে টাকা অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়ছে, যা মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ ফেলতে পারে। তবে বিনিয়োগ বাড়লে এবং সেইসঙ্গে আমদানি প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক ধারায় ফিরে এলে এটা মোকাবেলা করা সম্ভব। এছাড়া মূল্যস্ফীতির ওপর আরেকটি চাপ আসতে পারে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর চাপ থেকে।’ ঘোষিত মুদ্রানীতিতে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির গড় হার সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যেই সীমিত থাকবে উল্লেখ করে বলা হয়, বড় ধরনের প্রাকৃৃতিক বা সামাজিক বিপর্যয় না ঘটলে মূল্যস্ফীতির চাপ সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ পাশের দেশের (ভারত) চেয়ে ভাল অবস্থানে আছে। কিন্তু ভাল অবস্থানে থাকলেও বৈধ ও অবৈধ বাণিজ্যের কারণে ভারতের দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়।’ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সর্বশেষ গত এপ্রিলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির গড় হার দেখানো হয়েছে ৮ দশমিক ৫৪। এর মধ্যে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার হচ্ছে ১০ দশমিক ৪৭ এবং খাদ্য-বহির্ভূত খাতে ৫ দশমিক ৪৬। মুদ্রানীতিতে সরকারের ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতার কথা তুলে ধরা হয়। এক্ষেত্রে কৃষি-শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যয়ভার সহনীয় রাখতে ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বচ্ছল গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সুপারিশ করা হয়েছে ভর্তুকি প্রত্যাহারের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ‘বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের নয়’ উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভর্তুকি বাড়ানো হোক বা কমানো হোক এর একটা প্রভাব মূল্যস্ফীতিতে পড়বে।’ This is your new blog post. Click here and start typing, or drag in elements from the top bar.
0 Comments
প্রাইভেট প্লেসমেন্টের নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। কমিশনের নির্বাহী পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামানকে প্রধান করে সোমবার বিকেলে তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পরিচালক হাসান মাহমুদ এবং উপ-পরিচালক জহিরুল হক। প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার বরাদ্দের নামে বিনিয়োগকারী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণায় লিপ্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কমিটিকে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান এটিএম তারিকুজ্জামান তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে নিশ্চিত করেছেন। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের নামে দীর্ঘদিন ধরেই শেয়ারবাজারে বড় ধরনের অনৈতিক বাণিজ্য চলছে। কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধি বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের তহবিল সংগ্রহের জন্য শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিতরণ করা হয়ে থাকে। অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণ শেয়ার বরাদ্দ নিয়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আগেই আগাম বিক্রির জমজমাট ব্যবসা চালাচ্ছেন। এই সুযোগে প্লেসমেন্টের নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রির প্রবণতা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে নবীউল্লাহ নবী ওরফে শফিউল আলম নবী এবং সাত্তারুজ্জামান শামীম নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রিন বাংলা গ্রুপের নামে বেশ কিছুদিন ধরে এই চক্রটি প্লেসমেন্টের শেয়ার বরাদ্দের নামে বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করছিল। এই চক্রের তৎপরতা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করছে। গ্রেপ্তার দু’জনের পাশাপাশি অন্য কোনো চক্র এধরনের প্রতারণা করছে কিনাÑ তা খতিয়ে দেখতেই এসইসি’র পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট নিয়ে অনৈতিক প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার বরাদ্দের ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয় এসইসি। সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ব্যক্তির ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য এক কোটি টাকা এবং তালিকা-বহির্ভুত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকার বেশি শেয়ার বরাদ্দ নেয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। |
নিউজ সার্চ
All
নিউজ আর্কাইভ
April 2018
|