ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এপিপি রিপোর্ট : বাংলাদেশের গ্যাস দিয়ে ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ভারতীয় মিডিয়ার এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। মঙ্গলবার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি’র সঙ্গে আলাপকালে জ্বালানি উপদেষ্টা বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হবে, তা দিয়ে ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এটা কিভাবে সম্ভব।’ তিনি বলেন, যদিও সংবাদটি আমি দেখিনি, তারপরেও বাংলাদেশে গ্যাসে অন্য দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে এটা হতে পারে না। যেখানে আমাদেরই গ্যাসের সঙ্কট রয়েছে। ২১ আগষ্ট ভারতের অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিফি ডট কম (sify.com) ও ডেইলি ইন্ডিয়া ডট কম (dailyindia.com) এ ‘ওএনজিসি সেট আপ ফার্স্ট পাওয়ার প্রজেক্ট টু রান অন বাংলাদেশ গ্যাস’ শিরোনামে প্রকাশিত এক সংবাদে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান দি অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশন লিমিটেড (ওএনজিসি)-এর বরাত দিয়ে বলা হয় যে, ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে ৬০ কিলোমিটার দুরে পলাতনায় এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৯ হাজার কোটি ভারতয়ি রুপি। সংবাদে আরও বলা হয়, ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ওএসজিসি এই প্রকল্পের কাজ করছে। এরই মধ্যে ৭২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এই পুরো প্রকল্প চলবে বাংলাদেশের গ্যাসে। ওএসজিসির চেয়ারম্যান আর এস শর্মার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদে আরও বলা হয়, পলাতনা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ভারতবাসী বিদ্যুৎ পাবে। আর পুরো প্রকল্প চালু হবে ২০১২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। এই প্রকল্প সচল করতে এরই মধ্যে প্রকল্প এলাকায় গ্যাস লাইন বসানো হয়েছে। তবে এ ধরনের সকল সম্ভবনাই নাকচ করে দিয়েছেন তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী
0 Comments
এপিপি রিপোর্ট : পুঁজিবাজারে তেজীভাব অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার সঙ্গে লেনদেনের পরামর্শ দিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়ছে অধিকাংশ শেয়ারের দাম। আর এসব অতিমূল্যায়িত শেয়ার কিনে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নিজেদের বিনিয়োগকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহম্মেদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, বাজারে শেয়ারের সরবরাহ কম থাকায় এটি অনেক আগেই বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখন বিনিয়োগকারীদের কোনভাবেই দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার কেনা উচিত নয়। মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আরিফ খান বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে বাজারের মূল্য সংশোধনের বিষয়টি বিনিযোগকারীদের মাথায় রেখে কোম্পানির মৌলভিত্তি সম্পন্ন শেয়ারে বিনিয়োগ করা উচিত। এদিকে রোববারও ডিএসইতে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। তবে কমেছে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সেবা ও হাউজিং খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দাম। এদিন ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ১৭.৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬৭৬০.৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি কো¤পানী হলো বেক্সটেক্স, নাভানা সিএনজি, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, সামিট পাওয়ার, আফতাব অটোমোবাইলস, প্রাইম ফাইন্যান্স, তিতাস গ্যাস ও পিপলস্ লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিেিটড। দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ১ম প্রাইম মিউচুয়াল ফান্ড, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, গ্রামীন স্কিম-১, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কেয়া কসমেটিকস্, ফাইন ফুডস্, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, ১ম বিএসআরএস মিউচুয়াল ফান্ড, তাক্কাফুল ইন্স্যুরেন্স ও ন্যাশনাল টিউবস। আর দাম কমার শীর্ষে ছিল এশিয়া প্যাসিফিক, সমতা লেদার, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, ২য় আইসিবি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন হাউজিং, রেকিট বেঙ্কিজার, নিলয় সিমেন্ট ও সিটি ব্যাংক লিমিটেড। এপিপি, রাজশাহী : রাজশাহীর শাহ্ মখদুম বিমান বন্দরে মালয়েশিয়ার সিটিআরএম এভিয়েশন কোম্পানির সহযোগীতায় গ্যালাক্সি ফাইং একাডেমি লিঃ বিমান মেরামত ও যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা স্থাপন করবে। শনিবার রাজশাহী সিটি মেয়রের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সিটিআরএম এভিয়েশনের কর্পোরেট মার্কেটিং বিভাগের প্রধান অ্যাড্রিয়ান র্যানডাল লোপেজ ও গ্যালাক্সি ফাইং একাডেমির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান শনিবার সকালে শাহ্ মখদুম বিমান বন্দর পরিদর্শন করেন। পরে তারা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে তার অফিসে দেখা করে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন। গ্যালাক্সি ফাইং একাডেমির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, যত দ্রুত সম্ভব তারা রাজশাহী থেকে ঢাকা রুটে বিমান চলাচল শুরু করতে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তারা শাহ্ মখদুম বিমান বন্দরে প্রশিণ একাডেমিও স্থাপন করবেন। এছাড়া পর্যায়ক্রমে রাজশাহীতে বিমান মেরামত ও যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানাও স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান। এসব কাজে মালয়েশিয়ার সিটিআরএম এভিয়েশন কোম্পানি তাদের সহযোগিতা করবে। মতবিনিময়ের সময় মেয়র রাজশাহীর ভৌগলিক অবস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবহাওয়া ও সামাজিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে রাজশাহীকে বিনিয়োগের উপযোগী স্থান হিসাবে তুলে ধরেন। এছাড়া বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা স্থাপনের জন্য মালয়েশিয়ার অন্যান্য কোম্পানির প্রতি আহবান জানান। এপিপি, সাভার ( ঢাকা) : মানসম্পন্ন তৈরি পোশাক উৎপাদনে চলতি বছর এশিয়ার শ্রেষ্ঠ তৈরি পোশাক কারখানার পুরস্কার পেয়েছে হা-মীম গ্রুপ। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছিল শ্রেষ্ঠ সরবরাহকারীর পুরস্কার ‘ভেন্ডার অব দ্য ইয়ার’। ভিএফ এশিয়া সোর্সিং গ্রুপ ও ভিএফ ইউএস সোর্সিং অ্যান্ড অপারেশন গ্রুপ যৌথভাবে এ পুরস্কার দিয়েছে। এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার। শনিবার সকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুরে ‘হা-মীম কমপ্লেক্সে’ হা-মীম গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম তৈরি পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ভিএফ করপোরেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর রানা জর্জ আব্রাহাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্নেল (অব.) দেলোয়ার হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (উৎপাদন) মেজর (অব.) সুনীল কুমার সরকার, গ্রুপের আশুলিয়া জোনের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.:) মোহাম্মদ আলী মণ্ডল প্রমুখ। প্রসঙ্গত, গত ১১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম তৈরি পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ভিএফ (ভ্যানিটি ফেয়ার) করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট এঞ্জেলো লাগরেগা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হা-মীম গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক কিনে থাকে ভিএফ করপোরেশন। বিশ্বের যে ১১৩টি কারখানা থেকে ভিএফ করপোরেশন পোশাক কেনে তার ৮৭টিই বাংলাদেশের। হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আজাদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আমি আনন্দিত, এ সাফল্য তৈরি পোশাক কর্মীদের সবার। তাদের আন্তরিক চেষ্টায় দেশের এ কারখানাটি আন্তজার্তিক স্বীকৃতি লাভ করলো, পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের উৎকর্ষ বজায় রেখে সময়মতো ক্রেতার কাছে পণ্য সরবরাহে আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়লো।’ ভিএফ করপোরেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর রানা জর্জ আব্রাহাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘এশিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের এ প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায় উন্নতি করবে, ফলে এর কর্মীদের মর্যাদাও বাড়বে।’ এপিপি রিপোর্ট : বিশ্ব মন্দার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে শিগগিরই সরকারের প্রতিশ্র"ত প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ ছাড় শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে এক বৈঠকে পোশাক শিল্পের নেতারা এ দাবি জানান। তারা দাবি করেন, তৈরি পোশাক শ্রমিকদের জন্য সদ্য ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে এই প্রণোদনা প্যাকেজ জরুরি। গত বছর নভেম্বরে রপ্তানি খাতসহ তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য এক হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। অবশ্য এর আগে একই বছরের এপ্রিলে রপ্তানি খাতে তিন হাজার ৪২৪ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তৈরি পোশাক খাতকে এর আওতায় রাখা হয়নি। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, "প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার আট মাস হয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। "বাজার স�প্রসারণের জন্য এই প্যাকেজের মাধ্যমে পাঁচ বছর মেয়াদে পাঁচ শতাংশ সুদ হারে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথা। এছাড়া এর আওতায় বছরে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার রপ্তানি করে এমন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নগদ অর্থ সহায়তারও প্রতিশ্র"তি দেওয়া হয়।" তিনি আরো জানান, যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠান বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা করতে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল ব্যবহার করে তাদেরকে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ারও নিশ্চয়তা দেয় সরকার। মুর্শেদীর এ উদ্বেগের বিষয়ে অর্থ সচিব মুহাম্মদ তারেক বলেন, "প্রণোদনা প্যাকেজের তহবিল থেকে অর্থ ছাড় শুরুর অনুমোদন দেওয়া হযেছে।" মুর্শেদী উদ্যোক্তা উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সুদের হার কমাতে পোশাক শিল্প মালিকদের দাবি তুলে ধরেন বলেন, "প্রকৃত সুদের হার ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ২.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।" কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, "ইডিএফ সুদের হার লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফারড রেটস (এলআইবিওআর) অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে।" এলআইবিওআর হচ্ছে লন্ডনের পাইকারি মুদ্রাবাজার (যা আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার হিসাবে পরিচিত) থেকে অবন্ধকী ঋণ নেওয়া ব্যাংকগুলোর সুদের হারের ভিত্তিতে করা দৈনিক সুদ হার। বৈঠকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নীটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমই্এ) প্রেসিডেন্ট সেলিম ওসমান ও এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট একে আজাদ। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট একে আজাদ বলেন, "উৎসে কর দ্বিগুণ করায় তৈরি পোশাক শিল্পে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। চলতি অর্থবছরে উৎস কর ০.২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ০.৫০ শতাংশ করা হয়েছে।" অর্থমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করার নিশ্চয়তা দেন। ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) যে দরে আমদানি করে সেই দামে জ্বালানি কিনতে সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান। ভর্তুকি দেওয়ার চেয়ে এটাই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে বলে দাবি করেন তারা। পোশাক শিল্পে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দিতে অর্থমন্ত্রীর নিশ্চয়তা দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, "বিদ্যুৎ ও গ্যাস নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলা ঠিক হবে না।" ম,রফিক, বগুড়া : পুঁজিবাজারে আবারো একাধিক নতুন নতুন মিউচুয়াল ফান্ড’র উপস্থিতি মিস্রপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে । এতে ুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন বগুড়ার আইপিও’র আবেদনকারী বিনিয়োগকারীরা। এমন অবস্থায় প্রাইমারী বিনিয়োগকারীরা বিপাকে পড়েছে। ফলে অন্যান্য আইপিও’র মতো জেলায় বিনিয়োগকারীদের মাঝে এই মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর আবেদনের আগ্রহ কিছুটা হলেও কমে গেছে। ফলে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির শেয়ার বাজারে আনার আহবান জেলার বিনিয়োগকারীদের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই)এর শেয়ার বাজারে মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ারগুলোর দর হতাশাজনক হওয়ায় আবারো ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল,গ্রীন ডেল্টা মিউচুয়াল এবং পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডসহ নতুন নতুন মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ার আইপিও’র জন্য আবেদন গ্রহন শুরু হলেও তেমনটা সাড়া নেই স্থানীয় আইপিও’তে আবেদনকারী বিনিয়োগকারীদের। আইপিও’র আবেদন করার জন্য জেলার প্রাইমারী বিনিয়োগকারীরা অধীর আগ্রহে থাকেন। কিন্তু সে আইপিও মিউচুয়াল ফান্ড হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের মাঝে সে আগ্রহ আর নেই। বগুড়ার বিনিয়োগকারীদের কয়েক জন করিম সরকার, আব্দুল বারেক খান ও ফানা মোন্না বলেন,ডিএসই’র পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ারগুলোর দর নিয়ে বিনিয়োগকারীরা চরম বিপর্যয়ে রয়েছে। তারপরও আবারো মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর অনুমোদন দিয়েছে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মুল বাজারেই আগ্রহ নেই স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের। প্রাইমারী বিনিয়োগকারী খলিলুর রহমান,আব্দুল বাছেদ ও মিজানুর রহমান বলেন, সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ভালো কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসার অনুমোদন না দিয়ে যে গুলোর কোন শেয়ার নয় সেইগুলো শুধূ মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর অনুমোদন দেয়ার আমাদের আইপিও’তে আবেদন করার আগ্রহ নেই। জেলার বিনিয়োগকারী জাহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও মামুনুর রশীদ বলেন, পুঁজিবাজারে এই রকম শুধু মিউচুয়াল ফান্ডের আইপিও আসলে একদিকে প্রাইমারী বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারোবে অন্যদিকে বাজারে মন্দ শেয়ারের প্রভাবে সেকেন্ডারী বিনিয়োগকারী বিপাকে পড়বে। আইপিও’তে বিনিয়োগকারী শফিকুল ইসলাম,নরুল ইসলাম ও রেজাদুল হক রেজা বলেন, আমাদের অর্থ কম হওয়ায় শুধু আইপিও’তে আবেদন করে আসছি। আর এই আইপিও’তে আবেদন করার জন্য আমরা অনেক টাকা খরচ করে এ্যাকাউন্ড সচল রেখে আসছি সারা বছর ধরে। কিন্ত দেখা যায় সারা বছরে একটি এ্যাকাউন্ডে একটি থেকে দুই আইপিও প্রাপ্ত হয় আবার কোন কোন এ্যাকাউন্ডে সারা বছরের একটিও লাগে না। ফলে যে এ্যাকাউন্ডে লাগে না সে এ্যাকাউন্ডের বিনিয়োগকারী শুধু সিডিবিএলসহ অন্যান্য ফি দিয়ে আসছে। আর এই মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ারের দর ফেস ভ্যালুর কাছাকছি হওয়ায় আইপিওতে লাভ কমে যাওয়ায় অনেকে সারা বছরে সিডিবিএলসহ অন্যান্য ফি দেয়া ব্যাথা হয়ে দাড়িয়েছে। বিনিয়োগকারী মনিরুল ইসলাম ও কবির হোসেন বলেন, সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নিকট আমাদের পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড না দিয়ে ভালো ভালো কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়ে বাজার আনার আহবান জানাচ্ছি। এপিপি রিপোর্ট : দেশে কোটিপতির সংখ্যা কতো- এ নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে বিতর্ক যা-ই থাকুক প্রতিবছর কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ১৯৭৫ সালে দেশে বৈধ কোটিপতির সংখ্যা যেখানে ছিল মাত্র ৪৭ জন, সেখানে গত ২০০৯ সাল শেষে বৈধ কোটিপতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজারেরও বেশি। সে হিসেবে গত প্রায় সাড়ে তিন দশকে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৪৯২ গুণ। আর এ হিসেব কেবল বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় যারা স্থান পেয়েছেন তাদের। দেশের অনেক কোটিপতির নাম এ তালিকায় স্থান পায় নি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রমতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সকল তফসিলি ব্যাংকের কাছ থেকে প্রাপ্ত হিসাবের ভিত্তিতে যে প্রতিবেদন তৈরি করে সেটাই কোটিপতির সংখ্যা নির্ধারণের নির্ভরযোগ্য ভিত্তি। তবে অবৈধ বিত্তের মালিকরা স্বনামে-বেনামে একাধিক একাউন্টে টাকা রাখতে পারেন এবং রাখেন। এদের শনাক্ত করা কঠিন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে গত প্রায় চার দশকের কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধির চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিবার মতার পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে দুই থেকে তিনগুণ। আশির দশক পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে মাঝারি ও ক্ষুদ্র আমানতকারীদের একটা বিশেষ অবস্থান ছিল। নব্বইয়ের দশক থেকে ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারীদের আধিপত্য বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকিং খাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১৩০ জন এবং এদের মোট আমানতের পরিমাণ হচ্ছে ১ লাখ ৫৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে চার রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে কোটিপতির সংখ্যা হচ্ছে ৫ হাজার ৬০১ জন, রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে ১ হাজার ৮৫৪ জন, বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ১৩ হাজার ৬৭৯ জন ও বিদেশি ব্যাংকগুলোতে ১ হাজার ৯৯৬ জন। অন্যদিকে কোটিপতি গ্রাহকদের আমানতের পরিমাণ হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ৩১ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে ৬ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা, বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ৫১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা ও বিদেশি ব্যাংকগুলোতে ১০ হাজার ২৬০ কোটি টাকা রয়েছে। শতকরা হিসাবে কোটিপতি আমানতকারীদের সংখ্যা হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর দশমিক ০৬ শতাংশ এবং আমানতের পরিমাণ হচ্ছে মোট আমানতের এক-তৃতীয়াংশ। গত বছর (২০০৮) ব্যাংকিং খাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ১৬৩ জন এবং মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ৭৭ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর দশমিক ০৫ শতাংশ এবং আমানতের পরিমাণ ছিল মোট আমানতের প্রায় ৩১ শতাংশ। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় চার হাজার। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৭৫ সালে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৪৭ জন ও তাদের আমানতের পরিমাণ ছিল ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ১০ শতাংশ। ’৯০ সালে আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৪৩ জন ও আমানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতায় ’৯৬ সালের জুনে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৯৪ জন ও আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ২০ শতাংশ, ২০০১ সালের শেষে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৭৯৯ জন ও আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ২২ শতাংশ, ২০০৬ সালের শেষে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৪৯ জন ও আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশ, ২০০৭ সালের শেষে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৬৩৩ জন।
এপিপি রিপোর্ট : ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত একশ কোটি ডলারের ঋণ-সহায়তা চুক্তিতে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চান। দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ল্েয সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বেনাপোল বন্দরের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান ডা. দীপু মনি জানান। মন্ত্রী দুপুরে বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে এলে বেনাপোল পর্যটন মোটেলের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতরা তাকে স্বাগত জানান। এর পর তিনি বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে পৌঁছালে কাস্টমস, বন্দরসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। জেলা প্রশাসক মো. নূরুল আমিন, পুলিশ সুপার দিদার আহমেদ, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার ড. আব্দুল মান্নান শিকদার, যুগ্ম কমিশনার ইসমাইল হোসেন সিরাজী, বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ গোলাম মোস্তফা প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। শেখ মো: রতন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ২০১০-১১ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা ও জনগণের মুখোমুখী পৌর পরিষদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-মুন্সীগঞ্জ এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ২০১০-১১ অর্থ বছরের বাজেটে ২৮ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭০০ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। গত অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেট ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ৬ হাজার ৬৯৫ টাকা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাকের স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রোজিনা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ২ নং ওয়ার্ড এর কমিশনার জনাব মশিউর রহমান ববি, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা মো: জামাল হোসেন, নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বাশার, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার আখতার হায়দার, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সচিব এ কে এম বজলুর রশীদ, মাননীয় মেয়র অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান এবং সনাকের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক খালেদা খানম। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ২০১০-২০১১ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপনা করেন হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ। এরপর জনগণের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পরিষদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সনাক সদস্য ও সাংবাদিক শহীদ-ই-হাসান তুহিন প্রমুখ।
এপিপি রিপোর্ট : ভর্তুকি দিয়ে হলেও টিসিবি নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান। বলেছেন, রমজানে চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পণ্যের চালান বাড়ানো হবে। জনগণ চাইলে বছর জুড়ে টিসিবি পণ্য সরবরাহ করবে বলেও জানান মন্ত্রী। রবিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর গুদাম থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিলারদের মধ্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। টিসিবির উদ্যোগে রমজান মাসে নির্ধারিত দামে মোট ৬২ হাজার টন চিনি, তেল, ডাল ও ছোলা বিক্রি করা হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে ৩৬ টাকা দামে ছোলা পাওয়া গেলেও তার মান খুব একটা সন্তোষজনক নয়। তবে আমাদের সরবরাহকৃত ছোলা দেখলেই বোঝা যাবে এটা অত্যন্ত মানসম্মত। টিসিবির বিক্রয় মূল্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা এমন একটা দাম নির্ধারণ করতে পারতাম যা আগামীকাল গ্রহণ করা হবে না। এজন্য আমরা বাজার অনুসন্ধান, সরবরাহ পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই মূল্য নির্ধারণ করেছি। ফারুক খান বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরের ১২টি জায়গা থেকে দেশের মোট ১ হাজার ৮১৯ জন ডিলারের মাধ্যমে টিসিবির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। রাজধানীতে ২৫৪ জন ডিলার রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এদের মাধ্যমে রমজানে ২৫ হাজার টন চিনি, ২০ হাজার টন বোতলজাত সয়াবিন তেল, ৫ হাজার টন পাম্প তেল, ১০ হাজার টন মসুরের ডাল ও ২ হাজার টন ছোলা সরবরাহ করা হবে। তিনি জানান, ডিলাররা ৪২ টাকা কেজি দরে চিনি কিনে তা ৪৫ টাকায় বিক্রি করবে। একইভাবে ৭৫ টাকা কেজি দরে মোটা চাল কিনি ৭৮ টাকায়, ৭৫ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল কিনে ৭৮ টাকায় এবং ৪১ টাকা কেজি দরে ছোলা কিনে ৪৪ টকা দরে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হবে। অনিয়ম করায় গত বছর কিছু ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, দাম স্থিতিশীল রাখতে এসব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। টিসিবি সূত্র জানায়, আজ ৯ জন ডিলারের প্রত্যেকের মধ্যে ৩ টন চিনি ও ১ টন করে ডাল, ছোলা ও তেল বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে সরকারের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, টিসিবির নিদের্শনা অনুযায়ী একজন ক্রেতার কাছে একই সময়ে সর্বোচ্চ ২ কেজি চিনি, ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মশুর ডাল, ২ কেজি ছোলার বেশি বিক্রি করতে পারবে না। এপিপি রিপোর্ট : আসন্ন রমজানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী না হলে সিএনজি স্টেশনের গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই উদ্যোগ কার্যকর করতে তিতাস কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে। এছাড়া রমজানে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) পেট্রোবাংলার কাছ থেকে বাড়তি যে ৮শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে তাও দেওয়া হবে। রোববার বিকেলে পেট্রোবাংলার সম্মেলন কক্ষে রমজানে শিল্প কারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর। পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জানান, দেশে পাঁচ শতাধিক সিএনজি স্টেশন রয়েছে। তারা অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাতি জ্বালিয়ে রাথে। স্টেশনগুলো প্রয়োজনের অধিক বাতি ব্যবহার করলে তিতাসকে চিঠি দিয়ে তাদের গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতে বলা হবে। তিনি বলেন, রি-রোলিং, চুন, সিরামিকসহ যেসকল কারখানা বয়লার ব্যবহার করে তাদের সন্ধা পাঁচটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত জিরো (০) লোডে অথবা সর্বনিম্ন লোডে গ্যাস ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তিনি জানান। বৈঠকে অংশ নেওয়া বিজিএমইয়ের প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার মান্নাফ খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, এর আগে শিল্প কারখানাগুলো রমজানে গ্যাস-বিদ্যুৎ যেভাবে ব্যবহার করেছে এবারও সেভাবেই চলবে। নতুন কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়নি। এপিপি রিপোর্ট : ভারতের কাছ থেকে ১শ কোটি ডলার ঋণসহায়তা নেওয়ার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বিকেলে ঢাকায় আসার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে বার্ষিক ১.৭৫ শতাংশ হার সুদে ঋণ সহায়তার এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া ও ভারতের পক্ষে দেশটির এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকের (এক্সিম) চেয়ারম্যান টিসিএ রঙ্গনাথন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি, বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসময় উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রণব মুখার্জি বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। তিনি জানান, তার দেশ ভারত বাংলাদেশের কাছে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ মেট্রিক টন গম রপ্তানি করবে। এছাড়া সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ দমনে দুই দেশকে একসঙ্গে আরো জোরদার ভূমিকা পালনের আহবান জানান প্রণব মুখার্জি। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ট্রানজিটের আওতায় ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতর দিয়ে নেপালের ট্রাক বাংলাদেশে আসতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে ভারত এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।’ চুক্তি স্বাক্ষরের পর সন্ধ্যায় প্রণব মুখার্জি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার রাষ্ট্রীয় বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন। তিনি রাত সাড়ে ৯টায় দিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, চুক্তির অর্থে বাস্তবায়নের জন্য ১৪টি প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে। আশা করি আমরা এ অর্থের সদ্বব্যবহার করতে পারবো। তিনি বলেন, ভারত হয়ে নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে এবং মায়ানমার হয়ে চীনের সঙ্গে ট্রানজিটকে আমরা সব সময় সমর্থন ও স্বাগত জানাই। এসব ট্রানজিট আমাদের জন্য উপকারী হবে। ভারতের সঙ্গে এ চুক্তির বিরোধিতা করায় বিএনপির সমালোচনা করে আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, বর্তমান বিশ্বে কেউ এত কম সুদে ঋণ দেয় না। তারপরেও বিরোধী দল কেন এর বিরোধিতা করছে জানি না। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য যুক্তিযুক্ত নয়। এর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি পৃথকভাবে ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা পৌঁছান প্রণব মুখার্জি। হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এসময় ভারতীয় মন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরে পৌঁছে সংক্ষিপ্ত প্রেস বিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এককভাবে কোনো দেশের সঙ্গে ভারতের এটি সবচেয়ে বড় ঋণ-সহায়তা চুক্তি।’ ঋণের ক্ষেত্রে যেসব শর্ত থাকছে তা বাংলাদেশের জন্য সহনীয় হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ দুই দেশের মধ্যে দ্রুত সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ চুক্তি কাজে আসবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এই ঋণের পুরোটাই খরচ করা হবে বাংলাদেশের রেলওয়ে ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে। চুক্তির অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশকে বার্ষিক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি (গৃহিত প্রকল্পের চুক্তি অনুমোদনের ১২ মাস পর থেকে অব্যবহৃত ঋণের উপর ধার্য করা হবে) দিতে হবে। বাংলাদেশকে ২০ বছর মেয়াদে (৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ) এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বিমানবন্দর থেকে প্রণব মুখার্জি হোটেল সোনারগাঁও-এ যান। সেখান থেকে তিনি বিকাল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় পৌঁছান । জানুয়ারিতে হাসিনা-মনমোহন শীর্ষ বৈঠকের পর ঢাকায় ভারতের কোনো মন্ত্রীর এটাই প্রথম সফর। বাংলাদেশের জন্যও ভারতের এতো বড় অংকের ঋণ-সহায়তা এটাই প্রথম। আশা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে। জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলে দুই দেশের মধ্যে রেল, সড়ক ও নদীপথে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও সহজ করতে ঋণ সহায়তার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এদিকে ঋণের টাকা সঠিকভাবে কাজের লাগানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে ১৪টি প্রকল্পে সম্মতি দিয়েছেন। এসবের মধ্যে ১০টি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের, যেগুলোর ৫টি আবার রেলওয়ের উন্নয়ন সংক্রান্ত। এর মাধ্যমে রেলওয়ের ট্যাং ওয়াগন, বগিসহ সরঞ্জামাদি কেনা হবে। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আশুগঞ্জে দুটি নতুন রেলসেতু তৈরি করা হবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রণব মুখার্জি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত ও চীন সফর বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। বাংলাদেশ যেন এ অর্জন কাজে লাগাতে পারে প্রতিবেশি দেশ হিসাবে ভারত সেটাই চায়। এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ যে সরাসরি ভূমিকা নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমন শুধু দুই দেশের অঙ্গীকার নয়, সার্কেরও অঙ্গীকার। দুই দেশ একযোগে কাজ করলে আমার বিশ্বাস এ সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়া দেশের মানুষের চাহিদা পূরণে শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন তিনি। বাংলাদেশ ও ভারত হয়ে নেপাল, ভূটানসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে ট্রানজিট চালুর বিষয়ে প্রণব মুখার্জি বলেন, দ্রুতই ট্রানজিট চালু করতে পারব বলে আমি আশাবাদী। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে যৌথ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ত্রিপুরা ও মিজোরাম সীমান্তে স্থল শুল্ক স্টেশন স্থাপন, মেঘালয় সীমান্তে দুইটি বর্ডার হাট স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তিনি। সীমান্তনদী তিস্তার পানিবন্টন চুক্তির প্রশ্নে প্রণব মুখার্জি বলেন, চুক্তির ব্যাপারে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) একমত হয়েছে। এ লক্ষ্যে খসড়া চুক্তিও আদান প্রদান হয়েছে। আশা করি দ্রুতই এ বিষয়টির সমাধান হবে। ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও অশুল্ক বাধার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ভারতে বাংলাদেশের অনেক পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে। আরো অনেক পণ্য এ সুবিধা পাওয়ার অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছে। ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক বিলিয়ন ডলার ভারতীয় ঋণের অর্থে বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত প্রকল্পসমূহের তালিকা সরবরাহ করা হয়। এতে বলা হয় ১৪ টি প্রকল্পে ৬০১.৮৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।
এপিপি, বগুড়া : পুঁজিবাজারে গতকাল সপ্তাহেরশেষ দিবসে সুচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারেরর দর বৃদ্ধিতে বগুড়ার বিনিয়োগকারীরা স্বস্থি পেয়েছেন। ফলে জেলার ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে আর্থিক লেনদেন বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার একটি ব্রোকরেজ হাউজের আর্থিক লেনদেন মোট লেনদেনের অর্ধেকের বেশী। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর আওতায় গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়ার পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউজে মোট ৪২ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত বুধবার মোট ২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। ফলে গতকাল জেলায় একদিনের ব্যবধানে ২০ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল জেলার আইএসটিসিএলে মোট ৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা,মাল্টি সিকিউরিটিজে মোট ২৮ কোটি ৩৭ লাখটাকা,শ্যামল ইক্যুইটিতে মোট ১ কোটি ৯৮৮ লাখ টাকা,রয়েল ক্যাপিটালে মোট ২ কোটি টাকা এবং এনসিসি ব্যাংক ব্রোকারেজ হাউজে মোট ৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এাল্টি সিকিউরিটিজ এন্ড সার্ভিস লিমিটেড বগুড়ার শাখা ব্যবস্থাপক মোৎ হাসান মাহমুদ রনি বলেন, সিউিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর চেয়ারম্যানদ্বয়ের গ্রীহিত সিন্ধাšে দেমের শেয়ারবাজাওে স্বাভাববিক হয়ে আষায় বিনিয়োগকারীরা আবার বাজার মুখি হতে শুরু করায় হাউজে আর্থিখ লেণদেন বেড়েছে।বগুড়ার বিনিয়োগকারী শফিকুল ইসলাম ও রফিকুল আলম বলেন, শেয়ারবাজাওে গতকাল সপ্তাহের শেষ দিবসেও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধিও ধারা অব্যাহত থাকায় জেলার বিনিয়োগকারীরা স্বস্থি পেয়েছেন। |
নিউজ সার্চ
All
নিউজ আর্কাইভ
April 2018
|